অল্প পুঁজিতে বিজনেস করে লাখপতি হতে চাইছেন?জেনে নিন 12 টি Best Profitable ছোট বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে 

জনাব আহসান তার ছয়টা থেকে নয়টা অফিস জবের পাশাপাশি  ছোট  বিজনেস আইডিয়া নিয়ে একটি ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী রিয়াজ পড়ালেখার পাশাপাশি  স্বল্প পুঁজি নিয়ে ছোট কোন বিজনেস করা যায় কিনা সেটি নিয়েও দিনরাত ভেবে যাচ্ছেন।

আমাদের চারপাশে এমনই অনেক ব্যক্তি আছেন যারা ছোট ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান। বর্তমানে অনেকেই এই  ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। সাধারণত ছোট বিজনেস আইডিয়া গুলোতে  স্বল্প পুঁজির প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

তবে স্বল্প পুঁজিতে আরম্ভ করা ছোট বিজনেস আইডিয়া গুলোই একসময় বড় বিজনেস হিসেবে রূপ নেয়। আর এটির জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের ইচ্ছা এবং ধৈর্যশক্তির। 

যেকোনো একটি ব্যবসা করতে গেলে  পর্যাপ্ত মূলধনের প্রয়োজন হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই  মূলধনের অভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক সৃজনশীল ব্যবসায়িক ধারণার অভাব। তাই আজকে আপনাদের ১২টি লাভজনক  শীর্ষ কিছু সৃজনশীল ছোট বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বলব যেগুলো আপনি আপনার স্বল্প বিনিয়োগে শুরু করতে পারেন।

কীভাবে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করবেন

শুরুতে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে একটি ছোট ব্যবসায়িক আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করবেন। বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট বিজনেস আইডিয়ার বেশির ভাগটাই  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আসে। ছোট ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা গুলোর একটি বড়  চ্যালেঞ্জ হচ্ছে  এগুলোর বেশিরভাগই ক্ষণস্থায়ী  যদি না আপনি সৃজনশীল  ধ্যান ধারণার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এজন্য যেকোনো ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করার পূর্বে অবশ্যই  ব্যবসা সম্পর্কে গবেষণা করে নেবেন । 

 

আপনি যে বিজনেস আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সেটি নির্ধারণ করার পরে আপনাকে সেই ব্যবসা সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। তারপর সেই ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা ব্যবসায় বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করতে পারলে অনেক ভালো  নির্দেশনা পাওয়া যায়। 

আপনার ছোট বিজনেস আইডিয়া  টিকে  দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে এর মূলধন এবং মূলধন জড়িত ঝুঁকি   অবশ্যই বের করে নেবেন। আপনি যে ধরনের ব্যবসা করতে চান এবং ব্যবসা সম্পর্কে গবেষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করতে নিন যেটি অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।এখানে যে বিষয় গুলি খেয়াল রাখতে হবে  তা হলো -সুনির্দিষ্ট কাঠামো  ,ব্যবসার নাম,লাইসেন্স এবং পারমিট ,ব্যবসা অবস্থান বিপণন এবং প্রচার।

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ১২ টি ছোট বিজনেস আইডিয়া 

এখন জেনে নেওয়া যাক অল্প পুঁজিতে লাভজনক কিছু ছোট বিজনেস আইডিয়া, যেগুলো হালাল ব্যবসার আইডিয়া, অনেক কম টাকা দিয়ে যেকোনো সময় আরম্ভ করতে পারবেন।

০১। মোবাইল রিপেয়ারিং

এই তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় আজ প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। আমরা সবাই জানি যে ইলেকট্রনিক  জিনিসপত্র বিভিন্ন কারণে যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে। এজন্য আপনি যদি মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজটি শিখে একটি ছোট দোকান দিয়ে বসতে পারেন, তাহলে আপনি নিমিষেই অনেক টাকা আয় করে ফেলতে পারবেন। 

আর এই কাজটি শেখার জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন রিপেয়ারিং কোর্স এর মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন স্বল্প সময়ে। আবার আপনি যদি চান তাহলে ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ফ্রিতে মোবাইল রিপেয়ারিং এর কাজ শিখে নিতে পারেন।  হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। এভাবে এই ব্যবসার মাধ্যমে  মাত্র 10 হাজার টাকার ভিতরে ইনভেস্ট করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।স্বল্প পুঁজিতে  ছোট বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

০২। অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা 

বর্তমানে বেশিরভাগ লোকেরা অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে  ভালোবাসেন। দিন দিন এটির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে কারন অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে  কম খরচে  ঘরে বসেই ভালো জিনিস পাওয়া যায়। এই ব্যবসায়ে ভালোভাবে সেবা প্রদান করতে পারলে আপনি খুব কম সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি কম খরচে লাভের ব্যবসা করতে চান তাহলে এই বিজনেস আইডিয়া থেকে বেছে নিতে পারেন। 

যেকোনো ওয়েবসাইট ডেভলপার কে দিয়ে ৮-১০ হাজার টাকার মধ্যে একটি শপিং ওয়েবসাইট বানিয়ে কাস্টমারদের সেবা দিতে পারবেন।আপনি আপনার  অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে সাজাবেন তা বিভিন্ন নামকরা শপিং সাইট থেকে ধারণা নিয়ে শুরু করতে পারেন। 

এছাড়া অল্প কিছু মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এবং বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটটি মানুষের মধ্যে প্রচার করার মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন শপিং দুনিয়ায় কাস্টমার বাগিয়ে ফেলা কাজটি সেরে নিতে পারবেন।

2022 সালের Best কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এখুনই এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন ও লাভবান হোন!

০৩। ফুড ট্রাক বা ভ্যান 

খাদ্য রসিকেরা বাইরের বিভিন্ন  স্বাদের খাবার  না খেয়ে একদম থাকতে পারেন না। এই তালিকায় বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক এগিয়ে। তাদের কথা মাথায় রেখে ফুড ট্রাক এর মাধ্যমে বিভিন্ন ফাস্টফুড আইটেম  বিক্রি করে অনেক লাভে পড়ে যাচ্ছে নতুন ব্যবসায়ীরা। 

যারা  9 টা থেকে 5 টা  জব শেষে কোন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য হতে পারফেক্ট একটি ছোট বিজনেস আইডিয়া।এই ব্যবসায় একটি ছোট  ট্রাক বা মিনি ভ্যান প্রয়োজন যেটি দিয়ে আপনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন বার্গার, চিকেন ফ্রাই, নুডুলস, পাস্তা, জুস সহ নানা ফুড আইটেম বিক্রি করতে পারবেন।

 

০৪। অনুবাদ ব্যবসা

বর্তমানে ছোট-বড় অনেক   অনুবাদ কারী ব্যবসায়িক সংস্থা গড়ে উঠেছে যেখানে ক্রেতাদের গোপনীয়তা বজায় রাখা হয় এবং একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের প্রস্তাব দেওয়া  হয়ে থাকে। আপনার যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে খুব সহজেই এই   ছোট  বিজনেস আইডিয়া  টিকে কাজে লাগিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে এই বিজনেসে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকদের মধ্যে একটি উন্নত বোঝাপড়া অর্জন অবদান রাখতে হবে।

০৫। ত্বকের যত্নের পণ্যের ব্যবসা

স্বাস্থ্যসচেতন এই বিশ্বে কে না চায় তার নিজের ত্বকের যত্ন করতে। ত্বকের যত্নের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির নামিদামি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে দেশি প্রোডাক্টের পাশাপাশি বিদেশি প্রোডাক্টগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। 

ছোট বিজনেস আইডিয়া হিসেবে  এই ব্যবসাটি কে কাজে লাগিয়ে কম ইনভেস্টমেন্টে আপনি সহজেই অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন। এছাড়া অনেক বাইরের দেশের ত্বকের প্রোডাক্ট আছে  যেগুলো দেশের বাজারে সচরাচর পাওয়া যায় না, তবে চাহিদা অনেক থাকে। এগুলো কে যদি আপনি বাইরের দেশ হতে নিয়ে এসে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে অনেক সাড়া পাবেন।

০৬। ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং

ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিংয়ের চাহিদা সর্বত্রই রয়েছে। যাদের ছোটবেলা থেকেই ইংলিশ -বাংলা বা যেকোনো ভাষায় লেখালেখির অনেক অভ্যাস রয়েছে তারা এই ছোট বিজনেস আইডিয়াটি কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ছোট বড় কোম্পানির, ব্লগিং বা প্রজেক্টের  বিভিন্ন কন্টেন্ট এর কাজ করে দিয়ে  সহজেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ বিজনেস আইডিয়াটির সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি চাইলে আপনি আপনার ঘরে বসে করতে পারেন যেখানে আপনি ফুলটাইম বা পার্ট টাইম দুই ভাবেই সময় দিতে পারবেন।

০৭। পুকুরে মাছ চাষ

আমাদের মধ্যে যারা গ্রামে আছেন তারা ছোট বিজনেস আইডিয়া হিসেবে  পুকুরে মাছ চাষ কে বেছে নিতে পারেন। এই ব্যবসাটি তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে যাদের নিজস্ব পুকুর রয়েছে। 

আবার যাদের  পুকুর নেই তারা চাইলে গ্রামের বিভিন্ন ছোট বড় ডোবা বা  পুকুর লিজ নিয়ে  বাজারের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন মাছ চাষ করতে পারেন। এতে অল্প ইনভেস্টমেন্টে এবং অল্প সময়ে মোটা অংকের মুনাফা অর্জন করার সুযোগ থাকে।

০৮। গাড়ী এবং মোটরসাইকেল ভাড়া

আপনার যদি ব্যক্তিগত  গাড়ি বা  মোটরসাইকেল থাকে সে গুলোকে ভাড়া দিয়ে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই ছোট বিজনেস আইডিয়াটি কে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে অনেক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপস তৈরি হয়েছে যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন গাড়ি বা মোটরসাইকেল ভাড়া করতে পারেন। 

সুতরাং আপনি আপনার গাড়ি বা মোটরসাইকেল কে এসব অ্যাপসের মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগত কাস্টমারদেরকে ভাড়ার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে স্বল্প ইনভেস্টমেন্টে নতুন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

০৯। ট্যুর গাইড

শীত কিংবা বর্ষা কে না চায় দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে বেড়ায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। আপনার যদি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোরার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি তাদের ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন। 

প্রয়োজনে একটি নিজস্ব ট্যুর গাইড এজেন্সিও খুলে নিতে পারেন, যেখানে আপনার সাথে পর্যটকরা যোগাযোগ করবে  গাইড হিসেবে ভাড়া নেওয়ার জন্য। আর এভাবেই স্বল্প ইনভেস্টমেন্টে খুব সহজেই আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটকদের সেবা দেওয়ার মাধ্যমে অনেক অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবেন।

১০। অংকন এবং নৃত্য ইন্সটিটিউট

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে আমরা যারা ভালো অংকন এবং নাচ জানি। আশেপাশে তাকালেই দেখবো অনেকেই আছে  যারা ভালো নাচ এবং অংকন শিখতে চায়, বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েরা। 

সুতরাং তাদের কথা চিন্তা করে আপনি একটি ছোট অঙ্কন এবং নিত্য ইন্সটিটিউট দিতে পারেন যেখানে আপনি তাদের এগুলো শেখাতে পারবেন এবং বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করবেন। ছোট পরিসরে বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে এই ধরনের বিজনেস আইডিয়া বরাবরই এটি শীর্ষে থাকে।

১১। ডেটা  এন্ট্রি ব্যবসা

ডেটা এন্ট্রি ব্যবসাকে একটি খন্ডকালীন ছোট বিজনেস আইডিয়া হিসেবে খুবই যুগপযোগী। বর্তমানে অনেক  ছোট বড় কোম্পানি আছে যারা ডেটা এন্ট্রির জন্য জনবল খুঁজে থাকেন। এই বিজনেস আইডিয়া টির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তথ্য বিশ্লেষণ এবং সংগঠিত করা।

সুতরাং আপনার যদি এই বিষয়ে দক্ষতা থাকে আপনি সহজেই ছোট একটি ডাটা এন্ট্রি এজেন্সি তৈরি করার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে কাজ নিয়ে ডাটা এন্ট্রি মত কাজগুলো করে দিতে পারেন।

১২।  বাচ্চাদের দেখাশুনা

আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যেখানে নারী-পুরুষ দুজনেই অফিস জব করেন।  তাদের একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ছেলেমেয়েদের সঠিকভাবে  দেখাশোনা করা নিয়ে।

তাই আপনার যদি নিজস্ব কোনো জায়গা থাকে তাহলে কিছু জনবল নিয়ে বেবি ডে কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, যেখানে আপনি তাদের বাচ্চাগুলোকে দেখাশুনা করবেন। এটির চাহিদা বর্তমানে বড় বড় শহরগুলোতে দিন দিন বেড়েই চলেছে যেখানে প্রতি মাসেই আপনি লাখ টাকার ওপরে ইনকাম করতে পারবেন।

ছোট বিজনেস আইডিয়া

 

ছোট ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু টিপস

প্রতিটি ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে শুরু হওয়া ব্যবসাগুলোতে স্বল্প ইনভেসমেন্ট  এবং জনবল থাকে। এ জন্য নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।  এখন আপনাদেরকে কিছু টিপসের কথা বলবো   যেগুলি  অনুসরণ করলে খুব সহজেই এই চ্যালেঞ্জগুলো কে মোকাবেলা করা যায়।

১. যখন আপনি কোন  বিজনেস আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে যাবেন অবশ্যই আপনার আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সেটি নিয়ে আলোচনা করে নেবেন। এদের কাছ থেকে আপনি যে সম্বলিত মতামত পাবেন তা আপনার ব্যবসার গ্রাহকরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া করবে তার একটি প্রতিবিম্ব পেয়ে যাবেন।

তাদের কাছ থেকে আপনি যখন বিজনেস আইডিয়াটি শেয়ার করবেন তখন তাদের শারীরিক ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। পাশাপাশি তারা কি সাজেশন দেয়  সেটি হোক পজিটিভ অথবা নেগেটিভ  সেগুলোর   নোট নেওয়ার ট্রাই করুন যেটি আপনার ব্যবসার পরিকল্পনার জন্য কাজে লাগবে।

২. যেকোনো ব্যবসায় সফল হতে গেলে অবশ্যই আপনার ঐ ব্যবসা সম্পর্কে যেমন অনেক ধারণা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে  তেমনি থাকতে হবে  যথেষ্ট আবেগ। কারণ এই আবেগই আপনাকে ব্যবসায় এগিয়ে নিয়ে যাবে  এবং এর সাথে জ্ঞান মিশ্রন করতে পারলে খুব সহজেই সফলতা আসবে

৩. আপনি আপনার ব্যবসায় কি বিক্রি করবেন এটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ আপনার ব্যবসার মাধ্যমে গ্রাহকের কোন সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাবো অনেক সমস্যার সম্মুখীন মানুষ হচ্ছে। আর এই সমস্যা থেকেই চাহিদার সৃষ্টি যেটি ব্যবসায় যোগান দেয়।

৪. ব্যবসায় কত টাকা আয়-ব্যয় হবে তার হিসাব-নিকাশ করে নিন। প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি ব্যয় দুটি খারাপ। এজন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যয় করুন।

৫. ব্যবসায় আপনি যেকোন সময় লসের মুখোমুখি হতে পারেন। এজন্য আপনার বর্তমান আয় কিভাবে হবে, আপনার ব্যবসায় কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং আপনার কাছে এখন কত টাকা জমা আছে তা হিসাব নিজেই করে নিন।এতে  আপনি যদি কোনো সময় দুর্ভাগ্যবশত কোনো লসের সম্মুখীন হন তাহলে এটির মাধ্যমে আবার খুব সহজেই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

এটুকুই ছিলো ছোট বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আজকের আলোচনা। পরিশেষে বলা যায়, যুগের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনার নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে মানুষ যেভাবে একটি ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করতো,  ১০ বছর পর মানুষ এখন অনেক ভিন্ন উপায়ে এবং সৃজনশীলভাবে ব্যবসা করার চিন্তা-ভাবনা করে থাকে। 

সবাই যে ব্যবসা করে সফলতা অর্জন করে অনেক বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পাবে এমনও নয়। তবে উপরের এই ছোট ছোট বিজনেস আইডিয়া গুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে একদিন আপনি আপনার ছোট বিজনেসটিকে অনেক বড় বিজনেস এর রূপ দিতে সক্ষম হবেন বলে আশা করি ।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment