সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে

এখনকার দিনে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আগেকার দিনে ডেস্কটপ বেশি জনপ্রিয় হলেও এখন ডেস্কটপের পাশাপাশি ল্যাপটপও সমানভাবে জনপ্রিয়। বিশেষ করে করোনা মহামারীর পর থেকে ল্যাপটপ হয়ে উঠেছে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আপনি এখন পড়াশোনা করার জন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হোন কিংবা কোন নতুন অফিসে জয়েন করুন, দেখতে পাবেন ল্যাপটপ ছাড়া আপনি কোনভাবেই আপনার পড়াশোনা কিংবা কাজ ঠিকভাবে করতে পারছেন না। কারণ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট কিংবা ওয়েব ব্রাউজিংয়ের মতো কাজগুলো ল্যাপটপের সাহায্যে খুব ইজিলি করা যায়।

তাছাড়া আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে ফ্রিল্যান্সিং কতটা জনপ্রিয়। এই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যেও কিন্তু একটা পার্সোনাল ল্যাপটপ থাকা আবশ্যক। কারণ যদি আপনার ল্যাপটপ না থাকে, তাহলে আপনি ক্লায়েন্টদের কাজ করতে পারবেন না এবং তাদের সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেট করতে পারবেন না।

এখন আপনি যদি ভালো মানের একটা ল্যাপটপ কিনতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিমাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাজেট করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্ন কারণে এই বাজেট আমাদের থাকে না। সে পরিস্থিতিতে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনা হতে পারে সেরা সিদ্ধান্ত।

তবে হ্যাঁ, অনেকেই রয়েছেন যারা না বুঝে কোথাও কম দামে ল্যাপটপ দেখলেই ভালোমতো চেক না করেই সেটা চোখ বন্ধ করে কিনে ফেলেন। তারপর কয়েকদিন যেতে না যেতেই দেখা যায়, ল্যাপটপে হাজার রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে আজকের লেখায় আপনাদেরকে জানাবো সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলো আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

১। ল্যাপটপের বডিতে কোন ড্যামেজ আছে কিনা চেক করে নিন
আপনার বাজেট যাই হোক, যখন আপনি কোন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যাবেন, তখন সবার আগে ল্যাপটপের বডিতে কোন স্ক্র্যাচ, ফাটা দাগ বা ক্র্যাক আছে কিনা তা ভালো মত চেক করে নিন। সেই সাথে ল্যাপটপের সবগুলো স্ক্রু জায়গামত প্লেস করা আছে কিনা সেটাও দেখে নিন।

এখন আপনার মনে হতেই পারে, যেহেতু আপনার বাজেট কম, তাই আপনার বাজেটের সাথে মিলে গেলে এক্সটারনাল বডিতে ড্যামেজ থাকা ল্যাপটপ কেনা যেতেই পারে। কিন্তু সত্যিটা হলো, ল্যাপটপের বডিতে কোন ড্যামেজের চিহ্ন থাকলে ল্যাপটপে কোন ইন্টারনাল ড্যামেজ থাকতেই পারে। তাই এই ধরনের ল্যাপটপ না কেনার পরামর্শ থাকবে।

২। ল্যাপটপের ডিসপ্লে সময় নিয়ে চেক করুন
একটা ল্যাপটপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এটার ডিসপ্লে। বিশেষ করে আপনারা যদি গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা ভিডিও এডিটিং সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন, তাহলে ল্যাপটপের ডিসপ্লে ভালো হওয়া ম্যান্ডেটরি। তাই সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার সময়
ল্যাপটপের স্ক্রিনের ব্রাইটনেস ঠিক আছে কিনা, কোন ডিসকালারেশন আছে কিনা, ফ্লিকারিং ইস্যু আছে কিনা অথবা ফল্টি পিক্সেলের সমস্যা রয়েছে কিনা ইত্যাদি চেক করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ল্যাপটপের ডিসপ্লে ভালো বোঝেন এমন কাউকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারেন। কারণ যদি আপনি সেভাবে অভিজ্ঞ না হন, তাহলে আপনি ডিসপ্লের সমস্যা ধরতে পারবেন না।

৩। ল্যাপটপের কিবোর্ড ও ট্র্যাকপ্যাড সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা দেখে নিন
বলতে পারেন ল্যাপটপের কোন পার্ট আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি? ঠিক ধরেছেন! কিবোর্ড ও ট্র্যাকপ্যাড। সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপগুলোতে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটা দেখা যায় সেটা হলো, এ ধরনের ল্যাপটপগুলোর কিবোর্ড ও ট্র্যাকপ্যাডে সমস্যা থাকে। কিন্তু যারা ল্যাপটপ সেল করছেন, তারা এ সমস্যাটা ইগনোর করে সেভাবেই ল্যাপটপ সেল করার চেষ্টা করেন। এ কারণে আপনাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, ল্যাপটপের কিবোর্ড ও ট্র্যাক প্যাড ভালো মতো চেক করে নেয়া। এতে করে ভবিষ্যতের অনেক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে।

৪। ল্যাপটপের স্পিকার, ওয়েবক্যাম, পোর্ট এবং সিডি ড্রাইভ সচল রয়েছে কিনা পরীক্ষা করে নিন
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ যে ভুলটা করেন সেটা হলো তারা ল্যাপটপের স্পিকার ও ওয়েবক্যাম চেক করেন না। বিশেষ করে স্পিকার চেক করে নেয়ার ক্ষেত্রে কমবেশি সবাই উদাসীন থাকেন। এ কাজটা করতে যাবেন না।

তবে হ্যাঁ, এটা অবশ্য ঠিক, আপনারা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনলে ফার্স্ট হ্যান্ড ল্যাপটপের মত টপ নচ স্পিকার ও ওয়েবক্যাম হয়তো পাবেন না, তবে এ দুটো যদি একেবারে অচল হয় তাহলে কিন্তু আপনাদেরই সমস্যা হবে। তাই চট করে একবার ওয়েবক্যাম ওপেন করুন এবং স্পিকার চেক করুন।ও হ্যাঁ, অনেক সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলোতে পোর্ট ও সিডি ড্রাইভ ঠিকভাবে কাজ করে না, কিন্তু সেলাররা ঠিকই আপনাদেরকে বোকা বানিয়ে সেগুলো আপনাদের কাছে সেল করার চেষ্টা করে। তাই সময় নিয়ে প্রতিটা পোর্ট এবং সিডি ড্রাইভ চেক করে নিন।

৫। ল্যাপটপের র‍্যাম টেস্ট করুন
র‍্যাম বা র‍্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি হল ল্যাপটপের সেই মেমোরি যাকে শর্ট টাইম মেমোরি বলা হয়ে থাকে। ল্যাপটপে যেন কোন প্রকার ল্যাগিং না হয় এবং ল্যাপটপ যেন স্মুদলি চলে এ দুটো বিষয় নিশ্চিত করতে র‍্যাম ঠিকঠাক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনারা কোনো ফল্টি র‍্যাম রয়েছে এমন ল্যাপটপ কিনে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন আপনার ল্যাপটপে কন্টিনিউয়াসলি ল্যাগিং ইস্যু হবে এবং পারফরম্যান্সও ভালো পাবেন না। এ কারণে যখন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যাবেন তখন সময় নিয়ে ল্যাপটপের র‍্যাম টেস্ট করে নিন।

উইন্ডোজ মেমোরি ডায়াগনস্টিক টুল দিয়ে আপনারা খুব সহজেই র‍্যাম টেস্ট করতে পারবেন। ইউটিউবে একটি সার্চ করলেই আপনারা এই টুল অপারেট করার টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। তাই ল্যাপটপ কিনতে যাওয়ার আগে এই টিউটোরিয়ালটা দেখে যান।


৬। ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ চেক করুন
আমাদের ল্যাপটপ কেনার অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে যেন আমরা ঘরে কিংবা বাইরে সবখানে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিতে পারি। এখন যদি ল্যাপটপে ব্যাটারি ইস্যুজ থাকে, যেমন বেশিক্ষণ ব্যাটারি ব্যাকআপ না থাকা অথবা চার্জ দেয়া অবস্থা ব্যতীত ল্যাপটপ অন না হওয়া – তাহলে কিন্তু
টাকা খরচ করে ল্যাপটপ কেনার পরেও আপনাদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এ কারণে যে দোকান থেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যান না কেন, ল্যাপটপের ব্যাটারি হেলথ চেক করে নিতে ভুলবেন না। এ কাজটা করা কিন্তু খুবই সহজ।

যদি ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ 10 হয়ে থাকে, তাহলে সার্চ বারে cmd লিখুন। এরপর Command Prompt নামক অ্যাপে রাইট ক্লিক করুন এবং Run as Administrator অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর powercfg/batterysupport টাইপ করে Enter এ প্রেস করুন। তাহলেই দেখবেন ব্যাটারি হেলথের একটা রিপোর্ট জেনারেট হয়ে যাবে।

Read More

আব্রাহাম লিংকন : নিজের চেষ্টায় বিশ্ব জয় করা এক মহানায়ক
৭৷ ল্যাপটপের সিপিইউ /জিপিইউয়ের স্ট্রেস টেস্ট করুন
যদি আপনার হেভি গ্রাফিক্সের গেম খেলার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার সময় ওই ল্যাপটপের সিপিইউ বা জিপিইউ এর স্ট্রেস করে নিন। স্ট্রেস টেস্ট হলো এমন একটা টেস্ট যেখানে কম্পিউটারের এই দু’টো হার্ডওয়ারকে সেগুলোর বেস্ট পারফরমেন্স দেয়ার জন্য পুশ করা হয় এবং দেখা হয় এগুলো হেভি লোড ট্যাকেল করতে পারে কিনা। আপনি যে ল্যাপটপটা কিনতে চাইছেন সেটা যদি এই টেস্টে ফেল করে, তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি যখন ল্যাপটপ ইউজ করবেন তখন পারফরম্যান্স ইস্যু ফেস করবেন। তাই সেই ল্যাপটপ কেনার ডিসিশন না নেওয়াই ভালো।

৮। ল্যাপটপের সফটওয়্যারগুলো চেক করুন
সফটওয়্যার ছাড়া ল্যাপটপ অপারেট করা পসিবল নয়। এ কারণে যখন সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যাবেন তখন ল্যাপটপের সফটওয়্যারগুলো ভালোমতো চেক করে নিন।

বিশেষ করে ওই ল্যাপটপে যে প্রিলোডেড অপারেটিং সিস্টেম থাকবে সেটা অরিজিনাল কিনা তা অবশ্যই জেনে নিন। সবসময় সফটওয়্যারের লাইসেন্স গুলো দেখে নিন এবং সেই সাথে প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট-কী গুলো আপনাকে প্রোভাইড করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

৯। ল্যাপটপের ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি ঠিক আছে কিনা দেখে নিন
আমরা মনে করি, ল্যাপটপ অন হচ্ছে মানেই ল্যাপটপের ওয়াইফাই কিংবা ব্লুটুথ কানেকশন ঠিকঠাক আছে। কিন্তু সত্যিটা হল, অনেক সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলোতে ওয়াইফাই কিংবা ব্লুটুথ কানেক্ট হতে চায় না। এখন আপনি যদি এই ল্যাপটপ একবার কিনে ফেলেন, তাহলে কিন্তু পরে আফসোস করতে হবে। যেহেতু ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ দুটোই আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাই এ দুটো ঠিকমতো কানেক্ট হচ্ছে কিনা তা দেখে নিন।

১০। ট্রাস্টেড সোর্স থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনুন
সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনলে অল্প দামে ভালো কোয়ালিটির ল্যাপটপ পাওয়া যেমন পসিবল, তেমনি ভাবে অনেক সময় এমন হয় যে না বুঝে অচেনা সোর্স থেকে ল্যাপটপ কেনার পর ল্যাপটপের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তারপর ল্যাপটপ যখন ওই দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তারা ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দিতে চায় না।

এমনটা যেন আপনাদের সাথে না হয় সেজন্য সবসময় ট্রাস্টেড সোর্স থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে কারো পোস্ট দেখে কখনোই সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যাবেন না। কারণ ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের পোস্টদাতাদের বেশিরভাগের ল্যাপটপেই অনেক রকম ফল্ট থাকে, যেগুলো তারা পোস্টে প্রকাশ করতে চান না। দেখা যায় তাদের পোস্ট করা ল্যাপটপের প্রাইস অনেক কম হয়, যা দেখে যাদের বাজেট কম এবং ল্যাপটপ কেনা খুবই প্রয়োজন তারা আগ্রহী হন এবং কিনে ফেলেন।

এ কাজটা কখনোই করতে যাবেন না। বরং যদি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে শুরুতেই কোন মডেলের সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের প্রাইস কত হতে পারে সেটা নিয়ে নিজে নিজে একটু রিসার্চ করুন। দরকার হলে আইডিবি ভবনে দুই তিনবার গিয়ে নিজে ল্যাপটপের প্রাইস সম্পর্কে আইডিয়া নিয়ে আসুন। এতে করে আপনি যখন কিনতে যাবেন, তখন কোন সেলার আপনাকে ঠকাতে পারবেনা।

সেই সাথে চেষ্টা করবেন আপনার বা আপনার বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনের পরিচিত কোন দোকান থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ পারচেজ করার। এতে করে যেমন সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই করার মাধ্যমে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন, সেই সাথে যদি দুর্ভাগ্যবশত ল্যাপটপে কোন সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রেও ভাল কাস্টমার সার্ভিস পাবেন।

এটুকুই ছিল সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা। অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনাকে লজ্জাজনক বিষয় মনে করেন। কিন্তু সত্যিটা হলো এখানে লজ্জার কিছু নেই। কারণ যদি আপনার একটা ল্যাপটপ কেনা প্রয়োজন হয় এবং একদম নতুন ল্যাপটপ কেনার বাজেট না থাকে, সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ না কিনে চুপ করে বসে থাকার চাইতে সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কেনা অনেক বেটার চয়েস। আমি আজ যে টিপসগুলো শেয়ার করলাম সে টিপসগুলো মাথায় রাখুন, তাহলেই দেখবেন অল্প প্রাইসে ভালো কোয়ালিটির ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

 

Leave a Comment