বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সপ্তাহে মৃত্যু ৫৫ হাজার মানুষের।

দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে সারা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০ লাখের বেশি মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ সংক্রমণের হার বেড়েছে এবং মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ।

এ তথ্য জানা যায় গত বুধবার জেনেভায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদন থেকে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাপ্তাহিক বুলেটিনের মাধ্যমে জানানো হয়, গত ৫ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৮৩০ জন।

এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৩ জনের এবং মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৮৬১ জন।

গত সপ্তাহের COVID-19 শনাক্তের জরিপ অনুযায়ী সবচেয়ে শীর্ষ দেশের তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল (৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০ জন), ভারত (২ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৯ জন), ইন্দোনেশিয়া (২ লাখ ৪৩ হাজার ১১৯ জন), যুক্ত্রাজ্য (২ লাখ ১০ হাজার ২৭৭ জন), এবং কলম্বিয়া (১ লাখ ৭৪ হাজার ৩২০ জন)। ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ গুলতে সংক্রমনের হার খুবই বেশি, এখানে প্রতি লাখে ২ হাজার ৪৯৭ জন ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

করোনাভাইরাসের “ডেলটা” ধরনের দুঃশ্চিন্তার মাঝে টিকার মিশ্র ডোজ বা বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত টিকা অদলবদল না করার জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী “সৌম্য স্বামীনাথন”। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, এটা কিছুটা বিপজ্জনক প্রবণতা। নাগরিকেরা যদি টিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ হিসেবে কখন কোন টিকার ডোজ নেবেন সেই সিদ্ধান্ত নেন তাহলে প্রত্যেক দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।

 

প্রধান বিজ্ঞানী আরও বলেন, এ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য তাঁদের কাছে নেই। একই দিন রাতেই নিজের বক্তব্য আরও সুস্পষ্ট করার জন্য তিনি টুইট করে বলেন, এই বিষয়ে কোনো ব্যক্তির একক সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই ঠিক নয়, পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো চাইলে এ সিদ্ধান্ত দিতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কৌশলগত পরামর্শক দল গত জুন মাসে জানায়, করোনার টিকার মিশ্র ডোজ নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিও মূল্যায়ন করা হবে।

Leave a Comment