সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়গুলো কি কি?
ঠিক কি করা হলে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা যায়?
এ প্রশ্নগুলো কিন্তু উদ্যোক্তা হতে চাওয়া প্রতিটি মানুষের মাথায় অনবরত ঘুরপাক খেতে থাকে। উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কে তো বলবোই, তার আগে চলুন একটি গল্প শুনে আসি। আলী রহমান তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কিছু বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কনসালটেন্ট হিসেব। দীর্ঘ কয়েক বছর সেই ব্যবসায়ীদের সাথে থেকে থেকে তিনি দেখতেন কিভাবে তারা ব্যবসা করছে, কিভাবে তারা ব্যবসায় লাভবান হচ্ছে, নতুন নতুন আইডিয়ার উদ্ভাবন করছে,কিভাবে ব্যবসার চ্যালেঞ্জগুলো কে মোকাবেলা করছে। ব্যবসা সংক্রান্ত এসব বিষয় তার খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল।
তবে আলী রহমানের ইচ্ছা ছিলো একটু অন্যরকম।তিনি যখন কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন, তখন তার ইচ্ছা হতো একদিন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হবেন। তিনি যখন দেখতেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই সফল উদ্যোক্তাদের অনেক প্রশংসা করছে, তখন তার মাথায়ও ঘুরতে থাকে তিনি কিভাবে নতুন কিছু করে মানুষকে উপকৃত করবেন।
একটা সময় পর তিনি নিজেই ঠিক করে ফেললেন তার জীবনের এতদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু শুরু করবেন। প্রথমেই তিনি তার লক্ষ্য স্থির করলেন তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কে সাথে নিয়ে। এরপর তিনি তার নিজস্ব দক্ষতাগ এবং অভিজ্ঞতার আলোকে বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে শুরু করলেন।
তারপর ধীরে ধীরে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সহ অন্যান্য আরো টেকনিককে কাজে লাগিয়ে তিনি একটি একটি করে অনেকগুলো সফল উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান তৈরি করলেন। এরপর তিনি হয়ে উঠলেন একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছে অসংখ্য মানুষ। এভাবেই তার মত অসংখ্য মানুষ বর্তমান বিশ্বে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন।
বর্তমান বিশ্বে উদ্যোক্তা হতে পারা এক দারুণ বিষয় হলেও সে পথে চ্যালেঞ্জ কম নয়। আমাদের আশেপাশে প্রায়ই বাংলাদেশী সফল উদ্যোক্তা দের নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার বা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেখানে তারা তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প, ইচ্ছা,চেষ্টা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে গল্প বলেন। পাশাপাশি তারা কিভাবে সফল হলেন এবং এই সফলতার ফলে মানুষ কিভাবে লাভবান হচ্ছে সেটিও সবার সাথে শেয়ার করেন।
তখন কার না ইচ্ছা হয় বলুন যে আমিও একজন একদিন সফল উদ্যোক্তা হব! খেয়াল করে দেখবেন যখন একজন তার সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প বলেন, তখন নিজের চোখের সামনেও একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠতে থাকে। মাথার মধ্যে ক্রমাগত ঘুরতে থাকে কি করা যেতে পারে কিভাবে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা যেতে পারে।
আমি জানি অনেকেই নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় তারা নিজেদের এই স্বপ্ন থেকে পিছিয়ে আসেন৷ তবে আর কাউকে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থেকে পিছিয়ে আসতে হবেনা, কারণ আজকে আমি সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো জানার মাধ্যমে আপনারা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম করতে পারেন।
উদ্যোক্তা বলতে কি বোঝায়?
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে আসি উদ্যোক্তা বলতে কি বোঝায়। একজন উদ্যোক্তা বলতে তাকেই বোঝানো হয় যিনি কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে নিজের কর্ম প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। তিনি অন্য কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজে থেকেই কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার চেষ্টা করেন এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা শুরু করেন। অনেকেই মনে করেন উদ্যোক্তা আর ব্যবসায়ী হওয়া বুঝি একই বিষয়।
কিন্তু সত্যি বলতে উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি মূল পার্থক্য হল উদ্যোক্তারা ব্যবসা করেন ঠিকই কিন্তু তারা যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করেন সে পণ্যটির মধ্যে তারা নিজেদের সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে থাকেন। যেমন ধরুন, কেউ যদি থান কাপড়ের শাড়ির উপর নকশী কাঁথার মতো সুন্দর করে সেলাই করে সেই শাড়ি কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করেন, তাহলে তিনি একজন উদ্যোক্তা।
আবার অন্যদিকে ধরুন কেউ যদি গরমকালে রাজশাহীর বিখ্যাত আম সারাদেশের কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি উদ্যোক্তা নন, তিনি ব্যবসায়ী। অর্থাৎ সফল উদ্যোক্তার গুনাবলী হলো, ব্যবসার পণ্যগুলোতে তাদের নিজস্বতা থাকে, যা তাদের ব্যবসায়ীদের চাইতে আলাদা করে তোলে। কোন ব্যক্তির যখন উদ্যোগ সফল হয় কিংবা তিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে ওঠেন, তখন তাকে আমরা সফল উদ্যোক্তা বলে থাকি।
যদি আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে চাই, তাহলে এটি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে, বর্তমানে এদেশের অনেক মানুষ সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন। বিশেষ করে যেসব মহিলারা বাড়িতে বসেই নিজের একটি স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করতে চান তারা বিভিন্ন উদ্যোগ শুরু করেছেন। যেমনঃ কাপড়ে ব্লক বাটিক, টাইডাই, সুতার কাজ ইত্যাদি, নিজের নকশা করা পোশাক, বাড়িতে তৈরি খাবার ও বেকিং আইটেম ইত্যাদি। শুধু মহিলারাই নয়, বর্তমানে অনেক পুরুষও কিন্তু নিজেদেরকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।
অনেকে ইচ্ছা থাকার পরেও উদ্যোক্তা হতে ব্যর্থ হন কেন?
আশা করি উদ্যোক্তা কি সেটি সবাই বুঝতে পেরেছেন এবং একই সাথে এটিও বুঝতে পেরেছেন যে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র সম্পর্কে জানা থাকলে আপনারা চাকরির মাধ্যমে কারো অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে উপার্জন করতে পারবেন।
তবে চাইলেই কি সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়? আমাদের মধ্যে অনেকেই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করলেও অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হন।এ ব্যর্থতার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। যেমন –
০১।অধিকাংশ সময় দেখা যায়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ভালো আইডিয়া থাকার পরেও সফল উদ্যোক্তা হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর প্রধান কারণ হলো উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও টেকনিক অনুসরণ না করা।
০২।আমরা অনেকেই কাস্টমারদের মধ্যে কোন পণ্যটির চাহিদা বেশি এবং কম সেটি না যাচাই করেই উদ্যোক্তা হতে নেমে পড়ি। বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের ব্যবসার পণ্যের লক্ষ্য স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননা। যেমন –
- তারা কাদের জন্য পণ্য তৈরি করছেন।
- তাদের উদ্ভাবিত পণ্য কাস্টমারদের চাহিদা পূরণে সক্ষম কিনা বা তাদের কোন সমস্যার সমাধান করতে পারবে কিনা।
- তাদের উদ্যোগের পণ্য সবার মাঝে জনপ্রিয়তা দখল করতে পারবে কিনা।
০৩। অনেকেই রয়েছেন যারা সফল উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত সফলতা জন্য ইউনিকর্ন স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে চান। এই স্ট্র্যাটেজিতে তারা দ্রুত অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়ে নতুন নতুন পণ্য বা সেবা বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করেন। এই স্ট্র্যাটেজির অনুসরণ করা কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার পথের বড় একটি বাধা।
মূলত এই তিনটি কারণই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথের অন্যতম বাধা। এ বাধাগুলো অতিক্রম করতে পারলেই আপনারা নিজেদের সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
সফল উদ্যোক্তা হওয়ার উপায়
একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রা কিন্তু বেশ কঠিন। পাশাপাশি এ যাত্রা কিন্তু বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে কিছু উপায় অনুসরণ করার মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার এ কঠিন যাত্রাকে কিন্তু অনেক টুকু সহজ করে তোলা যায়। কি সেই উপায়গুলো? চলুন জেনে নেই।
০১। প্রচুর পরিশ্রম করা
আমরা সবাই জানি পরিশ্রম সকল সুখের চাবিকাঠি। যখন থেকে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হবেন, ঠিক তখন থেকেই আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে আগামী কয়েক মাস বা কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করার জন্য। বর্তমান বিশ্বে যতজন সফল উদ্যোক্তা আছেন, তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যারা পরিশ্রম করেননি। তারা দিনরাত না খেয়ে, না ঘুমিয়ে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটিয়ে বেড়িয়েছেন। পরিশ্রম শুধু নিজেকে নয়, যে টিমকে নিয়ে আপনি কাজ করবেন সে টিম কেও পরিশ্রমী হতে হবে। পাশাপাশি ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে যেন আসন্ন যেকোন কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন।
০২। লক্ষ্য স্থির করা
আপনি যদি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চান,তাহলে অবশ্যই আপনার লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আপনি আপনার উদ্যোগে কি কি করতে চান, কাদের জন্য করতে চান কিংবা কারা এখান থেকে লাভবান হবে এসব বিষয়ক কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে একটি টাইমফ্রেম তৈরি করতে হবে। এভাবে টাইমফ্রেম তৈরি করে নিলে সঠিক সময় অনুযায়ী লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছেন কিনা সেটি আপনি যাচাই করতে পারবেন।
জেনে নিন ৬টি মনোযোগ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে!
০৩। নেটওয়ার্ক তৈরি করা
নেটওয়ার্কিং একজন উদ্যোক্তার পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নেটওয়ার্ক অর্থ পরিচিতি। যদি ভালো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন, তাহলে আপনি আপনার উদ্যোগের পণ্যের ব্যাপারে সবাইকে জানাতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি ভালো নেটওয়ার্কিংয়ের কারণে অনেক সময় বাইরে থেকেও অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ইনভেস্টমেন্টের অফার পেতে পারেন।
০৪। ব্যর্থতার জন্য প্রস্তুত থাকুন
মনে রাখবেন, সফল উদ্যোক্তা হতে গেলে অবশ্যই ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হবে। আপনি যতই প্রস্তুতি নিন না কেন এবং চ্যালেঞ্জগুলো কে মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করুন না কেন, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে ব্যর্থতার মুখোমুখি হতেই হয়। তবে এ জন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত না হয় মনে সাহস রাখতে হবে। এবং ব্যর্থতাকে মোকাবেলা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করার মন মানসিকতা থাকতে হবে । এজন্য যেকোনো কাজ শুরু করার পূর্বে সে কাজটি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি, SWOT analysis এমনকি যারা পূর্বে এই উদ্যোক্তা হওয়ার কাজের সাথে জড়িত ছিলেন সেখানে তারা কি কি চ্যালেঞ্জ অনুভব করেছিলেন এগুলো থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ শুরু করলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা একটু হলেও কমে যাবে।
০৫। ভয়কে জয় করা
যেকোনো কাজের শুরুতে ভয় করা অবশ্যই স্বাভাবিক। যেকোনো কিছু নতুন করতে গেলে অনেক কিছুই আমাদের অজানা থাকে। নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজি বা উপায় এপ্লাই করতে গেলেও আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এটিই মূলত আমাদের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে ,যার ফলে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পথে আমাদের কাজের গতি কমে আসে। এই ভয় দূর করার জন্য নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে ও ধৈর্য্য সহকারে এগিয়ে যেতে হবে। আর মনে রাখবেন, একবার ভয়কে জয় করতে পারলে শুধু সফল উদ্যোক্তা কেন, যেকোনও কাজে সফলতা নিশ্চিত।
০৬। দক্ষ টিম তৈরি করা ও ম্যানেজ করা
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে অবশ্যই একটি ভালো ও দক্ষ টিম তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে এই টিম ম্যানেজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এতে কাজ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসবে পাশাপাশি কাজ অনেক গোছানো হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন অদক্ষ এবং অকর্মঠ কোনো জনবল নিয়ে কাজ করা না হয়।
০৭। উপযুক্ত পণ্য বাছাই করুন
উপযুক্ত পণ্য বাছাই করুন। এক্ষেত্রে এমন পণ্য বাছাই করুন যেগুলোতে আপনার ভালো লাগা কাজ করে এবং আপনি ওই পণ্য সম্বন্ধে ভালো জানেন। তবে এখানে খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাছাই করা পণ্যটি যাতে বাজারে কাস্টমারদের চাহিদা ও প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।
এছাড়াও কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বেশ ভালো কাজ করে। এগুলো হলো –
- আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা
- গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার
- উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন।
পরিশেষে বলা যায়, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং যথেষ্ট কৌশলী হতে হবে। পাশাপাশি নিজের ওপর ভরসা রেখে পরিশ্রম করে যেতে হবে। তাহলেই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে পাবেন৷
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!