জানেন কী এক বছরে ফেসবুক কত টাকা আয় করে?

ফেসবুক বর্তমানকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর একটি। এটির যাত্রা শুরু করার পর প্রথমদিকে শুধুমাত্র স্ট্যাটাস লেখা, ছবি পোস্ট কিংবা কমেন্ট করার সুবিধা থাকলেও এখনকার দিনে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা। বর্তমানে কোন পণ্য কেনাবেচা করার জন্য যেমন ফেসবুক ব্যবহৃত হচ্ছে, তেমনি ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম প্রধান শাখা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যম হিসেবে কিন্তু ফেসবুকের জুড়ি মেলা ভার। বলা যেতে পারে, প্রতিনিয়তই এ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। আচ্ছা বলুন তো, যে প্ল্যাটফর্মে বিশ্বব্যাপী এত সংখ্যক ব্যবহারকারী রয়েছে, সেই ফেসবুকের আয় কেমন হতে পারে? কি, কৌতুহল জাগছে তাইনা? আজকের লেখায় আমি আপনাদের জানাবো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক কত টাকা আয় করে সে সম্পর্কে। আশা করি আজকের লেখাটি পড়তে ছোট বড় সবার ভালো লাগবে। 

ফেসবুকের ইতিহাস 

ফেসবুক কত টাকা আয় করে সেটি তো জানাবোই, তার আগে চলুন এই ফেসবুকের ইতিহাস সম্পর্কে একটু জেনে আসা যাক। ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয় মার্ক জাকারবার্গ নামক এক তরুণের হাত ধরে। মাথায় নতুন আইডিয়া টগবগ করতে থাকা এই তরুণ বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তবে তিনি শুরুতেই কিন্তু ফেসবুক চালু করে বসেননি। তিনি ২০০৩ সালে যখন দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন, তখন তিনি একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেন যেটির নাম ছিলো ফেসম্যাশ। তবে দুঃখের বিষয় হলো এটি নিয়ে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় এই প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো৷ 

তবে জাকারবার্গও থেমে যাওয়ার পাত্র নন৷ তিনি এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে ফেসম্যাশ প্রোগ্রামকে এডিটের মাধ্যমে সামাজিক শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব এমন মাধ্যমে পরিণত করেন। তখন ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটির জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। এরই ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে মার্ক জাকারবার্গ তার চারজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে দ্যা ফেসবুক নামের সাইট প্রতিষ্ঠা করেন। এটিও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তার সৃষ্টি করে। 

তবে এত জনপ্রিয়তা থাকার পরেও দ্যা ফেসবুক জাকারবার্গের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কেউ ব্যবহার করতে পারতোনা। একারণে সবাই যেন ব্যবহার করতে পারে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০০৫ সালে ফেসবুক ডট কমের পথচলা শুরু হয়৷ 

এরপর আর জাকারবার্গকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিনিয়তই ফেসবুকে বিভিন্ন নতুন ফিচার আনা এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রাখার কারণে খুব দ্রুতই ফেসবুক হয়ে ওঠে বহু মানুষের নিত্যদিনের সাথী। ফেসবুক যাত্রা শুরু করার বছর পাঁচেক পর, অর্থাৎ ২০১০ সালের মধ্যে ফেসবুকের ইউজার কিংবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত ছিলো জানেন?৫০ মিলিয়নেরও বেশি। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীর সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে এর মার্কেটভ্যালুও। 

ফেসবুকের বর্তমান অবস্থা ও সুবিধা

ফেসবুকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয় এর নতুন কর্পোরেট নাম মেটা নিয়ে। ২০০৫ থেকে ফেসবুক যাত্রা শুরু করার পর এটির কর্পোরেট নাম- অর্থাৎ এই প্ল্যাটফর্মটি যে কোম্পানির অধীনে ছিলো সেটির নাম ছিলো Facebook Inc.তবে ২০২১ সালে এসে এই কোম্পানির নামের মধ্যে আসে আমূল পরিবর্তন। মার্ক জাকারবার্গের ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানির নতুন নামকরণ করা হয় “মেটা ” (Meta). এ নতুন নামকরণের মূল উদ্দেশ্য হলো কোম্পানির রিব্র‍্যান্ডিং করা। 

আপনারা জানলে হয়তো অবাক হবেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এই কোম্পানিটি কিন্তু শুধুমাত্র ফেসবুকেরই প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন নয়। বরং মেটার অধীনে মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ওয়ার্কপ্লেস ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মও পরিচালিত হচ্ছে।

যদি ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ে বলতে যাই, ফেসবুকের প্রতিমাসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২.৯ মিলিয়নের মতো। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে যে এই সংখ্যা আরো বাড়বে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। 

এবার একটু ফেসবুকের সুযোগ সুবিধা নিয়ে কথা বলা যাক। ফেসবুক কিন্তু এখন আর শুধু মেসেজিং কিংবা ছবি পোস্ট করার প্লাটফর্ম হিসেবে থেমে নেই, বরং এটি এখন অনেক মানুষের উপার্জনেরও মাধ্যম। ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থ টাকা উপার্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা, যেগুলো ফেসবুক পেইজ কিংবা গ্রুপের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এই অনলাইন বিজনেসগুলোর মাধ্যমে এখন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ঘরে বসেই নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারছেন। 

শুধুমাত্র বিজনেসই নয়, ফেসবুকের সাহায্যে ফ্রিল্যান্সিং করাও সম্ভব। যারা এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন, তারা ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে ফেসবুক গ্রুপ কিংবা জব নামক সেকশনের সাহায্য নিয়ে থাকেন। এর পাশাপাশি ফেসবুকে সোশাল মিডিয়া মার্কেটিংও করা হয়। আবার অনেকে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে সেসব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করেন। সুতরাং সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে, ফেসবুক এখন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন একটি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। 

ফেসবুক কিভাবে আয় করে? 

ফেসবুক কত টাকা আয় করে এবার আসা যাক ফেসবুক কিভাবে আয় করে সেই প্রসঙ্গে। আপনারা হয়তো ভাবছেন ফেসবুকের ফিচারসগুলো তো আপনারা বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ফেসবুকের আয় কোথা থেকে আসে? 

আসলে ফেসবুকের আয়ের অন্যতম প্রধান সোর্স হচ্ছে অ্যাডস। অ্যাডস হলো ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করার সময় আপনারা যেই বিজ্ঞাপনগুলো দেখতে পান সেগুলো। ২০২০ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, ওই বছর ফেসবুকের মোট রেভিনিউ ছিলো ৮৬ বিলিয়ন ডলার যার যার ৯৮ শতাংশই এসেছিলো ফেসবুক অ্যাডস থেকে। এছাড়াও ফেসবুক আরো কিছু সোর্স থেকে আয় করে থাকে যেমন- 

১। ফেসবুক পেমেন্ট সার্ভিসের ডেভেলপারদের কাছ থেকে। 

২। ফেসবুকের ওয়ার্কপ্লেস নামক টুলের সাবস্ক্রিপশন ফী থেকে। 

অন্যান্য আয়ের সোর্স থাকলেও ফেসবুক অ্যাডসই ফেসবুকের আয়ের মূল উৎস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অ্যাড কারা দিয়ে থাকে? আমি আগেই বলেছি বর্তমানে ফেসবুকের মাধ্যমে ছোট-বড় অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর বিজনেসে সেল বাড়াতে প্রয়োজন মার্কেটিংয়ের। যেহেতু এই বিজনেসগুলো ফেসবুকভিত্তিক, তাই এসব বিজনেসে মার্কেটিংও করতে হয় ফেসবুকের ইউজারদের টার্গেট করে। তাই যারা এই বিজনেসগুলোর মালিক, তারা ফেসবুককে একটি নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট পে করেন যাতে করে ফেসবুক এটির ইউজারদের অ্যাড দেখায়৷ যে অ্যাডগুলো দেখার ফলে কাস্টমাররা সেই বিজনেস পেইজগুলো থেকে কেনাকাটা করেন।  

যদি আরেকটু বিস্তারিতভাবে বলতে যাই, বর্তমানে ফেসবুকের অ্যাড প্ল্যাটফর্মে যুক্ত রয়েছেন প্রায় ১০ মিলিয়নের অধিক মানুষ। এই ১০ মিলিয়নের বড় একটি অংশই ছোট ছোট বিজনেস পরিচালনা করে থাকেন। ফেসবুকের অ্যাড প্ল্যাটফর্মের এত জনপ্রিয়তার কারণ হলো এটিতে অ্যাড দিতে খুব বেশি পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয়না। এটিতে অকশন সিস্টেম ব্যবহার করে প্রতিটি অ্যাডের প্রাইস নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি অ্যাডের প্রাইস অ্যাডের সাপ্লাই এবং যারা অ্যাড দেবেন তাদের ডিমান্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। 

শুধু তাই নয়, ফেসবুকে অ্যাড দিতে গেলে লোকেশন, জেন্ডার, বয়স, ইন্টারেস্ট ইত্যাদি সিলেক্ট করা যায়। অর্থাৎ এই অ্যাড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেটেড ইউজারদেরকেই অ্যাড দেখাতে পারবেন, যা বিজনেসে বেশি বেশি সেল জেনারেট করতে অনেক হেল্প করে। মূলত এসব কারণেই ফেসবুক অ্যাডস এখন এত বেশি জনপ্রিয়। আর এজন্যেই এই ফেসবুক অ্যাডকেই ফেসবুকের আয়ের প্রধান সোর্স বলে চিহ্নিত করা হয়। 

যদিও ফেসবুকের পাশাপাশি ইন্সটাগ্রামেও অ্যাড দেখানোর সুবিধা রয়েছে, তবে ফেসবুক থেকেই বেশি পরিমাণ রেভিনিউ জেনারেট হয়। যদি ফেসবুকের কর্পোরেট কোম্পানি মেটার মোট রেভিনিউ সম্পর্কে বলি, তাহলে দেখা যায় মেটার মোট অ্যাডভারটাইজিং  রেভিনিউয়ের ৬০ শতাংশই আসে ফেসবুক অ্যাডস থেকে আর ৩০ শতাংশ আসে ইনস্টাগ্রাম অ্যাডস থেকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, ফেসবুক অ্যাডস প্রতিবছর কি পরিমাণ রেভিনিউ জেনারেট করে থাকে।

আরো পড়ুন: এক বছরে আমাজন কত টাকা আয় করে জানতে চান?

ফেসবুক কত টাকা আয় করে থাকে? 

এখন আমি আপনাদের জানাবো ফেসবুক কত টাকা আয় করে!

ফেসবুকের আয়ের পরিমাণ ঠিক কিরকম। ২০২১ সালের ৩য় প্রান্তিকে শুধুমাত্র ফেসবুকের অ্যাড প্ল্যাটফর্ম থেকে জেনারেট করা রেভিনিউয়ের পরিমাণ ছিলো ২৮.৩ বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ২৩৯৯২৮ কোটি টাকা । ২০২০ সালের একই সময় এই রেভিনিউয়ের পরিমাণ ছিলো ২১.২ বিলিয়ন ডলার বা ১৭৯৭৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালের ৩য় প্রান্তিকে এসে ফেসবুকের অ্যাডস থেকে আয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। কি? অবাক করে দেয়ার মতো তাইনা?

এবার আসা যাক ২০২১ সালে Meta বা ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানির অ্যানুয়াল রেভিনিউয়ের দিকে। Statista নামক সাইট থেকে প্রাপ্ত ডাটা অনুযায়ী, ২০২১ সালে মেটার অ্যানুয়াল রেভিনিউ অর্থাৎ এক বছরের আয় ছিলো ১১৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের রেভিনিউ ২০২০ এর রেভিনিউয়ের তুলনায় প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলার বেশি।

আপনাদের সুবিধার জন্য এই কোম্পানির বিগত কিছু বছরের বার্ষিক আয় ইউএস ডলারে দেখানো হলো –

২০২০- ৮৬ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৭২৯১০৮ কোটি টাকা 

২০১৯- ৭১ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৬০১৯৩৮ কোটি টাকা 

২০১৮- ৫৬ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৪৭৪৭৬৮ কোটি টাকা

২০১৭- ৪১ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৩৪৭৫৯৮ কোটি টাকা

২০১৬- ২৮ বিলিয়ন (প্রায়) বা ২৩৭৩৮৪ কোটি টাকা 

২০১৫- ১৮ বিলিয়ন ( প্রায়) বা ১৫২৬০৪ কোটি টাকা

২০১৪- ১২.৫ বিলিয়ন (প্রায়) বা ১০৫৯৭৫ কোটি টাকা

২০১৩- ০৮ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৬৭৮২৪ কোটি টাকা

২০১২- ০৫ বিলিয়ন (প্রায়) বা ৪২৩৯০ কোটি টাকা

২০১১- ০৩ বিলিয়ন (প্রায়) বা ২৫৪৩৪ কোটি টাকা

২০১০- ০২ বিলিয়ন (প্রায়) বা ১৬৯৫৬ কোটি টাকা

এই ডাটাগুলোর ভিত্তিতে বলা যায়, বিগত ১০ বছরে এই কোম্পানির মোট রেভিনিউ বেড়েছে ১১৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এই মোট রেভিনিউয়ের মধ্যে অ্যাডভারটাইজিং রেভিনিউয়ের পরিমাণই বেশি। ২০২১ সালে ইউএস ডলারে মেটার মোট অ্যাডভারটাইজিং রেভিনিউ ছিলো ১১৪.৯ বিলিয়ন (৯৭৪১২২ কোটি বাংলাদেশি টাকা), যেটির একটি বড় অংশ এসেছিলো এই কোম্পানির অধীনে থাকা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে। 

শেষ কথাঃ 

ফেসবুক কত টাকা আয় করে সেটি তো জানালাম।পরিশেষে বলা যেতে পারে, ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও ফেসবুকের পরিধি আর পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত। একারণে সময়ের সাথে বাড়ছে এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের আয়ও। সবার কাছে অনুরোধ রইলো,এই তথ্যবহুল লেখাটি ভালো লাগলে সবার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেননা! 

Source : Statista

 

 

Leave a Comment