ফ্রিল্যান্সারদের ভুল : ক্যারিয়ার গঠন করার সময় ফ্রিল্যান্সাররা কোন ভুলগুলো সবচেয়ে বেশি করে থাকেন? (Biggest Mistakes of Freelancers 2023)

বিগত কয়েক বছর ধরে তরুন সমাজের পছন্দের ক্যারিয়ার গুলোর তালিকায় যুক্ত হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। আপনারা চারপাশে তাকালে দেখতে পাবেন বর্তমানে অনেকেই এই সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছেন। শুধু চিন্তাই নয়, ক্যারিয়ারের এই দারুণ সম্ভাবনামায় সেক্টরে সাফল্যের সাথে কাজ করছে হাজার হাজার তরুণ। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে চলার পথটা সবসময় কি মসৃণ? মোটেও না। অন্যান্য ক্যারিয়ার ফিল্ড এর মত ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রেও ফ্রিল্যান্সাররা নানা রকম ভুল করে থাকেন, যেগুলো পরবর্তীতে তাদের ক্যারিয়ার সাকসেসফুল করার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করতে পারে। আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সারদের করা কমন কিছু মিসটেক সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সারদের ভুল সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা ধারণা পাবেন এই ক্যারিয়ার ফিল্ডের কোন ভুলগুলো করা থেকে আপনাদেরকে বিরত থাকতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল সবচেয়ে বেশি কোন গুলো?

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০১ : কোথায় ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন সেটি নিয়ে পর্যাপ্ত রিসার্চ না করা

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই হয় সেটি হলো কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখা হবে সেটি নিয়ে পর্যাপ্ত ঘাঁটাঘাটি না করে যেনতেন একটি ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া এবং সেখান থেকে কোর্স কমপ্লিট করা। 

 

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যে ঘটনাটি খুব বেশি চোখে পড়ে তা হল যখন কোন বিষয় নিয়ে খুব বেশি হাইপ তৈরি হয় , তখন সে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মানুষকে ঠকানোর জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লাগে।

 

এ ব্যাপারটি ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রেও একই রকম। এখনকার সময় এমন অনেক ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে যেগুলোতে কোন এক্সপার্ট মেন্টর না থাকা সত্ত্বেও তারা মানুষকে আকর্ষণ করার মত বিজ্ঞাপন প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপন গুলো দেখে মানুষ সে ইনস্টিটিউট সম্পর্কে পর্যাপ্ত রিসার্চ না করে ভর্তি হয়ে যান এবং পরবর্তীতে সঠিকভাবে কোর্স কমপ্লিট করতে না পারায় তাদের স্কিল প্রোপারলি ডেভেলপ হয় না। এতে করে তারা যখন ফ্রিল্যান্সিং করতে শুরু করেন, তখন তারা দেখেন তারা ক্লায়েন্ট পাচ্ছেন না এবং এ থেকে হতাশ হয়ে যান। 

 

এটি সত্যিকার অর্থে অনেক বড় ভুল এবং এই ভুল থেকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার রীতিমতো ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইন যেখান থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান না কেন, অবশ্যই একটু রিসার্চ করে নিন। 

 

এক্ষেত্রে গুগলে সার্চ করতে পারেন বা তাদের ফেসবুক পেজের সাহায্য নিতে পারেন কিংবা কোন ফ্রিল্যান্সিং গ্রুপেও ওই ইনস্টিটিউট সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। এতে করে আপনাদের কষ্টের টাকা যেমন ভুল জায়গায় অপচয় হবে না এবং একই সাথে আপনারা সঠিকভাবে নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। 

 

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০২: ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব সেক্টরে একসাথে স্কিল ডেভেলপ করতে যাওয়া

কম বেশি সব ফ্রিল্যান্সারের মধ্যেই একটি প্রবণতা থাকে ফ্রিল্যান্সিং এর যতগুলো সেক্টর রয়েছে সবগুলোতে একসাথে স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করা। যেমন ধরুন: একজন তরুণ গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে শুরু করলেন। তখন তার হঠাৎ করে মনে হল ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট শিখলে মন্দ হয় না। তখন তিনি সাথে সাথে ওয়েব ডিজাইন শিখতে শুরু করে দিলেন। এই যে তিনি একসাথে দুটো সেক্টরে স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা শুরু করলেন, এতে করে কিন্তু কোন সেক্টরের কাজই তিনি পারফেক্টলি শিখতে পারবেন না। এর বাজে প্রভাব পড়বে যখন তিনি ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস দেয়া শুরু করবেন তখন।

 

সব সময় মনে রাখবেন, যদি আপনি একজন এক্সপার্ট লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে একটি স্কিল এমনভাবে শিখতে হবে যেন ওই স্কিল রিলেটেড একজন ক্লায়েন্টের যত রকম কাজ রয়েছে আপনি সব রকম কাজ পারফেক্টলি করে ফেলতে পারেন। এ কারণে কখনোই একসাথে অনেকগুলো সেক্টরে স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করা যাবে না। 

 

বরং পরামর্শ থাকবে একটি করে সেক্টরে নিজের স্কিল প্রোপারলি ডেভেলপ করে তারপর ইচ্ছা হলে অন্য সেক্টরে কাজ শেখা। যেমন ধরুন, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একজন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং এই সেক্টরে অনেকদিন কাজ করার এক্সপেরিয়েন্স অলরেডি থেকে থাকে ,সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। 

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০৩: অন্য ফ্রিল্যান্সারদের ক্যারিয়ার গ্রোথের সাথে নিজের ক্যারিয়ার গ্রোথ তুলনা করা

আপনারা নিশ্চয়ই ছোটকালে শিক্ষকদের মুখে একটি কথা শুনেছেন যেটি হল কখনো অন্যদের সাথে তুলনা করে নিজের অবস্থান মাপতে হয় না। এই ব্যাপারটি কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। বলা যেতে পারে ফ্রিল্যান্সারদের ভুলের তালিকায় এটির অবস্থান একদম শুরুর দিকে। 

 

বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করার পর যেসব ফ্রিল্যান্সাররা অনেকদিন ধরে এ ফিল্ডে কাজ করে নিজের অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে পেরেছেন তাদের সাথে নিজেদের অবস্থানের তুলনা করা শুরু করে দেন। এখান থেকে দেখা যায় তাদের মধ্যে প্রায়শই হতাশা জন্ম নেয় এবং এই হতাশা থেকে তাদের কাজের স্বাভাবিক গতি কমে যেতে থাকে। 

 

আপনাদের সবার প্রতি একটি পরামর্শ থাকবে। সেটি হল সব সময় আপনার নিজের ক্যারিয়ারে কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটি পরিমাপ করুন। মনে রাখবেন, সবার উন্নতির ধারা কিংবা ধরন সমান নয়। তাই অন্য একজন ফ্রিল্যান্সার যতটুকু সময়ে নিজের অবস্থানের পরিবর্তন করতে পেরেছেন আপনার সে সময়ের চাইতে কম সময় লাগতে পারে, আবার ক্ষেত্রবিশেষে কিন্তু বেশি সময়ও লাগতে পারে। তাই নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিন। দেখবেন এতেই আপনার অবস্থানের পরিবর্তন করতে পারছেন।

 

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০৪: ক্লায়েন্টদের কাছে নিজে যতটুকু পেমেন্ট ডিজার্ভ করেন তার থেকে কম পেমেন্ট চাওয়া

আমি জানি আমরা যখন কোন একটি ক্যারিয়ার ফিল্ডে কাজ করতে শুরু করি তখন আমাদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের জীবনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া। ‌ এই স্বাবলম্বী হওয়ার কাজটি করতে যেয়ে ফ্রিল্যান্সাররা যে ভুলটি করেন সেটি হচ্ছে তারা ক্লায়েন্টদের কাছে যখন পেমেন্ট দাবি করেন তখন তারা যে অংকের পেমেন্ট ডিজার্ভ করেন তার থেকে অনেক কম পেমেন্ট চান। 

 

এতে করে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট খুশি হয়ে সে ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করে নেন ঠিকই, কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পরেই ফ্রিল্যান্সারের কাজ করতে আর ভালো লাগেনা। কারণ স্বাভাবিকভাবে তিনি কম পেমেন্ট নেন বলে ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিয়ে তার যে পরিমাণ টাকা আয় করার কথা তিনি সে পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন না। 

 

এখন আমি জানি আপনারা হয়তো বলবেন ,যদি ক্লায়েন্টদের কাছে শুরুর দিকে বেশি পেমেন্ট চাওয়া হয়, তাহলে তো তারা আপনাকে হায়ারই করবেন না। তাহলে কি করা যেতে পারে? এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সেক্টরেই কাজ করুন না কেন, আপনার পেমেন্ট যেন ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড হয় সেদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখুন। 

 

এখানে ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড বলতে আমি বুঝিয়েছি ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার চাওয়া পেমেন্ট যেন অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের চাইতে খুব বেশি না হয়, আবার খুব কমও না হয়।‌ যদি এভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড পেমেন্ট ক্লায়েন্টদের কাছে দাবি করেন ,তাহলে আপনার কাজের প্রতি অনীহা যেমন আসবেনা, একইভাবে দেখতে পাবেন খুব তাড়াতাড়ি প্রতিমাসে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারছেন।

 

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০৫: পোর্টফোলিও তৈরি না করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বেশি বেশি ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিতে হবে। বলতে পারেন, বেশি বেশি ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার আসল সিক্রেট কি? একটি আকর্ষণীয় পোর্টফোলিও।

 

পোর্টফোলিও বলতে মূলত একজন ফ্রিল্যান্সার যে সেক্টরে কাজ করেন সে সেক্টরে তার আগের কমপ্লিট করা কাজের কিছু স্যাম্পলকে বোঝানো হয়। যেমন ধরুন, আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং করে থাকেন তাহলে আপনার পোর্টফলিও হতে পারে আপনার নিজের কোন ওয়েবসাইট, আবার আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার পোর্টফোলিও হতে পারে আপনার ডিজাইন করা কোন টি শার্ট ,ব্যানার কিংবা পোস্টার। 

 

পোর্টফোলিও হচ্ছে একজন ফ্রিল্যান্সারের কাজের দক্ষতা ও তার অভিজ্ঞতার প্রমাণস্বরূপ। এ কারণে যদি আপনি পোর্টফোলিও তৈরি না করেই ফ্রিল্যান্সিং করতে শুরু করেন, তাহলে সত্যি বলতে কোন ক্লায়েন্টই কিন্তু আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নিতে চাইবে না। 

 

তাই পোর্টফোলিও তৈরি না করে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং করার কাজ শুরু করা যাবে না। বরং এ কাজটির পেছনে যথেষ্ট সময় দিতে হবে যেন আপনার পোর্টফোলিও একবার দেখামাত্রই ক্লায়েন্ট নির্দ্বিধায় আপনাকে হায়ার করতে পারেন।

Read More
ডায়াবেটিস কমানোর উপায় – জেনে নিন বাড়িতে বসে ডায়াবেটিস কমানোর Super Effective 10 টি উপায় সম্পর্কে!

ফ্রিল্যান্সারদের ভুল ০৬ : ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেট না করা

ফ্রিল্যান্সারদের ক্যারিয়ার সাকসেসফুল করার জন্য ক্লায়েন্টদের ভূমিকা অপরিসীম। কারণ তাদেরকে সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমেই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের মূল ইনকাম হয়ে থাকে। তাই যদি কোন ফ্রিল্যান্সার তার ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেট না করেন, সেটি হবে তার জন্য একটি অনেক বড় ভুল।

 

এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা ক্লায়েন্টদের সাথে মিটিং করার সময় সঠিকভাবে ক্লায়েন্টের ডিমান্ডের দিকে মনোযোগ দেন না, ক্লায়েন্ট ঠিক কেমন সার্ভিস চাইছেন সেদিকে গুরুত্ব দেন না কিংবা মিটিংয়ের সময় তাদের মনোযোগ ক্লায়েন্টের দিকে না থেকে অন্যদিকে থাকে। 

 

এর ফলাফল কী হয় জানেন? আপনি যখন ক্লায়েন্টের কাজ করতে বসবেন ,তখন দেখতে পাবেন আপনার স্কিল থাকা সত্ত্বেও আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছেন না। কারণ ক্লায়েন্ট যখন আপনাকে ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছিলেন আপনি তখন সেটি মনোযোগ দিয়ে শোনেননি। 

 

শুধুমাত্র তাই নয়, মাঝেমধ্যে দেখা যায় ফ্রিল্যান্সাররা কোন ক্লায়েন্টের প্রোজেক্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারলে ক্লায়েন্টকে সে বিষয়ের আপডেট দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। আবার কাজ করতে গেলে যদি কাজ চলাকালীন সময়ে কোন সমস্যা হয় সে বিষয়েও ক্লায়েন্টকে জানান না। এর ফলে কিন্তু আপনার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। ‌

 

এর পাশাপাশি অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টকে কাজ ডেলিভারি করার পর যদি ক্লায়েন্ট সে কাজের রিভিশন ডিমান্ড করেন, অর্থাৎ কাজে এডিট করে দিতে বলেন,  তখন ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের সাথে মিসবিহেভ করেন। শুধু তাই নয়  যদি কোন ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে সার্ভিস নিয়ে স্যাটিস্ফাইড না হন তাহলেও ফ্রিল্যান্সাররা স্যাটিসফাইড না হওয়ার কারণ বোঝার চেষ্টা না করে উলটো রিয়েক্ট করে বসেন। 

 

এই প্রতিটি কাজই কিন্তু অনেক বড় ভুল। সব সময় মনে রাখবেন ক্লায়েন্টদের সাথে যদি সঠিকভাবে কমিউনিকেশন মেইনটেইন করতে পারেন, তাহলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সাকসেসফুল করার কঠিন কাজটুকু অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে। 

 

এক্ষেত্রে যখনই কোন ক্লায়েন্টের কাজ করবেন তখন তার ডিমান্ড কিংবা তিনি স্পেসিফিক ভাবে কি কি চাইছেন সেগুলো নোট ডাউন করে রাখুন। তারপর যদি কাজ করার সময় কোন কনফিউশন সৃষ্টি হয় তাহলে নির্দ্বিধায় ক্লায়েন্টকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন। 

 

একই সাথে যদি বিশেষ কারণবশত ক্লায়েন্টকে ডেডলাইন মেনে কাজ ডেলিভারি করতে না পারেন, সেটিও বিনয়ের সাথে ক্লায়েন্টকে জানান। সেই সাথে যদি আপনি কাজ ডেলিভারি করার পর ক্লায়েন্ট ডিভিশন ডিমান্ড করেন কিংবা আপনার সার্ভিসকে খুশি না হন সে সময়গুলোতেও মাথা ঠান্ডা রেখে সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করুন।

 

এটুকুই ছিল ফ্রিল্যান্সারদের ভুল নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। এ বড় ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করার একটি উদ্দেশ্য যেটি হল যারা ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করার কথা ভাবছেন তারা যেন এই ভুলগুলো না করেন এবং তাদের ক্যারিয়ার তৈরির কতটুকু যেন একটু হলেও সহজ হয়ে যায়। 

 

পরিশেষে সবার প্রতি পরামর্শ থাকবে, সব সময় নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকুন। ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কোন ক্লায়েন্টকে নিজের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন এই ফিল্ডে উন্নতি করার জন্য কিন্তু কোন শর্টকাট নেই। তাই যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজের ওপর ভরসা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত সাফল্যের দেখা পাবেন।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment