পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন বুঝতে পারছেন না? এই Most Helpful গাইডলাইন থেকে জেনে নিন বিস্তারিত : 2023

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কি? পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন? এ প্রশ্নগুলো যদি আপনার মনে উঁকি দিয়ে থাকে, তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেক্টরটি হয়ে উঠেছে সবার কাছে দারুণ সমাদৃত। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংকেই সবাই বুঝে থাকেন। কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মার্কেটিং করার জন্য সবাই এই মূলত দুটো প্লাটফর্মেরই সাহায্য নিয়ে থাকেন। 

তবে বেশীরভাগই জানেন না, পিন্টারেস্ট নামক আরো একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম রয়েছে, যেটিতে নিজের বিজনেস কিংবা সার্ভিসের মার্কেটিং করলে খুব দ্রুতই ভাল আউটপুট পাওয়া সম্ভব। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানাবো পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে এ টু জেড গাইডলাইন। 

পিন্টারেস্ট সম্পর্কে জানুন 

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে চলুন পিন্টারেস্ট সম্পর্কে একটু জেনে আসা যাক। বর্তমানে পিন্টারেস্টের অ্যাক্টিভ ইউজারের সংখ্যা ৪৫০ মিলিয়নেরও বেশি। এই পিন্টারেস্ট মূলত একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তবে অন্যান্য প্লাটফর্মের চেয়ে এটি একটু আলাদা। কারণ পিন্টারেস্টে মূলত বিভিন্ন ধরনের ভিজুয়াল কনটেন্ট (ইমেজ ও ভিডিও) পোস্ট করা হয়। এই ভিজুয়াল কন্টেন্টগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন: আর্ট, ডিআইওয়াই, মেকআপ, ফ্যাশন, ফ্যামিলি, রিলেশনশিপ, হোম ডেকর, সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ক্যারিয়ার ইত্যাদি আরো নানা রকম ক্যাটাগরি৷ 

পিন্টারেস্ট ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে সেখানে নিজের ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে হবে। তারপর সার্চ বার ব্যবহার করে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করলেই আপনারা নিজের পছন্দের যেকোনো ধরনের কন্টেন্ট খুঁজে পাবেন। 

এখন পিন্টারেস্টের কয়েকটি টার্ম সম্পর্কে জেনে নিন। 

পিন: পিন্টারেস্টে শেয়ার করা কনটেন্টগুলোকে পিন বলা হয়। পিন্টারেস্টের এই পিনগুলোতে ক্লিক করার পর আপনারা রি-ডিরেক্টিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্লগ বা বিজনেস ওয়েবসাইটও ভিজিট করতে পারবেন। 

রি-পিন: আপনাদের ফেসবুকে কারো পোস্ট ভাল লাগলে আপনারা সেই পোস্ট শেয়ার করেন, তাইনা? পিন্টারেস্টের রি-পিনও ঠিক একই কাজ করে। যখন অন্য একজন আপনার কোন পিন ভালো লাগলে সেই পিন নিজের বোর্ডে শেয়ার করে, তখন সেটিকেই রি-পিন বলে। 

রিচ পিন: রিচ পিন হল এমন এক ধরনের পিন যেখানে সাধারণ পিনের চাইতে বেশি ইনফর্মেশন ইনপুট করা হয়। রিচ পিন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন: প্রোডাক্ট রিচ পিন, আর্টিকেল রিচ পিন, রেসিপি রিচ পিন ইত্যাদি। 

শুধু তাই নয়, এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের পিন ইট অপশনটি ইউজ করে আপনারা নিজেদের পছন্দের কন্টেন্টগুলো আলাদা আলাদা করে একটি ভার্চুয়াল পিন পোর্ডে সেভ করে রাখতে পারবেন৷ এই পিন বোর্ডের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার পিনগুলো সেভ ও অরগানাইজ করতে পারবেন। 

একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই। ধরুন, আপনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। এখন একটি জামার ডিজাইন করার জন্য আপনার কিছু ইন্সপিরেশন প্রয়োজন। সেজন্যে পিন্টারেস্টে সার্চ করলেই আপনি বিভিন্ন রকম ডিজাইন সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাবেন। তারপর সেগুলো নিজেদের পিনবোর্ডে সেভ করে রাখতে পারবেন। 

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কি ও কেন করবেন? 

যখন পিন্টারেস্টের পিনের মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সম্পর্কে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের কাছে মার্কেটিং করবেন, সেটিকে সহজ ভাষায় পিন্টারেস্ট মার্কেটিং বলা হয়। তবে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসের মার্কেটিং করার পাশাপাশি বর্তমানে অনেক ব্লগার রয়েছেন, যারা নিজেদের ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট সাইটে ট্রাফিক বাড়াতেও পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করেন। 

জেনে রাখা ভালো, পিন্টারেস্টে পার্সোনাল ও বিজনেস দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট বিদ্যমান রয়েছে। 

এক্ষেত্রে মার্কেটিং করার জন্য ইউজ করতে চাইলে আপনাদেরকে পিন্টারেস্টের বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। 

কেন জানেন? কারণ বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করলে আপনারা পিন্টারেস্ট অ্যানালিটিক্স, ভিজুয়াল সার্চ টুল, নেটিভ ভিডিও প্লেয়ার এই ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন, যা মার্কেটিংয়ের কাজগুলো আরো নিঁখুতভাবে করতে সাহায্য করে। সেই সাথে যদি আপনাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিজনেস  পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্টে পেইড অ্যড ক্যাম্পেইন রান করতে পারবেন। 

কিভাবে বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?

  • পিন্টারেস্টে বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য শুরুতে এই লিংকে ক্লিক করুন। তারপর আপনার ইমেইল, নতুন পাসওয়ার্ড এবং আপনার বয়স এন্টার করে ক্রিয়েট একাউন্ট অপশনে ক্লিক করুন। 
  • তারপর আপনার বিজনেসের কিছু বেসিক ইনফরমেশন যেমন বিজনেস এর নাম, ল্যাঙ্গুয়েজ এবং লোকেশন জানতে চাওয়া হবে। সেগুলো ফিলাপ করার পর আপনার বিজনেস কোন ধরনের সেটি ইনপুট করতে হবে। 
  • সবশেষে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক জানতে চাওয়া হবে। তারপরেই আপনার বিজনেস অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করা হয়ে যাবে। তখন আপনি আপনার বিজনেস রিলেটেড পিন করতে পারবেন এবং চাইলে অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করতে পারবেন। 

এখন প্রশ্ন হলো পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কেন করবেন? 

সত্যি বলতে যত দিন যাচ্ছে, পিন্টারেস্টের জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। ২০২২ সালের ১০টি জনপ্রিয় এবং অ্যাক্টিভ ইউজার থাকা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের তালিকায় পিন্টারেস্টের অবস্থান ছিল ৫ম। 

তাই এটুকু নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে, যদি আপনারা পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করেন, তাহলে নিজেদের ব্লগিং সাইটের ট্রাফিক যেমন বাড়াতে পারবেন, নিজেদের বিজনেসের সেল বা ব্র্যান্ডের পরিচিতিও বাড়িয়ে তুলতে পারবেন অনেকগুণে। 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এমন বহু মানুষ রয়েছেন যারা পিন্টারেস্টে ঘাটাঘাটি করতে গিয়েই একটি নতুন ব্র্যান্ড বা বিজনেস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং সেখান থেকে পারচেজ করেছেন। আশা করি এখন আপনারা বুঝতে পারছেন, যদি সঠিকভাবে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই নিজের ব্যান্ডের পরিচিতি অথবা বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। 

Read More

টিকটক ড্রপশিপিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন : Most Helpful Guideline 2023

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করে বিজনেসে সফল হতে চাইলে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট টিপস ফলো করতে হয়। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করার উপায় সম্পর্কে। 

১। মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজি তৈরি করা

যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে মার্কেটিং করার আগে কিভাবে মার্কেটিং করা হবে তার একটি প্ল্যান তৈরি করতে হয়। কাজেই পিন্টারেস্ট মার্কেটিং শুরু করার আগেও আপনাদেরকে একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ডিজাইন করতে হবে। 

  • এক্ষেত্রে শুরুতেই আপনাদেরকে নির্ধারণ করতে হবে আপনারা কেন পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করবেন। অর্থাৎ আপনার উদ্দেশ্য কি ব্লগ সাইটে ট্রাফিক আনা নাকি বিজনেসের সেলস বাড়ানো – এই বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার হয়ে নিতে হবে। 
  • সেই সাথে আপনি কত দিনের মধ্যে কত সংখ্যক ট্রাফিক বা সেল চাইছেন তাও সেট করে ফেলতে হবে। 
  • একই সাথে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ডিজাইন করার সময় আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা সেটিও ক্লিয়ারলি ডিফাইন করতে হবে। 

২। হেল্পফুল ও আই ক্যাচিং কন্টেন্ট পিন করা

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপটি হচ্ছে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের ডিমান্ড ও পেইন পয়েন্ট মাথায় রেখে আই ক্যাচিং কন্টেন্ট ডিজাইন করা এবং সেই সাথে অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ইমেজ ও ভিডিও দুই ধরনের কনটেন্টই পিন করা। এক্ষেত্রে ইমেজ ও ভিডিও দুটোর কোয়ালিটি যেন হাই হয় তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। 

ইমেজ ডিজাইনের কিছু টিপস

  • ইমেজ ডিজাইনের ক্ষেত্রে সিম্পল ডিজাইনই প্রেফারেবল। সেই সাথে ইমেজে খুব বেশি স্পেস ফাঁকা রাখবেননা আবার খুব বেশি ঘিঞ্জি ডিজাইনও করবেন না। 
  • অনেকে মনে করেন, পিন্টারেস্ট এর ইমেজ ডিজাইন করার জন্য দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়া আবশ্যক, যা একেবারেই সত্যি নয়। আপনারা ক্যানভা, পিক মাংকি কিংবা অডোবি এক্সপ্রেস নামক ওয়েবসাইটের সাহায্যেই আকর্ষণীয় ইমেজ ডিজাইন করতে পারবেন। যদি আগে এই ওয়েবসাইটগুলো ইউজ করে না থাকেন, তাহলে ইউটিউবের সাহায্য নিন। আশা করি তাহলে আর কঠিন লাগবে না। 
  • পিনের রিচ বাড়াতে ইমেজের অল্টার টেক্সটে কি-ওয়ার্ড অ্যাড করতে ভুলবেননা। 
  • ভিডিও কন্টেন্টের ক্ষেত্রে ৩০-৯০ সেকেন্ড ডিউরেশনই বেস্ট। 

পিন্টারেস্টের প্রতিটি কন্টেন্ট ডিজাইন করার ক্ষেত্রে সবসময় মনে রাখবেন, টার্গেট অডিয়েন্স কখনোই আপনার বায়ারে কনভার্ট হবেনা, যদি আপনি তাদেরকে তাদের প্রবলেম সলভ করতে হেল্প না করেন। এক্ষেত্রে আপনার প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস অনুযায়ী যারা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স, তাদের পার্সপেক্টিভ থেকে চিন্তা করে তারপর কন্টেন্ট ডিজাইন করে পিন করুন।

সেই সাথে পরামর্শ থাকবে, কখনোই র‍্যানডমলি কন্টেন্ট পিন করবেন না। বরং এমন কনটেন্ট শেয়ার করুন, যা সত্যিকার অর্থেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে হেল্প করতে পারবে। কারণ আপনি যদি তাদেরকে বোঝাতে না পারেন যে আপনার প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস তাদেরকে অ্যাডভান্টেজ দিতে সক্ষম, তাহলে কিন্তু যত কনটেন্ট পোস্ট করুন না কেন, সাকসেসফুল হওয়া সম্ভব হবেনা। সেই সাথে সব সময় নিজের কন্টেন্টগুলো কম্পিটিটরদের চাইতে ইউনিক রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে লয়াল কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। 

৩। কন্টেন্ট সঠিকভাবে ডিসট্রিবিউট করা

পিন্টারেস্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ভাল আউটপুট আনতে চাইলে আপনার পোস্ট করা কনটেন্টের ডিস্ট্রিবিউশন যেন সঠিক হয় তা শুরুতেই নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত আপনার বিজনেসের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস রিলেটেড ভিজুয়াল কনটেন্ট পিন্টারেস্ট বোর্ডে শেয়ার করুন। 

পিন্টারেস্ট বোর্ডের সুবিধা হচ্ছে প্রতিটি বোর্ড আপনার পোস্ট করা সেইম ক্যাটাগরির সব ভিজুয়াল কনটেন্ট বা পিন সেভ করে রাখে এবং তা আপনার সব ফলোয়ার বা পটেনশিয়াল কাস্টমারদের কাছে রিচ করতে সহায়তা করে। এ কারণে একটি বোর্ডের মধ্যে সব ক্যাটাগরির পিন সেভ না করে প্রতিটা ক্যাটাগরির পিনের জন্য সেপারেট বোর্ড রাখুন। 

তারপর যদি আপনার অ্যাকাউন্টের রিচ ও এনগেজমেন্ট বাড়াতে চান, তাহলে পিন্টারেস্টের জনপ্রিয় গ্রুপ বোর্ড ফিচারটি ব্যবহার করুন। এতে করে অন্য কন্ট্রিবিউটরদের সাথে আপনার এনগেজমেন্ট বাড়বে। 

৪। কমিউনিটি বিল্ড আপ করা

এরপর আসি পিন্টারেস্ট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে, যেটি হচ্ছে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সমন্বয়ে একটি কমিউনিটি বিল্ড আপ করা, যার মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন এবং পরবর্তীতে এখান থেকে সেল জেনারেট করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে যখন আপনারা আপনাদের অ্যাকাউন্টের বায়ো, প্রোফাইল, বোর্ড টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং সেইসাথে যখন একেকটি কন্টেন্ট পিন করবেন, তখন প্রত্যেকটির সাথে উপযুক্ত কি-ওয়ার্ড ইউজ করুন। 

আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের নামের পাশাপাশি অন্যান্য রিলেটেড কি-ওয়ার্ডও খুঁজে বের করুন, যেগুলো আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে খাপ খায়। কারণ এই কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমেই কিন্তু পটেনশিয়াল কাস্টমাররা পিন্টারেস্টের সার্চ বারে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে সার্চ করবে। 

তবে কোন কিওয়ার্ডগুলো ইউজ করবেন তা আপনাকেই সময় নিয়ে সার্চ করে করে খুঁজে বের করতে হবে। যদি একবার পারফেক্ট কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে পেয়ে যান, তাহলে দ্রুত নিজের ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন এবং লয়াল কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। 

কমিউনিটি বিল্ড আপ করার কাজটি আরেকটু সহজ করে তুলতে আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক আপনার অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে শেয়ার করুন। বিশেষ করে লিঙ্কডইনে শেয়ার করলে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এর পাশাপাশি পিন্টারেস্টে যারা আপনার কম্পিটিটর, তারা কোন ট্রিকগুলো ব্যবহার করে তাদের কমিউনিটি বিল্ড আপ করছে তা একটু রিসার্চ করে বোঝার চেষ্টা করুন। এতেও অনেকটুকু আইডিয়া পাবেন। 

৫। কমিউনিকেশন ও ইন্টার‍্যাকশন বাড়ানো

যখন আস্তে আস্তে পিন্টারেস্টে আপনার ফলোয়ার বাড়তে শুরু করবে, তখন তাদেরকে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করতে উৎসাহিত করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট কোড অফার করতে পারেন। আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন, এই ডিসকাউন্ট কোড বা অফার একজন পটেনশিয়াল কাস্টমারকে বায়ারে পরিণত করতে অনেকাংশেই সাহায্য করে। তাই এই ট্রিকটি ফলো করতে পারেন। 

একইসাথে আরো পরামর্শ থাকবে, পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করার শুরুর দিকে যারা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হতে পারে, তাদের অ্যাকাউন্ট ফলো করুন এবং তাদের সাথে বিভিন্নভাবে ইন্টার‍্যাক্ট করুন। যেমন: তাদের পোস্টে লাইক দিতে পারেন,কমেন্ট করতে পারেন আবার চাইলে তাদের কোন পোস্ট ভাল লাগলে তা রি-পিনও করতে পারেন। 

তারপর যদি কেউ ইনবক্সে আপনাকে রিচ করে, তাহলে তাদেরকেও বিনয়ের সাথে রিপ্লাই করুন। এতে করে আপনি তাদের সাথে জেনুইন কানেকশন তৈরি করতে পারবেন এবং এই কানেকশন থেকেই পরবর্তীতে আপনার থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে তারা ইনফ্লুয়েন্সড হবে। 

৬। অন্যান্য সোশাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের হেল্প নেয়া

পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করে বিজনেসে সেল জেনারেট করার জন্য শুধুমাত্র আপনার অ্যাকাউন্টের লিংকই নয়, সেই সাথে আপনার পোস্ট করা প্রতিটি কনটেন্ট আপনার অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন। এতে করে অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কে থাকা আপনার ফলোয়াররা আপনাকে পিন্টারেস্টে ফলো করতে পারবে। 

সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিজের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও লিঙ্কডইনে নিজের পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট লিংক করে রাখতে পারেন এবং প্রতিটি পোস্ট পিন্টারেস্ট থেকে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত গ্রো করতে সক্ষম হবেন। 

এভাবেই আপনারা পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করার মাধ্যমে নিজেদের বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তুলতে পারেন। 

প্রো টিপস 

তবে হ্যাঁ, মার্কেটিং করে যেমন আউটপুট আসছে তা বোঝার জন্য পিন্টারেস্ট অ্যানালিটিক্স নিয়মিত চেক করতে ভুলবেন না। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্টের গ্রোথ কেমন হচ্ছে, কতজন অডিয়েন্স আপনার পিন সেভ করছে এবং রি-পিন করছে, অডিয়েন্স কেমন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্ট ভিজিট করছে ইত্যাদি বিষয়গুলো। যদি নিয়মিত পিন্টারেস্ট অ্যানালিটিক্স চেক করেন, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সঠিক রয়েছে কিনা এবং এখানে কোনো চেঞ্জ আনা প্রয়োজন কিনা। 

শেষ কথা

এটুকুই ছিল পিন্টারেস্ট মার্কেটিং নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, আপনারা পিন্টারেস্ট মার্কেটিং কিভাবে করবেন সেটি বুঝতে পেরেছেন। সত্যি বলতে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি বাংলাদেশের অত জনপ্রিয় না হওয়ায় শুরুর দিকে আপনাদের অভ্যস্ত হতে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে ধৈর্য না হারিয়ে চেষ্টা করবেন প্রতিদিন অন্তত ৫টি পিন শেয়ার করার। এরপর আস্তে আস্তে পিনের সংখ্যা বাড়াতে থাকুন। দেখবেন, আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে যে উদ্দেশ্য নিয়ে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং করছেন সেটিতেও সফল হতে পারবেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment