বাড়িতে বসে চুল পড়া বন্ধ করতে চান? তাহলে জেনে নিন 10 টি Most Effective চুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে!

চুল পড়া কমানোর উপায় কী কী? এটি আমাদের খুব কমন একটি প্রশ্ন। সত্যি বলতে জীবনে একবারও চুল পড়া নামক বিরক্তিকর সমস্যার শিকার হননি এমন মানুষ কিন্তু একজনও নেই। পুরুষ কিংবা নারী -প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার চুল অত্যন্ত মূল্যবান। প্রত্যেকে চান তাদের মাথায় ঘন কালো রেশমী চুল থাকুক। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের চুল পড়া নামক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।  

যখন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি চুল পড়ে, তখন আমরা ভড়কে গিয়ে চুল পড়া কমানোর উপায় গুলো না জেনেই আমাদের এ সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করি। যার ফলস্বরূপ চুল পড়ার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এটি যেন না হয় সে কারণে আজকের লেখায় আমি শেয়ার করবচুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে যেগুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনারা বাড়িতে বসে খুব সহজে নিজেদের চুল পড়া সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

কখন বুঝতে হবে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি চুল পড়ছে?

চুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে জানার আগে চলুন আমরা জেনে আসি কখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন মানুষের মাথার চুল কেরাটিন(প্রায় ৯৭ ভাগ) নামক প্রোটিন এবং পানি (প্রায় ৩ ভাগ) এ দুটির সমন্বয়ে গঠিত এবং প্রতিটি মানুষের মাথায় স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রায় দশ হাজার চুলের উপস্থিতি বিদ্যমান। এখন যদি আমি প্রতিটি চুলের জীবনকাল নিয়ে বলতে যাই, তাহলে বলা যায় মানুষের মাথার প্রত্যেকটি চুলের জীবনকাল দুই থেকে আট বছর। 

এবার আসা যাক স্বাভাবিক চুল পড়ার মাত্রা নিয়ে। আপনারা জানলে হয়তো অবাক হবেন যে কারো মাথা থেকে প্রতিদিন চুল পড়ার একটি স্বাভাবিক মাত্রা রয়েছে। সেটি হলো যদি প্রতিদিন আপনার গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টি চুল পড়ে, তাহলে সেই চুল পড়ার হারকে স্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।  তবে আপনার চুল যদি অনেক লম্বা এবং ঘন প্রকৃতির হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার আরো কিছু চুল বেশি পড়তে পারে।

আমি স্বাভাবিক চুল পড়ার মাত্রা সম্পর্কে আগেই কেন বললাম জানেন? কারণ আমরা অনেকেই স্বাভাবিক চুল পড়া এবং স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত চুল পড়া – এ দুটির মধ্যকার পার্থক্য বের করতে পারিনা। যদি দেখেন প্রতিদিন আপনার মাথা থেকে ১৫০ টিরও বেশি চুল ঝরে পড়ছে, তাহলে বুঝে নিতে হবে এই চুলপড়ার মাত্রা স্বাভাবিক নয়। অর্থাৎ আপনার মাথা থেকে অতিরিক্ত চুল পড়ছে। আশাকরি এখন আপনারা বুঝতে পারবেন কখন আপনাদের চুল পড়ার হার স্বাভাবিক অথবা অস্বাভাবিক।

2022 সালের Best কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এখুনই এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন !

অতিরিক্ত চুল পড়ার পেছনের কারণগুলো কী? 

অতিরিক্ত চুলপড়া কারোরই কাম্য নয়। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে পড়তে পড়তে চুল এতো বেশি পাতলা হয়ে যায় যে মাথার তালু পর্যন্ত দেখা যেতে থাকে। এছাড়াও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় চুল পড়ার কারণে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্যও কমে যেতে শুরু করে। তখন চুলে খুশকি, আগা ফেটে যাওয়া, চুল রাফ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলোও দেখা দিতে থাকে। যার ফলে চুল দেখতে লাগে মলিন এবং প্রাণহীন। 

এ সমস্যাগুলো সমাধান করার একটিই উপায় রয়েছে। সেটি হল চুল পড়া কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জানা। তবে চুল পড়া কমানোর উপায় গুলো জেনে কোন লাভই হবে না যদি আপনি না জানেন ঠিক কোন কোন কারণে আপনার চুল পড়ছে।  তাই এবার আমরা জানবো চুল পড়ার কারণ গুলো সম্পর্কে। 

  • চুল পড়ার কারণ হিসেবে প্রথমেই বলা যেতে পারে অপুষ্টি।  যদি আপনি পুষ্টিকর খাবার  যেমন প্রোটিন, ভিটামিন কিংবা ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে না থাকেন এবং অধিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, জাংকফুড বা রিচ ফুড গ্রহণ করে থাকেন,  তাহলে চুলের যে স্বাভাবিক পুষ্টির প্রয়োজন সেটি পাওয়া যায়না। যার ফলস্বরূপ অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করে। 

 

  • চুল পড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সূর্যের অতিরিক্ত তাপ। অনেকে মনে করে থাকেন তাপের ফলে বুঝি শুধুমাত্র আমাদের ত্বকেরই ক্ষতি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সত্য হলো রোদের তাপের ফলে ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি আমাদের চুলও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।  বিশেষ করে যারা অনেকক্ষণ বাইরে থাকেন এবং বাইরে থাকা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখেন, তাদের চুল ও মাথার ত্বক রোদের তাপে ঘামতে থাকে। এতে করে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। 
  • রোদের তাপের পাশাপাশি যারা চুলে অতিরিক্ত হেয়ার স্ট্রেটনার, কার্লিং আয়রণ অথবা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন, তাদেরও স্বাভাবিকের চাইতে অধিক চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • আমাদের নারীদের কিন্তু ভেজা চুল আঁচড়ানোর একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে। এই অভ্যাসটি চুলপড়া বাড়ানোর পেছনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কারণ যখন আপনার চুল ভেজা থাকে, তখন চুলের গোড়া নরম হওয়ার কারণে এটি অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। এ সময় যদি আপনি চুল আঁচড়ান তখন চিরুনির সাথে চুল উঠে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
  •  চুল পড়ার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে আমি উল্লেখ করব বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যাকে।  যখন পিসিওএস, থাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনজনিত সমস্যা হয়ে থাকে, তখন সেটির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নারীরা চুল পড়ার সমস্যা ফেইস করে থাকেন। হরমোনাল সমস্যা ছাড়াও অনেক সময় বিভিন্ন রোগের মেডিসিন খাওয়ার সময় কিংবা  গর্ভধারণের সময়ও চুল পড়ে থাকে।
  • অনেকে রয়েছেন যারা তাদের চুলের ধরন বুঝে চুলের সঠিক শ্যাম্পু, তেল বা কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। যার ফলে প্রোডাক্টগুলো চুলে স্যুট না করায় চুল পড়তে থাকে। সবসময় মনে রাখবেন,একেকজনের চুলের ধরন একেক রকম হওয়ায়  নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার অথবা তেল বেছে নিতে হয়। এটি না করলেই চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।

মূলত এসব কারণেই আমরা চুল পড়ার সমস্যাটি ফেস করে থাকি। 

চুল পড়া কমানোর উপায়

জেনে নিন ১০ টি চুল পড়া কমানোর উপায় 

এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো ১০ টি বাড়িতে বসে চুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে। তবেচুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে বলার আগে আমি একটি বিষয় বলতে চাই সেটি হলো কখনোই আপনি এক রাতে আপনার চুল পড়া বন্ধ করে ফেলতে পারবেন না বরং চুল পড়া কমাতে প্রয়োজন চুলের সঠিক যত্ন এবং ধৈর্য্য ধরে কিছু সঠিক উপায় অনুসরণ করা। এবার চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি চুল পড়া কমানোর ঘরোয়া  উপায় গুলো।

০১।  চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে আমি প্রথমেই বলবো চুলে নিয়মিত ভাবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে। প্রাচীনকাল থেকেই চুল পড়া কমানোর জন্য নারকেল তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। যদি নিয়মিত চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং এতে করে চুল পড়া অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়।  

এক্ষেত্রে নারকেল তেল ব্যবহার করার সময় আমি বলবো তেলটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনে অথবা চুলায় একটু গরম করে নিতে। যখন এই গরম তেল চুলে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করবেন, তখন চুলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে এবং এতে করে চুলের গোড়া মজবুত হবে।  

পরামর্শ থাকবে সবচাইতে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে। পাশাপাশি আমি বলবো নারিকেল তেল কখনোই চুলে খুব বেশিক্ষণ রাখা যাবেনা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি তেল ব্যবহার করার দুই বা তিন ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। 

০২। এবার আমি জানাবো এমন একটি চুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে, যেটি আগেরটির চাইতে একটু এডভান্সড। যদি নারকেল তেলের সাথে কিছুটা ক্যাস্টর অয়েল এবং আমন্ড অয়েল মিশিয়ে সেই তেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে এই তেলের মিশ্রণটি চুল কমাতে অনেক সাহায্য করে। 

তবে এক্ষেত্রে একটি সাবধানতা মেনে চলতে হবে সেটি হলো যদি নারিকেল তেলের সাথে ক্যাস্টর অয়েল এবং আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেন, তাহলে সেই নারিকেল তেল গরম করা যাবে না। কারণ তেল যদি গরম করা হয় তাহলে ক্যাস্টর অয়েল এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে। 

০৩।  সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ব্যবহার চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে সবখানে সমাদৃত।  চুল পড়া কমাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন। একটি হলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন অথবা ক্যাপসুল ভেঙ্গে তেলের সাথে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

 

০৪।  চুল পড়া কমাতে হলে আপনাদেরকে জানতে হবে সঠিক ভাবে চুল আঁচড়ানোর উপায় সম্পর্কে।  কখনোই মাথার ভেজা চুল আঁচড়াবেন না এবং চুল আঁচড়ানোর সময় কিংবা জট ছাড়াতে চেষ্টা করবেন মোটা ধরনের চিরুনি গুলো ব্যাবহার করতে। কারণ মোটা দাঁতের চিরুনিগুলো দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময়  চিরুনিতে চুল কম আটকায়। এর পাশাপাশি মোটা দাঁতের চিরুনি গুলো চুলের গোড়াতে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে। যা চুল পড়া কমাতে কার্যকরী।

০৫।  চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজানোর জন্য অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকরী হিসেবে স্বীকৃত।  তাই চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে এবার আমি বলবো চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের জেল বেছে নিতে হবে।  এই জেল লাগানোর এক থেকে দুই ঘণ্টা পরেই চুল ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।  এভাবে অন্তত এক মাস ব্যবহার করার পর আপনি দেখতে পাবেন আপনার চুল পড়া অনেক কমে এসেছে। 

০৬। আপনারা মেথির নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন?মেথি কিন্তু রান্না ঘরের মশলায় পাশাপাশি চুল পড়া কমাতেও দারুন ভূমিকা পালন করে।  চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে মেথি ব্যবহার করতে চাইলে এক কাপ মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এবং পরের দিন সকালে এই বীজ বেটে আপনার মাথার স্ক্যাল্পে এপ্লাই করবেন। যদি আপনি এই মেথি বীজ বাটা প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার করে ব্যবহার করেন, তাহলে এক মাসের মধ্যেই  চুল পড়ার সমস্যায় দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

 

০৭। এবার আমি আপনাদের জানাবো চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে সবচাইতে কার্যকর উপায়গুলোর একটি সম্পর্কে।  সেটি হলো পেঁয়াজের রস। পেঁয়াজের রস যেমন একদিকে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, তেমনি অন্যদিকে এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।  তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন  চুলের শ্যাম্পু ব্যবহার করার আগে পেঁয়াজের রস চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ পেঁয়াজের রস চুলে বেশি সময় ধরে রাখা যাবে না।  তাই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করার আধা ঘন্টা পরে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

০৮। চুল পড়া কমাতে চাইলে চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু কন্ডিশনার কিংবা অন্যান্য কসমেটিকস বেছে নিতে হবে।  কখনোই কোন রেপ্লিকা বা ভুয়া ব্র্যান্ডের কসমেটিকস চুলে ব্যবহার করা যাবে না। যদি কোন শ্যাম্পু কন্ডিশনার বা হেয়ার প্যাক ব্যবহার করার পর চুল পড়া বেড়ে যেতে দেখেন, তাহলে অতিসত্বর সে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা বাদ দিতে হবে।

০৯। চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্যের গুরুত্ব কিন্তু কখনো অস্বীকার করা যায় না। তাই যদি সত্যিই চুল পড়া কমাতে চান, তাহলে যত বেশি সম্ভব চুল পড়া কমানোর খাবার গ্রহণ করুন। কার্বোহাইড্রেটের বদলে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। এতে চুল পড়ার সমস্যা কমার পাশাপাশি নতুন চুলও গজাবে। 

১০।  চুল পড়া কমানোর উপায় হিসেবে আমি বলবো চুলের হেয়ার স্ট্রেটনার, হেয়ার ড্রায়ার বা কার্লার যতোটুকু সম্ভব কম ব্যবহার করুন।  মনে রাখবেন চুলের যত কম তার দেয়া হবে সেটি চুল পড়া কমাতে ততবেশি সাহায্য করবে। 

এটুকুই ছিলো চুল পড়া কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকের আলোচনা। তবে যদি এই উপায়গুলো অনুসরণ করার পরেও দেখেন চুল পড়া কমছে না, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। এছাড়া সব সময় চুলের যত্ন নিন এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করুন। তাহলেই দেখবেন চুল থাকবে সুন্দর, ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment