বাঙালিদের বিকাল কিংবা সন্ধ্যা, কাজের ফাঁকে অথবা অবসর মানেই তেলে ভাজা মুচমুচে নাস্তার সমাহার নিয়ে বসে যাওয়া। তবে খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই খরচের হিসাবটাও বড় হয়ে যায় মাঝে মাঝে অপচয়ের কারণে। কারণ বেশিরভাগ সময় খাবার ভেজে নেওয়ার পর অবশিষ্ট তেলটুকু অন্য রান্নায় আর ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তো এই চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় পেতেই আজকের লেখাটা আপনাদের জন্য। তবে চলুন জেনে নিই পোড়া তেল স্বাস্থ্যকর হিসেবে পরিশুদ্ধ করার উপায় কি?
ভাজাপোড়া খাবার বললেই আমাদের চোখের সামনে যেগুলো ভেসে ওঠে যেমন- পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুচপ, ডিমচপ ইত্যাদি নানা আইটেম যেগুলো তেলে ভেজে নেওয়ার পর সেই তেল আর ব্যবহার করা হয় না। কারণ সেই তেলের তলানীতে ছোট ছোট পোড়া অংশ পড়ে থাকে আর তেল কালচে হয়ে যায়।
তবে এই তেল যে আবারও পরিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা সম্ভব এবং এতে করে আপনার অপচয় যেমন হবে না সেই সাথে তেলের সঠিক ব্যবহারও করা যাবে। তো চলুন দেরি না করে জেনে নিই পদ্ধতিটি-
ফিল্টার করার জন্য একটি পাত্রে ওই পোড়া তেল নিয়ে তা চুলায় বসিয়ে দিন। তারপর তেলটা গরম করতে থাকুন। মনে রাখবেন গরম করার সময় তেলের তাপমাত্রা যেন ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি না হয়। কিভাবে বুঝবেন? বোঝার জন্য তেলে একটি কাঠি ফেলে দিন। তেল এর মধ্যে বুদবুদ ওঠা শুরু করলে বুঝবেন যথেষ্ট গরম হয়ে গেছে। তাপ দিলে তেলের ঘনত্ব কমে যায় যার কারণে ফিল্টার করা সহজেই হয়ে যায়। তেল যথেষ্ট গরম হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
একটি বড় পাত্র নিন। এর উপরে বড় স্টিলের ছাঁকনি নিন। এবার ছাঁকনির উপরে কিচেন টিস্যু দিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন টিস্যু যেন ভাজ দিয়ে নিবেন না। এবার ধীরে ধীরে তেলটা টিস্যুসহ ছাঁকনির উপরে ঢালুন। এই ছাঁকনি ও টিস্যু তেলের সঙ্গে থাকা উচ্ছিষ্ট অংশ গুলো ফিল্টার করবে। মনে রাখবেন তেল যথেষ্ট গরম হলে দ্রুত ফিল্টার হয়ে যাবে। আর তেল ঠান্ডা হলে সময় বেশি লাগবে। ছেঁকে নেওয়ার সময় প্রথমে তেল দ্রুত পড়লেও ধীরে ধীরে গতি কমে আসবে তাই ধৈর্য ধরে তেলটা ঢালতে থাকুন। এভাবে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ তেল ফিল্টার করে নিন।
নোটঃ পরবর্তিতে ওই তেল ব্যবহার করার সময় চেষ্টা করবেন যে রান্নায় আগে ব্যবহার করা হয়েছে (বিশেষত যদি কোনকিছু ডিপ ফ্রাই করে থাকেন) সেই একই রান্না করতে। নতুবা খাবারের স্বাদ চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে।
জেনে নিলেন আপনার কিচেন সিক্রেট। এরকম আরও সিক্রেট জানতে সাথেই থাকুন।