এন্টিভাইরাস কি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে থাকলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন!
তথ্যপ্রযুক্তির এই দুনিয়ায় আমরা সবাই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে থাকি। আমরা যেমন এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের কাজ করে থাকি তেমনি আমাদের এই ডিভাইস গুলোর সুরক্ষা নিয়েও বেশ চিন্তিত থাকতে হয়। কারণ যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ডিভাইসটিতে ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। আমাদের ব্যবহারকৃত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ডিভাইসটিতে যদি কোনো ধরনের এন্টিভাইরাস ইন্সটল না করা থাকে অথবা নিয়মিত আপডেট না করা হয়ে থাকে , তখনই মূলত ভাইরাস আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ভাইরাস আক্রমণ করলে আপনার ডিভাইসটির কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট ডিলিট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনারা যারা আপনাদের ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মতো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের সুরক্ষা প্রদান এবং ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের পোষ্টের মূল বিষয় এন্টিভাইরাস কি সে সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা। এছাড়াও এই আর্টিকেল থেকে আপনারা এন্টিভাইরাস ব্যবহারের সুবিধা ও কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ব্যবহারের পদ্ধতি জানার পাশাপাশি ২০২৩ সালের সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কেও ধারণা পাবেন ।
এন্টিভাইরাস কিঃ এন্টিভাইরাসের জনক কে ?
এন্টিভাইরাস কি এবং এন্টিভাইরাসের জনক কে এ বিষয়গুলো নিয়ে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের মধ্যে এক ধরনের কৌতুহল কাজ করে থাকে। আমি একদম বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড লেভেলে যেকোনো বিষয়ে ধারণা দিতে পছন্দ করি। তাই চলুন শুরুতেই আসি এন্টিভাইরাস কি সেটি নিয়ে।
এন্টিভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যেটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের মত ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং সার্বিক সুরক্ষা প্রদান করে ।
এই এন্টিভাইরাসের মূল উদ্দেশ্য হলো ডিভাইসের মধ্যে থাকা সকল ফাইল গুলোকে স্ক্যান করা এবং ছোট বড় সকল ধরনের ভাইরাস ডিটেক্ট করা। ভাইরাস ডিটেক্ট করা শেষ হলে সেটিকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ডিলিট করার মাধ্যমে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে সুরক্ষা প্রদান করে এন্টিভাইরাস। ডিভাইসে একবার এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা হয়ে গেলে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংক্রিয় ভাবে ডিভাইসকে সুরক্ষা রাখার জন্য সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে । আশা করি এন্টিভাইরাস কি তা বুঝতে পেরেছেন৷
এবার জানাবো এন্টিভাইরাসের জনক কে তা সম্পর্কে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাণিজিকভাবে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৈরি করে ইংল্যান্ড জন্মগ্রহণকারী আমেরিকান- ব্রিটিশ কম্পিউটার সফটওয়্যার নিমার্ণকারী জন ম্যাকাফি (John Macfee)। তিনি ম্যাকাফি অ্যান্ড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জনক এবং এই কারণেই তিনি এন্টিভাইরাসের জনক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আশা করি আজকের পর আপনার ছোট ভাই বোন কেউ এন্টিভাইরাস কি এবং এন্টিভাইরাস জনক কে এটি নিয়ে প্রশ্ন করলে খুব সহজেই তাকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন।
এন্টিভাইরাস কি ভাবে কাজ করে?
এন্টিভাইরাস কি তা জানার পর মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এই এন্টিভাইরাস কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কিভাবে কাজ করে থাকে। এখন আমরা জানবো সেটি সম্পর্কে।
এন্টিভাইরাসের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস কে অনলাইন – অফলাইন সকল ধরনের ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করে ডিভাইসকে সুরক্ষা প্রদান করা ।যখন কোনো ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা হয় অথবা এন্টিভাইরাস অ্যাক্টিভ থাকে তখন সেই এন্টিভাইরাসটি নিজে থেকেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে থাকা প্রতিটি ফাইলে স্ক্যান করা শুরু করে দেয় ।
আবার আপনি যদি ইন্টারনেট থেকে কোনো ফাইল ডাউনলোড করেন অথবা পেনড্রাইভ বা ডিস্কের মাধ্যমে ফাইল আদান প্রদান করেন তখনো এন্টিভাইরাস স্ক্যানিং করতে থাকে কোনো ভাইরাস আছে কিনা খুঁজে দেখার জন্য। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের এন্টিভাইরাস পাওয়া যায় এবং তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু এন্টিভাইরাস ব্র্যান্ডের নাম যেমন : Avira ,Avast, AV, Kaspersky, Bitdefender, 360 Total Security, Microsoft windows defender,Panda free , Norton 360,Webroot,McAfee Antivirus Plus, Trend Micro Antivirus+ Security, Malwarebytes
প্রতিটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারকে সকল ধরনের ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এবং তারা কিভাবে অ্যাটাক করতে পারে এসব যাবতীয় তথ্য ইনপুট করেই ডেভলপ করা হয়। আর একারণেই কোনো ফাইল স্ক্যানিং করার সময় সেখানে যদি কোনো ভাইরাস লুকিয়ে থাকে, এন্টিভাইরাস সহজেই তা ডিটেক্ট করে ব্যবহারকারীকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানান দেয়।
কিছু কিছু এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ভাইরাস ডিলিট করে দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীর কাছে নোটিফিকেশন পাঠানোর মাধ্যমে অনুমতি চায় । আবার কিছু সফটওয়্যার ভাইরাস ডিটেক্ট করে অটোমেটিক ডিলিট করে দিয়ে ডিভাইসের সুরক্ষা নিশ্চিত করে থাকে। এভাবেই এন্টিভাইরাস ল্যাপটপ বা কম্পিউটার তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিভাইসকে সুরক্ষা প্রদান করে।
এন্টিভাইরাস ব্যবহারের সুবিধা
এন্টিভাইরাস কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে তা জানার পর আপনাদের আরেকটু সুবিধার জন্য জানিয়ে দিচ্ছি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করার সবথেকে বেশি সুবিধা হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত সকল ধরনের ডাটা এবং ডকুমেন্ট ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে সব সময় সুরক্ষিত থাকবে।
কাজের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট থেকে ফাইল ডাউনলোড অথবা সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হয়। ডাউনলোডকৃত ফাইল অথবা ইন্সটলকৃত সফটওয়্যার এ কোনো ধরনের ভাইরাস আক্রমণ না করতে পারে সে ব্যাপারেও এন্টিভাইরাস খুব ভালো সুরক্ষা প্রদান করে । ফলে সকল ধরনের সফটওয়্যার সহজে রান করা যায় । পাশাপাশি এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে আপনারা নিরাপদ ভাবে ডাউনলোড করতে পারবেন যেকোনো ধরনের ছোট বড় ফাইল।
এছাড়া অনেকেই ডিভাইসে থাকা নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার ভয়ে থাকেন। এমনকি অনেকে অনলাইনের ট্রানজেকশন পর্যন্ত করতে পারেন না নিরাপদে হ্যাকিংয়ের ভয়ে। কিন্তু আপনার ডিভাইসে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করলে এরকম সকল ধরনের সাইবার থ্রেট (Cyber Threat) থেকে আপনার ডিভাইসকে মুক্ত রাখতে পারবেন। এতে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং ট্রানজেকশন করার সময় আপনার তথ্য চুরির ভয় থাকবে না। সর্বোপরি এই এন্টিভাইরাস আপনার ডিভাইসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করবেন কিভাবে?
সাধারণত কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করার পুর্বে সেটিকে আগে ক্রয় করে নিতে হয়। যেকোনো কম্পিউটার বা সিডি-ডিস্কের দোকানে গিয়ে খোঁজ করলেই এটি কিনতে পারবেন ।
আবার আপনারা ইন্টারনেট থেকেও সরাসরি অনলাইন পেমেন্ট করে ডাউনলোড করার মাধ্যমে বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দমত এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ক্রয় করার পর সেটিকে আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করতে হবে। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের খুবই সহজ পদ্ধতিতে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা যায়।
তবে আমরা যারা আগে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করিনি তারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভুগি যে কিভাবে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হয়। চলুন জেনে নেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপের এন্টিভাইরাস ইন্সটল করার কয়েকটি ধাপ সম্পর্কেঃ
ধাপ -১ : প্রথমে আপনার ব্যবহারকৃত কম্পিউটার বা ল্যাপটপটি ওপেন করে ডেক্সটপ উইন্ডোতে আসুন। ডেক্সটপ উইন্ডোটিতে My Computer এর উপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ডাবল ক্লিক করুন। এতে আপনার ড্রাইভ ফোল্ডার গুলোর উইন্ডো ওপেন হবে।
ধাপ ২ – আপনি যে ড্রাইভে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি রেখেছেন সেই ড্রাইভটিতে ডাবল ক্লিক করুন।
ধাপ ৩ – ড্রাইভটি ওপেন হলে সেখানে থাকা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটিতে ডাবল ক্লিক করুন। বোঝানোর স্বার্থে ধরে নিলাম এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি 360 Total Security ব্রান্ডের ।
ধাপ ৪- 360 Total Security এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটিতে ডাবল ক্লিক Set Up অপশন আসবে। এখন সেই Setup অপশনে ক্লিক করলে ইনস্টল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এবং I accept the terms in the license লেখা একটি অপশন আসবে।
ধাপ ৫ – এরপর I accept the terms in the license অপশনটি সিলেক্ট করে OK তে ক্লিক করুন এবং উইন্ডোর typical সিলেক্ট করে next অপশনে ক্লিক করুন। এতে ইনস্টল (Install) লেখা একটি অপশন আসবে।
ধাপ ৬ – সর্বশেষ উইন্ডোর ইনস্টল (Install) অপশনে ক্লিক করলে অল্প সময় নেবে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামটি ইন্স্টল হতে।
এভাবে ওপরের সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনারা যে কেউ যেকোনো সময় খুব সহজেই আপনাদের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ইন্সটল করতে পারেন।
Read More
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি ? ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা অসুবিধা 2023
এন্টিভাইরাস কি ভাবে ব্যবহার করবেন?
এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন এন্টিভাইরাস কি ভাবে ব্যবহার করবেন। বিষয়টি যতটা কঠিন ভাবছেন একদমই ততটা কঠিন নয়। আপনি যেকোন ব্র্যান্ডের এন্টিভাইরাস আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করার পর সেখানে থাকা স্ক্যান অপশনে ক্লিক করলে আপনার ডিভাইসের সকল ডকুমেন্ট এবং ফাইল স্ক্যান করা শুরু করে দেবে।
জেনে রাখা ভালো, সমস্ত ফাইলে স্ক্যান করতে কিছুটা সময় নিবে এবং স্ক্যান করা শেষে কোনো ভাইরাস ডিটেক্ট করতে পারলে তা অবশ্যই নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত আপনাকে জানাবে। পাশাপাশি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি আপনাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই যেকোনো ভাইরাস কে খুব সহজে ডিলিট করে দিতে পারবন।
আবার আপনার ডিভাইসের নতুন কোন পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্ক ইনপুট করলে সে টিতে কোনো ভাইরাস আছে কিনা সেটিও খুব সহজে চেক করে নিতে পারেন। এর জন্য সেই পেনড্রাইভ বা সিডি অথবা হার্ডডিস্ক ফাইলটিতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলে আপনার এন্টিভাইরাসের স্ক্যান অপশনটি চলে আসবে। আপনার সেই পেনড্রাইভ অথবা ডিস্ক ফাইলটি স্ক্যান করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রেজাল্ট প্রদান করবে।
আবার আপনার এন্টিভাইরাস ফাইলটি সব সময় যদি সক্রিয় থাকে ,কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ফাইল ডাউনলোডের সময় আপনাকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সতর্ক করবে। তবে এর জন্য আপনাকে নিয়মিত আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি কে আপডেট করতে হবে। এভাবে খুব সহজেই আপনার ডিভাইসে যে কোন ব্র্যান্ডের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন।
২০২৩ সালের সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
আপনার ল্যাপটপে বা ডেস্কটপে যদি এখনও কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করা না থাকে, তাহলে আপনি এন্টিভাইরাস কি, এটির ব্যবহার ও সুবিধা জানার পর নিশ্চয়ই উঠে পড়ে লাগবেন দ্রুত একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করার জন্য। সাথে একটু দুশ্চিন্তাতেও পড়ে যাবেন এই ২০২৩ সালে কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি আপনি ব্যবহার করবেন। কোনো চিন্তা নেই! আমরা এখন জানবো ২০২৩ সালের সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কে।
০১. Webroot Secure Anywhere for Mac
Mac ব্যবহারকারীরা Webroot এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন । এটির সম্পূর্ণ ম্যাক সংস্করণে চমৎকার ফিশিং সনাক্তকরণ এবং দ্রুত স্ক্যান করার ক্ষমতা প্রদান করে।এছাড়া এই এন্টিভাইরাস থেকে যে সব সুবিধা পাওয়া যায় তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ
- চমৎকার ফিশিং সনাক্তকরণ
- দ্রুত ভাইরাস স্ক্যানিং
- অনলাইন অনুসন্ধানের সময় ক্ষতিকারক লিঙ্ক সনাক্তকরণ
০২.Malwarebytes
Malwarebytes এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার Malware প্রটেকশনে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই এন্টিভাইরাসটি তে যে সুবিধাগুলো রয়েছে –
- ম্যালওয়্যার দূর করা
- Ransomware ব্লক করা
- রিয়েল-টাইম সনাক্তকরণ
০৩. Bitdefender Antivirus Plus
বর্তমানে Bitdefender Antivirus Plus এন্টিভাইরাস সবার পছন্দের তালিকার শীর্ষে।এই এন্টিভাইরাসটির পেইড ভার্সন প্যাকেজটি প্রায় সব ধরনের এন্টিভাইরাসের সেবা প্রদান করে থাকে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –
- Ransomware প্রতিরোধ
- অনলাইন কেনাকাটা
- ওয়েব-ভিত্তিক লেনদেন জালিয়াতি এবং ফিশিংয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান।
০৪. Trend Micro Antivirus+ Security
Trend Micro Antivirus আক্রমনাত্মক অ্যান্টিভাইরাস সিস্টেম বেশ পরিচিত। এর Advanced AI Learning system সকল ধরনের Ransomware এবং Cyber Threat সনাক্ত করে এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ক্ষতি করার আগে সেগুলি বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবহারকারীরা এর কিছু প্রিমিয়াম সুযোগ সুবিধার জন্য এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
- সহজে ব্যবহারযোগ্য ড্যাশবোর্ড
- অনলাইন আর্থিক লেনদেন সুরক্ষা
০৫. McAfee Antivirus Plus
McAfee Antivirus Plus এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি বহুল প্রচলিত একটি সফটওয়্যার। আমরা যারা বাসায় আমাদের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারের মতো ডিভাইসে নানা ধরনের ব্যক্তিগত কাজ করে থাকি, তারা এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি যেকোনো স্থান থেকে খুবই সীমিত মূল্যে সংগ্রহ করা সম্ভব। এর বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে যেমন –
- Android এবং iOS সহ সমস্ত ডিভাইসের জন্য সুরক্ষা প্রদান।
- ম্যালওয়্যার সনাক্তকরণ।
- ডিসকাউন্ট সুবিধা
- শক্তিশালী ফায়ারওয়াল ব্যবস্থা
০৬. Norton 360 With LifeLock
Norton 360 With LifeLock এন্টিভাইরাসটির বিশেষ কিছু সুবিধার জন্য গোটা বিশ্বে চাহিদা বেড়েই চলেছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
- ফায়ারওয়াল এবং ব্যাকআপ সহ পিসি সুরক্ষা
- চমৎকার ম্যালওয়্যার সুরক্ষা
- পাসওয়ার্ড ম্যানেজার
- আইডেনটি প্রটেকশন
আপনি আপনার ডিভাইসের রিকোয়ারমেন্ট এবং কাজের ধরন অনুসারে ওপরের যেকোন একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বেছে নিয়ে আপনার ব্যবহারকৃত ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার ডিভাইস থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
শেষ কথা
আধুনিক টেকনোলজির সাথে সাথে বর্তমানে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের জন্য নতুন নতুন ভাইরাস তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রধান লক্ষ্য হলো আমাদের কম্পিউটার সিস্টেমের বড়সড় ক্ষতি করা। এ কারণেই দিন দিন বিভিন্ন ধরনের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহারের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে এন্টিভাইরাস কি, এন্টিভাইরাস কিভাবে কাজ করে, এটির সুবিধা এবং ভালো কয়েকটি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!