চাকরির ইন্টারভিউতে বাজিমাত করতে চান? তাহলে জেনে নিন ৫ টি ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে – যেগুলো জানলে যেকোনো ইন্টারভিউতে অবশ্যই ভালো করতে পারবেন!

ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে গুগলে একবারও সার্চ করেননি এমন মানুষ কিন্তু নেই বললেই চলে। যারা চাকরিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন তাদের জন্য ইন্টারভিউ শব্দটি অতি পরিচিত। কেননা ছোট-বড় যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিতে হয় এবং যদি ভালো ইন্টারভিউ দেওয়া যায় তাহলে সেই চাকরিতে সিলেক্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। ইন্টারভিউ নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান তার দক্ষতা যাচাই করা এবং বোঝার চেষ্টা করা যে তিনি আসলেই ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার জন্য উপযুক্ত কিনা। 

প্রতিটি ইন্টারভিউ সাধারণত ১০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টারও হয়ে থাকে। এই ইন্টারভিউগুলো নিয়ে থাকেন কোন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সাধারণত প্রতিটি ইন্টারভিউতে চাকুরীপ্রার্থীকে তার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। তবে এ প্রশ্ন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রশ্নতেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। অনেক সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক বিশ্ব ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও অ্যানালাইটিক্যাল স্কিল এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবিলিটি যাচাই করার জন্য বিভিন্ন সিচুয়েশন ভিত্তিক প্রশ্নও করা হয়। আবার অনেক সময় বিভিন্ন কঠিন প্রশ্নও করা হয় যিনি ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন তিনি কীভাবে বিভিন্ন কঠিন সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করেন সেটি বোঝার জন্য। 

মোটকথা কিছুক্ষণ ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে চাকরিদাতারা বুঝে যান আপনার কনফিডেন্স কতটুকু এবং আপনি আদৌ চাকরিটি করার জন্য পারফেক্ট কিনা। একারণে ভালো ইন্টারভিউ দেওয়া কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানতে সবার বিশেষ করে চাকরি প্রত্যাশীদের আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। 

তবে এক্ষেত্রে একটি কথা না বললেই নয়। সেটি হলো এই ইন্টারভিউ এটেন্ড করা নিয়ে আমাদের সবার মধ্যে কিন্তু অনেক ভয় এবং টেনশন কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত এই ভাবতে থাকি যে ইন্টারভিউ বোর্ডে ঠিকমত কথা বলতে পারবো কিনা, সঠিকভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারব কিনা অথবা প্রয়োজনের চাইতে বেশি কথা বলে ফেলবো কিনা। আর এই অতিরিক্ত চিন্তার কারন নেই কিন্তু ভালো প্রিপারেশন নেওয়ার পরেও অনেক সময় প্রত্যাশিত ইন্টারভিউ দেয়া সম্ভব হয়না। 

তাহলে কি করা যেতে পারে?এক্ষেত্রে সমাধান একটিই। সেটি হল ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। কারণ যখন আপনি ইন্টারভিউ তে ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানবেন তখন আপনি সেগুলো বাড়িতে বসে চর্চা করতে পারবেন, যা আপনার কনফিডেন্স কে বুস্ট আপ করবে এবং ইন্টারভিউ তে ভালো করার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। তাই আজ আমি আলোচনা করব এমন ৫টি ইফেকটিভ ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে, যেগুলো ফলো করলে যেকোনো ইন্টারভিউতেই ভালো পারফর্ম করা সম্ভব হবে। 

৫ টি কার্যকরী ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় 

আমরা যারা ক্যারিয়ার চয়েস হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা কে বেছে নিই, তাদেরকে কিন্তু লম্বা সময় ধরে চাকরির পরীক্ষার প্রিপারেশন নিতে হয়। আর ইন্টারভিউ হলো বেশিরভাগ চাকরির পরীক্ষার শেষ ধাপ। তাই যদি এই ধাপটি সফলতার সাথে সম্পন্ন না হয়, তাহলে কিন্তু অন্যান্য ধাপে ভালো করলেও সেটির আর ভ্যালু থাকেনা। তাছাড়া অনেকসময় অনেক কোম্পানি শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নেয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকে।

বলা যেতে পারে, এই যুগে চাকরি পেতে হলে নিজেকে ইন্টারভিউ বোর্ডে এগিয়ে রাখার কোনো বিকল্প নেই। কেননা এখনকার চাকরির বাজারে আসনসংখ্যার তুলনায় প্রার্থীর সংখ্যা অনেকাংশেই বেশি দেখা যায়। এজন্যে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বিদ্যমান থাকে। তাছাড়া এখন সবাই চায় অন্যদের থেকে ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখতে। 

তাই যদি আপনি ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে জানেন, তাহলে দেখবেন অন্যদের চাইতে অন্তত কয়েকধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন এবং যারা নিয়োগদাতা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি ৫ টি ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় সম্পর্কে। 

০১। কোম্পানি সম্পর্কে যতটুকু সম্ভব রিসার্চ করুন

আমি একটু আগেই বলেছি যখন কোন কোম্পানির নিয়োগদাতা আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন, তখন তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে যে আপনি এই চাকরির জন্য উপযুক্ত কিনা এবং ওই কোম্পানির প্রতি আপনার আগ্রহ কতটুকু সেটি বোঝা। এ কারণে দেখবেন বেশিরভাগ ইন্টারভিউতেই যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন সে কোম্পানি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। আর এ কারণেই ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় হিসেবে আমি প্রথমেই বলব কোনো কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে ওই কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করুন। 

 

এখন প্রশ্ন হলো রিসার্চ করবেন কিভাবে? ইন্টারনেটের এই যুগে রিসার্চ করা কোন ব্যাপারই নয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোন কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করার জন্য লিংকডইনের সাহায্য নিতে পারেন। এটি একটি প্রফেশনাল প্লাটফর্ম হওয়ায় বর্তমানে সব কোম্পানিরই লিংকডইনের প্রোফাইল থাকে। লিংকডইনের সাহায্যে আপনি কোন কোম্পানির মিশন, ভিশন, অবজেক্টিভ বা কোনো রিসেন্ট অ্যাচিভমেন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা পাবেন। আবার চাইলে কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকেও সাহায্য নিতে পারেন। 

এভাবে রিসার্চ করে ইন্টারভিউ দিতে গেলে আপনার দুটি লাভ হবে৷ প্রথমটি হলো আপনি যে ওই কোম্পানিতে চাকরি করতে আগ্রহী সেটি প্রমাণিত হবে৷ তার পাশাপাশি কোম্পানি রিলেটেড যে প্রশ্নই করা হোক না কেন, আপনি সেগুলোর উত্তর দিতে পারবেন৷ তাই ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় হিসেবে কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করার গুরুত্ব অপরিসীম। 

ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায়

০২। নিজের স্পিকিং স্কিল বাড়ান 

যেহেতু ইন্টারভিউ দিতে গেলে আপনাকে ইন্টারভিউয়ারদের সাথে কথা বলতেই হবে, এ কারণে যদি নিজের স্পিকিং স্কিল ভালো না থাকে তাহলে কিন্তু কখনোই প্রিপারেশন থাকার পরেও ভালো ইন্টারভিউ দিতে পারবেন না। একারণেই এখন ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় হিসেবে আমি পরামর্শ দেবো নিজের স্পিকিং স্কিল বাড়াতে। এখন নিশ্চয়ই আপনারা জানতে চাইবেন কি করলে স্পিকিং স্কিল বাড়বে। স্পিকিং স্কিল বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প নেই। 

 নিজের স্পিকিং স্কিল বাড়াতে আয়নার সামনে প্র্যাকটিস বেশ কাজে আসে। তাই প্রতিদিন আয়নার সামনে কিছু সময় ধরে স্পিকিং প্রাক্টিস করতে পারেন। যেমন ধরুন, ইন্টারভিউতে সবসময় কিন্তু কিছু কমন প্রশ্ন থাকে যেগুলো সবাইকে জিজ্ঞেস করা হয়। যেমন,নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করা, নিজের স্ট্রেন্থ কি, নিজের উইকনেস কি, লাইফ গোল কি ইত্যাদি৷  চাইলে এসব প্রশ্নের উত্তর নিজের মত করে সাজিয়ে প্রতিদিন দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় ধরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাক্টিস করতে পারেন। এতে করে যেমন কথা বলার ফ্লুয়েন্সি বাড়বে, তেমনি ভাবে দেখবেন যখন ইন্টারভিউয়ারদের সামনে কথা বলবেন, তখন কনফিডেন্টলি কথা বলতে পারছেন। 

এছাড়াও যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখতে পাবেন ইন্টারভিউ তে আসা বিভিন্ন কমন সিচুয়েশনভিত্তির প্রশ্নের উত্তর। চাইলে এগুলোও প্র‍্যাকটিস করতে পারেন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। তবে শুধুমাত্র যে আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই প্র‍্যাকটিস করতে হবে এমন নয়, চাইলে পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সামনেও প্র‍্যাকটিস করতে পারেন। 

ইংরেজি শেখার উপায় সম্পর্কে জানতে পড়ুন 

ইংরেজির বস হতে চান? জেনে নিন একশো ভাগ কার্যকর ৭ টি ইংরেজি শেখার সহজ উপায় সম্পর্কে!

০৩। নিজের কনফিডেন্স বাড়াতে সচেষ্ট হোন 

আমি যত ইন্টারভিউ তে ভালো করার উপায়  নিয়ে কথা বলে থাকি না কেন, যদি আপনার কনফিডেন্স না থাকে, তাহলে কিন্তু কখনোই ইন্টারভিউতে ভালো করতে পারবেন না।  সবসময় মনে রাখবেন কনফিডেন্স ইন্টারভিউ দেয়ার পর আপনার সিলেক্ট হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক গুণে বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। 

কনফিডেন্স বাড়াবেন কিভাবে? কনফিডেন্স বাড়ানোর জন্য প্রথমেই আমি বলব ইন্টারভিউয়ারদের চোখের দিকে চোখ রেখে কথা বলার অভ্যাস করুন।  পাশাপাশি যখন কথা বলবেন তখন মুখে হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করুন, কারন আপনার হাসিমুখই কিন্তু আপনার কনফিডেন্সের প্রমাণ দেয়! এই ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় ফলো করে শুধুমাত্র ইন্টারভিউতেই নয়, বরং জীবনের প্রতিটিক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব। 

 

০৪। নার্ভাস না হওয়ার চেষ্টা করুন 

বলতে পারেন ইন্টারভিউবোর্ডে একজন ক্যান্ডিডেটের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি? সেটি হচ্ছে তার নার্ভাসনেস।  নার্ভাস হওয়া মানেই আপনি একটি ইন্টারভিউতে সাকসেসফুল হওয়া থেকে অনেকদূর পিছিয়ে যাবেন। এ কারণে ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় হিসেবে আমি আপনাদেরকে পরামর্শ দেবো নিজের নার্ভাসনেস কমানোর জন্য যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করতে। 

সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখুন৷ পাশাপাশি বিভিন্ন মুদ্রাদোষ যেমন পা নাড়ানো, অযথা হাত নাড়ানো, কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় মাথা চুলকানো ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। কারণ এসব দেখলে যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছেন তারা বুঝে যাবেন আপনি নার্ভাস। ইন্টারভিউ বোর্ডে যতক্ষন কথা বলবেন, হাসিমুখে কনফিডেন্টলি কথা বলার চেষ্টা করুন। 

এমন হতেই পারে ইন্টারভিউয়ার আপনাকে কোনো একটি প্রশ্ন করল যে প্রশ্নটির উত্তর আপনি জানেন না। এ সময় নার্ভাস হয়ে বিনয়ের সাথে বলুন যে আপনি প্রশ্নটির উত্তর জানেন না। এটির পাশাপাশি যখন আপনাকে আপনার স্ট্রেন্থ বা উইকনেস নিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে, আগামী দশ বছরের নিজেকে কোথায় দেখতে চান সেটি জিজ্ঞেস করা হবে অথবা জিজ্ঞেস করা হবে আপনি এই কোম্পানিতে কিভাবে অবদান রাখতে পারেন -এসব প্রশ্নের উত্তরও নার্ভাস না হয়ে ধীরে ধীরে গুছিয়ে বলার চেষ্টা করুন। সব সময় মনে রাখবেন যদি আপনি নার্ভাস না থাকেন তাহলে কিন্তু প্রতিটি ইন্টারভিউই হয়ে উঠবে পানির মতো সহজ।

০৫। ইন্টারভিউয়ের সময় ফরমাল ড্রেসকোড মেইনটেইন করুন

এখন আমি বলব সর্বশেষ ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় নিয়ে। সেটি হল ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় অবশ্যই ফরমাল ড্রেস কোড মেইনটেইন করা। আপনি ছেলে হোন বা মেয়ে -যখনই কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যাবেন, চেষ্টা করবেন এমন পোশাক পরতে যেন তা ফরমাল ড্রেস কোড অনুসরণ করে। 

কখনোই ইন্টারভিউতে কোন রংচংয়ে পোশাক পরবেন না। বরং এমন পোশাক বেছে নিন যেটির রং হালকা এবং ডিজাইন ফরমাল ধরণের। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আমি বলব কোন ভারী অলংকার বা ঘড়ি পরা থেকে বিরত থাকুন।

এখন আমি ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় হিসেবে পোশাক সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো। সেটি হল ইন্টারভিউতে যে পোশাক পরে যাবেন সেটি যেন সঠিক ভাবে ধোয়া ও ইস্ত্রি করা থাকে। কারণ আপনার পরণের পোশাকটি সুন্দর হলেও সেটি যদি ইস্ত্রি করা না থাকে এবং যদি সেটিতে ময়লা থাকে, তাহলে কিন্তু কখনই ইন্টারভিউয়ারর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি নিজের জুতা যেন পরিষ্কার থাকে সেটিও নিশ্চিত করুন।

এটুকুই ছিলো ইন্টারভিউতে ভালো করার উপায় নিয়ে আজকের আলোচনা। আশা করি যারা সামনে বিভিন্ন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন, তাদের এই লেখাটি একটু হলেও উপকারে আসবে ৷ 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment