ফেসবুক থেকে আয়- এ কথাটি কয়েকবছর আগেও যেন অসম্ভব ছিল। কারণ তখন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করতো নতুন নতুন বন্ধু বানানোর জন্য,প্রিয়জনের সাথে সাথে কলে কিংবা মেসেজে যোগাযোগ করার জন্য, ছবি পোস্ট করার জন্য অথবা নিজের মনের কথাগুলো স্ট্যাটাস আকারে লিখে রাখার জন্য। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, সময়ের বদলের পাশাপাশি ফেসবুকের কার্যকারিতাতেও এসেছে ভিন্নতা। আর তাই এখন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা অসম্ভব কিছু নয়। বর্তমানে ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। কি? সেই উপায়গুলো জানতে ইচ্ছা হচ্ছে তাইনা? আজকে আমি আপনাদের জানাবো ফেসবুক থেকে আয় করার এমন কিছু উপায় সম্পর্কে, যেগুলো জানলে নিজেদের অলস সময়কে কাজে লাগিয়ে আপনারা বাড়িতে বসেই ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করবেন কেন?
আমি জানি এখন স্বাভাবিক ভাবে সবার মাথায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাবে। সেটি হচ্ছে আশেপাশে এত আয়ের মাধ্যম থাকতে ফেসবুক থেকেই আয় করবেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি একটু ভেঙ্গে বুঝিয়ে বলছি যে কেন ফেসবুক অন্যান্য আয়ের মাধ্যম গুলোর তুলনায় অনেক উন্নত।
- স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারণে আমরা এখন সবাই কমবেশি ফেসবুক ব্যবহার করি। ফেসবুকের ইউজার ইন্টারফেস এমনভাবে ডিজাইন করা যাতে করে সবাই খুব সহজে এটি ব্যবহার করতে পারে। তাই ফেসবুক কিভাবে অপারেট করতে হয়, সেটি আমাদের সবারই জানা। একারণে যখন আপনি ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলো জানবেন, তখন আপনি দ্রুতই সেগুলো ফলো করে কাজ করা শুরু করতে পারবেন।
- যদি আমি আয়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হিসেবে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কথা বলি, তাহলে একটি কথা বলতেই হয়। সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই শুরুতে কোন না কোন একটি মাধ্যমে স্কিলড হতে হবে। কিন্তু আমাদের সবার তো আর সেভাবে স্কিল থাকেনা। তাছাড়া সবাই ফ্রিল্যান্সিং করতে চান না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কম্পিউটার থাকা, ভালো ইংরেজি জানা, টেকনিক্যাল স্কিল থাকা খুবই প্রয়োজন। পক্ষান্তরে ফেসবুকে কিন্তু এসব বিষয় অত বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই রয়েছেন যারা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই প্রতিমাসে ফেসবুক থেকে আয় করছেন। শুধু তাই নয়, আপনি যদি ইংরেজিতে তেমন দক্ষ নাও হয়ে থাকেন, তাহলেও ফেসবুক থেকে আয় করতে তেমন কোনো সমস্যা ফেস করতে হবেনা।
- যদি সাধারন চাকরির কথা বলি, তাহলে আপনারা সবাই জানেন, যে কোন চাকরিতে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে বসে কাজ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যেমন যাওয়া-আসায় অনেক সময় খরচ হয়ে যায় তেমনি বাড়িতে ফিরেও বিশ্রাম নেয়ার সময় পাওয়া যায়না। আবার যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করতে যান, সেক্ষেত্রেও নতুন অবস্থায় ক্লায়েন্ট পেতে বেগ পেতে হয়। অপরদিকে যদি আয়ের মাধ্যমে হিসেবে ফেসবুক বেছে নেন, তাহলে বাড়িতে বসে কাজ করেই প্রতিমাসে ভালো অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কারণ ফেসবুকে আয়ের কাজগুলো অনলাইনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে৷ এখানে যেমন নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজ করতে পারবেন, তেমনি হাতে থাকা অবসর সময়কেও উপভোগ করতে পারবেন৷
- মহামারী করোনার পর বহু মানুষ তাদের চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছেন। আর চাকরির বাজার কতটুকু কম্পিটিটিভ সেটি নিশ্চয়ই নতুন করে বলে দিতে হবেনা। তাই চাকরি পাওয়াও কিন্তু বেশ কঠিন। তারা যদি ফেসবুক স্ক্রল করে সময় নষ্ট না করে এই প্ল্যাটফর্মটিকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়েই স্বনির্ভর হতে পারছেন এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন।
সুতরাং নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ফেসবুক থেকে আয় করতে পারলে খুব সহজেই ঘরে বসে নিজের পছন্দমত যেকোনো সময়ে কাজ করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারবেন।
ফেসবুক থেকে আয় করার ৫টি উপায়
সত্যি বলতে ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তবে আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে ভালো কয়েকটি উপায় নিয়ে এখন আলোচনা করব। আশা করি আপনারা এগুলোর মধ্যে থেকে নিজেদের পছন্দমতো উপায়টি বেছে নেবেন।
০১। ফেসবুকে ফ্যানপেইজ ক্রিয়েটের মাধ্যমে
ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ডিরেক্টলি আয় করার কোন অপশন দেয়নি। এ কারণে যদি আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই একটি ফ্যান পেইজ ক্রিয়েট করে নিতে হবে। এই ফ্যানপেজের মূল সুবিধাই হচ্ছে এখানে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মতো কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেয়ার ঝামেলা নেই। কেউ চাইলে নিজেই আপনার পেজ খুঁজে নিতে পারবেন, আবার চাইলে আপনি মানুষকে আপনার পেইজে লাইক দেওয়ার জন্য ইনভাইট করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কোন টপিকে নিজের ফ্যান পেইজ ক্রিয়েট করবেন। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহের উপর নির্ভর করে। চাইলে সংবাদভিত্তিক পেইজ তৈরি করতে পারেন, আবার চাইলে ট্রাভেল কিংবা ফুডব্লগিংও বেছে নিতে পারেন। এগুলোর পাশাপাশি এখন অনেকেই বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আপলোড করার জন্য ফেসবুক ফ্যান পেইজ ক্রিয়েট করছেন এবং ফেসবুক থেকে আয় করছেন ।
তবে এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হচ্ছে ফ্যানপেইজ থেকে কিন্তু শুরুতেই আয় করা সম্ভব নয়। তাই ফ্যানপেইজের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় প্রথম কাজটি হলো ফ্যানপেইজটি গ্রো করানো। এজন্যে পেইজের লাইক বাড়াতে হয় এবং ভালো মানের কনটেন্ট পাবলিশ করতে হয়। পেজের লাইক বাড়ানোর জন্য পেজ বুস্ট করতে পারেন অথবা বেশি বেশি মানুষকে ইনভাইট করতে পারেন। আর কনটেন্ট এর ক্ষেত্রে বলবো এখন বেশিরভাগ মানুষই তাদের পেইজে ভিডিও আপলোড করে থাকেন। তবে চাইলে ভিডিওর পাশাপাশি ছবি এবং তথ্যবহুল আর্টিকেলও পোস্ট করতে পারেন। এভাবে যখন পেইজে লাইক বাড়তে থাকে এবং পেইজের ভিডিও প্রচুর মানুষ দেখা শুরু করে তখনই মূলত ফ্যান পেইজ থেকে আয় করা শুরু হয়।
আরো পড়ুনঃ বিটকয়েন কি? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে? বিটকয়েন থেকে বিকাশ কিভাবে টাকা তোলা যায়?Best Guideline 2022
ফেসবুক ফ্যানপেইজ থেকে যেভাবে আয় হয়
- যখন আপনার ফ্যান পেইজে ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়বে, তখন আপনি চাইলে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সরশিপ নিয়ে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। আবার চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিন্তু ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব। যদি আপনি কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট পার্টনার হয়ে থাকেন, তাহলে সেটির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসের লিংক আপনার পেইজে শেয়ার করতে পারেন এবং কেউ যদি সেই লিংক থেকে কেনাকাটা করে তাহলে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি এখন অনেকেই রয়েছেন যারা ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিংয়ের সাথে যুক্ত। এই ইনফ্লুয়েন্সারদের ফ্যান পেইজে প্রচুর ফলোয়ার থাকে। তারা ফেসবুকে লাইভের মাধ্যমে, ভিডিও বা ছবি পোস্ট করে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোট করে থাকেন। এই প্রমোট করার পারিশ্রমিক হিসেবে তারা ভালো অংকের টাকা নিয়ে থাকেন।
- এগুলো ছাড়াও ছাড়াও যদি নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারেন, তাহলে ফেসবুক পেইজের ভিডিওগুলো মনেটাইজ করতে পারবেন এবং সেখান থেকেও প্রতি মাসে বেশ ভালো অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ফেইসবুক ফ্যান পেইজ এর ভিডিওগুলো মনেটাইজ করার জন্য প্রথম যে শর্তটি মানতে হবে সেটি হলো আপনার পেইজে অন্তত ১০০০০ কিংবা তার বেশি সংখ্যক ফলোয়ার থাকতে হবে। এর পাশাপাশি যেদিন মনেটাইজেশনের জন্য অ্যাপ্লাই করবেন তার আগের ৬০ দিন পেইজের ভিডিওগুলোতে অন্তত ৩০ হাজার ভিউ থাকতে হবে, এক্ষেত্রে যে ভিডিওগুলোর ডিউরেশন তিন মিনিটের বেশি সেগুলো কাউন্ট হবে এবং ভিডিওগুলো এক মিনিট দেখা হলে একটি করে ভিউ কাউন্ট হবে। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে বাংলাদেশের অনেক মানুষ আয় করছেন। তাই ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে এই উপায়টি ফলো করতে পারেন।
০২। ফেসবুকভিত্তিক বিজনেসের মাধ্যমে
বলুনতো যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের জীবনে কোন জিনিসটির উপস্থিতি বেড়েছে? আমি ই বলে দিচ্ছি। আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে, আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছি যান্ত্রিকতার বেড়াজালে। এই ব্যস্ততার ফলস্বরূপ আমাদের কেনাকাটাও হয়ে গেছে অনলাইনভিত্তিক। এখন অনেক মানুষ কেনাকাটার জন্যেও ফেসবুকের সাহায্য নেন। তাই ফেসবুক থেকে আয় করার অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে আমি বলবো একটি বিজনেসভিত্তিক পেইজ ওপেন করে সেটির মাধ্যমে আয় করা।
ফেসবুক বিজনেস পেইজ হলো ফেসবুকের যে পেইজের মাধ্যমে নিজের বিজনেসের কাজকর্ম পরিচালনা করা হয়। এখনকার দিনে ফেসবুকে অসংখ্য বিজনেস পেইজ রয়েছে, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়ই বিভিন্ন প্রোডাক্ট যেমনঃ পোশাক, জুয়েলারি, কসমেটিকস, গ্রোসারি আইটেম,হোমমেইড খাবার ইত্যাদি সেল করে থাকেন। যত দিন যাচ্ছে ফেসবুক থেকে মানুষের শপিং করার হারও তত বাড়ছে। তাই যদি বিজনেস করার ইচ্ছা থেকে থাকে, তাহলে একটি বিজনেস পেইজ ওপেন করতে পারেন।
ফেসবুকে বিজনেস করে আয় করতে চাইলে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে পেইজে কোন ধরণের প্রোডাক্ট সেল করতে চান। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেলে সে পণ্যগুলো সাপ্লাইয়ার কিংবা কোনো জায়গা থেকে কিনে আনতে হবে। তারপর ফেসবুকে পেইজ ক্রিয়েট করে সেখানে বিজনেস রিলেটেড সঠিক ইনফরমেশন যেমনঃ নাম, লোগো, কভার ফটো, কোন ধরণের বিজনেস ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে। ফেসবুক পেইজ ক্রিয়েট করা হয়ে গেলে পেইজে লাইক দেয়ার জন্য সবাইকে ইনভাইট করতে হবে।
তারপর শুরু হবে আসল কাজ। সেটি হলো প্রোডাক্ট রিলেটেড কন্টেন্ট যেমনঃ ছবি, ক্যাপশন, ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করা, যেন সেগুলো ক্রেতাদের নজরে আসে। এক্ষেত্রে আমি বলবো, কখনোই কারো কন্টেন্ট নকল করা উচিৎ নয়। এতে করে বিজনেস এথিকস বজায় থাকে। এভাবে পেইজে কন্টেন্ট আপলোড করতে করতে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অর্ডার আসা শুরু হয় এবং আয় শুরু হয়।
০৩। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট সেল করে
বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে যারা ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের কাছে একটি বিশ্বস্ত বিজনেস প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ২০১৫ সাল থেকে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস চালু করা হয়। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার বিজনেসের পণ্যগুলোর ছবি এবং বর্ণনা আপলোড করতে পারবেন, যেগুলো দেখে ক্লায়েন্টরা অর্ডার প্লেস করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক মানুষ এই ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। সবচেয়ে বড় কথা, এখানে প্রোডাক্ট সেল করতে কোনো বাড়তি চার্জ দিতে হয়না৷ তাই চাইলে ফেসবুকের এই ফিচারটি কাজে লাগিয়ে খুব সহজে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
০৪। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে
প্রোডাক্ট সেল করার জন্য ফেসবুক পেইজ এবং ফেইসবুক মারকেটপ্লেস এর পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ এখন সমানভাবে জনপ্রিয়। বিশেষ করে মহিলারা তাদের বিজনেসের বিভিন্ন প্রোডাক্ট যেমনঃ কসমেটিকস, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, জুয়েলারি ইত্যাদি সেল করার জন্য ফেসবুক গ্রুপকে বেছে নেন। যদি আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে চাই , বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রি-অর্ডারভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে যেসব গ্রুপে আপনি বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে নিজের পছন্দমত পণ্য অর্ডার করতে পারবেন। শুধু তাই নয় যারা, বিজনেস পেইজের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রোডাক্ট সেল করে থাকেন তারাও কিন্তু কাস্টমারদের সাথে নিজেদের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ ক্রিয়েট করে থাকেন। তাই বলা যেতে পারে ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য ফেসবুক গ্রুপ বেশ ভালো একটি অপশন।
এর পাশাপাশি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তারাও কিন্তু ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন। অনেক সময় ক্লায়েন্টরা তাদের কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সার প্রয়োজন সেগুলো উল্লেখ করে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করে থাকেন। চাইলে গ্রুপের সেসব পোস্ট দেখে ক্লায়েন্টদের নক করতে পারেন। দেখবেন ভালো সাড়া পেতে পারবেন।
০৫। ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে
অনেকেই রয়েছেন যারা ভালো লেখালিখি করতে পারেন এবং যেকোনো বিষয়কে সুন্দরভাবে গুছিয়ে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। তাদের জন্য ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য একটি ভাল অপশন। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর যাত্রা শুরু হয়। তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়। যদি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কপি-পেস্ট ছাড়া ইউনিক আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে কত টাকা আয় হবে সেটি নির্ভর করে আর্টিকেলগুলোর জনপ্রিয়তা এবং কোন দেশের পাঠকরা পড়ছেন এ দুটি বিষয়ের ওপর। তবে ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় এরা পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
এটুকুই ছিলো ফেসবুক থেকে আয় সংক্রান্ত আজকের আলোচনা। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ফেসবুক এখন আর শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই নয়। বরং বিভিন্নভাবেই ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব। তাই যদি এখান থেকে আয় করতে চান, তাহলে আজকের লেখায় উল্লেখিত উপায়গুলো থেকে নিজের পছন্দমত উপায়টি বেছে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করা শুরু করুন।