টিকটিকি এমন একটা প্রাণী যেটা আমরা কম বেশি সবাই চিনি। টিকটিক সাধারণত নিশাচর প্রকৃতির, এরা দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে এবং রাতে পোকামাকড়ের সন্ধানে বের হয়। ঘরবাড়ি অর্থাৎ বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে এদের দেখা যায়। পোকামাকড় ও মাকড়সা এদের শিকারের প্রধান লক্ষ্য।
টিকটিকি প্রায় সব বসতবাড়িতেই দেখা যায়। অনেকে এই প্রাণিকে হুমকি মনে না করলেও সত্যি এটাই যে টিকটিকি খুবই বিষাক্ত। বিশেষ করে এই প্রাণীর ত্বক ও বর্জ্য শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। টিকটিকি শরীরের উপর পড়লে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ হতে পারে। পৃথিবীর অন্য যে কোন সরিসৃপ প্রাণীর থেকে টিকটিকির মল অত্যন্ত ক্ষতিকর মানব দেহের জন্য যদি তা খাবার দ্রব্যের সাথে মিশে যায়। আর টিকটিকি যেহেতু ঘরের আনাচে কানাচে বিচরণ করে বেড়ায় তখন তারা খাবারের মধ্যে তাদের বিষাক্ত লালাও ফেলে থাকতে পারে যা মানুষকে মৃত্যু ঝুকির দিকে নিয়ে যায়।
টিকটিকির প্রধান কাজ হল মানুষের খাবার নষ্ট করা। বিশেষ করে ঘরের যে জায়গায় লবণ থাকে টিকটিকি সে জায়গাতেই বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে থাকে।
এছাড়াও টিকটিকির শরীরে রয়েছে মাদকতা যা দিয়ে অনেক নেশাখোর মানুষ নেশা গ্রহণ করে যা মানবদেহের জন্য মারাত্মকভাবে হুমকির স্বরুপ। টিকটিকির লেজ পুড়িয়ে তারা এই নেশা করে থাকে। এমনকি এই নেশার জন্য কিছু কুচক্রী মহল বাণিজ্যিকভাবেও টিকটিকি উৎপাদন করে থাকে।
রাসূল (সাঃ) যে কয়টি প্রাণিকে ক্ষতিকর বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো এই টিকটিকি। এই টিকটিকির শরীরের মধ্যে অনেক ধরনের ক্ষতিকর জিনিস আছে। এর লেজের ভিতর আছে মাদকতা, এর ত্বকের ভিতর আছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর জিনিস। যেগুলো আমাদের গায়ে লাগলে জীবাণু ছড়িয়ে যেতে পারে।
এই টিকটিকিকে মারার নির্দেশ দেওয়ার ২টি নির্দিষ্ট কারণ হাদিসে বর্নিত আছে। কারণ দুটি হলোঃ
১) হযরত ইব্রাহিম (আঃ)কে যখন নমরুদ আগুনে নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়, তখন সব প্রাণীই হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় টিকটিকি ফুঁ দিয়ে আগুনকে আরও প্রজ্জ্বলিত করার চেষ্টা করেছিল।
২) রাসূল (সাঃ) বলেছেন টিকটিকি একটি ক্ষুদে দুস্কৃতিকারী প্রাণী। আকারে ছোট কিন্তু দুষ্ট এবং খারাপ প্রকৃতির। যার কারণে এই টিকটিকি আমাদের নানা ধরণের ক্ষতি করে।
রসূল (সাঃ) যেটা বলেছিলেন সেটা আজ আমাদের বিজ্ঞানও বলছে। সুতরাং এই টিকটিকি আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর সেটা তো আপনারা জেনে গেলেন। তাই এবার থেকে যখনই টিকটিকি দেখবেন অবশ্যই মেরে ফেলবেন।