ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন?

বলুন তো, এই যুগে মার্কেটিং শব্দটি একবারও শোনেননি এমন কেউ কি রয়েছেন? আমার তো মনে হয় না। মূলত নিজের ব্যবসা কিংবা কোম্পানিকে অন্যদের কাছে পরিচিত করে তুলতে মার্কেটিংয়ের ব্যবহার করা হয়। যদি কিছু বছর পিছিয়ে তখনকার 

সময়ের মার্কেটিংয়ের পদ্ধতির কথা বলতে যাই তাহলে বলা যায়, তখনকার দিনে টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনই ছিল ব্যবসার পণ্যের অথবা নিজের কোম্পানির মার্কেটিং করার একমাত্র মাধ্যম। তবে এখন সময় বদলেছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন গোটা পৃথিবী চলে এসেছে আমাদের সামনে থাকা স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিনে৷ এর ফলস্বরূপ মার্কেটিংয়ের ধরনেও এসেছে পরিবর্তন এবং উদ্ভব হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং শুধুমাত্র একটি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমই নয়, বরং এটি বর্তমানে বহু মানুষের অর্থ উপার্জন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলার মাধ্যমও বটে। আজকের লেখায় আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে একজন এই সেক্টরে সফল হওয়া সম্ভব সে সম্পর্কিত এ টু জেড গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো। আশা রাখি এ আর্টিকেলটি নতুন কিংবা পুরাতন সবার উপকারে আসবে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার উপায় গুলো জানার আগে চলুন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটি সম্পর্কে জেনে আস। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইন্টারনেটের ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ব্যবসার পণ্য, সার্ভিস কিংবা নিজের কোম্পানির প্রচার-প্রচারণা চালানো, যাতে করে সেগুলো সম্পর্কে সবাই জানতে পারে। যারা এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন তাদের ডিজিটাল মার্কেটার বলা হয়। এখনকার সময়ে সবখানেই একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটারের বেশ ভালো ডিমান্ড রয়েছে। এছাড়াও জনপ্রিয় ক্যারিয়ার ফিল্ড ফ্রিল্যান্সিংয়েও কিন্তু এখন অনেকেই সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। শুধু ফ্রিল্যান্সিংই নয়, এখন বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফুল টাইম বেসিসেও ডিজিটাল মার্কেটারদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই এটুকু চোখ বন্ধ করে বলতে পারি এই ফিল্ডে কাজ করলে সফলতার স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ! 

এবার চলুন একটি উদাহরণের সাহায্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটি ভালোমতো বোঝার চেষ্টা করা যাক। ধরুন, আপনি ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখছেন। এ ভিডিওটি দেখার সময় আপনি ভিডিওর মাঝখানে একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন বা অ্যাড দেখতে পেলেন। এই পণ্যের বিজ্ঞাপনটি শুধু আপনি ই নন, বরং আপনার পাশাপাশি আরো হাজার হাজার মানুষ দেখতে পাবে এবং বিজ্ঞাপনে দেখানো পণ্যটি সম্পর্কে জানতে পারবে। ফেসবুকের এই একটি বিজ্ঞাপন অনেক মানুষকে দেখানোর প্রক্রিয়াকে অ্যাড ক্যাম্পেইন বলা হয়ে থাকে যেটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি উৎকৃষ্ট  উদাহরণ। 

আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে এতক্ষণে আপনারা একটু হলেও ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তবে বলা রাখা ভালো শুধুমাত্র ফেসবুকেই এ ধরণের মার্কেটিং করা হয়না। সত্যি বলতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের পরিধি অনেক বিস্তৃত। বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের পাশাপাশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো হয়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করা হয়, ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার মূল উদ্দেশ্য হলো সবার কাছে কোন ব্যবসা কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বাড়িয়ে তোলা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে বিগত দশ বছরে আমাদের দেশে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেকগুণে বেড়ে গেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের অনলাইন শপিংয়ের প্রবণতা। আজকাল অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন শৌখিন জিনিসও পাওয়া যায়। একারণে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের নিজেদের ব্যবসার পরিচিতি বাড়াতে ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাহায্য নিচ্ছেন৷ 

ডিজিটাল মার্কেটিং করার কারণ হিসেবে আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো এই মার্কেটিং করতে প্রয়োজনীয় খরচের পরিমাণ অনেক কম। ধরুন আপনি কোনো নিউজপেপার কিংবা টেলিভিশনে নিজের কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিতে চান। সেক্ষেত্রে  আপনাকে বেশ ভালো অংকের টাকা খরচ করতে হবে। আবার এ পুরো প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষও বটে। আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটি বলার সময় কিন্তু বলেছিলাম এই মার্কেটিং অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে করা হয়। একারণে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। শুধু তাই নয়, আপনি চাইলে নিজের বাড়িতে বসেই এই মার্কেটিংয়ের কাজ পরিচালনা করতে পারবেন৷ 

এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে চাইলে আপনি কোন লোকেশনে, কোন বয়সের এবং কোন ধরণের মানুষকে টার্গেট করে মার্কেটিং কর‍তে চান সেগুলো নির্ধারণ করে নিতে পারবেন৷ তাই এই মার্কেটিংকে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের সামনে নিজের ব্যবসার পরিচিতি বাড়িয়ে তোলা সম্ভব। 

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং এর প্রকারভেদ 

ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি সেক্টর যেটির বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। যারা এই ফিল্ডে কাজ করতে চান, তাদের এই প্রকারভেদগুলো সম্পর্কে জানা আবশ্যক। কেননা, এই প্রকারভেদগুলোর একেকটিতে দক্ষ হয়ে উঠতে একেকরকম স্কিল প্রয়োজন। চলুন আর দেরি না করে সেগুলো সম্পর্কে জেনে আসি৷ 

১। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটি বোঝানোর জন্য যে মার্কেটিং এর উদাহরণ সবসময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি বেছে নেয়া হয় নিজের ব্যবসা কিংবা কোম্পানির মার্কেটিং করার জন্য। এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এখানে আপনি চাইলে যেমন বিনামূল্যে মার্কেটিং করতে পারবেন, আবার চাইলে পেইড মার্কেটিংও করতে পারবেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় এই মার্কেটিং খুবই উপযোগী। 

২। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

অনলাইনের বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে পেছনে ফেলে নিজের ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের শুরুর দিকে নিয়ে আসাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বলা হয়। যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ পরিচালনা করতে চান তাদের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হল সেরা অপশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত দুই প্রকার। এর মধ্যে একটি হলো অনপেজ এসইও এবং আরেকটি হলো অফ পেজ এসইও। 

৩।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

কিছুদিন আগেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি জানতো না। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এমন একটি শাখা যেখানে কোনো ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের সাথে কোন একটি পণ্য বা সার্ভিস পারচেজ করার লিংক দেয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক এবং সে ওয়েবসাইটে যদি ভালো পরিমান ভিজিটর প্রতিদিন ভিজিট করে সেক্ষেত্রে এই মার্কেটিং এ সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় । 

৪। ইউটিউব মার্কেটিং 

বলুনতো বিনামূল্যে ভিডিও দেখতে ইচ্ছা হলে আমরা সর্বপ্রথম কোথায় যাই? ঠিক ধরেছেন,আমরা ইউটিউবে ঢুঁ মেরে আসি। সত্যি বলতে এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি কিন্তু ইউটিউব এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও কম নয়। এ কারণেই ইউটিউব মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। ইউটিউব মার্কেটিং হল ইউটিউবের ভিডিওর মাঝখানে নিজের ব্যবসার পণ্য কিংবা কোম্পানির মার্কেটিং করা যাতে করে যারা এই পণ্য কিংবা সার্ভিসগুলো গুলো ব্যবহার করেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। 

৫।কন্টেন্ট রাইটিং 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম প্রধান শাখা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং কে রাখা যেতে পারে। কনটেন্ট রাইটিং হল কোন একটি বিষয় সম্পর্কে যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে সম্পর্কে গুছিয়ে লিখে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যাতে করে যারা লেখাটি পড়বেন তাদের ভালো লাগে। এখন কোনো ব্যবসা বলুন কিংবা নিজের কোম্পানি বলুন, সবকিছুকেই কাস্টমারদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্টের কোন বিকল্প নেই। তাই যারা কন্টেন্ট রাইটিংয়ের সাথে যুক্ত, তাদের বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে সবার কাছে। 

৬। ইমেইল মার্কেটিং 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইমেইল মার্কেটিং তুলনামূলক নতুন হলেও বাইরে বিভিন্ন দেশে কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হিসেবে এটি অত্যন্ত সুপরিচিত। ইমেইল মার্কেটিং হলো একটি ব্যবসার কিংবা কোন একটি কোম্পানির যেসব পটেনশিয়াল কাস্টমার রয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের কাছে ইমেইল সেন্ড করা, যাতে করে তারা সেগুলো পারচেজ করতে আগ্রহী হোন। 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আরো প্রকারভেদ থাকলেও বাংলাদেশে মূলত উপরোক্ত প্রকারগুলোই বেশি জনপ্রিয়।

 

কিভাবে একজন সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন? 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা এবং প্রকারভেদগুলো জানার পর যদি আপনার মনে একজন সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার স্বপ্ন জেগে উঠে থাকে, তাহলে লেখার এই অংশটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। শুরুতেই বলে রাখি, ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া কিন্তু মোটেও একরাতের ব্যাপার নয়। বরং অন্যান্য সেক্টরের মতো এ সেক্টরেও সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন এর পিছনে যথেষ্ট সময় দেওয়া এবং পরিশ্রম করা। একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার ধাপগুলো হলো –

  • ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ গুলোর মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি ভালো লাগে এবং আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন সেক্টরে কাজ করতে চান। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বড় পরিধির ক্যারিয়ার ফিল্ড, এ কারণে আপনার এর যে সেক্টরেই কাজ করতে চান না কেন, আপনার সেই সেক্টরে যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে। এ কারণে আপনি চাইলেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব প্রকারভেদ এ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনাকে যেকোন একটি বেছে নিতে হবে। যেমন ধরুন আপনার যদি সোশাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে আকর্ষণ থাকে, তাহলে সেটিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন৷ আবার যদি ইউটিউব মার্কেটিং কিংবা এসইওতে স্কিল ডেভেলপ কর‍তে চান সেটিও করতে পারেন৷ মোটকথা, শুরুতেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যেকোন একটি সেক্টর বেছে নিন

 

  • এরপরের কাজটি হলো ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক উপায় রয়েছে। প্রথমত আপনি চাইলে বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে দুটি জিনিসের সাহায্য নিতে হবে। একটি হলো ইউটিউব এবং অপরটি হলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ব্লগ। বর্তমানে ইউটিউবে ডিজিটাল মার্কেটিং সেখানে বিভিন্ন বিস্তারিত ভিডিও রয়েছে যেগুলো আপনি দেখতে পারেন। আবার চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ব্লগ পড়তে পারেন। যদি আপনি বিনামূল্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে না চান তাহলে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। বর্তমানে যেমন বিভিন্ন অনলাইন কোর্স রয়েছে সেরকম কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর কোর্স করিয়ে থাকে। নিজের সুবিধা এবং পছন্দ বুঝে এগুলোর যেকোন একটিতে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। সবসময় মনে রাখবেন, আপনি কিভাবে শিখছেন সেটি বড় কথা নয়। আসল কথা হলো আপনি নিজের স্কিল বাড়ানোর পেছনে কতটুকু পরিশ্রম করছেন সেটি। 

 

  • ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সময় থেকেই একটু একটু করে প্র‍্যাকটিস শুরু করে দিন৷ এতে করে কাজের প্রতি দক্ষতা বাড়বে এবং প্র‍্যাকটিকাল এক্সপেরিয়েন্সও বাড়বে। 

 

  • যখন নিজের স্কিল নিয়ে কনফিডেন্ট ফিল করবেন, তখন কাজ খোঁজা শুরু করতে পারেন। চাইলে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট যেমনঃ ফাইভার বা আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, আবার চাইলে ফেসবুক বা লিংকডইনের মাধ্যমেও কাজ খুঁজতে পারেন। আবার অনেকে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিও শুরু করেন। তবে যেভাবেই কাজ খুঁজুন না কেন, কাজ খোঁজার আগে কিন্তু নিজেকে এ সেক্টরে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে নিতে হবে। 

 

  • মনে রাখবেন, হয়তো শুরুর দিকে বেশি কাজ পাবেননা, কিন্তু যখন ক্লায়েন্টদেরকে ভালো সার্ভিস দিতে পারবেন এবং টাইম মেইনটেইন করতে পারবেন, তখন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার হাতে ভালো পরিমাণ কাজ আসা শুরু করবে। তাই সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে ক্লায়েন্টদেরকে সর্বোচ্চ কোয়ালিটির সার্ভিস দেয়া অত্যাবশ্যক। মূলত এই ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমেই কেউ হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার! এটুকুই ছিলো ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে এই সেক্টরে সফল হতে পারবেন সেই বিষয়ে আলোচনা। আশা করি যারা এই ফিল্ডে আসতে চান, তারা এই গাইডলাইন পড়ে সে অনুযায়ী ধৈর্য্য সহকারে কাজ করবেন এবং নিজেদের সফলতার পথ সুগম করবেন!

Leave a Comment