টিকটক ড্রপশিপিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন : Most Helpful Guideline 2023

আপনি যদি টিকটক ড্রপশিপিং করে নিজের বাড়িতে বসেই প্রতিমাসে ভাল অ্যামাউন্টের টাকা আয় করতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

বর্তমান সময়ে ড্রপশিপিং বিজনেস কতটুকু লাভজনক তা কিন্তু কম-বেশি সবাই নিশ্চয়ই জানেন। অন্যান্য অনলাইন বিজনেস মডেলের চাইতে তুলনামূলক অনেক কম রিস্ক ও ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে এই বিজনেস শুরু করা যায় বলে এবং একইসাথে এই বিজনেসের প্রফিট মার্জিন বেশি থাকায় বহু মানুষ এই ব্যবসা করছেন এবং সফলও হচ্ছেন। টিকটক ড্রপশিপিং হলো ড্রপশিপিংয়েরই একটি ক্যাটাগরি। এই কনসেপ্টটি এখনও বেশ নতুন হওয়ায় অনেকেই জানেননা টিকটক ড্রপশিপিং কতটুকু সম্ভাবনাময় ও লাভজনক। তাই আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো টিকটিক ড্রপশিপিং সম্পর্কে বিস্তারিত। 

টিকটক ড্রপশিপিং কাকে বলে? 

ড্রপশিপিং হলো এমন একটি বিজনেস মডেল যেখানে সাধারন বিজনেসের মতো প্রোডাক্ট স্টক করে রাখার কাজটি করতে হয়না। বরং এই বিজনেসে মাল্টিপল সাপ্লায়ারের কাছ থেকে প্রোডাক্ট সোর্সিং করার সুযোগ থাকে। তারপর যখন কাস্টমার অর্ডার করে, তখন ডিরেক্টলি সে সাপ্লায়ারের মাধ্যমেই কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট যথাসময়ে ডেলিভার করে দেয়া হয়। 

ড্রপশিপিং কি তা তো ছোট্ট করে জানিয়ে দিলাম। এবার আসি টিকটক নিয়ে। টিকটক সম্পর্কে বেসিক ইনফরমেশন তো ছোট থেকে বড় সবাই জানেন। এটি মূলত একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেখানে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ক্রিয়েট করে সেটি শেয়ার করতে পারবেন। টিকটকে বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড ইফেক্ট, ফিল্টার ও এডিটিং অপশন থাকায় যারা ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে পছন্দ করেন, তাদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিমাসে টিকটকের একটিভ ইউজারের সংখ্যা ১ বিলিয়নেরও বেশি। 

সত্যি বলতে টিকটক ড্রপশিপিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও অল্প সময়েই এটি ড্রপশিপারদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই চলুন লেখার শুরুতেই আপনাদেরকে জানাই টিকটক ড্রপশিপিং কাকে বলে। যখন একজন ড্রপশিপার টিকটকের সাহায্যে তার নিজের ড্রপশিপিং বিজনেসের প্রোডাক্ট প্রমোশন করার মাধ্যমে সেল জেনারেট করার কাজটি করে থাকেন তখন সেটিকেই টিকটক ড্রপশিপিং বলা হয়। 

টিকটক ড্রপশিপিং কি লাভজনক? 

আমি জানি এই পর্যায়ে এসে আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগছে যে এত প্ল্যাটফর্ম থাকতে টিকটকে ড্রপশিপিং কেন করবেন। বলছি! বর্তমান সময়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের সাথে পাল্লা দিয়ে সমান ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টিকটক। বলা যেতে পারে, কম বেশি সবাই এখন অবসর সময়ে বিনোদনের উদ্দেশ্যে টিকটক ব্যবহার করে। ইউজার সংখ্যা এত বেশি হওয়ার কারণে টিকটকে মানুষ এখন শুধুমাত্র সখের বশে কিংবা বিনোদনের জন্য ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করেনা, তাদের পাশাপাশি অনেক বিজনেস ওনার নিজেদের প্রোডাক্ট প্রমোশন করার জন্য টিকটকে বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন। 

যদি আপনি আপনার ড্রপশিপিং বিজনেস টিকটকের মাধ্যমে পরিচালনা করেন, তাহলে অনেক বেশি সংখ্যক টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে এনগেইজড হতে পারবেন। বিশেষ করে যদি সঠিক মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ক্রিয়েট করে তা কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে টিকটক ড্রপশিপিং করে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে শুধুমাত্র মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নয়, টিকটক ড্রপশিপিং করে সাকসেসফুল হতে চাইলে আপনার বিজনেসের প্রোডাক্ট এবং টার্গেট অডিয়েন্স কারা এ দুটোও খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

কেন জানেন? যেহেতু টিকটকের বেশিরভাগ ইউজারদের বয়স ১৮ থেকে ২৮-২৯ এর ভেতর, তাই আপনার বিজনেসের প্রোডাক্ট যদি ইয়াং  জেনারেশনের উপযোগী হয়, তাহলে খুব সহজেই অল্প সময়ে বেশি বেশি সেল জেনারেট করতে পারবেন। এখানে ইয়াং জেনারেশনের উপযোগী প্রোডাক্ট বলতে আমি বুঝিয়েছি হাই প্রাইস নয় এমন কিছু প্রোডাক্ট, যেগুলো ট্রেন্ডি, ফ্যাশনেবল, প্রয়োজনীয় এবং যেগুলো ইয়াং জেনারেশনের কেউ চাইলেই অ্যাফোর্ড করতে পারে। যেমন ধরুন, জুয়েলারি, ফ্যাশন এক্সেসরিজ, অরগানাইজার ইত্যাদি।

তাই বলা যেতে পারে, টিকটক ড্রপশিপিং করে সফল হওয়া অবশ্যই সম্ভব, তবে এক্ষেত্রে আপনার ড্রপশিপিং বিজনেসের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, প্রোডাক্ট এবং টার্গেট অডিয়েন্স -এ তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এই ফ্যাক্টরগুলোর মূলত ওপরেই নির্ভর করে টিকটক ড্রপশিপিং করে আপনি সেল জেনারেট করতে পারবেন কিনা। 

কিভাবে টিকটক ড্রপশিপিং শুরু করবেন? 

এখন আমরা চলে এসেছি আজকের লেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক খুব সহজে কিভাবে টিকটক ড্রপশিপিং শুরু করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। 

  • টিকটকে ড্রপশিপিং করার জন্য আপনাকে টিকটক প্রো অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। প্রো অ্যাকাউন্টে আপনারা ক্রিয়েটর বা বিজনেস দুই ধরণের অ্যাভেইলেবল প্রোফাইল থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারবেন। এখন আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ড্রপশিপিং করতে চাইলে আপনাদেরকে অবশ্যই বিজনেস অ্যাকাউন্ট বেছে নিতে হবে। টিকটিক বিজনেস অ্যাকাউন্ট অনেকটা ফেসবুক পেইজের মতো। এটি থাকলে আপনি আপনার প্রতিটি পোস্টের রিচ, এনগেইজমেন্ট এবং ওভারঅল পারফরম্যান্স মনিটর করতে পারবেন৷ সেই সাথে এই অ্যাকাউন্ট থাকলে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের ডিটেইলড ইনফরমেশন যেমন: জেন্ডার বা লোকেশন সম্পর্কেও জানতে পারবেন। 
  • আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ড্রপশিপিং করার জন্য কোন একটি ওয়েবসাইটে ড্রপশিপিং স্টোর থাকতে হয়। যদি আপনার শপিফাইতে ড্রপশিপিং অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে সেই অ্যাকাউন্টটি টিকটকের সাথে কানেক্ট করার মাধ্যমেও আপনি টিকটক ড্রপশিপিং করতে পারবেন। এতে করে প্রতিটি প্রোডাক্টের শপিফাই লিংক আপনারা আপনাদের পোস্টে ট্যাগ করে দিতে পারবেন। যেখান থেকে কোন পটেনশিয়াল কাস্টমার চাইলে সরাসরি তার পারচেজ কমপ্লিট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমেই আপনার শপিফাই প্রোফাইলে গিয়ে টিকটক ইনস্টল করতে হবে, এবং তারপর আপনার টিকটকে যে বিজনেস অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটিকে শপিফাইয়ের সাথে কানেক্ট করে দিতে হবে। তাহলেই আপনারা টিকটকের মাধ্যমে নিজেদের ড্রপশিপিং বিজনেস পরিচালনা করতে পারবেন। 

কিভাবে টিকটক ড্রপশিপিং করার জন্য প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন? 

টিকটক ড্রপশিপিংয়ের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সিলেকশন করার কাজটি একটু ট্রিকি। এই ধাপেই বেশিরভাগ ড্রপশিপার ভুল করে থাকেন৷ দেখা যায়, তারা রিসার্চ না করে নিজেদের পছন্দের প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস স্টার্ট করেন এবং পরবর্তীতে তাদের প্রোডাক্ট সেক হয়না। এই ভুল এড়াতে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কিভাবে টিকটকে ড্রপশিপিং করার জন্য পারফেক্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট করবেন –

  • সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার জন্য টিকটকের হ্যাশট্যাগ অপশনটি খুব ভালো কাজ করে। আপনি কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে সার্চ করার পর সেই হ্যাশট্যাগ অপশনে ক্লিক করলেই বুঝতে পারবেন টিকটকের অডিয়েন্সের কাছে ওই প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা কতটুকু। যদি দেখতে পান প্রোডাক্টের হ্যাশট্যাগে ভিউয়ের সংখ্যা অনেক বেশি, তাহলে ওই প্রোডাক্টটি বিজনেসের জন্য সিলেক্ট করতে পারেন। 
  • এছাড়াও যদি নিজের ড্রপশিপিং বিজনেসের জন্য এমন প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে চান যেগুলো বেশি বেশি সেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে বিভিন্ন জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইটগুলোতে রিসার্চ করতে ভুলবেন না। কারণ এখন অনেক মানুষ নিয়মিত ই কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। তাই এই সাইটগুলোতে যে প্রোডাক্ট গুলো জনপ্রিয়, সে প্রোডাক্টগুলো টিকটকের ইউজারদের ক্ষেত্রেও জনপ্রিয় হওয়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ই-কমার্স সাইটে প্রোডাক্ট রিসার্চ করতে ভুলবেন না। 
  • ই-কমার্স সাইটের পাশাপাশি গুগল ট্রেন্ডসেও চাইলে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন। এটিও আপনার বিজনেসের জন্য সঠিক প্রোডাক্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। 
  • এছাড়াও সাধারণত টিকটক ড্রপশিপিংয়ের ক্ষেত্রে যে প্রোডাক্টগুলো অনেক বেশি ট্রেন্ডি বা হাইপড, সেগুলোই বেশি সেল হয়। তাই একটু রিসার্চ করে দেখুন এখনকার ইয়াং জেনারেশন কোন প্রোডাক্টগুলো সবচাইতে বেশি পছন্দ করে কিংবা তাদের স্টাইলের সাথে কোন প্রোডাক্টগুলো বেশি ম্যাচ করে। তারপর সে অনুযায়ী নিজের বিজনেসে প্রোডাক্ট অ্যাড করুন। এতে করে লস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। 

টিকটকের ড্রপশিপিং করার জন্য একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর এবং প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার পর আপনাকে প্রোডাক্টের অথেন্টিক ও নির্ভরযোগ্য সাপ্লায়ার খুঁজে বের করতে হবে। সত্যি বলতে এই সাপ্লায়ার খোঁজার কাজটি ড্রপশিপিং বিজনেস করার অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এই কাজটি সময় নিয়ে করুন। 

Read More

ড্রপশিপিং বিজনেসে সাপ্লায়ার খুঁজে পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত স্টেপ বাই স্টেপ Best গাইডলাইনটি পড়ে ফেলুন!

টিকটকে ড্রপশিপিং করার জন্য কিছু ইফেকটিভ মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজি 

আপনি যেই প্লাটফর্মেই ড্রপশিপিং বিজনেস করতে যান না কেন, প্রোপার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি কিন্তু সবখানেই সমানভাবে প্রয়োজন। কারণ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ছাড়া কখনোই আপনি এই বিজনেসে সেল বাড়াতে পারবেন না। 

যদি আপনি আপনার টিকটক ড্রপশিপিং বিজনেসে সেল বাড়াতে চান, তাহলে নিয়মিত লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারেন। কারণ যদি এই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের রিচ বাড়তে থাকে, তাহলে আপনি আরও সহজে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে রিচ করতে পারবেন। এর ফলস্বরূপ তখন প্রোডাক্টের সেল বাড়ানো পসিবল হবে। 

টিকটকে ড্রপশিপিং করে সাকসেসফুল হতে চাইলে আপনার পোস্ট করা কন্টেন্টের কোয়ালিটি যেন ভালো এবং ক্রিয়েটিভ হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন। সবসময় মনে রাখবেন, টিকটকের একেকটি টপিকের ওপর নিয়মিত হাজার-হাজার ভিডিও পোস্ট করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার অডিয়েন্সকে আলাদা কিছু অফার করতে না পারেন, তাহলে তারা আপনার থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করা তো দূরের কথা, আপনার ভিডিও পর্যন্ত দেখবে না। তাই ইউনিক ধরণের ও হাই-কোয়ালিটির ভিডিও পোস্ট করুন। ও হ্যাঁ, পোষ্টের সাথে প্রয়োজনীয় হ্যাশট্যাগ ইউজ করতে ভুলবেন না। কারণ টিকটকের পোস্টে রিচ বাড়াতে হ্যাশট্যাগ অনেক সাহায্য করে। 

এছাড়াও যদি নিয়মিত বিভিন্ন কনটেস্ট বা গিভাওয়ে এরেঞ্জ করেন, তাহলেও আপনার পোস্ট করা কনটেন্টের রিচ ও এনগেজমেন্ট দুটোই বাড়াতে সক্ষম হবেন। এর পাশাপাশি যদি কম সময়ে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে নিজের বিজনেসের প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে চান, তাহলে টিকটকের পেইড অ্যাড ক্যাম্পেইনের সাহায্য নিতে পারেন। এই অ্যাড ক্যাম্পেইনগুলো ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মতো হয়ে থাকে। 

শেষ কথা

এটুকুই ছিল টিকটক ড্রপশিপিং নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি আপনাদেরকে একটি বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিতে পেরেছি। সত্যি বলতে ড্রপশিপিং করার জন্য টিকটক খুবই ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম, তবে এক্ষেত্রে যদি সফল হতে চান তাহলে আপনার বিজনেসের সঠিক প্রোডাক্ট সিলেকশন, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি এবং হাই কোয়ালিটি কনটেন্টের মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্সকে আকৃষ্ট করা – এ তিনটি কাজে অনেক বেশি সময় দিতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই আপনারা ধীরে ধীরে সফল হতে পারবেন। 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment