গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং এই সেক্টরের চাহিদা এখনকার দিনে কতটুকু ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। ডিজিটাল এই যুগে গ্রাফিক ডিজাইন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্কিল। এখন একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা যে কত বেশি সেটি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। যারা এই স্কিলে পারদর্শী তারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের পাশাপাশি বিভিন্ন বড় কোম্পানিতে জব করে যেমন নিজে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারছেন, তেমনিভাবে নিজের পরিবারের পাশেও দাঁড়াতে পারছেন। বলা যেতে পারে, আগামী অনেক বছরেও এই স্কিলের চাহিদা কমবেনা, বরং আরো বাড়বে। তাই সবার কথা মাথায় রেখে আজ আমি গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখতে পারবেন এ দুইটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো, যার মাধ্যমে আপনারা এই ক্যারিয়ার ফিল্ড সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা পেতে সক্ষম হবেন।
গ্রাফিক ডিজাইন কি, গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন?
চলুন শুরুতেই গ্রাফিক ডিজাইন কি সেটি সম্পর্কে জেনে আসা যাক। গ্রাফিক ডিজাইন হলো ডিজাইনের এমন একটি সেক্টর যেখানে নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিজের ইমাজিনেশন, কালার সেন্স ও স্কিলকে কাজে লাগিয়ে নতুন একটি ইমেজ ক্রিয়েট করা হয়। যেমনঃ আপনারা যে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দেখে থাকেন, কিংবা কোনো প্রোগ্রামের পোস্টার বা ব্যানার, আবার কোনো ডিজিটাল ইলাসট্রেশন বা আর্ট – সবকিছুই কিন্তু গ্রাফিক ডিজাইনেরই অন্তর্ভুক্ত।
আমার মতে গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি ক্যারিয়ার চয়েস,যেখানে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করার জন্য শুধুমাত্র নিজের স্কিল থাকলেই চলেনা, এর পাশাপাশি প্যাশন এবং প্রচুর ধৈর্য থাকা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রাফিক ডিজাইন একটি ক্রিয়েটিভ সেক্টর। তাই চাইলেই যে কেউ এই সেক্টরে কাজ করে সাকসেসফুল পারেন না।
কি? বুঝতে সমস্যা হচ্ছে? চলুন একটি সহজ উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। আমি যদি এখনকার দিনের কিছু ক্যারিয়ার ফিল্ড যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ডাটা এন্ট্রি নিয়ে বলি, এই দুটো ফিল্ডের কাজগুলো যে কেউ ট্রেনিং নিয়ে অথবা বাড়িতে বসে নিজেই শিখে ফেলে করতে পারবেন। কারণ এই ফিল্ডগুলোতে ক্রিয়েটিভির চেয়ে স্ট্র্যাটেজি এবং স্কিলের মূল্যই বেশি। কিন্তু আপনি চাইলেই একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন না। কারণ গ্রাফিক ডিজাইনার হতে গেলে ডিজাইনের কনসেপ্ট বুঝতে হয়, বিভিন্ন কালার টোন বুঝতে হয়, এর পাশাপাশি কোন কনসেপ্টের সাথে নিজের ইমাজিনেশন কে মিলিয়ে কিভাবে একটি নতুন ডিজাইন তৈরি করতে হয় সেটিও বুঝতে হয়। অর্থাৎ এই সেক্টরে কাজ করতে চাইলে প্যাশন থাকার প্রয়োজনীয়তা সবচাইতে বেশি।
গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ কেমন?
আমি জানি গ্রাফিক ডিজাইন কি সেটি জানার পর আপনাদের মাথায় সবার আগে একটি প্রশ্নই আসবে – “গ্রাফিক ডিজাইনারদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি নাকি কম?”
এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে একটি প্রশ্নের উত্তর দিন। বলুনতো যুগের সবচাইতে বড় বৈশিষ্ট্য কোনটি? ঠিক ধরেছেন, ডিজিটালাইজেশন! বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, বিনোদন, কেনাকাটা সবকিছুই জায়গা করে নিয়েছে অনলাইনে। একারণে এখন বিভিন্ন গ্রাফিক ডিজাইন কন্টেন্ট যেমনঃ লোগো, ব্যানার, ফ্লায়ার, পোস্টার, ডিজিটাল পোর্টেট ইত্যাদির চাহিদা আকাশচুম্বী। বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং নামক যে সম্ভাবনাময় সেক্টরটি গড়ে উঠেছে, গ্রাফিক ডিজাইনারদের ছাড়া সে সেক্টরের টিকে থাকা অসম্ভবের কাছাকাছি। একারণেই এখন একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনারের সবখানেই রয়েছে কাজের সুযোগের পাশাপাশি ভালো পরিমাণ অর্থ ইনকামের সুযোগ।
যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে থাকেন এবং এই কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন লোগো তৈরি করে, ব্যানার-পোস্টার তৈরি করে, ফ্লায়ার, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট, ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইল, টি-শার্ট ডিজাইন করে, বিভিন্ন বইয়ের ইলাসট্রেশন ডিজাইন করে ইত্যাদির বিভিন্ন রকম ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার চাইলে মূলত তিনভাবে আয় করতে পারেন। সেগুলো হলো-
০১। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে
বর্তমানে অনলাইনের বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক বা ফ্রিল্যান্সার ডট কম নামক সাইটগুলোতে অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। সত্যি বলতে বেশির ভাগ গ্রাফিক ডিজাইনারই তাদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোকেই বেছে নেন, যেন অনেকরকম ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে করতে তাদের এক্সপেরিয়েন্স বাড়ে।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করার সুবিধা হলো আপনি নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজ করে ক্লায়েন্টকে সাবমিট করে দিতে পারবেন। পাশাপাশি যদি ক্লায়েন্টদের স্যাটিসফাই করে একবার বেশি বেশি অর্ডার পাওয়া শুরু করেন, তাহলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবেনা। গ্রাফিক ডিজাইনারদের অনেকে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে নিজের পড়াশোনা বা অন্য জবের পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করেন। আবার অনেকে পার্মানেন্ট ক্যারিয়ার হিসেবেও এই সাইটগুলোতে কাজ করেন।
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে দক্ষতার সাথে কাজ করলে শুরুর দিকে মাসে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। আর যদি কোনো ডিজাইনার প্রতিমাসে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অনেক অর্ডার পান, তিনি লাখ লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারেন খুব সহজেই।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন? Ultimate Freelancing Guideline 2022
০২। গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে চাকুরি করার মাধ্যমে
শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং এ নয়, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক ডিজাইনার পদে চাকুরি করার সুযোগ। বর্তমানে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি, ব্র্যান্ড এবং বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিগুলো নিয়মিতভাবেই দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনারদের কে তাদের এমপ্লয়ি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এসব জায়গায় চাকুরি করলে প্রতিমাসে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার পঁচিশ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরেও আয় করতে পারবেন।
যদি এই ধরণের চাকুরিগুলো করেন, তাহলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অফিসে কাটাতে হবে। পাশাপাশি প্রতিমাসে ফিক্সড স্যালারি পাবেন, তার সাথে থাকছে প্রমোশন ও ভালো পারফর্ম্যান্সের জন্য কোম্পানি থেকে রিওয়ার্ড বা পুরষ্কার পাওয়ার সুযোগও।
০৩। নিজের ডিজাইন এজেন্সির মাধ্যমে
যদি গ্রাফিক ডিজাইন কি সে সম্পর্কে জেনে এই সেক্টরে স্কিল ডেভেলপ করার পর যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইট কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার ইচ্ছা না থাকে এবং একইসাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে যথেষ্ট দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি নিজের ডিজাইন এজেন্সি ওপেন করে সেখান থেকে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ উপার্জন করতে পারবেন। নিজের ডিজাইন এজেন্সি থাকার মূল সুবিধা হলো এটির মাধ্যমে লং-টার্মে সফলতা পাওয়া যায়। কারণ এজেন্সি থাকলে সেটি পুরোপুরি নিজেরমতো কন্ট্রোল করা যায়, পছন্দের ক্লায়েন্টদের সাথে বেছে বেছে কাজ করা যায়, মোটকথা কাজে স্ট্যাবিলিটি বজায় থাকে। তবে ডিজাইন এজেন্সি ওপেন করতে চাইলে একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের অ্যাডভান্সড লেভেলের স্কিল থাকতে হয়, এটির পাশাপাশি মার্কেটিংয়েও নলেজ রাখতে হয়। আর ডিজাইন এজেন্সি থাকলে সেটি থেকে প্রতিমাসে লাখ টাকার ওপরে আয় করা সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন?
০৪। গ্রাফিক ডিজাইন মেন্টর হিসেবে
যদি আপনি আপনার নিজের স্কিল নিয়ে কনফিডেন্ট থাকেন তাহলে আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে শিক্ষার্থীদের কে গ্রাফিক ডিজাইন হাতে কলমে শেখাতে পারবেন। অনেকেই রয়েছেন যারা নিজের ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে অথবা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে যারা গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে আগ্রহী তাদেরকে এটি শিখিয়ে থাকেন৷ যদি আপনি দক্ষ মেন্টর হয়ে থাকেন, তাহলে অনেকেই আপনার কাছে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হবে৷ এতে করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে সম্মানী পাবেন সেটি দিয়েও নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করে তুলতে পারবেন।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টরে বর্তমানে ভালো পরিমাণ কাজের সুযোগ রয়েছে। তাই যদি গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং এই সেক্টরে কাজের সুযোগ সম্পর্কে জানার পর এটি শিখতে চান, তাহলে লেখার বাকি অংশটুকুও পড়ে ফেলুন।
গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাইলে কি কি থাকা প্রয়োজন?
এবার আসা যাক আজকের লেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেটি হলো গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাইলে কি কি থাকা প্রয়োজন। যদি আপনি এই সেক্টরে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে সবার শুরুতেই আপনার প্রয়োজন হবে একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপের। কারণ এই সেক্টরের কাজগুলো কখনোই স্মার্টফোনের সাহায্যে ভালোমতো করতে পারবেন না। তাই যদি ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ না থাকে, তাহলে কষ্ট করে হলেও যেকোনো একটি ম্যানেজ করার চেষ্টা করুন। বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক গ্রুপে তাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকেন। অর্থ সাশ্রয় করতে চাইলে সেখান থেকে কিনতে পারেন।
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ছাড়াও গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চাইলে ডিজাইনের কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে। গ্রাফিক ডিজাইনের সবচাইতে পরিচিত সফটওয়্যারগুলো হলো অডোবি ফটোশপ, অডোবি ইলাসট্রেটর, অডোবি ইন ডিজাইন, অডোবি আফটার ইফেক্টস ইত্যাদি। তবে যারা একদম নতুন তাদের জন্য আমি ফটোশপ আর ইলাসট্রেটরের ব্যবহার আগে শিখতেই সাজেস্ট করবো। কারণ যদি ফটোশপ আর ইলাসট্রেটর ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করা শুরু করতে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখবো?
গ্রাফিক ডিজাইন কি, গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টরে কাজের সুযোগ এবং এই সেক্টরে কাজ করতে চাইলে কি কি থাকা প্রয়োজন, সবই তো জানালাম। এবার আমি আলোচনা করবো গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখতে পারবেন সে সম্পর্কে। গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে চাইলে প্রথমেই আপনার দেখতে হবে আপনি এই সেক্টরের প্রতি যথেষ্ট প্যাশনেট কিনা। যদি নিজের প্যাশন নিয়ে মনে কোনো সন্দেহ না থাকে, তাহলেই শেখা শুরু করুন।
গ্রাফিক ডিজাইন মূলত তিনভাবে শিখতে পারেন। যেগুলো হলো –
০১। কোনো প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং নেয়ার মাধ্যমে
চাইলে গ্রাফিক ডিজাইনের ট্রেনিং দেয়া হয় এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ইন্সটিটিউট থেকে হাতে কলমে গ্রাফিক ডিজাইনের কোর্স করতে পারেন। এসব প্রতিষ্ঠানে মেন্টরের সামনে বসে হাতে কলমে শেখার সুযোগ থাকায় যেকোনো কনফিউশান সাথে সাথে ক্লিয়ার করে নেয়ার সুযোগ থাকে। পাশাপাশি অনেকের সাথে বসে ক্লাস করায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পারেন। তবে এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন সেটি হলো, কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো কোর্স ফি নেয়ার পর শিক্ষার্থীদেরকে ভালোমতো গ্রাফিক ডিজাইন শেখায় না। একারণে ভালোমতো দেখেশুনে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া উচিৎ।
০২। অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে
গ্রাফিক ডিজাইন কি সে বিষয়ে বিস্তারিত রিসার্চের পর যদি গ্রাফিক ডিজাইনার হতে চান কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ট্রেনিং নিতে না চান, তাহলে গ্রাফিক ডিজাইনের অনলাইন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এ অনলাইন কোর্সগুলো প্রি-রেকর্ডেড কিংবা জুমের মাধ্যমে দুইভাবেই করানো হয়ে থাকে। তাই এসব কোর্সে নিজের সুবিধামতো সময়ে ভর্তি হতে পারেন।
০৩। নিজে নিজে শেখার মাধ্যমে
নিজে নিজে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য ইউটিউব হতে পারে আপনার সবচাইতে বড় বন্ধু। বর্তমানে ইউটিউবে বড় বড় গ্রাফিক ডিজাইনাররা ভিডিও আপলোড করে থাকেন। সেই ভিডিওগুলো দেখার পর প্রতিদিন সময় নিয়ে প্র্যাকটিস করা শুরু করে দিন। যদি কোথাও আটকে যান তাহলে ডিজাইনে এক্সপার্ট এমন কাউকে জিজ্ঞেস করুন। এভাবে চেষ্টা করতে করতে দেখবেন ধীরে ধীরে নিজের ডিজাইন স্কিল বাড়তে শুরু করবে।
এটুকুই ছিলো গ্রাফিক ডিজাইন কি এবং এই সেক্টর সম্পর্কিত আলোচনা। পরিশেষে এটুকুই বলবো, একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ারে সাকসেস পেতে চাইলে নিয়মিত প্র্যাকটিসের কোনো বিকল্প নেই। তাই সাকসেসফুল গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার জন্য নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে ভুলবেননা।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!