সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলা মধুমল্লারডাঙ্গীর নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী স্বর্ণা। তার পিতা ভূমি অফিসার আব্দুস সেলিম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন স্বর্ণা। স্বপ্ন ছিলো ব্যারিস্টার হবে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে বাড়ির কাজের বুয়া জানায়, সিলিংয়ের হুকের সাথে ঝুলছে স্বর্ণার মৃত দেহ।
স্বর্ণার বাবা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ভূমি অফিসার আব্দুস সেলিম জানান, “আমি ছিলাম কর্মস্থলে। মঙ্গলবার রাতে পড়া শেষ করে স্বর্ণা তার মায়ের সাথে ঘুমিয়েছিল। ভোর ৫টা কিংবা সাড়ে ৫টায় মায়ের কাছ থেকে উঠে নিজের ঘরে যায় সে। সকাল ১০টার দিকে কাজের মেয়ে ঝাড়ু দিতে স্বর্ণার ঘরে ঢুকেই দেখতে পায় তার মরদেহ। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে মাওয়া হলে ডাক্তার স্বর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন।“
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ শরিফুজ্জামান জানান, “খবর পেয়ে আমরা হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করি। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বাবা মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।“ তিনি আরও বলেন, “তার গলায় ফাঁসির দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে আমি এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে করি। পরিবারের দাবিও তাই। এ নিয়ে আরও তদন্ত হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।“
এ নিয়ে শুধুমাত্র চলতি বছরেই আগস্ট থেকে চারজন আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়।
২৩ আগস্ট উত্তরা ৬ নম্বর স্বক্টরের একটি কোচিং সেন্টারের কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থান উদ্ধার হয় বিশ্ববিদালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিজবাহ উল আজিমের মরদেহ।
১৩ সেপ্টেম্বর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অষ্টম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চন্দন পার্সি আত্মহত্যা করেন। বাড্ডার একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অমিতোষ হালদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গোপালগঞ্জে বাড়ির পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনিও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমাদের একজন শিক্ষার্থীর এভাবে মারা যাওয়া খুবই দুঃখজনক। কেউ এভাবে মারা যাক, আমরা তা কখনোই চাই না। এ বিষয়ে আমরা খুবই মর্মাহত।“