এই পৃথিবীর মহানায়করূপে আবির্ভাব হওয়া এক ব্যক্তিত্বের নাম আব্রাহাম লিংকন (Abraham Lincoln)। আমরা কমবেশি সবাই তার নাম ছোট থেকেই ইতিহাসের পাতায় পড়ে এসেছি। আব্রাহাম লিংকন ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যার অসাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধির সমকক্ষ সে সময় আর একজনও ছিলেননা। আব্রাহাম লিংকনের রাজনৈতিক জ্ঞান তাকে কেবল আমেরিকার জাতীয় ইতিহাসেই নয়, বরং চিরস্মরণীয় করে রেখেছে বিশ্বের ইতিহাসেও।
চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থেকে নিজের ক্রমাগত চেষ্টা , পরিশ্রম ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমেরিকার ১৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে। এমনকি আমেরিকায় দাসদের স্বাধীনতার ঘোষণা করার কারণে আব্রাহাম লিংকন খ্যাতি লাভ করেছিলেন ক্রান্তিকালের মহানায়ক হিসেবেও
কি? আরো জানতে ইচ্ছা হচ্ছে? আজকের এই আর্টিকেলে থাকছে আব্রাহাম লিংকনের সংক্ষিপ্ত জীবনী, যেখান থেকে আপনারা এই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের জীবনের জানা অজানা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
আব্রাহাম লিংকন কে ছিলেন ? Who is Abraham Lincoln ?
আব্রাহাম লিংকন ছিলেন একজন সফল মার্কিন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, যিনি ১৮৬১ সালে আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৮৬৫ সালে তার হত্যার আগ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সবার্ত্মক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আব্রাহাম লিংকনকে আমেরিকান ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রপতিদের একজন হিসাবে বিবেচিত করা হয়। কারণ ইতিহাসের পাতায় তার নামের সাথে সফলতার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে গৃহযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া, ইউনিয়ন রক্ষা করা, দাসপ্রথা বিলুপ্ত করা এবং অর্থনৈতিক ও আর্থিক আধুনিকায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো জড়িয়ে আছে। সেই সাথে তার বিখ্যাত গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস ভাষণ ও আমেরিকার ইতিহাসের বিভিন্ন উত্তাল সময়ে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং অবদানগুলো আজও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
আব্রাহাম লিংকনের জন্ম ও পরিবার পরিচয়
আব্রাহাম লিংকন আমেরিকার পশ্চিম অংশে ১৮০৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন কেন্টাফি প্রদেশের একটি ছোট গ্রামে । তার পিতার নাম থমাস লিংকন এবং মায়ের নাম ন্যান্সি হ্যাঙ্কস। পেশায় তারা দুজনেই কৃষক ছিলেন।
আব্রাহাম লিংকনের পিতামাতার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলোনা। তারা এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি ছোট্ট বাড়িতে থাকতেন। তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে চালানো সংসারে যেন এক আনন্দের দূত হয়ে এসেছিলেন আব্রাহাম লিংকন। তার পরিবারে তিনি ছাড়াও তার একজন বড় বোন এবং ছোট ভাই ছিলো। তার বড় বোনের নাম সারাহ লিংকন এবং ছোট ভাইয়ের নাম থমাস লিংকন। তবে খুব দুঃখের বিষয় যে, আব্রাহাম লিংকনের ভাই-বোন খুব অল্প বয়সেই মারা যান ।
Read More
অফ পেজ এসইও করার নিয়ম জেনে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাংক করান
আব্রাহাম লিংকনের শৈশবকাল
হতদরিদ্র পরিবারের জন্ম নেওয়ায় আব্রাহাম লিংকনের শৈশবকাল বাকিদের থেকে ছিলো অনেক ভিন্ন। লিংকনের যখন চার বছর বয়স, তখন তার বাবা কেন্টাফির আবাসস্থল ছেড়ে ইন্ডিয়ানা প্রদেশের অরণ্যময় অঞ্চলে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন।
সত্যি বলতে জীবনের শুরুতেই লিংকনকে মুখোমুখি হতে হয়েছিলো অনেক বেদনাদায়ক বাস্তবতার। ছোট বেলায় তার ভাই-বোনকে হারানোর পাশাপাশি তিনি চিরতরে হারিয়ে ফেলেছিলেন তার মা ন্যান্সি হ্যাঙ্কসকে। লিংকনের বয়স যখন ৯ তখন তার মা হঠাৎ করে মারা যান। ন্যান্সির মৃত্যুর কারণ কেউই প্রথম বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে জানা যায় যে তাঁর মা গাভীর দুধ থেকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। কারণ তার মা যেদিন মারা যান, সেদিন তিনি গাভীর দুধ পান করেছিলেন। ধারণা করা হয় সেই গাভীটি হয়তো কোন বিষাক্ত ঘাস বা পাতা খেয়ে ফেলেছিল যার কারণে দুধেও সেই বিষ মিশ্রিত হয়ে যায়।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, পরিবারে একজন স্ত্রী এবং মায়ের অভাবে সংসার প্রায় অচল হয়ে যেতে শুরু করে। এই করুণ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য লিংকনের বাবা একজন বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেন। তবে সমাজের বাকিদের মতো সৎ মায়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক ছিলোনা লিংকনের।
সৎ মায়ের উপস্থিতিতে অল্পদিনের মধ্যেই তাদের বেহাল সংসারের শৃঙ্খলা ফিরে আসে। তার সৎ মা পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমতী ছিলেন বলে পড়াশুনার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট লিংকনকে সহযোগিতা করতেন। তবে জানা যায় যে নিজের বাবার সাথে লিংকনের সম্পর্ক তেমন ভাল ছিলো না। এমনিকি তিনি বাবার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন না।
এভাবেই নানা উত্থান পতনে পার হয়েছিলো আব্রাহাম লিংকনের বাল্যকাল।
আব্রাহাম লিংকনের শিক্ষাজীবন
লিংকনের বাবা ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে উদাসীন থাকলেও তার সৎ মা তাকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করতেন। তিনি বাবা মায়ের সাথে যে অঞ্চলে বাস করতেন সেখানে কিছু শিক্ষিত লোকের চেষ্টায় একটা প্রাথমিক স্কুল খোলা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, সৎ মায়ের আগ্রহেই লিংকন সেই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন।
ছোট থেকেই লিংকন পড়াশুনা করতে খুব ভালবাসতেন। আর এ কারণেই তাঁর কিছু জানার দরকার বা ইচ্ছা হলে নিজে নিজেই তা পড়ে নিতেন। আবার অনেকেই তাঁকে একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি বলে থাকেন কারণ লিংকন নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময় নিজেই পড়াশুনা করেছিলেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সময়কাল সব মিলিয়ে ছিল মাত্র ১৮ মাস। তবে ছোটবেলা থেকেই তার নানা বিষয়ে বই পড়ার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিলো। কথিত আছে তিনি বই পড়ার জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে তারপর বই সংগ্রহ করতেন।
একসময় তিনি ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি উকিল হবেন। এরপর তিনি নিজে থেকেই আইন সম্পর্কিত সবকিছু পড়েছিলেন। সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো আইন বিষয়ক কোন ডিগ্রি না থাকতেও তিনি আইন অনুশীলন করেছিলেন। এমনকি ১৮৪৯ সালে আব্রাহাম লিংকন সুপ্রিম কোর্টে একটি কেস লড়েন। তবে সেই কেসটিতে তিনি হেরে যান।
আব্রাহাম লিংকনের কর্মজীবন
ভীষণ দরিদ্রতার মধ্যে পার করা লিংকন খুব অল্প বয়স থেকেই পরিবারের ভরণপোষণের হাল ধরেছিলেন। কখনো নৌকা চালিয়ে, আবার কখনো কাঠ কেটে তিনি পরিবারের জন্য রোজগার করতেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি তার এক বন্ধুর সাথে দোকান কিনে ব্যবসা শুরু করেন।
তবে ব্যবসার লাভ আশানুরুপ না হওয়া তিনি সেখান থেকে দূরে সরে আসেন এবং পরবর্তীতে সেই দোকানে তার শেয়ার বিক্রি করে দেন। কিন্তু এতেও তাকে মুখোমুখি হতে এক বিষাদ বাস্তবতার। তার সেই বন্ধুর অকাল মৃত্যু হলে বন্ধুর ব্যবসায় করা ১ হাজার ডলার ঋণের দায় লিংকনের উপর এসে পড়ে যা তাকে ১৭ বছর ধরে পরিশোধ করতে হয়েছিলো।
এরপর তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি পোস্টমাস্টার হিসেবেও কাজ করেছিলেন কিছুদিন। এভাবেই রাজনৈতিক জীবন এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতা পাওয়ার পূর্বে আব্রাহাম লিংকন বেশ কিছু পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
বৈবাহিক জীবন, Married life
১৮৪২ সালের ৪ নভেম্বর আব্রাহাম লিংকন দাম্পত্যজীবনের সঙ্গী হিসেবে মেরি টোড কে বিয়ে করেন। পরবর্তী সময়ে এই দম্পতির ঘরে চার সন্তানের জন্ম হয়। তাদের নাম রবার্ট টড লিঙ্কন, এডওয়ার্ড বেকার লিংকন, উইলি লিংকন এবং টেড লিংকন।
আব্রাহাম লিংকনের রাজনৈতিক জীবন
আব্রাহাম লিংকনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিলো ব্ল্যাক হ্যাক যুদ্ধের পরে। ১৮৩৪ সালে ইলিনয় হুইগ পার্টির রাজ্যের আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হলে আব্রাহাম লিংকন পেশায় আইনজীবী হওয়ার সিন্ধান্ত নেন। আইন সভার কাজের পাশাপাশি তিনি আইন বিষয় শিক্ষা গ্রহন এবং তা চর্চাও শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৩৭ সালে বার কাউন্সিলে ভর্তি হয়ে তিনি একজন সফল উকিল হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন। এরপর তাকে আর কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। ১৮৪৭ থেকে ১৮৪৯ পর্যন্ত আব্রাহাম লিংকন মার্কিন হাইউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন। এরপরে ১৯৫৮ এর দিকে সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন।
তবে সেই নির্বাচনে স্টিফেন ডগলাসের বিরুদ্ধে তিনি প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। রাজনীতির ময়দানে উত্থান পতনের মাঝেও আব্রাহাম লিংকনের ডগলাস বিতর্ক এবং ক্রীতদাস প্রথা সংক্রান্ত কান্সাস-নেব্রাস্কা আইনের উপর বির্তক খুব অল্প সময়ে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলেছিলো জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে আব্রাহাম লিংকন
কঠোর পরিশ্রম, প্রশংসনীয় চরিত্র মাধুর্য , বুদ্ধিমত্তা , যথার্থ মানবতাবোধ এবং দৃঢ় মনোবলের কারণে আব্রাহাম লিংকন ১৮৬০ সালে রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে আমেরিকার ১৬ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন তার এই রাজনৈতিক দলের প্রথম রাষ্ট্রপতি। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়া আব্রাহাম লিংকন ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ পর্যন্ত একজন যোগ্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট হিসাবে মূলত দুটি কারণে তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ঘৃণিত দাসপ্রথার বিলোপ সাধন এবং অপরটি হলো শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করতে সক্ষম হওয়া।
যখন আব্রাহাম লিংকন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন,তখন দেশটির দুই অংশের উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে দাসপ্রথা অব্যাহত রাখা ও দাসপ্রথার বিলোপ সাধন প্রশ্নে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তারপর ১৮৬৩ সালে দাসপ্রথা সম্পূর্ণ বিলোপ করতে সক্ষম হন তিনি। এই দাসপ্রথা বিলোপের কারণে ৩৫ লাখ দাস মুক্ত হয়।
শুধু তাই নয়, গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময় আব্রাহাম লিংকন পেন্সালভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের গেটিসবার্গে একটি ভাষণ দেন যেটি ইতিহাসে বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণ হিসেবে পরিচিত। তার গেটিসবার্গ ভাষণটি পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সেরা ভাষণ হিসেবে এখনও পরিচিত। এছাড়া গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো প্রদানে এখনো যেমন তিনি আমেরিকার আদর্শ হয়ে রয়েছেন, তেমনি বিশ্বব্যাপী মানুষ আজও তাকে স্মরণ করে মানবতাবাদী এবং গণতন্ত্রপ্রেমী গুনাবলির জন্য।
আব্রাহাম লিংকনকে কিভাবে হত্যা করা হয়?
প্রথম মেয়াদে আব্রাহাম লিংকন জনগণের স্বার্থে বহু দুঃসাহসিক কাজ করার মধ্যে দিয়ে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর লিংকনের বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা হয় নি।
কেন জানেন? ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই লিংকন আততায়ীর হাতে খুন হন ফোর্ড থিয়েটারের একটি অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জন উইকস বুথ নামক ব্যক্তি তাঁর মাথার পেছনে গুলি করে হত্যা করে এবং সেখানেই আব্রাহাম লিংকন মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু বরণ করেন। বলা যায়, সফলতার শিখরে থাকা এমন রাষ্ট্রনায়কের জীবনের সমাপ্তিটুকু ছিল অনেক বেশি আকস্মিক ও দুঃখজনক।
পরিশেষে, কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা না পেয়েও একজন মানুষের পক্ষেও যে অসাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন এক মহান ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা সম্ভব, তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন আব্রাহাম লিংকন। তিনি কোনো আবেগপ্রবণ রাজনীতিবিদ ছিলেন না, বরং তিনি নিজের সব কিছু বিলিয়ে দিয়েছিলেন আমেরিকার স্বার্থে। আর এ কারণেই তিনি রাজনীতিবিদ থেকে আমেরিকার সেরা রাষ্ট্রপতি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!