A Journey To Planet X072
(Scince Fictional Adventurer Stories)
Part-01: Journey To The PLANET X072 লেখকঃ খালিদ হাসান (ইমন)
—সাল ২০৬৫, ক্যাপ্টেন মামুন ৫ জনের একটা টিম গঠন করেছে। মিশন Planet X072
এটা অবশ্য তাদের প্রথম মিশন না। এর আগে ৭ জনের একটা টিম এই গ্রহটিতে পাঠানো হয়েছে কিন্তু এই গ্রহে তাদের মহাকাশ যান Apollo 097 ল্যান্ড করার পরপরই তাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাদের সাথে রয়েছে American Rescue Team.
উদ্দেশ্য একটাই Planet X072 এর রহস্য উদঘাটন এবং নিখোজ মহাকাশ আরোহীদের নিরাপদে পৃথিবী তে নিয়ে আসা। সম্প্রতি নাসার একটি স্যাটেলাইট XOVA 1 এই গ্রহটি আবিষ্কার করে। কিন্তু খুব গবেষনা করতে পারেনি।
এই মিশনে রয়েছে ক্যাপ্টেন মামুন, নিরব, সিয়াম আর Rescue Team এর ২ জন সহযোদ্ধা।
তারা সব প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রহটিতে যাবার। তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু নিয়ে তারা ছুটতে চলেছে Mujib 71 রকেট যান নিয়ে। কিছুক্ষনের মধ্য রওনা দিবে। পুরো জাতি তাদের দিকে তাকিয়ে আছে পিপাষু প্রাণীর মত। যেন এটার জন্যই তারা ওয়েট করছিলো বছর বছর ধরে।
– আচ্ছা নিরব আপনার কি মনে হয় ? কি হচ্ছে গ্রহ টিতে? (সিয়াম)
– সেটা তো গেলেই দেখা যাবে। তবে আমার মনে হয় হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না (নিরব)
– আমারও তাই মনে হয়। আচ্ছা যদি ওখানে এলিয়েন থাকে?
– সেটা আমার বোধগম্য নয় তবে আমার মনে হয় এগুলো নিয়ে না ভাবাই বেটার।
-হুম সেটাই।
-চলুন তবে ক্যাপ্টেন ডাকছে । প্রস্তুতি নেওয়া যাক।
-হুম চলুন
– শুনুন আপনারা আরেকবার ভেবে দেখুন , আপনারা আমাদের মিশনে যাবেন কিনা?
এতে লাইফ রিস্ক আছে। যা ডিসিশন নিবেন ভেবে নিবেন (ক্যাপ্টেন মামুন)
-স্যার যেখানে আমার লাইফটাই গ্রহটিতে আটকে আছে সেখানে আমার নিজের লাইফ রিস্ক নিয়ে
কি হবে?
-মানে কি বলতে চান?
-জি স্যার। কারন আগের মিশনে আমার ওয়াইফ অবন্তি আছে। আর আমি তাকে আমার লাইফের
থেকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
-আই এম স্যরি মিস্টার নিরব
– ইটস ওকে স্যার
– OK then lets go to gain the information of PLANET X072
– Alright Sir
(সবাই সবার পরিবারের কাছে বিদায় নিয়ে চলেছে অজানা এক রহস্যের খোজে। যেখানে নেই কোনো বেচে থাকার নিশ্চয়তা, নেই পৃথিবী তে ফিরে আসার সম্ভাবনা। হয়তো আগের আরোহী দের মত এরাও আটকে যাবে মহাকাশের অসীম মহাসমুদ্রে। সবার মনেই কিঞ্চিৎ ভয় করলেও নিরবের মনে কিন্তু ভয় নেই। তার দিকে তাকালেই মনে হয় সে যেন কোনো নরমালি জার্নি করছে।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিলো হঠাৎ হলো এক বিপত্তি। রাশিয়ার একটি Temporary Sattelite এ বিষ্ফোরণ ঘটে যার ফলে মহাকাশে এক বিশাল ঝড়ের সৃষ্টি হয়। এই ঝড় 311 Km/H বেগে ছুটে আসছে ।
ক্যাপ্টেন মামুন বিপদের আশঙ্কা পেয়েই সবাই কে এলার্ট করে দেয় । ক্যাপ্টেন ততক্ষণে 981.2452-998.4569 Coordinate এ ঘুরিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তার আগেই এই ঝড় রকেটের একটা প্যানেল ভেঙে পড়ে। এবং তাদের পৃথিবীর সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিয়াম, ক্যাপ্টেন মামুন আর Rescue Team এর সদস্যরা ভীত হয়ে পড়ে । ক্যাপ্টেন মামুন ভীত থাকলেও তাকে ভয় পেলে হবে না। তার হাতে রয়েছে আরও কিছু প্রাণ । তাই সে সবাই কে সাহস যুগিয়ে বলে এর আগে কোনো ঝড় আসার আগেই আমাদের International Space Station এ খুব দ্রুত পৌছাতে হবে। এই বলে ক্যাপ্টেন মহাকাশ যানটির স্পিড বাড়াতে থাকে। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ এসে রকেটের ফুয়েল ট্যাংকের উপরে পড়ে। রকেটে এবার আগুন লেগে যায়। আগুন, ফুয়েল পর্যন্ত পৌছানো মানেই সবার মিশন এখানেই শেষ। সবাই চিন্তিত কি করা যায় । হঠাত নিরব সবাইকে ডাক দিয়ে বলে ক্যাপসুল রেডি আমরা International Space Station পৌছাবো এটার মধ্য। এরপর সবাই বসে পড়ে ক্যাপ্সুলের ভেতরে।
বলে রাখা ভালো ক্যাপসুল হলো ছোটো একধরনের মহাকাশযান যেটার মাধ্যমে মহাকাশে ভেসে থাকা যায় আবার ইচ্ছা করলে পৃথিবীতেও ফিরে আসা যায়।
ক্যাপসুল টি মহাকাশ থেকে Detached হয় এবং সিয়াম অনবরত International Space Station এ যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবার সে ব্যার্থ হয়।
হঠাত নিরবের সারা’র কথা মনে পড়ে। ২০৬১ সালে একটা স্পেস গবেষনার কাজে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হয়য় তাকে। সেখানে সে এক অসম্ভব এক সুন্দরী এক মেয়ে কে দেখে। এবং সেই মেয়েটি তাকে দেখা মাত্রই তাকে এটাক করে বসে আর নিরব কে বেধে রাখে। কিছুদিন পর নিরবের আচার ব্যবহার দেখে এলিয়েন রা মুগ্ধ হয় সাথে তাদের পক্ষ থেকে LTD 2.396 উপহার দেয়। এই LTD এর মানে হচ্ছে Language Translator Devices version 2.396 যার মাধ্যমে এলিয়েনদের ভাষা Detect করা জায়।
এটার মাধ্যমে নিরব তাদের সাথে Smoothly কথা বলতে পারবে। নিরব ওদের কাছে একটা Leasure Signal পাঠায়। কিছুক্ষণের মধ্য আকাশে এক ভলকানির আলো এসে ওদের ক্যাপসুল টিকে মঙ্গল গ্রহে নিয় যাওয়া হয় এবং তাদের একটি সুরক্ষিত সেলে রাখা হয়। এতক্ষন পর সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাষ ফেলে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।
—–Next Part Is Coming Soon. Stay with our Site to get the full story—–