বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের বেশিরভাগের বাড়িতেই এখন ওয়াইফাই কানেকশন রয়েছে, যেন আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে করে ফেলতে পারি। তবে অনেক সময় এমন হয় আমরা বাড়িতে থাকি না, এবং আমাদের জরুরি ভিত্তিতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। এই সময় যদি একটি পাবলিক ওয়াইফাই পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু ভালোই হয়, তাইনা?
পাবলিক ওয়াইফাই দিয়ে হাই স্পিডে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায় ঠিকই, কিন্তু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানলে এই ওয়াইফাইয়ের ব্যবহার বড় ধরণের বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আজকের লেখায় আপনাদেরকে জানাবো নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
পাবলিক ওয়াইফাই কাকে বলে?
চলুন লেখার শুরুতেই পাবলিক ওয়াইফাই কাকে বলে তা জেনে নেওয়া যাক। পাবলিক ওয়াইফাই হলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল বা এয়ারপোর্টে মোবাইল ডাটা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য যে নেটওয়ার্ক প্রোভাইড করা হয় সেটি। পাবলিক ওয়াইফাই থাকার কারণে আমরা বাড়ির বাইরে থাকলেও ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারি। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলের জরুরী কোন কাজ করতে এই ওয়াইফাই বেশ কাজে আসে। আবার অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও দেখতে কিংবা কোথাও গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং করতেও পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করেন।
তবে এক্ষেত্রে কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। সেটি হলো পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, না, পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। তবে যদি নিরাপদভাবে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায়গুলো জানেন এবং সেগুলো অনুসরণ করেন, তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।
পাবলিক ওয়াইফাই কিভাবে আমাদের ক্ষতি করতে পারে?
আমাদের মধ্যে অনেকেই পাবলিক ওয়াইফাই পেলে সাথে সাথে তা নিজেদের ডিভাইস কানেক্ট করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা শুরু করে দেন। কিন্তু এই ওয়াইফাই যে কতভাবে আমাদের ক্ষতি করতে পারে সে সম্পর্কে বেশিরভাগের ধারণাই নেই।
আমরা যখন আমাদের বাড়িতে ওয়াইফাই ইউজ করি, তখন আমাদের ডিভাইস ও ওয়াইফাই রাউটারে যে ইনফরমেশনগুলো সেন্ড করা হয়, সেগুলো সিক্রেট কোডের মাধ্যমে নিরাপদ থাকে। তাই আপনি ইন্টারনেটে কী করছেন তা অন্য কেউ ওই সিক্রেট কোড ছাড়া দেখতে পায়না। এটিকে এনক্রিপটেড নেটওয়ার্ক বলা হয়।
যখন আমরা বাড়িতে ওয়াইফাই সেটআপ করি, তখন এই এনক্রিপশন অন করা হয়। কিন্তু পাবলিক ওয়াইফাইতে অনেক সময় আনএনক্রিপটেড নেটওয়ার্ক থাকে, এ কারণে যদি এই ওয়াইফাই ইউজ করা হয়, তাহলে আমাদের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি হ্যাকাররা দেখতে পায়।
তখনই হ্যাকাররা ম্যান ইন দ্যা মিডল অ্যাটাক করে। অনেক সময় পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসের ডেটার অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য হ্যাকাররা আপনাকে ই-মেইলে বিভিন্ন ট্রাস্টেড সোর্সের নাম ব্যবহার করে ফিশিং মেইল সেন্ড করতে পারে, যেগুলোতে ক্লিক করার পর আপনার ডিভাইসের ডেটা হ্যাকারদের হাতে চলে যায় এবং একইসাথে আপনার ডিভাইসে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও মালওয়ার অ্যাটাকও হতে পারে। এটিকেই ম্যান ইন দ্যা মিডল অ্যাটাক বলে। এ কারণেই পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার পর অনেক সময় আমরা আমাদের ই-মেইলে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক আসতে দেখতে পাই।
শুধু তাই নয়, আপনারা জানলে অবাক হবেন এমন অনেক হ্যাকার রয়েছে যারা আমাদের ডিভাইসের গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন হ্যাক করার জন্য ভুয়া ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এই নেটওয়ার্ক দেখলে আপনার মনে হবে এটি একটি সাধারণ পাবলিক ওয়াইফাই। কিন্তু আসলে এটি হ্যাকারের সেটআপ করা একটি ফেক অ্যাক্সেস পয়েন্ট, যেটিতে কানেক্টেড হওয়া মাত্র আপনার ডিভাইসের ইনফরমেশন বা ডেটা হ্যাকারদের হাতের মুঠোয় চলে যেতে পারে। যেমন ধরুন : ই-মেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ইনফরমেশন কিংবা আপনার গ্যালারিতে থাকা ছবি- ভিডিও – হ্যাকার কিন্তু এর সবকিছুরই অ্যাক্সেস পেয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি পাবলিক ওয়াইফাই ইউজ করলে আপনাদের ডিভাইসে হ্যাকাররা বিভিন্ন মালওয়্যার ইন্সটল করে দিতে পারে এবং এ ব্যাপারটি ঘটার সময় আপনি টেরও পাবেন না যে আপনার ডিভাইসে
ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে!
নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায়
আশা করছি এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন না বুঝে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা কতটুকু বিপদজনক। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে কি পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে? ব্যাপারটি ঠিক সেরকম নয়। যদি কিছু সতর্কতাঃ অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে এই ওয়াইফাই ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হবে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে।
১। ভিপিএন ব্যবহার করুন
ভিপিএন অর্থাৎ ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেটি ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করলে আপনার ডিভাইসের ডাটা এনক্রিপটেড থাকে। অর্থাৎ যদি আপনার ভিপিএন অন থাকে, তাহলে আপনার ব্রাউজিং ইনফরমেশন অথবা ডিভাইসের কোন ডাটা থার্ড পার্টি অর্থাৎ হ্যাকারদের হাতে পড়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এ কারনেই নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় হিসেবে প্রথমেই সবাইকে পরামর্শ দেবো কোনো পাবলিক ওয়াইফাইতে নিজের ডিভাইস কানেক্ট করার আগে অবশ্যই ভিপিএন কানেক্ট করে নিন। এতে করে আপনি অনেকটুকু নিশ্চিন্তে ব্রাউজিং করতে পারবেন।
এখন ভিপিএনের পেইড ও ফ্রি ভার্সন রয়েছে। যদি আপনারা পেইড ভিপিএন ব্যবহার করতে চান, তাহলে নর্ড ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন। এই ভিপিএন আপনার ডেটার সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম।
২। নেটওয়ার্কে কানেক্টেড হতে নিজের পারসোনাল ইনফরমেশন প্রোভাইড করা থেকে বিরত থাকুন
অনেক সময় বিভিন্ন পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড হওয়ার আগে আপনারা দেখতে পাবেন সেখানে আপনাদেরকে ইমেইল অ্যাড্রেস কিংবা ফোন নাম্বারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হচ্ছে। এতে করে যারা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক প্রোভাইড করছে, তারা আপনার ইনফরমেশন কালেক্ট করার সুযোগ পেয়ে যায়। এ কাজটি কিন্তু অনৈতিক কিছু করার উদ্দেশ্যে সবসময় করা হয়না। অনেক সময় মার্কেটিং করার জন্যও এই পার্সোনাল ইনফরমেশন কালেক্ট করা হয়ে থাকে।
কিন্তু সাবধানতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পরামর্শ থাকবে কখনোই এসব নেটওয়ার্কে কানেক্টেড হওয়ার জন্য নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন প্রোভাইড করবেন না। বরং ভালো হয় যদি আপনার একটি ব্যাকআপ ইমেইল অ্যাড্রেস থাকে, যে অ্যাড্রেস ব্যবহার করে কানেক্ট করতে পারলে আপনার কোন ইনফরমেশন আর কালেক্ট করা যাবে না।
সেই সাথে যদি দেখেন কোন নেটওয়ার্কে কানেক্ট করার জন্য আপনাকে পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হচ্ছে ,তাহলে এমন কোন পাসওয়ার্ড দেবেন না যেটি অলরেডি আপনার ইমেইল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড। এতে করে আপনার ডিভাইস এবং ডিভাইসে থাকা ডাটা সবকিছুই সুরক্ষিত থাকবে।
Read More
৩। ডিভাইসের ফাইল শেয়ারিং অপশন অফ করে দিন
ডিভাইসের ফাইল শেয়ারিং অপশন অন রেখে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ডিভাইসের ইনফরমেশন অ্যাক্সেস করার সুযোগ পেয়ে যায়। এ কারণে যখনই পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করতে যাবেন, তখন ডিভাইসের ফাইল শেয়ারিং অপশন অফ করে দিতে ভুলবেন না। আপনারা ডিভাইসের সিস্টেম প্রেফারেন্স বা কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে ফাইল শেয়ারিং অপশন অফ করতে পারবেন।
৪। ডিভাইসের ফায়ারওয়াল এনাবল করে রাখুন এবং অ্যান্টি-ভাইরাস ইউজ করুন
যদি আপনি ল্যাপটপ ইউজার হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় হিসেবে বলবো, এই ধরনের ওয়াইফাইতে কানেক্টেড হওয়ার আগে অবশ্যই ডিভাইসের ফায়ারওয়াল এনাবল করে রাখুন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, ফায়ারওয়াল আপনার ল্যাপটপ কিংবা পিসিকে যেকোনো ধরনের মালওয়্যার কিংবা ভাইরাস অ্যাটাক থেকে নিরাপদে রাখে।
উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল একটি ভালো অপশন। আপনারা ল্যাপটপের কন্ট্রোল প্যানেলের সিস্টেম অ্যান্ড সিকিউরিটি অপশন থেকে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল অন করতে পারবেন। আর আপনি যদি ম্যাক ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে সিস্টেম অ্যান্ড প্রেফারেন্সে গিয়ে সিকিউরিটি এন্ড প্রাইভেসি অপশন সিলেক্ট করে তারপর ফায়ারওয়াল এনাবল করে নিতে পারবেন।
ফায়ারওয়াল ছাড়াও এক্সট্রা প্রটেকশন হিসেবে আপনারা বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন। এতে করে আপনার ডিভাইসে কোনো আনঅথোরাইজড সফটওয়্যার কিংবা ভাইরাস অ্যাটাক করলে আপনি ইনস্ট্যান্টলি নোটিফিকেশন পাবেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
৫। অটো কানেক্ট অপশন অফ করে রাখুন
আমাদের অনেকেরই ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনে ওয়াইফাই অটো কানেক্ট অপশন অন করা থাকে। যেহেতু সব পাবলিক ওয়াইফাই একশভাগ নিরাপদ নয়, তাই কোন অনিরাপদ ওয়াইফাইতে কানেক্টেড হয়ে গেলে সেটি আমাদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। একারণে সবসময় আপনার ওয়াইফাই অটো কানেক্ট অপশন অফ করে রাখুন।
৬। অনলাইনে ট্রানজেকশন করা থেকে বিরত থাকুন
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে টাকাপয়সা লেনদেন করলে হ্যাকারদের হাতে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিটেইলগুলো চলে যেতে পারে।
তাই পাবলিক ওয়াইফাইতে কানেক্টেড থাকা অবস্থায় কোনোভাবেই অনলাইন ট্রানজেকশন করবেন না।
৭৷ টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন
আমরা সবাই কোন রেস্টুরেন্ট, শপিংমল কিংবা হোটেলে ফ্রি ওয়াইফাই পেলে তা দিয়ে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রল করতে খুব পছন্দ করি। এক্ষেত্রে সবার জন্য পরামর্শ থাকবে, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অন করে রাখুন।
এতে করে কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চায়, তাহলে আপনার মোবাইল নম্বরে একটি কোড আসবে এবং আপনি তখনই বুঝে যাবেন অন্য কেউ আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করছে। তখন আপনি আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।
৮। কোনো পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক আপনার ডিভাইসে সেভ করবেন না
অনেক সময় হ্যাকাররা পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের নামে ফেক এক্সেস পয়েন্ট সেট-আপ করে তারপর আমাদের ডিভাইসের ডেটা ও ইনফরমেশনের অ্যাক্সেস নিয়ে নেয়। একারণে যখনই কোনো পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ইউজ করা হয়ে যাবে, তখন ফরগেট নেটওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করে দিন। এতে করে ওই নেটওয়ার্ক আপনার ডিভাইসে আর সেভড থাকবে না।
৯। আসল ও নকল ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বোঝার চেষ্টা করুন
অনেক সময় আপনারা কোনো স্থানে গেলে অনেকগুলো পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দেখতে পাবেন। এগুলোর মধ্যে যে নেটওয়ার্কগুলোতে পাসওয়ার্ড ছাড়া কানেক্টেড হওয়া যায়, সেগুলোতে কানেক্ট হওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই নেটওয়ার্কগুলো থেকেই অনেক সময় হ্যাকিং ও ভাইরাস অ্যাটাকের ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। বরং যে নেটওয়ার্কগুলোতে কানেক্টেড হওয়ার জন্য পাসওয়ার্ড দিতে বলা হবে সেগুলোই রিয়েল পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
১০। HTTP ওয়েবসাইটগুলো ব্যতিত অন্য সাইটে অ্যাকসেস করা থেকে বিরত থাকুন
নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় হিসেবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো SSL সার্টিফিকেট নেই এমন ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করা থেকে বিরত থাকা। যে ওয়েবসাইটগুলোর শুরুতে HTTP থাকে সেগুলোই মূলত SSL সার্টিফিকেট যুক্ত ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করলেও আপনার ডিভাইসের ডেটা ও পারসোনাল ইনফরমেশনগুলো সিকিউরড থাকে। তাই এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করার পরামর্শ থাকবে।
শেষ কথা
এটুকুই ছিল নিরাপদে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার উপায় হিসেবে বিস্তারিত আলোচনা। সব শেষে সবার জন্য পরামর্শ হিসেবে বলবো, পাবলিক ওয়াইফাই আমাদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার কাজকে আরো সহজ করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এর বিপদজনক দিকগুলোও আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। তাই এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করে তারপর পাবলিক ওয়াইফাই ইউজ করুন। আশা করি আপনাদের কোন বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!