ডার্ক মোড চোখের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকারক?

Recently জনপ্রিয় ফিচারের মধ্য একটি হলো Dark Mode

আমরা কোনো Trending আসলেই সেটা নিয়েই ব্যাস্ত হয়ে পড়ি সেটার ভালো দিক মন্দ দিক না জেনেই 

সম্প্রতি গুগলের এন্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের I-Os এর মাধ্যমে এই ফিচারটি সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।  কিন্তু Dark Mode নতুন কোনো ফিচার নয়, এটি পূর্বে Kali-Linux OS, Windows Smart Phone এ ব্যাবহার করা হতো।

রাতে আলো নিভিয়ে বা বিছানায় শুয়ে ডার্ক মোড অন করে স্মার্টফোন চালালে চোখের অনেকটা প্রশান্তি এনে দেয় কিন্তু আমরা নিজেরাও জানিনা এর আড়ালে আমাদের কতবড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

কিন্তু আমরা কি জানি এর ক্ষতিকারক দিক??

আসুন আজ আমরা জানি এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে –

১। নিদ্রাহীনতাঃ শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য আমাদের শরীরের বিভিন্ন কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন গুলো কাজ করে যেমন কখন ঘুম আসবে, কখন খেতে হবে, কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে এর সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের মস্তিষ্ক দ্বারা। আর যে হরমোনের কারণে এটি হয় তার নাম মেলাটোনিন হরমোন যা ব্রেইনের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়। ফলে যখন রাত হয় তখন আমাদের চোখ ব্রেইন কে Singnal দেয় যে এখন ঘুমাতে হবে। কিন্তু নিয়মিত Dark Mode এর কারনে মেলাটোনিন হরমোনের অসামাঞ্জস্য দেখা যায় । যার ফলে নিদ্রাহীনতার প্রভাব বিস্তার পেতে থাকে।

 

২। আইরিশের প্রদাহঃ চোখের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হলো আইরিশ। যা সংকোচন বা প্রসারণের মাধ্যমে আলো ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু ডার্ক মোড ব্যাবহারের ফলে ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ডে লাইট কন্টেন্ট পড়লে আইরিশের উপরে চাপ পড়ে। ফলে আইরিশের প্রদাহ শুরু হয়।

 

৩। Glaucoma: দীর্ঘদিন ডার্কমোড ব্যাবহার করার কারনে গ্লুকোমা নামক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এটি এমন এক ধরনের চোখের রোগ যা মানুষের চোখের অপটিক স্নায়ু কে ক্ষতিগ্রস্থ করে এবপ্নগ এক পর্যায়ে মানুষ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

 

৪। বিষমদৃষ্টিঃ যাদের চোখে আগে থেকেই বিষমদৃষ্টি বা অ্যাস্টিগম্যাটিজম এর সমস্যা তাদের চোখে ডার্ক মোডের এত প্রভাব পড়ে যা থেকে মাথা ব্যাথা, খাওয়ায় অরুচি চলে আসে। এমতবস্থায় চক্ষু ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই শ্রেয়

 

 

৫। সার্কাদিয়ান রিদম নষ্টঃ ঘুমের সময়টায় যদি বিশৃঙ্খল দেখা দেয় তবে আমাদের দেহের সার্কাদিয়ান রিদম নষ্ট হয় যা শরীরের সমস্ত কার্যক্রমে পরিবর্তন আনে এবং দৈনন্দিন কাজে বিঘ্ন ঘটায়। শরীর সবসময় অসুস্থ মনে হয়।

 

অবশেষে বলা যায়, একটি নতুন প্রযুক্তি আমাদের কাছে আসার পর শুরুতেই আমরা তার সব ভালো-মন্দ দিক বুঝেই আমরা ট্রেন্ডিং এ লেগে পড়ি । যতদিনে বুঝতে পারি, ততদিনে হয়ত অনেক দেরি হয়ে যায় এবং আমাদের নিজেদের ক্ষতি করে বসি। তাই আমাদের উচিৎ সতর্কভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা।

Leave a Comment