রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৭ রান দরকার ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই সাকিব আল হাসান করলেন স্কুপ।
ফাইন লেগ অঞ্চলের ফিল্ডার ওপরে থাকায় বুঝেশুনেই শটটি খেলে চার বের করে আনেন সাকিব। ওই একটি শটেই এলিমিনেটরে কলকাতার জয়ের রাস্তা সহজ হয়ে যায়। সাকিব-এউইন মরগান মিলে শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখে জয় এনে দেন কলকাতাকে।
কলকাতার জয়সূচক রানও এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে। ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকা সাকিবকে এ জয়ে ‘শেষের নায়ক’ বানিয়েছে কলকাতা। তবে সাকিব নিজে ভূয়সী প্রশংসা করলেন সুনীল নারাইনের।
২১ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ২৬ রানের কার্যকর ইনিংসও খেলেন এই ক্যারিবিয়ান। তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘সুনীল অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। ব্যাট ও বল হাতে দিনটা তার ছিল। এমন অবদানে দল জেতায় আমি খুব খুশি।’
আইপিএলে সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বের শুরুতে সাকিবকে বসিয়ে নারাইনকে খেলিয়েছে কলকাতা। আন্দ্রে রাসেল চোটে পড়ায় কালকের ম্যাচে নারাইন-সাকিব দুজনকেই খেলায় কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব উইকেট না পেলেও মাত্র ২৪ রান দিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংই করেন। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা কাল নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শেষ দুই ওভারে ১২ রান দরকার ছিল কলকাতার। জর্জ গারটনের সে ওভারে মাত্র ৫ রান তুলতে পারেন সাকিব-মরগান। শেষ ওভারে এসে বলসংখ্যার চেয়ে রান বেশি থাকায় খানিকটা চাপে ভোগাই স্বাভাবিক।
সাকিব জানালেন, চাপ থাকলেও তিনি সেই চাপ নেননি। বিশ্বের নানা প্রান্তে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই অলরাউন্ডারের কাছ থেকে ম্যাচের অমন মুহূর্তে এমন পারফরম্যান্সের দেখা পাওয়াই তো স্বাভাবিক। সাকিব জানালেন, ‘চাপ তো ছিলই। কিন্তু পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে কীভাবে চাপ মোকাবিলা করব, তা শিখতে হয়। অনেক দিন ধরেই খেলছি, জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করছি। এমন চাপ সামলানোর সামর্থ্যটা অর্জন করেছি।’
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আজ দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে কলকাতা। এ ম্যাচ নিয়ে দলের লক্ষ্য জানালেন সাকিব, ‘এত দিন যে সূত্র মেনেছি, সেটাই মানা হবে। আবুধাবি কিংবা আরব আমিরাতে পা রাখার পর থেকে আমরা নকআউট মানসিকতায় আছি এবং প্রতিটি ধাপেই উত্তরণ ঘটেছে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, দলের সবার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছে, তাতে কোনো দলই আর আমাদের হালকা চোখে দেখবে না।’
তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো