ছোটকালে মায়ের বকুনি খাওয়ার পরও টিভিতে মিকি মাউস কিংবা ডোনাল্ড ডাক দেখতেন কে কে? কিংবা স্বপ্নের মত সুন্দর ডিজনিল্যান্ড একবার হলেও যাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে কার কার? আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন একজন ব্যক্তির জীবনী সম্পর্কে কথা বলবো, যার নাম মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক কিংবা ডিজনিল্যান্ড নিয়ে কথা বললে সবার আগে চলে আসে। আপনি যদি ভেবে থাকেন এই বরেণ্য মানুষটি হলেন ওয়াল্ট ডিজনি, তাহলে আপনার ভাবনাটি একদম সঠিক!
ওয়াল্ট ডিজনি হলেন একাধারে একজন বিখ্যাত ভয়েস আর্টিস্ট, ছোটদের সবার প্রিয় মিকি মাউসের স্রষ্টা এবং সেই সাথে সবার প্রিয় ডিজনিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা। অ্যানিমেশনের জগতে তার অসামান্য কৃতিত্ব তাকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি । আর এ কারণেই তাকে যুগের পর যুগে মনে রেখেছে কোটি কোটি মানুষ । তবে বাকি আট দশ জন মানুষের মতো তার জীবনের পথ চলা খুব সহজ ছিল না। কেমন ছিলো ওয়াল্ট ডিজনির জীবন? চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেই ওয়াল্ট ডিজনির জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত ।
ওয়াল্ট ডিজনির পরিচয়
ওয়াল্ট ডিজনি ছিলেন একাধারে একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দ্য ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বিংশ শতাব্দীতে মিডিয়া এবং বিনোদন শিল্পে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নিমার্তা ছিলেন।
তিনি তার টিম মেম্বারদের সাথে নিয়ে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র তৈরি করেন, যেমন: মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, যেগুলো শিশুদের কাছে এখনো সমানভাবে জনপ্রিয়। কার্টুনের পাশাপাশি ওয়াল্ট ডিজনির প্রতিষ্ঠা করা ডিজনি থিম পার্ক ছিলো এক অন্যান্য অনবদ্য সৃষ্টি যেখানে তিনি কল্পনাকে রূপ দিয়েছিলেন বাস্তবতায়।
ক্রিয়েটিভ ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়াল্ট ডিজনির অবদান তাকে এনে দিয়েছিলো একাডেমি পুরস্কারের ৫৯ টি মনোনয়ন, যার মধ্যে তিনি ২২ টি পুরস্কার জিতেছিলেন।
ওয়াল্টার ডিজনির জীবনের শুরুর দিক কেমন ছিলো?
ওয়াল্ট ডিজনির পুরো নাম ওয়াল্টার ইলিয়াস ডিজনি। তিনি শিকাগো শহরে ১৯০১ সালের ৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা ছিলেন ইলিয়াস এবং ফ্লোরা কল। ওয়াল্ট ডিজনি ছিলেন তার ৫ ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ। ওয়াল্টারের জন্মের সময় তার পিতা বিল্ডিং ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন।
ওয়াল্ট ডিজনির জন্মের পর তার বাবা মার্সেলিন, মিসৌরিতে একটি খামার কেনেন এবং পরবর্তীতে সেখানেই তিনি তার পরিবারসহ বসবাস শুরু করেন । ছোট থাকতেই ওয়াল্টার, তাদের খামারে যেতে ভালোবাসতেন কারণ তিনি পশু পাখি বেশ পছন্দ করতেন। তবে দু:খজনক ব্যাপার হলো ওয়াল্ট ডিজনির বাবার খামারটি বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি । খামার ব্যর্থ হওয়ার পরে, মিসৌরির কানসাস সিটিতে তারা সপরিবারে চলে যান। সেখানে গিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি তার বাবাকে সংবাদপত্র সরবরাহ করতে সাহায্য করা শুরু করেন।
এর পাশাপাশি তিনি কানসাস সিটি এবং শিকাগো, ইলিনয়ের ট্রাভেলিং ট্রেনে ক্যান্ডি এবং সংবাদপত্র বিক্রির কাজও করছিলেন। প্রতিদিন নানা কাজের মাঝেই তিনি ছবি আঁকা এবং শিল্পকলা বিষয়ক নানা জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করতেন।তারপর ওয়াল্ট ডিজনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য সতেরো বছর বয়সে হাই স্কুল ছেড়ে দেন। বিভিন্ন সোর্স থেকে জানা যায়, তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবেও কাজ করেছিলেন যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে।
Read More
স্টিভ জবস- এক লড়াকু Successful ব্যক্তির গল্প
ওয়াল্ট ডিজনির ক্যারিয়ার জীবন
ওয়াল্ট ডিজনির জীবনের শুরু কেমন ছিল তা আমরা ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছি । এবার অবশ্যই তার ক্যারিয়ার জীবন কেমন ছিল সেটি সম্পর্কে আপনাদের জানার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ওয়াল্ট ডিজনির ক্যারিয়ার জীবন ছিলো সাধারণ মানুষের থেকে অনেক ভিন্ন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পরই ডিজনি শিল্পী হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। তিনি একটি আর্ট স্টুডিও এবং পরবর্তীতে একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করেছিলেন। এই সময়েই তিনি শিল্পী Ubbe Iwerks এর সাথে দেখা করেন এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। পরবর্তীতে ডিজনি ১৯২২ সালের দিকে তিনি Ub Iwerks এর সাথে পার্টনারশিপে তার নিজস্ব একটি দোকান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে তিনি তার আঁকাআঁকির ক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগাবার সুযোগ পেয়েছিলেন।
আর এখান থেকেই শুরু হয় চূড়ান্ত সাফল্যের পথে ওয়াল্ট ডিজনির যাত্রা। এরপর ওয়াল্ট নিজের অ্যানিমেশন কার্টুন তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এর সূত্র ধরে তিনি লাফ-ও-গ্রাম নামে নিজের কোম্পানি শুরু করেন। তিনি এই কাজে সফল হতে Ubbe Iwerks সহ তার কিছু বন্ধুকে নিয়োগ করেছিলেন এবং তারা দুজনে মিলে কিছু ছোট অ্যানিমেটেড কার্টুন তৈরি করেছিলেন।
যদিও সে কার্টুনগুলো জনপ্রিয় ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তাদের এই ব্যবসাটি যথেষ্ট লাভের মুখ দেখতে পারেনি। এর ফলে ওয়াল্ট ডিজনির নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হয়েছিল। তবে এই গুরুতর ব্যর্থতা ডিজনিকে কোনো ভাবেই থামাতে পারেনি। ১৯২৩ সালের দিকে তিনি হলিউড, ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন এবং ডিজনি ব্রাদার্স স্টুডিও শুরু করেন। সেখানে তিনি আবার Ubbe Iwerks এবং আরো কয়েকজন অ্যানিমেটর নিয়োগ করেন। তারপর তারা জনপ্রিয় চরিত্র অসওয়াল্ড দ্য লাকি র্যাবিট তৈরি করেন। এটি একটি ব্যবসা সফল অ্যানিমেশন ছিল।
ওয়াল্ট ডিজনির সফলতার দুয়ার যখন খুলতে শুরু করে, তখনই ইউনিভার্সাল স্টুডিও নামের একটি প্রতিষ্ঠান অসওয়াল্ডের ট্রেডমার্ক কিনে ফেলে এবং এর ফলে ডিজনির সমস্ত অ্যানিমেটরদের নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে আবারো ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয় ওয়াল্ট ডিজিনিকে।তারপর নতুন কিছু করার লক্ষ্যে ওয়াল্ট ডিজনি মিকি মাউস নামে একটি নতুন কার্টুন চরিত্র তৈরি করেন। বলে রাখা ভালো, তিনি সেসময় শব্দযুক্ত প্রথম অ্যানিমেটেড ফিল্ম তৈরি করেছিলেন যেটিকে বলা হত স্টিমবোট উইলি। এতে অভিনয় করেছেন মিকি এবং মিনি মাউস। ওয়াল্ট ডিজনি নিজেই স্টিমবোট উইলির জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন। ছবিটি সে সময় দারুণ সফল হয়েছিল।
এদিকে ডোনাল্ড ডাক, গুফি এবং প্লুটোর মতো নতুন চরিত্র তৈরি করার কাজ ডিজনি কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপর কার্টুন সিলি সিম্ফোনিজ এবং প্রথম রঙিন অ্যানিমেটেড ফিল্ম, ফ্লাওয়ারস অ্যান্ড ট্রিস প্রকাশের মাধ্যমে তিনি আরও সাফল্য অর্জন করেছিলেন।১৯৩২ সালে, ডিজনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি স্নো হোয়াইট নামে একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র তৈরি করবেন। তবে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বানানোর জন্য মানুষ তাকে পাগল ভাবতে শুরু করে। কারণ সে সময় সবাই ভেবেছিলো কেউ এরকম চলচিত্র দেখতে আগ্রহী হবে না । এমনকি তারা ছবিটিকে “ডিজনির মূর্খতা” বলে অভিহিত করেছিল।
তবে, ওয়াল্ট ডিজনি নিশ্চিত ছিলেন তার ছবিটি ব্যবসা সফল হবে। ছবিটি সম্পূর্ণ করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল যা শেষ পর্যন্ত ১৯৩৭ সালে মুক্তি পায়। মুক্তি পাবার পর ছবিটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য লাভ করে । ১৯৩৮ সালের শীর্ষ চলচ্চিত্রের খাতায় নাম লেখায় ছবিটি।
ডিজনি স্নো হোয়াইটের পরেও নানা জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড চলচিত্র নির্মাণ করেন যা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পিনোকিও, ফ্যান্টাসিয়া, ডাম্বো, বাম্বি, অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড এবং পিটার প্যান। তারপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওয়াল্ট ডিজনির চলচ্চিত্র নির্মাণ স্থবির হয়ে যায় কারণ তিনি সেসময় মার্কিন সরকারের জন্য প্রশিক্ষণ এবং প্রচারমূলক চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছিলেন। যুদ্ধের পর ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেটেড ফিল্ম ছাড়াও লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম তৈরি করতে শুরু করে। তার প্রথম বড় লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম ছিল ট্রেজার আইল্যান্ড।১৯৫০ এর দশকে, টেলিভিশনে নতুন প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ডিজনি সেই সময় টেলিভিশনেরও অংশ হতে চেয়েছিলেন। শুরুর দিকে ডিজনি টেলিভিশন শোতে ডিজনির ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড অফ কালার, ডেভি ক্রোকেট সিরিজ এবং মিকি মাউস ক্লাব অ্যানিনিমেশন গুলো প্রদর্শিত হতো।
এরপর ডিজনি এমন এক কল্পনাকে বাস্তবতায় রুপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, যা আগে কেউ ভেবে দেখে নি । তার ধারণা ছিল তার চলচ্চিত্রের ওপর ভিত্তি করে রাইড এবং বিনোদন সহ একটি থিম পার্ক তৈরি করার, যার নাম হবে ডিজনিল্যান্ড। ১৯৫৫ সালে এই থিম পার্কটি সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। এটি তৈরি করতে ১৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। পার্কটি এনে দিয়েছিলো তার ক্যারিয়ারে এক বিশাল সাফল্য এবং এটি এখনও বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন স্থান হিসেবে পরিচিত। ওয়াল্ট ডিজনি পরবর্তীতে ফ্লোরিডায় ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড নামে একটি আরও বড় পার্ক তৈরি করার চিন্তা করেন। তিনি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছিলেন, কিন্তু সালে পার্কটি উদবোধনের আগেই তিনি মারা যান।
ওয়াল্ট ডিজনির জীবন থেকে নেওয়া শিক্ষা
আমরা ওয়াল্টার ডিজনির জীবনের নানা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি । এখন চলুন জেনে নেই তার জীবনী থেকে যেসব শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে তা সম্পর্কেঃ
১। আমরা ডিজনির কাছ থেকে প্রথম যে জিনিসটি শিখতে পারি তা হল কোনো কিছু বা কাজের প্রতি আগ্রহ থাকা। তিনি এত বেশি আঁকতে পছন্দ করেন যে তিনি তার অবসর সময়ে সবসময় আঁকতেন। তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় তার শিল্পের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তার ইচ্ছাশক্তির কারণেই তিনি তার সৃষ্টি গুলোকে সৃজনশীলতায় রুপ দিতে পেরেছিলেন।
২। দ্বিতীয়ত আমরা দেখতে পাই ওয়াল্ট ডিজনি যেকোনো কাজ করার সময়ে বাকিদের সমালোচনায় হতাশ না হয়ে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী থাকতেন। এই আত্মবিশ্বাসী মনোভাব তাকে অনেক গুলো ব্যবসা সফল অ্যানিমেশন তৈরিতে সাহায্যে করেছিলো।
ওয়াল্ট ডিজনি যখন স্নো হোয়াইট মুভির জন্য প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তার স্ত্রী এবং নিজের ভাই তাকে কাজটি না করতে দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। স্নো হোয়াইট প্রকল্পটিকে এমনকি “ডিজনি’স ফোলি” হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এক সময় তার কাছে অর্থও শেষ হয়ে গিয়েছিল কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ লোকই হার মেনে দূরে সরে আসবে।
তবে ডিজনি তার কাজের জন্য এতটাই অধ্যবসায় করেছিলেন যে তিনি তার প্রকল্পের জন্য অর্থায়নের আশায় প্রযোজকদের কাছে ঘুরে ঘুরে তার ফ্লিমের কিছু ক্লিপ দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেন। শেষ পর্যন্ত তার এই প্রচেষ্টাই তার স্টুডিওকে রক্ষা করেছিলো।
৩। ওয়াল্ট ডিজনি যখনই অ্যানিমেটেড ফ্লিম তৈরি করেন তখন তিনি এটি কেবল নিজের জন্য করেননি। বরং তিনি তার সৃষ্টিগুলোকে লুকিয়ে না রেখে মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তার দেখানো পথকে অনুসরণ করেই বর্তমানে অনেক ডিজিটাল অ্যানিমেটেড ফ্লিম এবং সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে।
৪। তিনি শুধু একটি কার্টুন বানিয়েই থেমে থাকেননি, তিনি তার সৃষ্টিকে এমনভাবে ডিজাইন করতে থাকেন, যাতে প্রতিবার নতুন কিছু সবাইকে উপহার দিতে পারেন। তিনি ডোনাল্ড ডাক, প্লুটো এবং আরও অনেক আইকনিক কার্টুন চরিত্র তৈরি করেছেন । তিনি সব সময় তার স্বপ্ন নিয়ে বড় হতে চেয়েছিলেন।
শেষ কথা
ওয়াল্ট ডিজনি ১৯৬৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। তবে তার সৃষ্টিগুলোর মাধ্যমে তিনি আজও আমাদের সবার মনে বেঁচে আছে। তার ডিজনি ওয়ার্ল্ড থিম পার্কে এখনও প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘুরতে যায়। এছাড়া তার ফিল্ম কোম্পানি প্রতি বছর অসাধারণ অ্যানিমেটেড সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছে আমাদের।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে