এসইও সম্পর্কে জেনে নিজের সাইটকে গুগলে র‍্যাংক করাতে চান? তাহলে জেনে নিন 2022 সালের এসইও সম্পর্কিত Superb গাইডলাইনগুলো!

আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেকোনো তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ করে থাকি। আর গুগলের কল্যাণে আমাদের যে কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে মুহূর্তের মধ্যে আমরা খুঁজে পাই। গুগলে আমরা যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দেই তখন  অনেকগুলো ওয়েবসাইটের লিংক দেখতে পাই।  তখন মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে শত শত ওয়েবসাইটের মাঝে  মাত্র  দশটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক কেনো  প্রথমে দেখালো?  কেন বাকি ওয়েবসাইটের লিংক গুলো প্রথম দশটিতে জায়গা নিতে পারলো না। আর এই কাজটি মূলত হয়ে থাকে এসইও এর কারণে। কারণ এটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে প্রদর্শন করার জন্য  কাজ করে থাকে।আজকে আমরা এসইও কি এবং কেন করা হয়, কিভাবে করা হয় আর কেনই বা আপনি SEO শিখবেন, এসব জরুরী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

এসইও কাকে বলে?

এসইওর ফুল ফর্ম হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বর্তমানে অনলাইন দুনিয়ায় এটি আমাদের  অত্যন্ত পরিচিত একটি শব্দ।  যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরণ করা হয়ে থাকে।এটি মূলত হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন মার্কেটিং। 

বর্তমানে ব্লগার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, বিজনেস ওউনার ইত্যাদির সাথে যারা জড়িত, তাদের মধ্যে SEO শেখার বিশেষ প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাই নয়, যারা পেশায় ফ্রিল্যান্সার, তারাও কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হিসেবে এসইওকে বেশ গুরুত্বের সাথেই দেখেন এখন। এসইওকে এই শতকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্কিল হিসেবে বিশেজ্ঞরা আখ্যায়িত করে থাকেন। 

এসইও এর ইতিহাস 

চলুন শুরুতে জেনে নেই এসইওর ইতিহাস সম্পর্কে। টিম বার্নার্স লির হাত ধরে প্রথম ওয়েবপেজ প্রকাশ হয়  1991 সালে। 1997  সালে প্রথম অফিশিয়াল যাত্রা শুরু  করলেও  2001 সালের দিকে যখন ইন্টারনেটর  জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহারও বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণীবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। এরপর ওয়েবমাস্টারগণ তারা মূলত সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা শুরু করেন এবং এভাবেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইওর যাত্রা শুরু হয়।

ইয়াহু ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন । তখন কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান ইঞ্জিন এলগরিদম করা হতো যেটি জেরি ইয়াং এবং ডেভিড ফিলো নাম দেন ইয়াহু।  তার পাশাপাশি তারা ইয়াহু ডিরেক্টরি তৈরি করেন।১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে গুগল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং প্রধান। ১৯৯৮ সালে গোটো ডটকম (Goto.com) স্পনসর লিংক এবং পেইড সার্চ চালু করে যেখানে অরগানিক রেজাল্টে প্রথমে থাকার জন্য পেইড করার প্রয়োজন হতো।তারপর থেকে এ পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলো বিভিন্ন অ্যালগরিদম আপডেটের মাধ্যমে আজকের এ জায়গায় এসেছে। 

কেন ওয়েবসাইটে SEO করা হয়?

আমরা  আমাদের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে RANK করানোর জন্যে মূলত SEO করি। এটি করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের যে রেজাল্টগুলো আমরা দেখতে  পাই সেখানে আমাদের নিজেদের ওয়েবসাইটগুলোকে প্রথমদিকে রাখার চেষ্টা করানো হয়। কারন মানুষ যখন কোন কিছু নিয়ে সার্চ দেয় তখন রেজাল্ট পেজের প্রথমে যে লিংকগুলো থাকে সে লিংকে গুলিতেই ক্লিক করে।

মনে করুন আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে। যেখানে আপনি পাঞ্জাবির বিজনেস করেন। এখন আপনি অবশ্যই চাইবেন ক্রেতা যখন অনলাইন থেকে পাঞ্জাবি কেনার জন্য গুগলে সার্চ করবে তখন আপনার ওয়েবসাইটটি যাতে সবার প্রথমে থাকে। আর এটিই একমাত্র সম্ভব তখনই যখন আপনার ওয়েবসাইটটি যথাযথভাবে SEO করা থাকবে।ক্রেতা যখন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে ,ওয়েবসাইটিকেএসইও করানো থাকলে  মাধ্যমে তখন সার্চ ইঞ্জিনের সামনের সারিতে চলে আসবে। এখন তো আপনি বুঝতে পারছেন, যে কেন এসইও করা হয়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাড়িতে বসে 1 মাসে 1000 ডলারের ওপর আয় করতে চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের Super effective স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইনটি পড়ে ফেলুন ঝটপট!

 

এসইও কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভাষায় SEO বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আমরা সাধারণত জানি SEO দুই প্রকার।

1.অর্গানিক SEO

অর্গানিক ‍এসইও এমন এক ধরণের এসইওয়ের প্রক্রিয়া যেটিতে এসইওয়ের সকল রুলস প্রোপারলি ফলো করে কোনো ওয়েবসাইটকে ব্রাউজারের সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় অবস্থান করানো হয়।আবার এই অর্গানিক এসইওর মধ্যেই রয়েছে আরো দুই ধরণ। 

  • অন পেজ SEO
  • অনপেজ SEO হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজানোর  যাবতীয় কার্যক্রম অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে তৈরি করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই হচ্ছে অনপেজ SEO।
  • অফ পেজ SEO
  • অফ পেজ SEO হচ্ছে আপনার ব্লগটির কন্টেন্টগুলোর লিংক বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটে শেয়ার করা, ব্যাকলিংক তৈরি করা, বিভিন্ন ফোরামে জয়েন, ব্লগের প্রচারণাসহ ইত্যাদি উপায়ে সাইটকে জনপ্রিয় করে তোলা।

2.পেইড SEO

পেইড SEO হচ্ছে গুগল কোম্পানির মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় চলে আসা। আপনারা দেখে থাকবেন, কোন একটি বিষয় সার্চ দেয়ার পর সার্চ রেজাল্টের সবার উপরের কিছু ওয়েবসাইট থাকে যেগুলোতে ছোট করে Ad লিখা থাকে। এগুলো পেইড এসইওর মাধ্যমে সবার উপরে এসেছে। অন্যদিকে এগুলোর নিচে সে সমস্ত ওয়েবসাইট থাকে সেগুলো অর্গানিক এসইওর মাধ্যমে অর্থাৎ কোন টাকা না দিয়ে গুগলের পাতায় অবস্থান নিয়েছে।

আবার অফ পেজ এসইওর ভিতরে দুটি সেক্টর আছে এবং সেগুলো হলো : 

  • হোয়াইট হ্যাট SEO 

হোয়াইট হ্যাট SEO বলতে বোঝায় আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুগল নির্দেশিত গাইডলাইন কাজে লাগিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটিকে র‍্যাংকের করানো। এখানে এসইওর সকল সঠিক নিয়ম অনুসরণ করাই মূলত হোয়াইট হ্যাট SEO।

  • ব্ল্যাক হ্যাট SEO

ব্ল্যাক হ্যাট SEO হচ্ছে আপনি এসইওর সকল নিয়ম ভঙ্গ করে যেভাবে র‍্যাংক বৃদ্ধি করবেন ওটাই মূলত ব্ল্যাক হ্যাট এসইও। তবে বর্তমানে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ঠিকভাবে কার্যকর হয়না। যেকারণে সবাই হোয়াইট হ্যাট এসইও অনুসরণ করে।

 

এসইও কিভাবে শিখবেন ও কিভাবে আয় করতে পারবেন? 

এসইও নিয়ে যারা কাজ করতে চান তাদের উচিত SEO সম্বন্ধে আগে ভালোভাবে জানা এবং কাজ শিখা। ভালোভাবে SEO শেখার জন্য দুই ধরনের উপায় আছে।

একটি হচ্ছে আপনি কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে SEO করার প্রক্রিয়াগুলো শিখে নিতে পারেন। অপরটি হচ্ছে অনলাইন হতে বিভিন্ন ভিডিও বা ওয়েবসাইট হতে টিউটোরিয়াল বা কোর্স করেও শিখতে পারেন। তবে আমি বলবো, অনলাইনে শেখার থেকে কোন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে শেখা তুলনামূলকভাবে ভালো। কারণ অনলাইনে শিখতে গেলে অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হয়। 

অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত থেকে কাজ শিখলে খুব অল্প সময় দ্রুত ভাল কাজ শেখা সম্ভব হয়। সম্প্রতি SEO শেখানোর মতো অনেক প্রতিষ্ঠানই  হাতের কাছে রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ভালো মানের প্রতিষ্ঠান পাওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার। এজন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন ইউটিউব চ্যানেল অনলাইনে শেখার কোন মাধ্যম অনুসরণ করার পূর্বে আগে তা ভালভাবে যাচাই বাছাই করে নিন।

বর্তমানে অনেকেই আছেন যারা  কাজ শিখে বিভিন্নভাবে এসইওর সার্ভিস দিয়ে বিপুল পরিমাণে ইনকাম করতে পেরেছেন। এটির প্রতিচ্ছবি আমরা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো দেখলেই বুঝতে পারব। যারা SEO এক্সপার্ট তারা সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে ইনকাম করে থাকেন :

১।  ব্লগ বা ওয়েবসাইট 

যাদের এসইও জানা আছে তারা বিভিন্ন ব্লগ তৈরি করে সেখানে ইনকাম করতে পারেন। এটির জন্য প্রথমে ব্লগে বিভিন্ন কনটেন্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স বা এডসেন্সের মতো বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক থেকে টাকা ইনকামের সুবিধা পাবেন।

২। ফ্রিল্যান্সিং করে 

বর্তমানে ই-কমার্সের যুগে ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, অফিস, অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি বেশিরভাগেরই বর্তমানে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন আর্টিকেল বা কনটেন্ট  পাবলিশ করবেন  তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন SEO সম্পর্কে জানেন না। আবার অনেকেই আছেন সঠিকভাবে জানলেও সময়ের অভাবে ঠিকমত SEO Friendly কনটেন্ট পাবলিশ করে র‌্যাঙ্কিং পারেন না। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের এক ভালো সুযোগ হয়  এসইওর এক্সপার্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে  ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্কিং করানোর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জনের।

৩। কোর্স সেল এবং ট্রেনিং 

বর্তমানে যারা নতুন SEO শিখতে চান তারা অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন শেখার জন্য। আবার অনেকেই অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে এসইএর সম্পর্কে ধারণা পেতে চান। তাই আপনার যদি এসইওর সম্পর্কে এনাফ নলেজ ও এক্সপার্টাইজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন  স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে এসইওর ওপর ক্লাস নিয়ে অথবা অনলাইনে কোর্স তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে এসইও করবেন?

সাধারণত ওয়েবসাইটে SEO দুই ভাবে করা সম্ভব। যেগুলো হলো  অনপেজ SEO এবং অফ পেজ SEO.

অনপেজ SEO মূলত সাইটের কন্টেন্টের মধ্যে করা হয়। যেমন কোন একটি টপিকে একটি আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেলটিকে এসইওর বিভিন্ন বিষয় প্রয়োগ করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজড করা হয়। যেমন : ইউআরএল টাইটেল,  সাব হেডিং, বডি কন্টেন্টে কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি মেইনটেইন , ইন্টার্নাল লিংকিং, অল্টার ট্যাগ, এসইও অপটিমাইজড মেটা ডেস্ক্রিপশন ইত্যাদি। 

এই অনপেইজ অপটিমাইজেশন গুলো আপনি যত দক্ষতার সাথে করতে পারবেন, আপনার ওয়েবসাইটের জন্য তত ভালো র‍্যাংকিং নিশ্চিত করতে পারবেন। বর্তমানে ব্লগ বা অ্যাফিলিয়েট সাইটের পাশাপাশি বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটে  বিভিন্ন প্রোডাক্টের পেজে অন পেইজ অপটিমাইজেশন করতে হয় যাতে ওই প্রোডাক্টটি সার্চ ইঞ্জিন এবং করতে পারে।

অন্যদিকে অফ পেজ SEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যেসব প্রয়োগ করা হয় সেগুলো সাইটের বাইরে থেকে করা হয়ে থাকে। এখানে সাধারণত যে বিষয়গুলো করা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার ,লিংক বিল্ডিং ,সাইটেশন বিল্ডিং, ফাউন্ডেশন লিনকিং যেমনঃ প্রোফাইল তৈরি, ডিরেক্টরি সাবমিশন, ফোরাম,লিঙ্ক বিল্ডিং  ইত্যাদি। 

এক্ষেত্রে ব্যাংলিংকের ব্যাপারে একটু বলি৷ কোন ব্যক্তি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হয়ে এসে আপনার কোন পেজ পড়ে আর সেটিকে অন্য জায়গায় মেনশন করে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার একটি ব্যাকলিংক তৈরী হয়ে গিয়েছে। এভাবে বিভিন্নভাবে অফ পেজ SEO করা হয়ে থাকে।

এসইও কি

এসইও করার কিছু টুলসের তালিকা

অনলাইনে SEO করার জন্য দুই ধরনের টুলস পাবেন ,একটি পেইড টুলস এবং অন্যটি হচ্ছে ফ্রী টুলস।

 পেইড টুলসগুলোর মধ্যে যেগুলো অন্যতম সেগুলো হচ্ছেঃ

  • Seo spider
  • Ahrefs
  • SEmrush
  • Moz pro
  • KWFinder
  • Searchmetrics
  • Yoast SEO

এই টুলস গুলো ব্যবহার করতে হলে মাসিক অথবা বাৎসরিক কিছু পরিমাণ টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হবে।আবার যাদের সামর্থ কম এবং যারা এ সেক্টরে নতুন, তারা চাইলে কিছু ফ্রী টুলস এর ব্যবহার করার মাধ্যমে SEO করতে পারেন। এরকম কিছু টুলস এর নাম হলো

  • Google analytics
  • Google Trends
  • search console 
  • keyword hero
  • screaming frog
  • SEOlyzer
  • Answer the public 
  • keyword planner 
  • Ubersuggest 

এগুলো ছাড়াও আরো কিছু ফ্রি  টুলস আছে  যেগুলি গুগলে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।

এসইওয়ের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস 

SEO সম্পর্কে জানা এবং শেখার পরেও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস বা টেকনিক থেকেই যায়, যেগুলো বরাবরই আপনাদেরকে আরো একধাপ এগিয়ে রাখবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই টিপস গুলো :

১. যেকোনো আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে টপিক নির্ধারণ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার টপিকটি যেন  অবশ্যই SEO ফ্রেন্ডলি হয়।

.আপনি যদি আপনার আর্টিকেল কে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে কারণ আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ ভালো করে করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার পোস্ট ইনডেক্স হওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যেই গুগলের ফার্স্ট পেইজে চলে আসতে পারবে।

৩. আপনি যদি আপনার  কম্পিটিটর থেকে বেশি শব্দের কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন, তাহলে আপনার পোস্টটি সার্চ রেজাল্টের শুরুর দিকে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

. একটি আর্টিকেল সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য “ট্যাগ” হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।ট্যাগ এর মধ্যে অবশ্যই কিওয়ার্ডগুলো প্লেসমেন্ট করে দিবেন। এতে করে আপনার পোস্টটি  সার্চ পজিশনে ভালো অবস্থানে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পরিশেষে বলতে যাই, আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে দেখতে চান, তবে টার্গেটেড কিওয়ার্ডের জন্যে আপনার ওয়েবসাইটের পেজকে অবশ্যই SEO অপটিমাইজড করতে হবে। আর আপনি যদি ভালভাবে এটি শিখতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইন মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে অনেকদূর যেতে পারবেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

 

Leave a Comment