শুধু বলতেই নয় ইংরেজি লেখালেখিতেও এক্সপার্ট হয়ে যান!

টুকটাক ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও আমাদের অনেকেরই লেখার অবস্থা নড়বড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখালেখি থেকে শুরু করে গবেষনাপত্র, ভিনদেশ ফেলোশিপ বা বৃত্তির আবেদনপত্র, ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’সহ অনেক লেখাই ঠিক মানসম্পন্ন হয় না। দুর্বল বাক্যগঠন আর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাষারীতি আমাদের পিছিয়ে দেয়। ইংরেজিতে কিছু লিখতে গেলে প্রথমেই যে জিনিস আমাদের মাথায় আসে, সেটা হচ্ছে বাক্য গঠন করব কীভাবে?

অনেকগুলো জিনিস নিয়েই আমরা কনফিউজড হয়ে যাই। কিন্তু সঠিক ভাবে লেখালেখির চর্চা করলে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা সম্ভব। আজকে আমরা দেখে নিবো এমনই কিছু টিপস যা ফলো করলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন ইংরেজি লেখায় পারদর্শী।

* পড়ুন বেশি করে  

বলা হয়ে থাকে, Speaking এর জন্য Listening জরুরি এবং Writing এর জন্য Reading জরুরি। সুতরাং, ইংরেজি লেখালেখি সমৃদ্ধ করতে হলে বেশি বেশি পড়তে হবে। এতে ভোকাবুলারি, গ্রামার, বাক্য গঠন এই সব বিষয়ে একটা ভালো ধারণা সৃষ্টি হবে। বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার বাইরেও ইংরেজি পড়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস যেমন আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়াবে, তেমনি লেখালেখির জন্য অনেক নতুন নতুন বিষয় খুঁজে পাবেন।

* ব্যবহার করুন ইংরেজি অভিধান

লিখতে গিয়ে যখনই শব্দ খুঁজে পাবেন না তখন কাজে আসতে পারে অভিধান! তাই সুবিধামতো অনলাইন বা বই আকারে আপনার বুকশেলফ বা ডিভাইজ থাকা চাই ইংলিশ-টু-ইংলিশ এবং বাংলা-টু-ইংলিশ অভিধান। হ্যাঁ, দুইটাই চাই। কারণ অনেক সময় শব্দটা খুঁজে পেলেও দেখা যেতে পারে আপনি এর সঠিক অর্থটা জানেন না। আর যদি ডিজিটাল অভিধান ব্যবহার করে থাকেন তো শব্দের Synonym ও Antonym সহ আসল উচ্চারণ ও শুনে নিতে পারবেন।

* শব্দভা্ন্ডার তৈরি করুন

আমরা লেখালেখির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় প্রচলিত শব্দগুলোই ব্যবহার করি। ইংরেজিতে সাবলীল লেখালেখির জন্য বহুমাত্রিক শব্দ ব্যবহারের বিকল্প নেই। এজন্যই প্রতিদিন চেষ্টা করুন নতুন পাঁচ থেকে আটটি শব্দ আত্মস্থ করতে। টানা দুই মাস শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করার পেছনে সময় দিন। যে শব্দগুলো শিখবেন, তা সকালে ঠিক করে নিন, সারা দিন মনে মনে তা স্মরণ করুন। কয়েকবার সেই শব্দগুলো লিখলে মনে রাখা সহজ হবে।

* গ্রামার বুঝে নিন

ইংরেজি লেখালেখি শুদ্ধভাবে করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই গ্রামার বুঝে নিতে হবে। তাই ইংরেজিতে লেখালেখির সময় প্রথম থেকেই গ্রামারে মনোযোগ দিন। Speaking এর চেয়ে Writing – এ গ্রামার দরকার পড়ে বেশি। যেহেতু কথা বলার চেয়ে লেখা বেশি ফরমাল। একটু ভুল হলে খুব বেশি চোখে লাগবে। তাই লেখার সময় গ্রামার হওয়া চায় একদম পারফেক্ট! দুর্বল গ্রামার নলেজ অনেক সাবলীল লেখাকেও দুর্বোধ্য করে দেয়। প্রতিদিন ইংরেজিতে ব্যাকরণের দুই থেকে তিনটি নিয়ম আত্মস্থ করতে চেষ্টা করুন। উদাহরণসহ বুঝে পড়ুন, মুখস্থ করবেন না। একটি ভালো ইংরেজি গ্রামার বইকে ‘রেফারেন্স’ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।

* লেখা শেষ হওয়ার পরে প্রুফরিড করে নিন

কোন একটি আর্টিকেল পড়তে পড়তে যদি আপনি অনেক বানান ভুল লক্ষ্য করেন তো আপনার সেটা আর পড়তে ইচ্ছা করবে না। ঠিক সেই কারনেই অভিধান সাথে রাখতে হবে। সেই অভিধান দিয়ে দেখতে হবে confusing প্রতিটি শব্দ। ভুল হলে ঠিক করে নিতে হবে। এবং, এটা শুধু লেখা শেষ হওয়ার পরে যে করতে হবে এমনটা না। লেখা শুরু করার পরেও অভিধান ব্যবহার করতে হবে। এতে যখন আপনার লেখা শেষ হবে, তখন দেখবেন আপনার আর কোনো বানান ভুল নেই।

* ডায়েরি লিখুন ইংরেজিতে!

ডায়েরি লেখার অনেক ভালো গুণ আছে। অনেক দিন পর এটা আপনার কাজের স্মৃতিচারণ করবে। কিন্তু ডায়েরি ইংরেজিতে লিখলে এটা স্মৃতিচারণ ছাড়াও আপনাকে সাহায্য করবে ইংরেজি লেখা শিখতে। এর মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে আপনি কিন্তু নিজের কাছে নিজে লিখিছেন। এতে যেমন আপনার স্বাধীন ভাবে লেখার ক্ষমতা আছে, সেভাবেই আপনি লিখতে পারবেন ছোট ও সহজ ভাষায়। প্রতিদিন এই নিয়ম করে ইংরেজি লেখা আপনার কিন্তু পরবর্তীতে অনেক কাজে আসবে।

* প্রতিদিন লিখুন

প্রতিদিন অন্তত ইংরেজিতে ৩০০ শব্দ লিখুন, নিয়মিত লিখুন। দুর্বলতা কাটানোর প্রথম এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিদিন লেখা। নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত ৩০০ শব্দে কিছু না কিছু লিখুন। যেকোনো বিষয়ে সকালে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিখে ফেলবেন। প্রথম দিকে লেখালেখির শুরুতে হয়তো কছুটা জড়তা থাকবে। টানা ১০ দিন লিখুন, দেখবেন ধীরে ধীরে এই জড়তা কেটে গেছে।

এভাবেই আপনি সমৃদ্ধ করতে পারেন আপনার ইংরেজি লেখালেখির দক্ষতা।

Leave a Comment