ব্যর্থতা সাফল্যের চাবিকাঠি – এ কথাটি আমরা সবাই শুনেছি। তবে সত্যিকার অর্থে ব্যর্থতাকে সফলতায় পরিণত করতে কতজন পারেন? আমি নিশ্চিত এ সংখ্যাটি খুব বেশি নয়। আজ আপনাদের এমন একজন মানুষের জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানাবো, যিনি শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনের হাজার ব্যর্থতার পরেও সগৌরবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলেন। তিনি আর কেউ নন, আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। আজকের লেখায় আপনাদের জানাবো জ্যাক মার ছোটকাল, শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন এবং সেই সাথে তার জীবনের অর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত।
জ্যাক মার সংক্ষিপ্ত পরিচয়
জ্যাক মা হলেন বিখ্যাত চাইনিজ ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা। সেইসাথে তিনি আলি পে নামক একটি ই-পেমেন্ট পোর্টালেরও স্টেকহোল্ডার। জ্যাক মা কে বর্তমানে চায়নার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার নেট ওর্থ শুনলে আপনাদের চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। জ্যাক মার বর্তমান নেট ওর্থ পঁচিশ বিলিয়ন ডলার। এটুকু শুনেই আপনাদের মনে হতে পারে এ মানুষটির জীবনে হয়তো ফেইলিউর নামক শব্দটির কোন অস্তিত্বই নেই, যা মোটেও সত্য নয়। বরং জ্যাক মার সফলতার গল্প শুনলে আপনারা বুঝতে পারবেন কিভাবে নিজের ওপর বিশ্বাস থাকলে একরাশ অন্ধকার থেকেও মানুষ আলোর পথে উঠে আসতে পারে। তাহলে চলুন এই মানুষটির জীবনের গল্প শুরু করা যাক।
কেমন ছিলো জ্যাক মার ছোটবেলা?
জ্যাক মার চাইনিজ নাম হলো মা ইউন। তিনি ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে চীনের হাংঝৌতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মায়ের নাম মা লাইফা ও সুই ওয়েঞ্চাই। তারা দুজনেই ওই এলাকার মিউজিশিয়ান ছিলেন। সেই সাথে তারা মাঝেমধ্যে স্টোরিটেলিংও করতেন। তবে জেনে রাখা ভালো, তাদের ওইটুকু আয়ে সংসার চালানো বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো। জ্যাক মা রা মোট তিন ভাইবোন ছিলেন।
ছোট কাল থেকে ইংরেজি শেখার প্রতি জ্যাক মার বিশেষ আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে মার্ক টোয়েনের বই পড়তে তিনি খুব পছন্দ করতেন। ইংরেজি শেখার জন্য যা করা প্রয়োজন জ্যাক মা চোখ বন্ধ করে সেটুকু করতে প্রস্তুত ছিলেন। ১৯৭২ সালে সেসময়ের ইউএসএর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন হাংঝৌতে যাওয়ার ফলস্বরূপ সেখানকার পর্যটনের অবস্থা বেশ উন্নত হয়েছিল।
জ্যাক মা ইংরেজি শেখার জন্য জন্য এই সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন। কিভাবে? বলছি! জ্যাক মার বয়স তখন ১২। তিনি তখন প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেন। তারপর টানা ৪০ মিনিট সাইকেল চালিয়ে তিনি হাংঝৌয়ের একটি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে চলে যেতেন। সেখানে গিয়ে তিনি ভ্রমণকারীদের জন্য অপেক্ষা করতেন। তিনি ভ্রমণকারীদের হাংঝৌ ঘুরিয়ে দেখার প্রস্তাব দিতেন এবং এর বিনিময়ে তিনি ভ্রমণকারীদের বলতেন তাকে ইংরেজি শেখাতে। তিনি ইংরেজি শিখতে এতই আগ্রহী ছিলেন যে ঝড় কিংবা বৃষ্টি কোন আবহাওয়াই তাকে বাড়িতে বেঁধে রাখতে পারতো না। তিনি বেশ অনেকদিন ধরেই এ কাজটি করেছিলেন।
এ কাজটি করতে করতেই তার একবার এক অস্ট্রেলিয়ান পরিবারের সাথে পরিচয় হয়। ওই পরিবারটি তাকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তখন জ্যাক মা বুঝতে পেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মানুষের জীবনযাত্রা সাথে চায়নার মানুষের জীবনযাত্রার পার্থক্য রয়েছে। মূলত ছোটকাল থেকেই জ্যাক মা চায়নার জন্য কিছু করতে চাইতেন। তিনি সবসময় চাইতেন কিভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান আরেকটু উন্নত করা যায়।
জ্যাক মার শিক্ষাজীবন
জ্যাক মার শিক্ষাজীবন কিন্তু বেশ উত্থান-পতন পূর্ণ। তিনি তার শিক্ষা জীবনে বহুবার ব্যর্থ হয়েছেন। যেমন, ছোটকালে প্রাইমারি স্কুলে জ্যাক মা দুবার ফেল করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি তার মিডল স্কুল এক্সামেও তিনবার ফেল করেছিলেন।
যদিও ইংরেজি ভাষায় তার দক্ষতা ভালো ছিলো, কিন্তু গতানুগতিক পড়াশোনায় তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলাম না। বিশেষ করে অংকে দুর্বলতার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স টেস্টে ফেল করেন। ওই পরীক্ষাতে ১২০ নম্বর এর মধ্যে তিনি মাত্র ১ পেয়েছিলেন। পরের বছর তিনি যখন আবার ওই পরীক্ষায় অংশ নেন তখন তার মোট নম্বর ছিল ১২০ এ ১৯। এত বাজে নম্বর থাকার কারণে তিনি ভালো ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হতে পারেননি। তিনি হার্ভার্ড ভার্সিটিতেও অ্যাপ্লাই করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।
পরবর্তীতে তিনি টিচার্স কলেজে ভর্তি হন। এ কলেজটি তখনকার সময়ের কোনো স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না হওয়ায় জ্যাক মার মনে বরাবরই কষ্ট ছিলো, কিন্তু তিনি সবসময় চেষ্টা করে গেছেন যাতে করে একটু ভালো ফলাফল করতে পারেন। ১৯৮৮ সালে তিনি ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর তিনি হাংঝৌ ডিয়াঞ্জি ইউনিভার্সিটিতে প্রতিমাসে মাত্র ১২ ডলারের বিনিময়ে ইংরেজিতে শিক্ষকতা করতে শুরু করেন। মূলত এটিই ছিল তাঁর প্রথম চাকরি।
জ্যাক মার কর্মজীবন
আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা এমন একজন মানুষ যিনি তার জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে বিভিন্ন রকম বাধা-বিপত্তির শিকার হয়েছিলেন। তিনি যখন চাকরি খুঁজতে শুরু করেন, তখন একবার এক প্রতিষ্ঠানে তিনি ৩০ বার আবেদন করেও চাকরি পাননি। নিজের কর্মজীবনের শুরুর দিকের দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব বিখ্যাত ফুড চেইন কেএফসি যখন চায়নাতে আসে, তখন মোট ২৪ জন মানুষ সেখানে কাজ করার জন্য আবেদন করে পরবর্তীতে সেখান থেকে ২৩ জনকে নেয়া হয়, এবং বাদ পড়ে যান শুধুমাত্র একটি মানুষ, তিনি আর কেউ নন, জ্যাক মা নিজেই! এখানেই শেষ নয়, পুলিশ ফোর্সের একটি চাকরিতে যে পাঁচজন আবেদনকারীর মধ্যে চারজনকে নেওয়া হয়েছিল, সেখানেও জ্যাক মা বাদ পড়েছিলেন।
এরপর তিনি যখন তার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন, তখন শুরুর দিকের দুটো প্রজেক্ট ব্যর্থ হয়। এই এত এত ব্যর্থতার ভিড়েও জ্যাক মা কখনই থেমে যাননি। কারণ তার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল, জেদ ছিলো এবং তিনি স্বপ্ন দেখতেন জীবনে বড় কিছু করার।
Read More
একটি সহজ কিন্তু প্রফিটেবল ইনকাম সোর্স সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে লিড জেনারেশন সম্পর্কে জানুন
কিভাবে জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন?
জ্যাক মা যখন তার কর্মজীবনে একের পর এক ব্যর্থতার শিকার হচ্ছিলেন, তখন তিনি এমন কিছু করতে চাইছিলেন যা আগে কেউ কখনই করেনি। ১৯৯০ সালের দিকে জ্যাক মা প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি তখন বুঝতে পারেন সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারলে তিনি চায়নাতে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।
তারপর ১৯৯৫ সালে তিনি ইউনাইটেড স্টেটসে যান হাইওয়ে তৈরির সরকারি প্রজেক্ট উপলক্ষে। সেখানে তিনি প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পান। সত্যি বলতে ঐসময়ে চায়নাতে ইন্টারনেটের সেভাবে কোন অস্তিত্বই ছিল না। জ্যাক মা ইউনাইটেড স্টেটসে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রথমবার ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন। তিনি মোসাইক ওয়েব ব্রাউজারে প্রথমবার যে শব্দটি টাইপ করেছিলেন সেটি হলো বিয়ার। তিনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন সার্চ রেজাল্টে বিভিন্ন দেশের নাম আসলেও চায়নার নাম আসছে না। তারপর তিনি যখন চায়না লিখে সার্চ করেন, তখন দেখতে পান সার্চ রেজাল্টে কিছুই নেই। মূলত তখনই তিনি বুঝতে পারেন তার যা করার এই ইন্টারনেট ব্যবহার করেই করতে হবে।
এরপর ১৯৯৫ সালেই তিনি চায়না ইয়োলো পেজেস নামের একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জ্যাক মা তার সমস্ত টাকা-পয়সা খরচ করেছিলেন। তার অফিস ছিল ছোট্ট একটি রুমের মধ্যে, যেখানে ছোট্ট একটি ওয়ার্কস্টেশন এবং খুবই পুরনো একটি পার্সোনাল কম্পিউটার ছিল। দুঃখের বিষয় হল এই কোম্পানি থেকে জ্যাক মা সেভাবে কোনো প্রফিট করতে পারেননি। এখান থেকেও তাকে ফিরে আসতে হয়েছে শূন্য হাতেই।
সেসময় জ্যাক মার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিলো তার বাসস্থান হাংঝৌতে ইন্টারনেটের সংযোগ না থাকা। এ কারণে তিনি চাইলেও খুব বেশি এগোতে পারছিলেননা। অন্য কেউ হলে এসময় নিশ্চিতভাবেই হাল ছেড়ে দিত। তবে জ্যাক মা তা করেননি। তিনি তার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে ইন্টারনেটের সুবিধা সম্পর্কে বোঝান এবং কয়েকজনকে বলেন যে তিনি কিছু কমিশনের বিনিময়ে তাদের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেবেন। তার চায়নার ক্লায়েন্টরা তাকে নিজেদের কোম্পানির ইনফর্মেশন পাঠালে সেটি তিনি ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করে সিয়াটলে পাঠাতেন, যেখানে ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ করা হতো। তার সিয়াটলের বন্ধুরা ওয়েবসাইটের কাজ করার পর সেটির স্ক্রিনশট জ্যাক মাকে পাঠাতেন জ্যাক মা সেটি যারা ওয়েবসাইট অর্ডার করেছেন তাদেরকে দেখাতেন।
এভাবে কাজ করতে করতে জ্যাক মা তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রজেক্টের কাজটি শুরু করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি আলিবাবা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি মূলত একটি বিজনেস টু বিজনেস ই-কমার্স প্লাটফর্ম। তবে alibaba.com এর শুরুর দিনগুলোও ভালো ছিলোনা। প্রথমদিকে তার মাত্র সাতজন কর্মী ছিলো। মাত্র দুটো রুম ছিলো তার অফিসের। তার ওপর শুরুর দিকে তার ব্যবসাও সেভাবে ভালো যাচ্ছিল না।
জেনে রাখা ভালো, আলিবাবা শুরুর দিকে কোনো বাইরের ইনভেস্টরের কাজ থেকে ইনভেস্টমেন্ট পায়নি। তবে ১৯৯৯ এই তারা সফটব্যাংকের কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন এবং গোল্ডম্যান শ্যাকসের থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট রিসিভ করে। সেসময় আলিবাবার চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অনলাইন শপিং এর প্রতি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা, কেননা অনলাইন শপিং সম্পর্কে চায়নার মানুষ সেভাবে অবগত ছিল না।
তারপর ধীরে ধীরে যত সময় যেতে থাকে, আলিবাবার জনপ্রিয়তা তত বাড়তে থাকে। এরপর মাত্র ৩১ বছর বয়সেই জ্যাক মার কোম্পানি আলীবাবা হয়ে ওঠে চায়নার অন্যতম সফল ই-কমার্স প্লাটফর্ম। তারপর যত সময় যায়, শুধুমাত্র চায়নাতেই নয়, বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকে আলিবাবার কদর। যে প্রতিষ্ঠানে শুরুতে সেভাবে কোন ইনভেস্টমেন্টই ছিল না, ওই একই প্রতিষ্ঠান মাত্র তিন বছরের মাথায়
৮ লাখ ডলার আয় করে। সেইসাথে বিশ্বের ২৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এর ব্যবসা। এই সাফল্যই জ্যাক মাকে পরবর্তিতে করে তোলে চায়নার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
শুধুমাত্র আলিবাবাই নয়, জ্যাম মা তাওবাও নামের আরেকটি ই-কমার্স সাইটের কো-ফাউন্ডার। আমেরিকান ওয়েব সার্ভিস কোম্পানি ইয়াহু তাওবাওতে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করেছিলো।
জ্যাক মার অর্জন
জ্যাক মার বর্ণাঢ্যময় কর্মজীবন সম্পর্কে তো জেনে নিলেন, চলুন এবার জেনে আসা যাক এই মানুষটির জীবনের কিছু অর্জন সম্পর্কে। ২০০৪ সালে চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন জ্যাক মাকে সেরা ১০ অর্থনৈতিক ব্যক্তিত্বের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৫ সালে তিনি এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ২৫ জন ব্যবসায়ীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৭ সালে বিজনেস উইক ম্যাগাজিন তাকে বিজনেস পারসন অব দ্য ইয়ার উপাধিতে ভূষিত করে।
২০০৯ সালে টাইমস ম্যাগাজিন জ্যাক মাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ইনফ্লুয়েনশিয়াল ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ওই বছরই তিনি সিসিটিভি ইকোনমিক পারসন অব দ্য ইয়ার : বিজনেস লিডার অফ দা ডেকেড অ্যাওয়ার্ড পান।
২০১৫ সালের এশিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি বছরের সেরা উদ্যোক্তার অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। তারপর ২০১৯ সালে পুরো বিশ্বের জনপ্রিয় ফোর্বস ম্যাগাজিন আলিবাবা গ্রুপকে ম্যালকম এস ফোর্বস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।
শেষ কথা
জ্যাক মার জীবনের গল্প সবার জন্য সত্যিকার অর্থেই অনুপ্রেরণাদায়ক। তার জীবন আমাদেরকে শেখায় যেকোন পরিস্থিতিতে যত বাধা বিপত্তি আসুক না কেন, নিজের উপর ভরসা রেখে এগিয়ে যেতে হবে। স্বপ্ন পুরণের জেদ হারিয়ে ফেলা যাবেনা। এমনকি অন্যরা আমাদের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে সে পরিস্থিতিতেও এগিয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকা যাবেনা। কারণ স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেলেই দিনশেষে সফল হওয়া সম্ভব হয়।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!