ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানুন : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিজনেস কতটুকু সম্ভাবনাময়? Most Profitable Business 2023

জীবনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে তো সবাই চান। দশ পনেরো বছর আগেও যখন একজন মানুষ স্বনির্ভর হতে চাইতেন, তখন তাকে চাকরি বা ব্যবসা করতে বলা হত। যারা স্বাধীনচেতা মানুষ, তারা সবসময়েই ব্যবসার পক্ষে। তবে তখনকার দিনের ব্যবসা ও এখনকার দিনের ব্যবসায় রয়েছে বিস্তর ফারাক। গতানুগতিক ব্যবসার জায়গায় এখন বহু মানুষ বেছে নিচ্ছেন ই-কমার্স বিজনেস। 

শুধু তাই নয়,এই বিজনেস করে সফলতার মুখ দেখছেন হাজার হাজার মানুষ। আবার এই সফল হওয়া মানুষগুলোকে দেখার পর যারা নিজের মতো কিছু করতে চাইছেন, তারাও এ ব্যবসা শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আজকের এই লেখায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব বহুল জনপ্রিয় ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত। সেই সাথে এই লেখা থেকে আপনারা আরও জানতে পারবেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই বিজনেসের সম্ভাবনা সম্পর্কেও। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

ই-কমার্স বিজনেস বলতে কী বোঝানো হয়? 

চলুন লেখার শুরুতেই ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক। ই-কমার্স বিজনেস হচ্ছে গতানুগতিক বিজনেসের আধুনিক সংস্করণ, যেখানে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাহায্যে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটি করা হয়। ই-কমার্স বিজনেসের পূর্ণরূপ হচ্ছে ইলেকট্রনিক কমার্স বিজনেস। 

সাধারণত একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য  একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা ম্যান্ডেটরি। এই ওয়েবসাইটে প্রথমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ছবি এবং বর্ণনা পোস্ট করা হয়। তারপর ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে তোলা হয়। এর ফলস্বরূপ তখন টার্গেট অডিয়েন্সরা ওই ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন এবং তাদের যে প্রোডাক্টগুলো পছন্দ হয় তারা সেগুলো অর্ডার করেন। পরবর্তীতে ওই প্রোডাক্টগুলো নির্দিষ্ট কয়েক দিনের ভেতরেই তাদের হাতে পৌঁছে যায়। 

কয়েকটি ই-কমার্স বিজনেস রয়েছে যেগুলো ওয়েবসাইটের পাশাপাশি নিজস্ব অ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও নিজেদের বিজনেস পরিচালনা করে থাকে। আশা করি ই-কমার্স বিজনেস কি তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

ই-কমার্স বিজনেস

ই-কমার্স বিজনেস কত প্রকার ও কি কি? 

এবার আসি ই-কমার্স বিজনেসের প্রকারভেদ নিয়ে। ই-কমার্স বিজনেস মূলত চার প্রকার। যেগুলো হল –

১। বিজনেস টু বিজনেস ই-কমার্স 

যখন অনলাইনে দু’টো বিজনেস কোম্পানির মধ্যে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস বেচা কেনা হয়, তখন সেটিকে বিজনেস টু বিজনেস ই-কমার্স বলা হয়। অর্থাৎ আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আপনার আমার মতো সাধারণ ক্রেতারা কিন্তু এই বিজনেস এর অন্তর্ভুক্ত নন৷ বরং যারা বড় বড় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি কিংবা হোলসেলার, তারাই এই ই-কমার্স বিজনেসের অংশ। 

২। বিজনেস টু কনজুমার ই-কমার্স 

যখন কোন বিজনেস কোম্পানি অনলাইনে তার টার্গেটেড কনজুমার বা ভোক্তাদের কাছে তাদের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সেল করে, তখন সেই ই-কমার্স বিজনেস মডেল কে বিজনেস টু কনজুমার  মডেল বলা হয়। এই বিজনেস মডেলটি সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। যখন আপনি কোন ই-কমার্স বিজনেস সাইট থেকে কেনাকাটা করেন, তখনই আপনি এই বিজনেস মডেলের একটি অংশ হয়ে যান। 

৩। কনজুমার টু কনজুমার ই-কমার্স 

যে ই-কমার্স বিজনেস মডেলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে  

দুজন কনজুমার নিজেদের মধ্যে কেনাবেচা করেন, তখন সেটিকে কনজুমার টু কনজুমার ই-কমার্স বিজনেস মডেল বলা হয়। তবে এই ই-কমার্স বিজনেস মডেলে কিন্তু দুজন কনজুমার সরাসরি নিজেদের মধ্যে কেনাবেচা করতে পারেন না, এখানে একটি থার্ড পার্টির প্রয়োজন হয়। যেমন ধরুন, আপনারা নিশ্চয়ই bikroy.com এর নাম শুনেছেন। এই ওয়েবসাইটে অনেক ভোক্তা বিভিন্ন জায়গা থেকে কেনা পণ্য যদি তাদের প্রয়োজন না হয়, তাহলে সেগুলো বিক্রি করে থাকেন। এটিই হলো কনজুমার টু কনজুমার ই-কমার্স বিজনেস মডেল। 

৪। কনজুমার টু বিজনেস ই-কমার্স 

ই-কমার্স মডেলটি অন্যান্য মডেলের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। কারণ এই বিজনেস মডেলে সাধারণত কোন একটি বিজনেস কোম্পানি তার কনজুমারদের থেকে তাদের পণ্য কিংবা সার্ভিস কিনে নিয়ে পরবর্তীতে নিজেরা সেল করে। এক্ষেত্রে বিজনেস কোম্পানিগুলো অনলাইন নিলামের সাহায্যে ওই পণ্য বা সার্ভিসগুলো কিনে থাকে। যেমন ধরুন, আপনারা যদি বিভিন্ন স্টক ইমেজের ওয়েবসাইটের দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এই ওয়েবসাইটগুলো ভোক্তাদের কাছ থেকে পাওয়া ছবিগুলোই তাদের ওয়েবসাইটে সেল করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতিবার ছবিগুলো সেল হওয়ার পর ভোক্তারা নির্দিষ্ট হারে টাকা পেয়ে থাকেন এবং একই সাথে ওয়েবসাইটও লাভ করে থাকে। 

Read More

হেনরি ফোর্ড : সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে থেকে যিনি হয়ে উঠেছিলেন Most Successful

ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধা কি কি? 

আমি জানি এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে এত বিজনেস থাকতে আপনারা ই-কমার্স বিজনেস কেন করবেন? তাই এখন আপনাদের জানাবো ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

  • ই-কমার্স বিজনেস করার সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এই বিজনেস করার জন্য আপনাকে আলাদা করে কোনো স্পেস ভাড়া নিতে হবেনা। যেহেতু এই বিজনেসের সব কাজ অনলাইনে করা হয়, তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়িতে বসেই এই বিজনেসটি করতে পারবেন। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য অন্যান্য বিজনেসের মত খুব বেশি মূলধন থাকা প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ,ওয়েবসাইট বানানোর প্রয়োজনীয় খরচ এবং প্রোডাক্টের জন্য মিনিমাম ইনভেস্টমেন্টটুকু থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য ডোমেইন-হোষ্টিংয়ের যে নির্দিষ্ট খরচ রয়েছে এবং আপনি যাকে হায়ার করে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করিয়ে নেবেন, তাকে আপনার সার্ভিস চার্জ পে করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি যে প্রোডাক্টগুলো নিয়ে বিজনেস করবেন, সেগুলো কিনে স্টকে রেখে দিতে হবে, যাতে করে কাস্টমার অর্ডার করার সাথে সাথেই সেগুলো পৌঁছে দিতে পারেন। এ খরচগুলো থাকা সত্ত্বেও ই-কমার্স বিজনেস শুরু করা খুব বেশী কঠিন নয়, কারণ আপনাকে কোন দোকান ভাড়া দিতে হবে না। এই দোকান ভাড়ার পেছনেই কিন্তু অন্যান্য ব্যবসায় বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। তাই যাদের খুব বেশী টাকা ইনভেস্ট করার সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য ই-কমার্স বিজনেস একটি খুবই ভাল অপশন। 

 

  • আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমানে ইন্টারনেট ইউজ করেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। নিজেদের পড়াশোনা কিংবা চাকরির কাজে হোক, অথবা অবসর সময়ের কিছুটা বিনোদন পাওয়ার জন্যই হোক, ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন ঘরে ঘরে। এ কারণেই যদি আপনি ই-কমার্স বিজনেস করেন, তাহলে খুব সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে নিজের প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারবেন এবং নিজের বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধা হিসেবে আরও বলা যায়, এই বিজনেসে সহজেই অনেকজন কাস্টমারকে একসাথে ম্যানেজ করা যায়। যদি একসাথে অনেকজন কাস্টমারও সাইট থেকে কেনাকাটা করেন, সেক্ষেত্রেও কোন ঝামেলা হয় না। অর্থাৎ অনেকজনের অর্ডার একসাথে প্রসেস করা যায়। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। একজন কাস্টমার চাইলে দিন কিংবা রাত যেকোনো সময়ই অর্ডার প্লেস করতে পারেন। তাই আপনি নিজের দৈনন্দিন কাজকর্ম ম্যানেজ করার পরেও বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন। 

 

  • যেহেতু ই-কমার্স সাইট থেকে অর্ডার করার সময় একজন কাস্টমার তার নাম, ইমেইল এড্রেস, বাড়ির এড্রেস এবং ফোন নাম্বার প্রোভাইড করেন, সুতরাং আপনি খুব সহজেই আপনার কাস্টমারদের ডাটা কালেক্ট করতে পারবেন। তারপর প্রয়োজন অনুসারে তাদের ইমেইল এড্রেস কিংবা ফোন নাম্বারে আপনার বিজনেসের বিভিন্ন অফার সম্পর্কে তাদের জানাতে পারবেন এবং আপনার সাইট থেকে কেনাকাটা করতে তাদের ইনফ্লুয়েন্স করতে পারবেন। 

 

  • যদি আপনি এ বিজনেস করেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে আগে যেসব কাস্টমার কেনাকাটা করেছেন তাদের রিভিউ শো করতে পারবেন, এতে করে আপনার বিজনেসের প্রতি পটেনশিয়াল কাস্টমারদের ট্রাস্ট বৃদ্ধি পাবে এবং তারাও আপনার সাইট থেকে কেনাকাটা করবেন। অর্থাৎ এই বিজনেসে অনেস্ট থাকলে মানুষের ট্রাস্ট গেইন করতে পারবেন এবং দেখবেন আপনার বিজনেসও দ্রুত গ্রো করছে। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেস করলে শুধু লোকালি নয়, বরং সেইসাথে ইন্টারন্যাশনালিও প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার সুযোগ পাবেন। কারণ এই বিজনেসে লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল দু’ধরনের কাস্টমারদের কাছেই বিজনেস মার্কেটিং করা পসিবল হয়। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেসের মার্কেটিংয়ের খরচ অনেক কম। যদি আপনি বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন, তাহলে আপনি নিজেই আপনার বিজনেসের মার্কেটিং করতে পারবেন। প্রতিদিন অল্পকিছু টাকা খরচ করলেই আপনি অনেক বেশী মানুষের কাছে আপনার ব্যবসা পৌঁছে দিতে পারবেন। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেসের প্রফিট মার্জিন অন্যান্য বিজনেস এর তুলনায় অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, যদি আপনি আপনার সাইটে ভালো কোয়ালিটির প্রোডাক্ট ইমেজ এবং আকর্ষণীয় প্রোডাক্টের বিবরণী লিখতে পারেন, তাহলে দেখতে পাবেন আপনার বিজনেসের অনেক লয়াল কাস্টমার তৈরি হবে। তখন সেল এবং প্রফিট দুটোই অনেক বেশি হবে৷ 

ই-কমার্স বিজনেস

ই-কমার্স বিজনেস এর অসুবিধা কি কি? 

ই-কমার্স বিজনেস এর অনেক সুবিধা থাকলেও এটির কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন:

  • এই বিজনেসের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে কম্পিটিশন। এখনকার সময় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ই-কমার্স ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে। তাই যদি প্রোপারলি বিজনেস মার্কেটিং করতে না পারেন এবং ব্যবসা সম্পর্কে নলেজ না থাকে, তাহলে টিকে থাকা বেশ কঠিন হবে।

 

  • যারা নতুন নতুন ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন, তারা কিভাবে প্রোডাক্ট প্যাকেজিং করে ডেলিভারি করতে হবে সে বিষয়টি বুঝতে পারেন না। এতে করে দেখা যায় প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার সময় সেটির ক্ষতি হয় এবং এর ফলে তারা কাস্টমারদের ভরসা হারিয়ে ফেলেন। 

 

  • যখন সাইটে কাস্টমারদের লোড অনেক বেশি থাকে, তখন কাস্টমার সার্ভিসে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এখান থেকে যদি কাস্টমাররা অসন্তুষ্ট হন, তাহলে কাস্টমার হারিয়ে ফেলার বড় সম্ভাবনা থাকে। 

 

  • কোন অনাকাঙ্খিত কারণে যদি কাস্টমারদের কাছে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করতে দেরি হয়, তাহলে তারা ওয়েবসাইটে খারাপ রিভিউ দিয়ে থাকেন, যা ই-কমার্স বিজনেসের রেপুটেশন নষ্ট করে দিতে পারে। 

 

  • ই-কমার্স বিজনেস এর অসুবিধা হিসেবে আরও বলা যায়, অনেক সময় দেখা যায় যদি সাইটে বেশি ভিজিটর আসে, তখন সাইট ক্র‍্যাশ করে যায়। এর ফলে ভিজিটররা পরবর্তীতে ওই সাইটে আর আসতে চান না এবং কেনাকাটা করতে চান না। 

 

  • যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর সিকিউরিটি স্ট্রং না হয়, তাহলে হ্যাকাররা সাইটটি হ্যাক করে ফেলতে পারে এবং এখান থেকে বিজনেসের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। 

এগুলো মূলত ই-কমার্স বিজনেস এর অসুবিধা। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স বিজনেস কতটুকু সম্ভাবনাময়? 

যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাব, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু সফল ই-কমার্স বিজনেস গড়ে উঠেছে, যেমন: Daraz, bikroy.com, rokomari.com ইত্যাদি। এগুলোর পাশাপাশি এখন আরো অনেক নতুন নতুন ই-কমার্স ব্যান্ড তৈরি হচ্ছে এবং সফলও হচ্ছে। 

এই সফলতার পেছনে মূল কারণ কি বলতে পারেন? সত্যি বলতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে অনলাইনে কেনাকাটা করেন এমন ইউজারদের সংখ্যাও। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে একই জায়গায় অনেক রকম প্রোডাক্ট পাওয়া যায় বলে, বাড়িতে বসে যে কোন সময় অর্ডার প্লেস করা যায় বলে, অর্ডার করার পর দ্রুত ডেলিভারি পাওয়া যায় বলে, ক্যাশ অন ডেলিভারির পাশাপাশি ব্যাংক ট্রান্সফার ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে বলে এবং একই সাথে এসব সাইটে কাস্টমারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় বলে সবাই এখন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যখন কাস্টমারদের কোন একটি ই-কমার্স সাইট ভালো লাগে, তখন তারা সেই ওয়েবসাইট থেকেই বারবার কেনাকাটা করেন। এসব কারণে নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স অন্যতম সম্ভাবনাময় বিজনেস।তবে হ্যাঁ, যদি বাংলাদেশে ই-কমার্স বিজনেস করে সাকসেসফুল হতে চান, তাহলে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি যেন রেসপনসিভ, ইউজার ফ্রেন্ডলি ও মোবাইল অপটিমাইজড হয় এ বিষয়গুলো অবশ্যই মেইনটেইন করুন। সেইসাথে বিজনেসের মার্কেটিংয়ে অবশ্যই সময় দিন। 

এটুকুই ছিল ই-কমার্স বিজনেস সম্পর্কে আজকের  আলোচনা। আশা করি যারা নতুন তাদেরকে এ বিজনেস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারনা দিতে পেরেছি। এই বিজনেস বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং লাভজনক। তাই চোখ বন্ধ করে এই বিজনেস করতে পারেন। 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment