গল্পঃ যে গল্পের নাম হয়না
লেখকঃ খালিদ হাসান ইমন
-কি রে তুই বৃষ্টির ভেতর ভিজছিস কেন? (নিরব)
-তাতে তোর কি ? (শিমু)
-আমার কি মানে? তুই বৃষ্টিতে ভিজবি, তোর জ্বর আসবে ডাক্তারের কাছে সেই আমাকেই
ছুটতে হবে।(নিরব)
-ছুটতে বলছে কে তোরে? আমি কে যে আমার জন্য তোর প্যারা খাইতে হবে? (শিমু)
-তুই তো আমার বউ (নিরব)
-অ্যাহ আইছে (শিমু)
-এমন করতাছোস ক্যান?(নিরব)
-তো কি করমু তোরে মাথায় নিয়ে নাচমু? (শিমু)
-হেহে তা পারবি না। আমি তোর থেকে ওজনে বেশি (নিরব)
-সর কুত্তা এখান থেকে (শিমু)
-সরমু না। (নিরব)
-যা ভাগ যে মেয়ের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রঙ তামাশা করতেছিলি সেখানে যা (শিমু)
-ওহ আচ্ছা তাহলে এই কারণে মহারানীর রাগ? (নিরব)
-রাগ কেন করবো? তুই কে আমার? (শিমু)
-তাই ই তো (নিরব)
-হ ভাগ (শিমু)
-দোস্তোওওওওও (নিরব)
-চিল্লাস ক্যান ? কান আছে শুনতাছি (শিমু)
-আরে বিশ্বাষ কর ওটা আমার এক স্টুডেন্ট অনেক দিন পর দেখা তাই কথা বলতেছিলাম (নিরব)
-ওহ আচ্ছা স্টুডেন্টদের সাথে আজকাল এইসব চলে? (শিমু)
-আচ্ছা ঠিক আছে। আমিও ভিজমু। আমারও জ্বর আসুক (নিরব)
-না তুই যা এইখান থেকে (শিমু)
-যাবোনা (নিরব)
-মাইর খাবি?
-হ দে। তাও যামুনা (নিরব)
-বাড়াবাড়ি করিস না (শিমু)
-আইস্ক্রিম খাবি?? (নিরব)
- হ হ হ হ খামু (শিমু)
(পাগলিটা আইস্ক্রিমের কথা শুনলে সব ভুলে যায়। তাই আসল জায়গায় ছক্কা হাকালাম)
-আচ্ছা তুই ছাতা টা ধর আমি নিয়া আসি (নিরব)
-আচ্ছা। অনেকগুলা নিয়া আসবি কিন্তু (শিমু)
-হুম (নিরব)
(আসুন এবার আমরা গল্পের নায়ক আর নায়িকার সাথে পরিচিত হয়। এই হলো শিমু আর নিরব।
ছোটবেলা থেকে একই সাথে বড় হয়েছে। নিরব একটু দুষ্টু আর শিমু রাগী স্বভাবের।
নিরব সবসময় শিমু কে জ্বালায়। যে কাজ গুলো শিমু সবথেকে বেশি অপছন্দ করে সেগুলাই সে
বারবার করে।
শিমু নিরবকে অন্য মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারেনা আর নিরব একই কাজ বারবার করে।
এটাতে শিমু সবথেকে বেশি রাগ করে।
এতকিছুর পরেও দুজন কেও কখনও আলাদা হয়নি। যেন একই গাছের শাখা প্রশাখা।
দুজনই দুজনকে যথেষ্ট পছন্দ করে।
কিন্তু কেও কখনও বলতে পারেনা। কিন্তু ভালোবাসা টা রয়েছে প্রখর। তো চলুন গল্পে ফেরা যাক)
নিরব আইস্ক্রিম আনতে যাবে তখনই ঘটলো একটা বিপত্তি।
রাস্তা পার হতে ঝড়ের বেগে একটা কার এসে আঘাত করে নিরবকে।
-নিরওওওওওওওব (শিমু)
(মুহুর্তেই যেন সব অন্ধকার নেমে আসলো। বৃষ্টির বেগটা বেড়েই চলেছে। আর শিমু পাগলের
মত নিরব কে নিয়ে হসপিটালের দিকে ছুটছে।)
নিরবকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে । নিরব যদিও যথেষ্ট Injured কিন্তু এখন সুস্থ আছে।
নিরব আস্তে আস্তে চোখ খুললো। দেখছে পাগলীটা এখনও কান্না করছে সারারাত না ঘুমিয়ে
চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।
-কিরে পাগলি কাদছিস কেন? (নিরব)
-আমার জন্যই এমনটা হলো। তুই আইস্ক্রিম আনতে না গেলে এটা হতোনা (শিমু)
-এটা না হলে বুঝতাম কিভাবে তুই আমাকে ভালোবাসিস? (নিরব)
-অ্যাহ আইছে। কখন বললাম? (শিমু)
-হাহাহা। ভালোবাসিস বলতে পারিস না? আর কত লুকাবি? (নিরব)
-মেয়েরা কখনও বলেনা (শিমু)
-বললে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না। (নিরব)
-না তুই আগে বলবি (শিমু)
-না আগে তুই (নিরব)
-না তুই তুই তুই (শিমু)
-নাহ তুই (নিরব)
-তুই মানে তুই। আর এখনও ঝগড়া করবি? সারারাত ঘুমায়নি কিন্তু (শিমু)
-আহারে পাগলী লাভ ইউ সো মাচ। হাত ছেড়ে যাস না (নিরব)
-ছাড়ার জন্য তো ধরিনি (শিমু)
(অতঃপর শিমুর কপালে চুমু এঁকে দিলো নিরব)
-অ্যাই ওয়েট, তোরে আমি সারারাত এত পাগলের মত প্রলাপ করে ডেকেছি সারা শব্দ দিস নি।
আর একটা নার্স এসে তোরে জুস খাওয়াতেই তোর জ্ঞান ফিরে আসলো?? (শিমু)
(বাকিটা ইতিহাস)