ইমেইল মার্কেটিং কি? ইমেইল মার্কেটিং করার উপায় কি? Best ইমেইল মার্কেটিং টিপস 2022

ইমেইল মার্কেটিং কি? ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়? এই মার্কেটিং ফ্রিতে করা পসিবল কিনা? এই প্রশ্নগুলো এখন সবার মধ্যেই দেখা যায়৷ বর্তমান সময়ে নিজের কোন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসকে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে তুলে ধরার জন্য মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই।   

আর যেহেতু এখন সবাই বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন, এ কারণে প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কিন্তু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ই মেইল মার্কেটিং  হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি সেকশন।  যেহেতু এই মার্কেটিংয়ের নামের সাথে ইমেইল কথাটি সংযুক্ত রয়েছে তাই সবাই বুঝতে পারছেন যে ই মেইল মার্কেটিং করা হয় ইমেইলের মাধ্যমে। 

অনেকেই মনে করে থাকেন যে ইমেইল মার্কেটিং তেমন একটা ইফেক্টিভ নয়।  আসলে এটি এমন এক ধরনের মার্কেটিং যেটি আপনি সলিশ স্ট্র্যাটেজি ফলো করে করতে না পারলে কখনোই সাকসেসফুল হতে পারবেন না।  

আজকের লেখায় আমি সবাইকে জানাবো ইমেইল মার্কেটিং কি, ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এবং এই মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সাকসেসফুল হওয়ার কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস সম্পর্কে।  তাই সবাইকে অনুরোধ করছি লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য৷

ইমেইল মার্কেটিং কি? 

আমি শুরুতেই বলেছি ই মেইল মার্কেটিং হলো এক প্রকারের ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে নির্দিষ্ট স্ট্র্যাটেজি ও টেকনিক ফলো করে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে বা ওয়েবসাইটে নিজের বিজনেস কিংবা প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা। ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বেছে নেয়া হয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল,  ইউটিউব কিংবা সার্চ ইঞ্জিনের মত প্লাটফর্ম গুলোকে৷ 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে ইমেইল মার্কেটিং কি। আপনারা যারা নিয়মিত ভাবে ইমেইল একাউন্ট ইউজ করেন, তারা নিশ্চয়ই অনেক সময় দেখতে পান আপনাদের ইনবক্সে এমন অনেক ইমেইল আসে যেগুলোতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিসের ডেসক্রিপশন দেওয়া থাকে৷  

একই সাথে সেসব ইমেইলের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লিংক প্রোভাইড করা থাকে যে লিংকে প্রবেশ করে আপনি সেসব প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কিনতে পারবেন৷  এভাবে ইমেইলের মাধ্যমে নিজের প্রোডাক্টের মার্কেটিং করাকেই ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়৷ 

অর্থাৎ ই মেইল মার্কেটিং হলো যেসব মানুষ কোন একটি বিজনেস কিংবা কোন কোম্পানির পটেনশিয়াল কাস্টমার হতে পারেন, তাদেরকে টার্গেট করে ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করা৷  ইমেইল মার্কেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে  আকর্ষণীয়ভাবে ইমেইল সেন্ড করে নিজের বিজনেস এর সেলস বাড়ানো অথবা নিজের কোম্পানীর পরিচিতি বাড়ানো। 

একটু খেয়াল করলেই আমরা দেখতে পাবো  বর্তমান সময়ে যারা বিভিন্ন বিজনেসের সাথে যুক্ত রয়েছেন তারা এই মার্কেটিং করে থাকেন৷  শুধু বিজনেসই নয়, অনেকে মানুষের সামনে নিজের কোম্পানীর পরিচিতি বাড়িয়ে তোলার জন্য এই মার্কেটিং করেন৷ 

এর পাশাপাশি যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তারা ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার জন্য ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন নিয়মিতভাবে করে থাকেন।  সঠিক স্ট্র্যাটেজি কাজে লাগিয়ে করা হলে ই মেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। একারণেই এখন বহু মানুষ এই মার্কেটিংয়ের সাহায্য নিয়ে থাকেন।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা 

ইমেইল মার্কেটিং কি সেটি তো বললাম, এবার জানা যাক ইমেইল মার্কেটিংয়ের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা কি সে সম্পর্কে। ই মেইল মার্কেটিং করার সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে এই মার্কেটিং রান করানোর পেছনে যে টাকা খরচ হয় তার পরিমাণ অত্যন্ত কম। 

পাশাপাশি ই মেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার  খুব কঠিন কোন বিষয় আয়ত্ত্ব করতে হবে না। বরং যদি এই মার্কেটিংয়ের বেসিক নলেজ জানতে পারেন এবং কোন টুলগুলো ব্যবহার করে এই মার্কেটিং করা হয় সেটি জানতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই সাকসেসফুল ই মেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন রান করাতে পারবেন। যদিও বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজগুলো করার জন্য  ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ থাকা আবশ্যক,  তবে আপনি চাইলে যে কোন ডিভাইস থেকে ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ করতে পারবেন৷ 

আবার এই মার্কেটিং করার ফলে কিন্তু আপনার মূল্যবান সময়ও বেঁচে যাবে,  কারণ এটি করার জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করার প্রয়োজন নেই৷  যারা ইমেইল মার্কেটিং করে থাকেন তারা ঘরে বসেই  নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজ করে নিজের বিজনেস অথবা নিজের কোম্পানি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে সক্ষম হন। 

ইমেইল মার্কেটিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে এই মার্কেটিং করার ফলে অনেকেই তাদের বিজনেসে লয়াল কাস্টমার পেয়ে থাকেন৷ লয়াল কাস্টমার তাদেরকেই বলা হয় যারা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রিপিট কাস্টমার। এই ধরণের কাস্টমাররা পজিটিভ রিভিউ দেয়ার মাধ্যমে সবার কাছে একটি বিজনেসের পরিচিতি বাড়িয়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন৷ 

যারা ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন তারা অনেক সময় চান নিজেদের মনের মতোন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে৷  নিজেদের পছন্দমতো ক্লায়েন্ট পাওয়ার কঠিন কাজটিকে সহজ করে তুলতে তারা তখন সাহায্য নেন ইমেইল মার্কেটিংয়ের।  

অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা এই মার্কেটিং কে কাজে লাগিয়ে  নিজের পছন্দমত ক্লায়েন্টের কাছ থেকে লং-টার্ম কাজের সুযোগ পেয়েছেন৷ তাই এটি বলা যেতে পারে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিন্তু ই-মেইল মার্কেটিং আশীর্বাদের মতো৷ 

সুতরাং বলা যেতে পারে ইমেইল মার্কেটিং করার ফলে সবচাইতে কম খরচে এবং কম সময়ে বিজনেসে বেশি বেশি সেল জেনারেট করা সম্ভব হয়৷ পাশাপাশি নিজের কোম্পানীর প্রমোশন করা সম্ভব হয়।  তাই যদি এই মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি  বিজনেসে লাভের দেখা পেতে সক্ষম হবেন এবং আপনার কোম্পানি বহু মানুষ চিনবে৷ 

 

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করার উপায়

ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার অনেক উপায় থাকলেও কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলো সবার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই উপায় গুলো জানা থাকলে আপনি নিজের বাড়িতে বসেই খুব সহজে আয় করতে পারবেন৷ তাই চলুন দেরী না করে জেনে আসি ই মেইল মার্কেটিং করে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে। 

০১। অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে 

যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানেন,  তারা  জানেন এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে  বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস তাদের হয়ে সেল করে দিয়ে সেটির বিনিময়ে নির্দিষ্ট রেটে কমিশন পাওয়া যায়। ইমেইল মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে কিন্তু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ভাল অঙ্কের টাকা আয় করতে পারেন৷  

এক্ষেত্রে আয় করার জন্য শুরুতে আপনাকে যেসব ওয়েবসাইটে আফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে সেসব ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে৷  তারপর সে ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাট্রাকটিভ ভাবে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের কাছে তুলে ধরতে হবে৷  তারপর সেখান থেকে কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু হবে। 

০২৷ কাস্টমারদেরকে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস অফার করার মাধ্যমে 

যদি আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি  ক্লায়েন্টদেরকে অফার করে থাকেন, তাহলে কিন্তু ইমেইল মার্কেটিংকে কাজে লাগিয়ে আপনি  আয় করতে পারেন।  

এক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার সম্ভাব্য  কাস্টমার বা পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদেরকে ইমেইলের মাধ্যমে নিজের সার্ভিস সম্পর্কে অবহিত করেন, তাহলে  দেখতে পাবেন অনেকেই ইমেইলটির রিপ্লাই দিয়ে আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নিতে চাইবে।  

এভাবে আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে যত বেশি পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের কাছে ইমেইল সেন্ড  করতে পারবেন, তত বেশি সার্ভিস অফার করতে পারবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন। 

০৩। নিজের বিজনেসের মাধ্যমে 

যদি আপনার নিজের বিজনেস থেকে থাকে এবং আপনি বাড়িতে বসেই সহজ পদ্ধতিতে মার্কেটিং করে নিজের বিজনেসের প্রোডাক্ট গুলো প্রমোশন করতে চান এবং বেশি বেশি সেল জেনারেট করতে চান, তাহলে ইমেইল মার্কেটিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন চোখ বন্ধ করে।  

এক্ষেত্রে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের ইমেইল এড্রেস কালেক্ট করে তাদেরকে যদি নিয়মিত বেশি বেশি ইমেইল সেন্ড করতে পারেন, তাহলেই সেল জেনারেট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।  বর্তমানে অনেকেই ইমেইল মার্কেটিংয়ের সাহায্য নিয়ে নিজের বিজনেস প্রমোশন করছেন এবং সাকসেস পাচ্ছেন।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করার এ তিনটি উপায়ে সবচাইতে জনপ্রিয় হলেও বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা নিজেদের বিভিন্ন কিংবা অনলাইন কোর্স ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সেল করে থাকেন৷  এটিও বেশ লাভজনক বটে!

ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম

যদি ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল করতে চান, তার জন্য প্রয়োজন এই মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় সেই উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা।  তাই লেখার এই অংশে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে হয়। 

ইমেইল মার্কেটিং করার দুই ধরনের উপায় রয়েছে। একটি হচ্ছে বিনামূল্যে এবং অপরটি হচ্ছে পেইড  অর্থাৎ কিছু টাকা খরচ করে মার্কেটিং করা।  সবার সুবিধার জন্য আমি ফ্রি এবং পেইড দুইভাবেই মার্কেটিং করার উপায় সম্পর্কে জানাবো। 

বিনামূল্যে ইমেইল মার্কেটিং 

শুরুতেই ফ্রিতে ই মেইল মার্কেটিং করার উপায় সম্পর্কে। যাদের নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে, তারা তাদের সাইটে  সাবস্ক্রাইবার বা নিউজলেটার নামক একটি সুবিধা পেয়ে থাকেন।  এই সাবস্ক্রাইবার বা নিউজলেটার অপশনটিকে কাজে লাগিয়ে যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন, আপনি তাদের ইমেইল এড্রেস খুব সহজে কালেক্ট করে ফেলতে পারেন।  

এতে করে আপনাকে যেমন কোন পেইজ ইমেইল মার্কেটিং টুল ব্যবহার করতে হবে না একই সাথে কিন্তু খুব সহজেই আপনি একসাথে অনেক মানুষ আর ইমেইল এড্রেস পেয়ে যাবেন৷ 

এছাড়াও যদি চান তাহলে ম্যানুয়ালি সার্চ করেও অনেক মানুষের ইমেইল এড্রেস কালেক্ট করতে পারেন।  এজন্য আপনি সাহায্য নিতে পারেন লিংকডইন কিংবা গুগলের। 

 

পেইড ইমেইল মার্কেটিং 

এবার আসা যাক কিভাবে পেইড ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন সে সম্পর্কে। যদি আপনি ফ্রিতে ইমেইল মার্কেটিং করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। সেটি হল আপনি আপনার সাধারন ইমেইল এড্রেস থেকে অনেক ইমেইল এড্রেসে ইমেল সেন্ড করতে পারবেন না৷  

কারণ সেক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷  এ কারণে ঝামেলা এড়াতে  কিছু টাকা খরচ করার মাধ্যমে কিন্তু আপনি বিভিন্ন পেইড টুল ব্যবহার করে নিশ্চিন্তে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন৷ 

তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় আপনাদের সবার জানা উচিত। সেটি হচ্ছে বর্তমানে অনলাইনে সার্চ করলে আপনারা হাজার হাজার ইমেইল মার্কেটিংয়ের টুল দেখতে পাবেন। তবে সব টুল কিন্তু আপনার জন্য ভালো হবে না।  আপনাদের সবার সুবিধার কথা মাথায় রেখে এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো সেরা কয়েকটি ইমেইল মার্কেটিংয়ের টুল সম্পর্কে।

০১। Drip 

যদি আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন অথবা আপনার ওয়ার্ডপ্রেস অথবা প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট থেকে থাকে, তাহলে আপনি Drip নামক ইমেইল মার্কেটিং টুলের সাহায্য নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। এর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আপনার ই মেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের জন্য লিড কালেকশন করতে পারবেন।  পাশাপাশি এই টুল ব্যবহার করতে কোন সমস্যা হলে যে কাস্টমার সাপোর্ট পাবেন সেটিও টপ নচ। 

০২। AWeber 

এই টুলটি ই মেইল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার শুরু থেকেই বিদ্যমান রয়েছে৷  যাদের নতুন বিজনেস কিংবা বিজনেস মাত্র গ্রো করতে শুরু করেছে তাদের জন্য এই টুলটি অত্যন্ত কার্যকরী।  AWeber এর ইউজার ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ হওয়ায় আপনারা খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং ওয়ার্ডপ্রেস সহ যেকোন কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত করতে পারবেন৷ 

০৩। Mailchimp 

ইমেইল মার্কেটিংয়ের টুল গুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি টুল হল মেইলচিম্প। এই টুলের সাহায্যে ইমেইল লিস্টিং, লিড জেনারেশন ফ্রম ক্রিয়েশন, ইমেইল ট্রাকিং ইত্যাদি সব ধরনের কাজ করতে পারবেন৷  পাশাপাশি এই টুলটি কিন্তু সব ধরনের ওয়েবসাইট এর সাথে কানেক্ট করা যায়।  ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এবং  বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে এই টুলটি কিন্তু সবার মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। 

০৪৷ Getresponse 

আপনি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন কিংবা ফ্রিল্যান্সার, এই টুলটি সবার জন্য সেরা একটি টুল।  এই টুল এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি প্রথম ৩০ দিন এই টুলের প্রোভাইড করা সমস্ত সুবিধা ফ্রিতে ব্যবহার করে দেখতে পারবেন যে এটি আপনার জন্য আসলেই পারফেক্ট কিনা। বর্তমানে বহু কোম্পানি এই ই মেইল মার্কেটিং টুলের সাহায্যে নিয়ে মার্কেটিং করে থাকেন। 

০৫। Hubspot

যারা ইমেইল মার্কেটিংয়ে একেবারেই নতুন, তাদের জন্য ভালো একটি টুল হচ্ছে হাবস্পট৷  বিশেষ করে যারা অনলাইনে বিজনেস পরিচালনা করে থাকেন অথবা উদ্যোক্তা তাদের জন্য এই টুলটি খুবই ভালো৷  তাই আপনি যদি একেবারে ই মেইল মার্কেটিং এর জগতে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেটিং শেখার জন্য এই টুল এর সাহায্য নিতে পারেন নির্দ্বিধায়।

ইমেইল মার্কেটিংয়ে সাকসেসফুল হওয়ার কিছু টিপস 

আশা করি ই মেইল মার্কেটিং করার নিয়ম সম্পর্কে সবাই বুঝতে পেরেছেন। সত্যি বলতে একটি ই মেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল করার জন্য  এই মার্কেটিং এর নিয়ম গুলো জানা থাকার পাশাপাশি প্রয়োজন সঠিক স্ট্রাটেজি এবং টেকনিক ফলো করা৷  

কারণ আপনি যত বেশি ইমেইল পটেনশিয়াল কাস্টমারদের কে সেন্ড করুন না কেন, আপনার ইমেইলটি যদি অ্যাট্রেক্টিভ ওয়েতে প্রেজেন্ট করা না হয়, তাহলে কিন্তু কখনই তাদের কাছ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক পাবেন না৷  একারণে  এ মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স সাকসেসফুল করার জন্য বিশেষ কিছু টিপস সবার জেনে রাখা প্রয়োজন। 

 

এবার আমি আপনাদেরকে জানাবো ইমেইল মার্কেটিং এ সাকসেসফুল হওয়ার জন্য খুবই ইফেক্টিভ ও গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি টিপস সম্পর্কে। 

 ১। ইমেইল সেন্ড করার সময় ইমেইলের সাবজেক্টের দিকে জোর দিন। একটি  ইমেইলের সাবজেক্ট যদি সাধারন ধরনের হয়, তাহলে বড় চান্স থেকে যায় পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কোনো রিপ্লাই না পাওয়ার৷  তাই ইমেইলের সাবজেক্টকে যথেষ্ট ক্যাচি রাখার চেষ্টা করুন৷ 

২। সবাইকে সেইম প্যাটার্নের ইমেইল সেন্ড না করে চেষ্টা করুন প্রতিটি ইমেইল যাকে পাঠাচ্ছেন তার ধরন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করে দিতে। এতে করে যাকে ইমেল সেন্ড করছেন তিনি বুঝতে পারবেন যে ইমেইল লেখার পেছনে অনেক এফোর্ট দেওয়া হয়েছে৷ 

৩। কাউকে একবার ইমেইল সেন্ড করে বসে থাকবেন না বরং সাকসেসফুল হওয়ার চান্স বাড়াতে কয়েকবার ইমেইল সেন্ড করুন। 

০৪। ইমেইলের শেষে কল টু অ্যাকশন রাখার চেষ্টা করুন। কল টু অ্যাকশন হচ্ছে এমন একটি ট্রিক যেটির মাধ্যমে যাকে ইমেইল পাঠাচ্ছেন তার কাছ থেকে পজিটিভ রেসপন্স পাওয়ার চান্স বাড়ানো হয়।

০৫৷ এই টিপসটি শেষে দিচ্ছি কারণ এটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ টিপস। টিপসটি হলো নিজের পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট কারা হতে পারেন সেটি সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে আইডেন্টিফাই করুন। যদি কারা আপনার কাস্টমার হতে পারেন সেটি আগেই আইডেন্টিফাই করে ফেলতে পারেন, তাহলে যখন ইমেইল পাঠাবেন সেখান থেকে পজিটিভ রেসপন্স পাওয়ার চান্স বেড়ে যাবে৷ 

এটুকুই ছিলো ইমেইল মার্কেটিং সংক্রান্ত আজকের বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি যারা ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাদের সবার উপকারে আসবে আজকের এই লেখাটি। 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে। 

 

Leave a Comment