মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার Best গাইডলাইন 2023

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা কি সম্ভব? 

যাদের কাছে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ নেই, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে চান  তারা প্রায়ই এ প্রশ্নটি করে থাকেন। যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

 

ফ্রিল্যান্সিংঃ সবার পছন্দের ক্যারিয়ার চয়েস

আগেকার সময়ে মানুষের পেশা বলতে শুধুমাত্র চাকুরী কিংবা ব্যবসা বোঝানো হলেও এখন তথ্যপ্রযুক্তির বদলাতে ফ্রিল্যান্সিংও জায়গা করে নিয়েছে মানুষের পছন্দের পেশাগুলোর তালিকার একদম শুরুর দিকে। এর কারণ কি জানেন? নিজের সুবিধাজনক সময়ে নিজের ইচ্ছামত যেকোনো জায়গায় বসে অন্যান্য চাকুরী কিংবা ব্যবসার চাইতে অনেক গুণ বেশি আয় করা যায় ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে। 

 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য একটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ থাকলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় এটি সত্যি, তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করাও সম্ভব। আরো জানতে চান? আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করছি এই লেখাটি সবার অবশ্যই উপকারে আসবে।

 

ফ্রিল্যান্সিং কি?

একটু ভেবে বলুন তো, যদি আপনি একদম বিগিনার হন এবং ফ্রিল্যান্সিং কি সে সম্পর্কে না জানেন, তাহলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় জানা থাকলেও আপনার কোন লাভ হবে? কখনোই নয়। তাই চলুন নতুনদের জন্য শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বোঝানো হয়।

 

একদম সহজ ভাষায় ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি পেশা যেখানে একজন মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন কাজ করার মাধ্যমে বাড়িতে বসে আয় করতে পারে। অর্থাৎ এই পেশায় প্রথমে একজন মানুষ ইন্টারনেটে তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কাজ খুঁজে নেয় এবং তারপর সে কাজটি করার মাধ্যমে সে যে ক্লায়েন্টের জন্য কাজটি করেছে তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের পেমেন্ট রিসিভ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে অনেক মানুষ সাধারণ চাকুরী কিংবা ব্যবসার চাইতে নিজেদের পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিচ্ছেন এই পেশায় থাকা অসাধারণ সব সুবিধার জন্য। 

 

সাধারণত মানুষ যে সব সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন সেগুলো হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন ,ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো একটি সেক্টরে নিজের দক্ষতা বাড়াতে হয়। যেমনঃ আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চান তাহলে আপনাকে শুরুতেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের খুঁটিনাটি সবকিছু শিখতে হবে। তারপর ইন্টারনেটে যে ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো আছে, যেমন: ফ্রিল্যান্সার ডটকম, আপওয়ার্ক কিংবা ফাইভার ইত্যাদিতে নিজের একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। 

 

তারপর এই সাইটগুলোতে গিগ ক্রিয়েশন বা বিডিং করার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করে তাদেরকে তাদের চাহিদামত সার্ভিস দিতে হয় এবং এর বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সাররা টাকা আয় করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইট ছাড়াও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, যেমনঃ ফেইসবুক ইনস্টাগ্রাম কিংবা লিংকডইন ব্যবহার করেও অনেক ফ্রিল্যান্সার বড় অংকের টাকা আয় করছেন। 

 

ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগে? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? 

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে বিভিন্ন সেক্টরগুলো সম্পর্কে আমি কিছুক্ষণ আগে বলেছি সেগুলোর মধ্যে অন্তত একটিতে পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকা উচিত। এগুলোর পাশাপাশি একজন ফ্রিল্যান্সারের ইংরেজি ভাষাতেও যথেষ্ট দখল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনাকে নিজ দেশের পাশাপাশি বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের কাজ করতে হবে। 

 

তাই আপনি যদি ভালো ইংরেজি না জানেন, তাহলে কিন্তু যেসব ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করবেন তাদের সাথে ঠিকমত কমিউনিকেট করতে পারবেন না। তাই শুরুতেই ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোন একটি সেক্টরে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে হয় এবং একই সাথে নিজের ইংরেজির প্রতি দখল বাড়াতে হয়। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হয় সচল ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে এমন একটি ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ।

 

এখন আপনারা নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করবেন ‌মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা। এ প্রশ্নটির উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ ,মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। 

 

আমি জানি আপনারা এখন একটু অবাক হচ্ছেন। কারণ নিশ্চয়ই সব সময় সব জায়গা থেকে শুনে এসেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ভালো মানের ল্যাপটপ কিংবা পিসি থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। সত্যি বলতে আপনার যদি ল্যাপটপ থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেক কাজ আপনার জন্য কিছুটা সহজ হয়ে যাবে ঠিকই ,কিন্তু যদি আপনার কাছে ল্যাপটপ না থাকে তাহলে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে পারেন। 

 

অর্থাৎ মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা কিন্তু মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। তাই আপনি চাইলেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় জেনে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

 

তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব সেক্টরে কাজ করতে পারবেন না। যেমন ধরুন, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে চান, তাহলে আপনার একটি ভালো ল্যাপটপ অথবা পিসি থাকতেই হবে। কারণ ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য যে কোডিং করা প্রয়োজন সেটি আপনি মোবাইলে কখনোই ঠিকভাবে করতে পারবেন না। অর্থাৎ আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সব কাজ করা সম্ভব না হলেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কিছু কিছু কাজ রয়েছে সেগুলো আপনারা মোবাইলের সাহায্যে খুব সহজে করে ফেলতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায়

দেখতে দেখতে আমরা চলে এসেছি আমাদের আজকের লেখার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশে। লেখার এ অংশে আপনাদেরকে জানাবো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। 

  • কনটেন্ট রাইটিং

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় হিসেবে আমি সবার শুরুতে আপনাদেরকে কনটেন্ট রাইটিং সেক্টরটি নিয়ে জানাতে চাই। কনটেন্ট রাইটিং এমন একটি সেক্টর যে সেক্টরে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে ভালো কোয়ালিটির কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আমরা আমাদের আশেপাশে এমন অনেক কন্টেন্ট রাইটারকেই দেখতে পাবো, যাদের কাছে ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ নেই ঠিকই ,কিন্তু তারা নিজেদের স্মার্ট ফোনে নিয়মিতভাবে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। 

 

আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করেন ,তাহলে বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে যেমন ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন ,তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যেও ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করে তাদেরকে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস, যেমন: ব্লগ রাইটিং ,প্রোডাক্ট রিভিউ, অ্যাড কপি ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। 

 

যদি আপনি মোবাইলে কন্টেন্ট রাইটিং করতে চান, তাহলে নিজের স্মার্ট ফোনে গুগল ডক নামের অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে নিন। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে আপনারা বাংলা কিংবা ইংরেজি ভাষায় কনটেন্ট লিখতে পারবেন।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন

যারা ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম ভালোবাসেন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, তারা চাইলে নিজেদের স্মার্টফোনটি কাজে লাগিয়ে লোগো ,সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানার , টি-শার্ট কিংবা মগ ডিজাইনের মত কাজগুলো করতে পারেন। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য খুব ভালো একটি সফটওয়্যার হচ্ছে ক্যানভা। 

 

এছাড়াও চাইলে পিক্সআর্ট কিংবা ও অডোবি ইলাস্টেটরের স্মার্টফোন ভার্শনটিও ইন্সটল করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার মাধ্যমে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব হলেও আপনারা কিন্তু স্মার্টফোন দিয়ে খুব এডভান্সড লেভেলের কোন ডিজাইন জেনারেট করতে পারবেন না। বরং ছোটখাটো বেসিক ডিজাইনগুলো করতে পারবেন।

  • ভয়েস ওভার

ভয়েস ওভার সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ না জানলেও এটির মাধ্যমেও মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। সহজ ভাষায় ভয়েস ওভার হচ্ছে কোন একটি ভিডিও কিংবা বিজ্ঞাপনে নিজের ভয়েসের মাধ্যমে কোন কিছু ব্যাখ্যা করা কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে গল্প বলা। বর্তমানে ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ কাজটি চাইলে আপনারা নিজেদের স্মার্টফোনের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

 

ভয়েস ওভারের কাজ খোঁজার জন্য আপনারা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিতে পারেন। বিশেষ করে আপনারা এখন ফেসবুকে ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের বিভিন্ন গ্রুপ দেখতে পাবেন , যেখানে জয়েন করে আপনারা সার্ভিস দেয়ার জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন এবং পরবর্তীতে তাদের চাহিদা মত ভয়েস রেকর্ড করে তাদেরকে ডেলিভারি দিতে পারবেন।

 

এখন একটি টিপস দেই। যদি আপনারা ফ্রিল্যান্স ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে একটি ভালো কোয়ালিটির মাইক্রোফোন কিনে সেটি নিজের ফোনের সাথে এটাচ করে নিন এবং তারপর ভয়েস রেকর্ড করুন। মাইক্রোফোন কিনলে আপনার ভয়েসে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ আসবেনা এবং ভয়েসের কোয়ালিটিও অনেক ভালো হবে। 

  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় হিসেবে অন্যতম উপায় হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা। ‌ আপনারা আপওয়ার্ক কিংবা ফাইভারে সার্চ করলেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের অসংখ্য কাজ খুঁজে পাবেন। এই কাজগুলো সাধারণত বেশ সহজ ধরনের কাজ হয়ে থাকে, যেমন: ডেটা এন্ট্রি , কাস্টমার সার্ভিস, অনলাইন স্টোর ম্যানেজমেন্ট, ইমেইল লেখা , ছোট ছোট রিপোর্ট তৈরি করা ইত্যাদি। এই কাজগুলো আপনারা নিজেদের মোবাইল থেকে খুব সহজে করতে পারবেন , আবার এগুলো করার জন্য আপনাদেরকে বাড়ি থেকেও বেরোতেও হবে না।

  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বর্তমানে মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যম হিসেবে আরো একটি মাধ্যম সবার কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসার প্রসার হওয়াতে এখন অনেকেই নিজেদের ফেসবুক কিংবা ইন্সটাগ্রাম ভিত্তিক বিজনেস পেইজগুলো ম্যানেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হায়ার করে থাকেন। 

 

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের মূল কাজ হল বিজনেস পেইজে কনটেন্ট পোস্ট করা, ইনবক্সে কাস্টমারদের রিপ্লাই করা কিংবা চাহিদামত এড ক্যাম্পেইন রান করানো। যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এতে করে অবসর সময়ে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করা হবে, আবার এখান থেকে কিছু টাকা আয়ও করতে পারবেন।

  • ভিডিও তৈরি করা

যদি আপনি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনি একজন ভিডিও এডিটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। যদি মোবাইল দিয়ে এ সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিভাবে মোবাইলে আকর্ষণীয় ভাবে ভিডিও এডিট করতে হয় সেটি জানতে হবে। অন্যথায় আপনি এই সেক্টরে মোবাইল দিয়ে কাজ করতে পারবেন না।

 

মূলত এগুলোই হল মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার উপায়। এগুলো সম্পর্কে জেনে আপনারা নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করে নিজের মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন এবং প্রতিমাসে ভালো অংকের টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে তো জেনে নিলেন। এবার আমি আপনাদেরকে কিছু টিপস দেব যেগুলো ফলো করলে আপনারা আরও দ্রুত সাফল্য পেতে পারবেন। এই টিপসগুলো হল-

  • নিজের স্কিল ডেভেলপ না করে কখনোই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাবেন না। কারণ আপনি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করুন কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে, যদি আপনার যথেষ্ট স্কিল না থাকে তাহলে আপনি কখনোই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না।

 

  • ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনারা ইউটিউব  কিংবা কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের সাহায্য নিতে পারেন। যদি নিজের টাকা দিয়ে কোন কোর্স করতে যান, সে ক্ষেত্রে যে ইনস্টিটিউটে কোর্স করতে চাইছেন এটি সম্পর্কে আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে রাখুন। যাতে কোন ভুয়া ইনস্টিটিউটের পাল্লায় না পড়েন। 

 

  • কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ শুরু করার আগে সে সাইটের নিয়ম কানুনগুলো অবশ্যই আগে ভালোমতো জেনে নিন। কেননা এই সাইটগুলোতে কাজ করার সময় যদি কোন নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট চিরতরে ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।

 

  • যদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোন ক্লায়েন্ট পেয়ে তাকে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিতে যান , সেক্ষেত্রে আগে ওই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল ভালোমতো চেক করে নিন। যদি কারো প্রোফাইল ফেক মনে হয় তাহলে তার সাথে কাজ করতে যাবেন না।

 

  • ফ্রিল্যান্সিং করার সময় কখনোই এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার কাজের সততা নষ্ট করতে পারে। বরং সবসময় অনেস্ট থাকুন ও নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যান।

শেষ কথা

এটুকুই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করি মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম কিংবা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করা যেতে পারে সেটি সম্পর্কে আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে ধারণা দিতে পেরেছি।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে।

Leave a Comment