সারা বিশ্বের খবর মুহূর্তেই আমরা পেয়ে যাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে। অধিকাংশ মানুষের আবেগ, ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ অনেক কিছুই মিশে আছে ফেসবুকের সাথে। শুরু থেকেই দরকারি কাজ থেকে শুরু করে বিনোদনের এক অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক নামটা যেন হৃদয়ে বেঁধে রয়েছে।
এখন সেই ১৭ বছর ধরে চলে আসা কোটি মানুষের আস্থা, ভরসা আর বিনোদনের প্রাণকেন্দ্রেই আসতে চলেছে এক বরাট পরিবর্তন। নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। কোম্পানির রিব্রান্ডিং এর জন্য ‘মেটাবার্স’ নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনা করেছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে এ পরিবর্তন আসতে পারে। ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে মেটাভার্স। মূলত নিজেদের পুনর্গঠিত করতেই ফেসবুকের এ নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ।
ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর ফেসবুক তাদের কর্মীদের নিয়ে একটি সম্মেলন করে যার নাম ‘কানেক্ট’। চলতি বছরের সম্মেলনে আগমী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর হওয়ার কথা। ওই সম্মেলনেই মার্ক জুকারবার্গ নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও শিগগিরই এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করবে বলে ভার্জ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মেটাভার্স হলো এমন এক ভার্চুয়াল জগৎ যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই মানুষ এ জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এ জগৎ বাস্তবতার সঙ্গে দিজিটাল এর সংমিশ্রণ। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও অগমেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে গড়ে ওঠার কারণে এই জগতে ব্যবহারকারীরা আরও জীবন্ত ভাবতে পারবে। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবে। তারাই অ্যাভাটারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অ্যাভাটারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে অ্যাভাটারও সেটাই করবে। অর্থাৎ মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগৎ যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবে ব্যবহারকারীরা। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিয়ার হেডসেট। কাজ করছে ‘এআর গ্লাসেস’ ও ‘রিস্টব্যান্ড’ প্রযুক্তি নিয়েও। কয়েকদিন আগেই ফেসবুক দায়ত্বশীলভাবে ‘মেটাভার্স’ গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।