ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস করুন এবং বেকারত্বকে জানান বিদায়!

পড়াশোনা শেষ করার পর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা সবারই থাকে। তবে এখন চাকরির বাজার অনেক কম্পিটিটিভ হওয়ায় চাকরি পেতে অনেক সময় লাগে, আবার অনেক চেষ্টা করলেও চাকরি যে হবেই সেই নিশ্চয়তা থাকে না। একারণেই এখনকার তরুণ সমাজ নিজেদের মতো করে কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস এমন একটি বিজনেস মডেল, যেটি নিয়ে কাজ করলে এবং কাজের মান ভালো রাখলে খুব দ্রুতই সফল ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব। আজকের লেখায় আপনাদেরকে জানাবো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কেন করবেন ও এটি কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত। 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কী ও কেন করবেন?

চলুন লেখার শুরুতেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কী তা জেনে নেওয়া যাক। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস বলতে মূলত সেই সব বিজনেসকে বোঝানো হয় যেগুলো কোনো ব্যক্তি কিংবা ছোট-বড় কোম্পানী বা অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ডেকোরেশন, খাবার ইত্যাদির প্ল্যানিং করার পাশাপাশি অনুষ্ঠানগুলো যেন সফলভাবে করা সম্ভব হয় তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। সাধারনত বিয়ে,জন্মদিনের পার্টি, বিভিন্ন কনফারেন্স, সংবর্ধনা ইত্যাদির মতো অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে থাকে এসব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস অর্গানাইজেশনগুলো। 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যতম প্রফিটেবল বিজনেস মডেল। কারণ এখনকার দিনে বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামগুলো কেউই নিজেদের বাড়িতে করতে চান না। বেশিরভাগেরই ইচ্ছা থাকে কোন একটি হল ভাড়া নেবেন এবং একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে হায়ার করে পুরো প্রোগ্রাম ম্যানেজ করার দায়িত্ব দিয়ে দেবেন। তাই এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, যদি আপনারা এই বিজনেস শুরু করেন, তাহলেই দেখতে পাবেন এখানে কাজের কত রকম সুযোগ রয়েছে। 

সেই সাথে যদি আপনারা প্রোগ্রামগুলোর ডেকোরেশন সুন্দরভাবে করতে পারেন এবং খাবারের কোয়ালিটি ভালো হয়, তাহলে দেখতে পাবেন আপনাদের রেপুটেশন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া যেহেতু এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের যুগ, তাই যদি আপনারা আপনাদের বিজনেসের একটি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ মেইনটেন করেন এবং নিজেদের বেস্ট কাজগুলো পেজে রেগুলারলি পোস্ট করেন এবং বিজনেসের মার্কেটিং সঠিকভাবে করেন, তাহলে দেখতে পাবেন দ্রুতই আপনারা এই বিজনেস গ্রো করতে পারবেন। আশা করছি আপনারা বুঝতে পারছেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কতটুকু লাভজনক হতে পারে। 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসে কী কী কাজ করা হয়?

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কী সে সম্পর্কে জানার পর এখন নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা হচ্ছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসের কার্যক্রমগুলো কেমন হয়ে থাকে। এবার সে বিষয়ে জানাচ্ছি। 

বেশিরভাগ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসের কাজের ধরন প্রায় একই রকম। তারা ক্লায়েন্টের চাহিদা ও বাজেট অনুসারে প্রোগ্রামের ভেন্যু সিলেকশন, ডেকোরেশন এবং ফুড ম্যানেজমেন্ট কিভাবে করা যায় সে ব্যাপারে ক্লায়েন্টদের প্রাথমিক ধারণা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনো প্রোগ্রামে গেস্টদের বসার অ্যারেঞ্জমেন্ট, স্টেজ ডেকোরেশন, খাবারের মেনু, সাউন্ড ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্টেশন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার দায়িত্ব থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কোম্পানির। 

এছাড়াও ইভেন্টের আগে বা ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা, ক্যাটারার, ডেকোরেটর, মিউজিশিয়ান, ফটোগ্রাফার সহ একটি ইভেন্টের সাথে রিলেটেড সকল ভেন্ডরদের সমন্বয় করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস রিলেটেড কো অপারেশন করার মতো কাজগুলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করে থাকে। 

কিভাবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করবেন?

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কিন্তু অন্যান্য বিজনেস মডেলের চাইতে অনেক আলাদা। তাই এই বিজনেস শুরু করতে চাইলে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে। সেই সাথে ছোট বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মন মানসিকতা থাকতে হবে। আর অবশ্যই ঠাণ্ডা মাথায় যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার দক্ষতা থাকতে হবে। যদি আপনার এগুলো করার মত মানসিক প্রস্তুতি থাকে, তাহলেই বুঝবেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করার জন্য আপনি তৈরি। এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করবেন সে সম্পর্কে। 

প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন 

প্রতিটি ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন হয়। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসও এর ব্যতিক্রম নয়। এই বিজনেস শুরু করার জন্য ইভেন্ট প্ল্যানিং সম্পর্কে আপনাকে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। অর্থাৎ কিভাবে একদম শুরু থেকে কোন ইভেন্ট প্ল্যান করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কিভাবে কোন ক্লায়েন্টের বাজেট অনুযায়ী আপনি একটি ইভেন্ট প্রোপারলি প্ল্যান ও এক্সিকিউট করতে পারবেন। তার পাশাপাশি অর্গানাইজিং স্কিল ,টাইম ম্যানেজমেন্ট, নেগোশিয়েশন ও বাজেটিং ,কমুনিকেশন স্কিল, টিম ম্যানেজমেন্ট, লিডারশিপ, ক্রিয়েটিভিটি, মার্কেটিং, ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক। 

Read More

বিল গেটস – কলেজ ড্রপ আউট থেকে বিশ্ব সেরা ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠার পেছনের গল্প

সার্টিফিকেশন 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস করতে চাইলে সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ যদি আপনার সার্টিফিকেশন থাকে, তাহলে কোন ক্লায়েন্ট নিশ্চিত হবেন যে আপনি আসলেই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষ। বিয়ে বা জন্মদিনের মতো ব্যক্তিগত প্রোগ্রামের পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক কনফারেন্স কিংবা ফেস্টের আয়োজন বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে করিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যেসব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন কিংবা সিপিম ও এমপিআই ডেসিগনেশন থাকে তারাই মূলত অগ্রাধিকার পান। তাই আপনারা যারা ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন থাকার পাশাপাশি সিপিম ও এমপিআই ডেসিগনেশন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।

নির্দিষ্ট সেক্টর নির্ধারণ করুন

আপনাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে একটি নির্দিষ্ট সেক্টরের ওপর ডিপেন্ডেন্ট না হয়ে ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল সব ধরণের ইভেন্ট ম্যানেজের কাজ করা। একদম নতুন অবস্থায় এটি কিন্তু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে আপনারা যদি নতুন অবস্থায় বিভিন্ন প্রফেশনাল ইভেন্টের কাজ করতে চান, তাহলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন। যদি এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে না পারেন তাহলে আপনাদেরই রেপুটেশন খারাপ হবে। তাই পরামর্শ থাকবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস শুরু করলে প্রথমে বিভিন্ন ছোটখাটো পার্সোনাল ইভেন্ট যেমন বিয়ে বা জন্মদিন দিয়ে শুরু করতে। তারপর যখন আপনাদের এক্সপেরিয়েন্স বাড়বে তখন প্রফেশনাল ইভেন্টে কাজ করা শুরু করুন। 

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস করুন এবং বেকারত্বকে জানান বিদায়!

বিজনেস প্ল্যান সেট করুন 

যেকোনো বিজনেস সাকসেসফুল হবে কি না তা নির্ভর করে বিজনেস প্ল্যানের ওপর। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সাকসেসফুল করতে চাইলে  মিশন,ভিশন,গোল সেট করা এবং একটি ডিটেলড বিজনেস প্ল্যান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

বিজনেস প্ল্যানিং করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হলো –

  • লং টার্ম ও শর্ট টার্ম প্ল্যানিং রাখুন ও বিজনেস অবজেক্টিভ সেট করুন। এতে করে আপনার বিজনেসের গ্রোথ কতটুকু হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন। 
  • এই বিজনেসের পেছনে আপনার কতটুকু বাজেট এবং এ বাজেট কোথায় কোথায় স্পেন্ড করতে হবে তার শুরুতেই নির্ধারণ করে ফেলুন। 
  • বিজনেস সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ক্রিয়েট করুন, যেমন: হিউম্যান রিসোর্স, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, অ্যাকাউন্টস, পাবলিক রিলেশন এন্ড কমিউনিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, লজিস্টিকস ইত্যাদি। 
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস কখনো একা পরিচালনা করা পসিবল নয়। টিমওয়ার্ক এই বিজনেসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। তাই কাদের নিয়ে আপনি বিজনেস টিম তৈরি করছেন সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখুন। এমন মানুষদের বেছে নিন যারা বিশ্বস্ত এবং কোন সমস্যা সামাল দিতে পারদর্শী।  
  • বছরের শুরুতে করা বিজনেস প্ল্যান কখন রি-ইভালুয়েট করা হবে তা নির্ধারন করুন, অর্থাৎ আপনি তিন মাস, ছয় মাস নাকি এক বছরে আপনার বিজনেস প্ল্যান পুনর্মূল্যায়ন করবেন সে বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। 
  • বিজনেস ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং কিভাবে করা হবে সে বিষয়ে একটি প্ল্যান সেট করে ফেলুন। তার আগে অবশ্যই সময় নিয়ে মার্কেট রিসার্চ করে নিন। 

বিজনেস ইনসুরেন্স করে রাখুন

যেকোনো ধরনের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিজনেস ইন্সুরেন্স বা ব্যবসায়িক বীমা করে রাখুন। বর্তমানে অনেক ইন্সুরেন্স কম্পানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসকে নানা ধরনের বীমা সুবিধা দিয়ে থাকে, যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো  জেনারেল লায়াবিলিটি ,ওয়ার্কারস’ কম্পেন্সেশন এবং হেল্থ অ্যান্ড আদার বেনিফিটস ইত্যাদি। 

ভেন্ডর খুঁজে বের করুন

একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার সাকসেস অনেকটুকুই নির্ভর করছে এই বিজনেসের ভেন্ডরের ওপর। ভেন্ডর বলতে আপনি যাদের সহায়তায় এক একটি ইভেন্ট লঞ্চ করবেন তাদের বোঝানো হয়। অর্থাৎ একটি ইভেন্টের ক্যাটারার, ডেকোরেটর কিংবা যারা মিউজিক সিস্টেম সরবরাহ করছে তারা সবাই ভেন্ডর। 

যদি আমি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলতে চাই, তাহলে বলা যায় ভালো ভেন্ডর খুঁজে পাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ যে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেসগুলো অলরেডি সাকসেসফুল, তারা কখনোই নিজেদের ভেন্ডরের ইনফর্মেশন আপনাকে দেবে না। তাই আপনাকে নিজেই সময় নিয়ে পর্যাপ্ত রিসার্চের মাধ্যমে ভেন্ডর খুঁজে বের করতে হবে। 

ব্র্যান্ডিং এন্ড প্রমোশনে সময় দিন

আপনার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সাকসেসফুল করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে কিভাবে আপনি বিজনেসের ব্র্যান্ডিং ও প্রমোশন করছেন সেটি। যেহেতু এখন অনেক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে নিজের বিজনেস যেন সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা নিশ্চিত করতে এক্সপার্ট কাউকে দিয়ে বিজনেসের ব্র্যান্ডিং ও প্রমোশন করান। এতে করে দেখতে পাবেন খুব দ্রুত আপনার ব্যবসা গ্রো করছে। 

শেষ কথা

এটুকুই ছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিজনেস নিয়ে আজকের আলোচনা। আশা করছি যারা এই বিজনেস শুরু করার কথা ভাবছিলেন, তাদেরকে আমি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পেরেছি। সত্যি বলতে বিজনেস সেক্টর হিসেবে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি সেক্টর। তাই যদি আপনার প্যাশন থাকে এবং রিস্ক নেওয়ার মন মানসিকতা থাকে, তাহলে এই বিজনেস শুরু করে দেখতে পারেন। 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment