ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করা যায় কিভাবে ইত্যাদি প্রশ্ন এখন অনেকের কাছেই শুনতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা অনলাইনে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এটি হতে পারে বাড়িতে বসে প্রতি মাসে ভালো অংকের টাকা আয় করার একটি দারুণ সুযোগ।
অনেকেই অনলাইনে আয় করার উপায় হিসেবে একমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করাকে বুঝে থাকেন। কিন্তু এগুলোর বাইরেও আয় করার আরো কিছু দারুন উপায় রয়েছে , যেগুলোর মধ্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট অন্যতম। বহু মানুষ এখন এই সেক্টরে কাজ করছেন সফলতার সাথে। আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনারা বাড়িতে বসে একজন এক্সপার্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় : ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি?
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করার উপায় হিসেবে তো জানাবোই। চলুন তার আগে জেনে আসা যাক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি এবং এটি বলতে আসলে কোন ধরনের পেশা বোঝানো হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক এমন একটি পেশা যেখানে আপনি আপনার ক্লায়েন্টকে বিভিন্ন কাজে অ্যাসিস্ট কিংবা সহায়তা করবেন।
এই কাজগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন: প্রয়োজনীয় ইমেইল সেন্ড করা, মাইক্রোসফট এক্সেল এ ডাটা এন্ট্রি, পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি, ক্লায়েন্টের প্রতিদিনের মিটিংয়ের শিডিউল তৈরি করা, বিভিন্ন ফাইল ও ডকুমেন্ট অর্গানাইজ করা, বিভিন্ন কাজের রিপোর্ট তৈরি ইত্যাদি।
এগুলোর পাশাপাশি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভিন্ন ই-কমার্স বিজনেসের ওয়েবসাইট ,অ্যাপ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার বিজনেস পেজ মনিটরিং, কাস্টমারদের ইনভয়েস তৈরি ,কল ও মেসেজে কাস্টমার সাপোর্ট ইত্যাদি কাজও করে থাকেন।
অর্থাৎ সহজ বাংলায় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছেন একজন ক্লায়েন্ট, বিজনেস কিংবা কোন অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন জরুরি কাজে সাপোর্ট প্রদান করেন এমন একজন মানুষ। আশা করি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি তা বুঝতে পেরেছেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় :একজন এক্সপার্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ডিমান্ড কতটুকু?
আমি জানি এখন আপনারা অনেকেই জানতে চাইবেন এখনকার সময়ে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ডিমান্ড কতটুকু। সত্যি বলতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এই সময়ের অন্যতম ডিমান্ডিং অনলাইন জবগুলোর মধ্যে একটি। এই কাজটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি চাইলে পার্ট টাইম ,ফুল টাইম, কন্ট্রাকচুয়াল কিংবা ফ্রিল্যান্স যেকোনোভাবে কাজটি করতে পারবেন। সেই সাথে বাড়িতে বসে আয় করার সুযোগ তো রয়েছেই।
বর্তমানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার কিংবা ফ্রিল্যান্সার ডট কমে সার্চ করলে দেখতে পাবেন, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের অনেক রকম কাজ অ্যাভেইলেবল রয়েছে।
শুধু ফ্রিল্যান্সিং সাইটই বা বলছি কেন, আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপ কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটেও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট খোঁজা হচ্ছে এমন হায়ারিং পোস্ট দেখতে পাবেন।
কেন জানেন? বর্তমানে একটি কোম্পানি কিংবা বিজনেস গ্রো করতে হলে একসাথে অনেক রকম কাজ করতে হয়, যা ওই কোম্পানির ওউনারের পক্ষে একা হাতে সামলানো পসিবল নয়।
তবে এটিও ঠিক যে সব কোম্পানি কিংবা বিজনেস অর্গানাইজেশনই চায় তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কাজ যেন সময় মত একদম নিখুঁতভাবে করা সম্ভব হয়। এ কারণেই তারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্য নেয়। সুতরাং এটুকু নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে, যদি আপনি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন, তাহলে একজন ক্লায়েন্টের সাথেই লং টাইম কাজ করতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় :ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে কি কি স্কিল থাকতে হয়?
এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে কি কি স্কিল থাকা আবশ্যক সে সম্পর্কে। যেহেতু একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট তার ক্লায়েন্টদেরকে অনলাইনে থেকে সার্ভিস প্রোভাইড করেন ,তাই কম্পিউটার স্কিল ভালো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে কম্পিউটার স্কিল বলতে আমি কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যার অপারেট করতে জানার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্রাউজ করার দক্ষতাকেও বুঝিয়েছি। সব সময় মনে রাখবেন, একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টকে কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই ইন্টারনেট ব্রাউজ করে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য বের করতে হয়। তাই আপনি যদি ওয়েব ব্রাউজিং না পারেন তাহলে তা আগেই শিখে ফেলতে হবে।
সেই সাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস সফটওয়্যার যেমন: মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, গুগল ডক ইত্যাদি অপারেট করাও জানতে হবে।
এছাড়াও আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার টাইপিং স্কিল ভালো না থাকে, তাহলে আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজে ভালো করতে পারবেন না। এক্সপার্টদের মতে, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে প্রতি মিনিটে আপনার টাইপিং স্পিড অন্তত ৫০ থেকে ৮০ হতে হবে।
শুধুমাত্র টাইপিং জানলেই হবে না, আপনার ইংলিশ ও বাংলা রাইটিং স্কিলও ভালো হতে হবে। কেননা একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টকে ইমেইল পাঠানো, রিপোর্ট রাইটিং, ডকুমেন্ট তৈরি ইত্যাদি কাজ করতে হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে যদি আপনার রাইটিং স্কিল ভালো না হয় ,অর্থাৎ লেখায় গ্রামারটিকাল মিসটেক হয়, বিরাম চিহ্ন সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হয় অথবা লেখায় প্রফেশনাল টোন না থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি একজন এক্সপার্ট ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারবেন না।
তাই নিজের ইংলিশ স্কিল ডেভেলপ করার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে কিভাবে ইমেইল লিখতে হয়, কোন মিটিং এর পর সেই মিটিং সম্পর্কে কিভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে হয় অথবা কিভাবে ই-কমার্স বিজনেসের সেলস কপি লিখতে হয় ইত্যাদি বিষয় গুলো শিখে ফেলতে হবে।
এর পাশাপাশি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চাইলে নিজের কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ অনলাইন ভিত্তিক এই কাজে আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন, পুরোটা সময় আপনাকে ক্লায়েন্টের সাথে কানেক্টেড থেকে তাকে কাজের আপডেট দিতে হবে। আবার আপনি যদি কাস্টমার সার্ভিসের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু কাস্টমারদের সাথে ফোন কলে কমিউনিকেট করতে হবে। এ কারণে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। যদি আপনিও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সেকশনে কাজ করতে চান, তাহলে ফেইসবুক ও ইন্সটাগ্রামের বিজনেস পেজ কিভাবে অপারেট ও মনিটর করতে হয় তা শিখে ফেলুন। এই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট স্কিল থাকলে দ্রুতই কাজ খুঁজে পেতে পারবেন।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করার উপায়
দেখতে দেখতে আমরা চলে এসেছি আমাদের আজকের আর্টিকেলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশে। এই অংশে আপনাদেরকে জানাবো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করার উপায় সম্পর্কে।
কোন সেক্টরে কাজ করবেন তা নির্ধারণ করুন
যদি আপনি বাড়িতে বসে একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করতে চান, তাহলে সবার আগে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন ধরনের কাজের জন্য ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে অ্যাপ্লাই করবেন। যেমন ধরুন, যদি আপনি মাইক্রোসফট এক্সেলে ডাটা এন্ট্রির কাজ অনেক ভালো পারেন, তাহলে যেসব ক্লায়েন্ট ডেটা এন্ট্রির জন্য ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট খুঁজছেন , তাদের সাথে কন্টাক্ট করে কাজ পেতে পারেন।
আবার যদি আপনার ক্রিয়েটিভিটি ও লেখালেখির হাত ভালো থাকে, সেই ক্ষেত্রে যেসব ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট জবে ইমেইল সেন্ড করা কিংবা রিপোর্ট রাইটিংয়ের মত কাজ থাকে, সেগুলো বেছে নিতে পারেন। মোটকথা আপনার নিজের পছন্দ ও স্কিল অনুযায়ী কোন সেক্টরে কাজ করবেন তা আগেই নির্ধারণ করে নিন।
কতক্ষন কাজ করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিন
এরপরের কাজটি হল আপনি ফুলটাইম নাকি পার্টটাইম কাজ করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়া। আপনি যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে বসে অনলাইনে আয় করতে চান, তাহলে পার্ট টাইম কিংবা ফ্রিল্যান্স বেসিসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ করতে পারেন।
সেই ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন লম্বা সময় কাজ করতে হবেনা। এতে করে আপনি কাজের সাথে সাথে পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চাইলে গৃহিণী এমনকি চাকরিজীবীরাও নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে পার্ট টাইমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে কাজ করতে পারেন।
তবে যদি আপনি একজন বেকার হয়ে থাকেন এবং আপনার ফুলটাইম কাজ প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি একজন ফুলটাইম ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারেন। তবে যদি ফুলটাইম কাজ করতে চান, তাহলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রমাগত কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। কারণ তখন আপনার কাজটি একটি ফুলটাইম জব হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তাই সেক্ষেত্রে ডেডিকেশন ও পরিশ্রম দুটোই বেশি প্রয়োজন হবে।
বিভিন্ন মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করুন
এর পরের কাজটি হল ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করা। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিলেটেড কাজগুলো খুঁজে বের করার জন্য ব্যক্তিগত সাজেশন থাকবে শুরুতেই বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে খোঁজ করা। বিগিনারদের জন্য কাজ খোঁজার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফাইভারের বেশ সুনাম রয়েছে। তাই আপনি আপনার দক্ষতা সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরে ফাইভারে গিগ ক্রিয়েট করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, ফাইভারে কিন্তু আপনি লং টাইমের জন্য কোন প্রজেক্ট পাবেন না।
এছাড়াও যদি আপনি একটু এক্সপেরিয়েন্সড হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপওয়ার্কে বিড করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের জব খুঁজে পেতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করলে আপনারা ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যদি লোকাল ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করতে চান ,তাহলে ফেসবুক ও লিংকডইনে সার্চ করতে পারেন।
এখন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার একটি টিপস দেই। যখন আপনি একজন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ পাওয়ার জন্য কথা বলবেন, তখন আপনার আগের কোন কাজের এক্সপেরিয়েন্স বা ডেমো থাকলে তা ক্লায়েন্টকে শো করতে ভুলবেন না।
যেমন ধরুন, ডেটা এন্ট্রির জবে এপ্লাই করলে ক্লায়েন্টকে আপনার আগের প্র্যাকটিস করা এক্সেল ফাইল দেখাতে পারেন। আবার যদি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার পজিশনে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে চান, তাহলে আগে থেকেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আপনার তৈরি করা কোনো ডেমো পেজ শো করে দেখাতে পারেন। এভাবে যদি ক্লায়েন্টকে আপনার পোর্টফোলিও দেখান তাহলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।
কাজ শুরু করা ও আয় করা
ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার পর তিনি আপনাকে আপনার রেস্পনসিবিলিটি সম্পর্কে ব্রিফ করবেন। হতে পারে আপনার ক্লায়েন্ট কোন কোম্পানি বা এজেন্সির মালিক , আবার হতে পারে তার কোন ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং বিজনেস রয়েছে। তিনি তার রিকয়ারমেন্ট আপনার সাথে মিটিং করার সময় আপনাকে বুঝিয়ে বলবেন।
তারপর সেই ব্রিফিং অনুযায়ী দক্ষতা সহকারে কাজ করার পর আপনার আর্নিং আসা শুরু হবে। যদি ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকা ম্যান্ডেটরি। আর যদি লোকাল ক্লায়েন্ট হয় তাহলে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি বিকাশ কিংবা রকেটে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন।
পরিশেষে,
এটুকুই ছিল ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি এবং ঘরে বসে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে আয় করার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি যারা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার চিন্তা ভাবনা করছেন, তাদেরকে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা দিতে পেরেছি।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!