যখন চুলায় আগুন জ্বলতে জ্বলতে নিভে যায় কালো ধোঁয়া বের হয়। যখন ইট ভাটার আগুন তীব্র আকার ধারণ করে কালো ধোঁয়া বের হয়। যখন কোন গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি হয় কালো ধোঁয়া বের হয়। মোটরসাইকেল থেকে যে কালো ধোঁয়া বের হয় তা হলো কার্বন মনোক্সাইড (CO)। কার্বন আর অক্সিজেনের মিশ্রিত রূপই হলো কার্বন মনোক্সাইড। যা থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া আমরা দেখতে পারি, প্রতিনিয়ত দেখছিও।
এই সমস্ত উদাহরণ ব্যতীত আমরা আরো এক ধরনের কালো ধোঁয়ার মধ্যে বসবাস করছি। হরহামেশাই প্রয়োজনে অথবা অপ্রয়োজনে আমরা সেই কালো ধোঁয়ার প্রভাব উপলব্ধি করছি। কিন্তু না সেই কালো ধোঁয়া আমরা দেখতে পারি আর না অনুভব করতে পারি। দিনে দিনে সেই প্রভাবে সমাজ কুৎসিত রুপ ধারণ করেছে। ইদানিং যেন তা আরো বিভৎস হয়ে উঠেছে।
সমাজ তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা নামক কালো ধোঁয়ায় ছেঁয়ে গেছে। ঘন অন্ধকার ঢেকে নিয়েছে চারপাশ। শিউরে উঠি! এই সমাজের মধ্যে আমার বাস, আমার পরিবারের আর আমার সন্তানদের। আমাদের কোমলমতি শিশুরা এই সমাজেই চলাফেরা করে। লক্ষ্য করে দেখলাম তাদের চরিত্রের রং বদলে ধূসর কালো রং ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত সমাজের আনাচে-কানাচে মানব চরিত্রের নিত্য নতুন বিভৎস রুপ প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু কেন এই বিভৎস রুপ? ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এক কথায় বলা যায় সমাজ তার আদর্শ হারিয়েছে। কেন হারিয়েছে কিভাবে হারিয়েছে তা বলতে গেলে আরেকটি নতুন লেখার প্রয়োজন পড়বে। আমার অনুরোধ থাকবে পাঠকবর্গ উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নেবেন। নিজের সমাজকে কিভাবে কালো ধোঁয়া থেকে বের করে আলোর সমাজ গড়তে হয় সেটাও চিন্তা করবেন। এটা একান্তই কাম্য
লেখাঃ নাহিদ হাসান জোয়ার্দার