ডায়াবেটিস কমানোর উপায় – জেনে নিন বাড়িতে বসে ডায়াবেটিস কমানোর Super Effective 10 টি উপায় সম্পর্কে!

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়:  যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস নামক রোগে ভুগছেন অথবা যাদের নতুন ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে তাদের কাছ থেকে এই প্রশ্নটি খুব বেশি শোনা যায়। শারীরিক সুস্থতা আমাদের সবারই কাম্য৷ আমরা প্রত্যেকেই চাই যেন আমরা সব সময় শারীরিকভাবে নীরোগ এবং সুস্থ থাকতে পারি। তবে অনেক সময় সুস্থ থাকা সম্ভব হয়না এবং আমাদের শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন অসুখ বিসুখ।  কিছু অসুখ যেমন অল্প সময়ের সেরা যায় আবার কিছু অসুখ আমাদের শরীরে থেকে যায় দীর্ঘ সময় ধরে। 

 

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেটিতে একবার আক্রান্ত হলে সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করে জীবনযাপন করতে হয়, যাতে করে এই অসুখটি নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যান্য অসুখের চাইতে ডায়াবেটিস কিছুটা ভিন্ন হওয়ায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে সবাই জানতে চান।  অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা।  কিছু কার্যকরী ডায়াবেটিস কমানোর উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে আপনারা বাড়িতে বসে নিজেদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক ভাবে জীবন-যাপন করতে পারবেন।  আজকের লেখায় আমি আলোচনা করবো ডায়াবেটিস কি, ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি এবং ডায়াবেটিস  কমানোর উপায়  সম্পর্কে৷  আশা করি আজকের লেখা থেকে আপনারা সবাই ধারণা পাবেন কিভাবে  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন৷

 

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে তো জানাবোই,  তার আগে চলুন ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে একটু জেনে আসা যাক৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ডায়াবেটিস এখন একটি মহামারি রোগ, যার অর্থ বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এখন ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী দেখতে পাওয়া যায়। 

অনেকে জিনগত কারণে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও বর্তমানে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনকেও ডায়াবেটিস রোগের জন্য দায়ী করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি, যারা প্রচুর পরিমাণে বাইরের খাবার খেয়ে থাকেন, যাদের খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট ও চিনিজাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি এবং যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন না তাদের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বর্তমানে অনেক বেশি। 

 

অন্যান্য রোগের সাথে ডায়াবেটিস রোগের মূল পার্থক্য হল ডায়াবেটিস রোগ কখনোই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়, বরং কিছু ডায়াবেটিস কমানোর উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। 

সহজ কথায় ডায়াবেটিস রোগের অর্থ হচ্ছে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চাইতে বেড়ে যাওয়া৷  

এখন প্রশ্ন হচ্ছে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কিভাবে বাড়ে? একটু ভেঙেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করছি।  আমাদের গ্রহণ করা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যগুলো যখন দেহে প্রবেশ করে, তখন সেগুলো ভাঙন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজে পরিণত হয়৷  

এরপর ইনসুলিন নামক একটি বিশেষ হরমোন এর মাধ্যমে এই গ্লুকোজ আমাদের দেহের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যায়, যেন আমাদের নিত্যদিনের কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তা উৎপন্ন হতে পারে।  কিন্তু যখন কারো ডায়াবেটিস হয় তখন দেহে ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণের মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে অনেকটা কমে যায়।  

এর ফলস্বরূপ তখন দেহের কোষগুলোতে গ্লুকোজ পৌঁছাতে না পেরে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।  দেহের এই অবস্থা যে রোগের কারণে হয় সেটিকেই ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস দুই ধরণের হয়, একটি টাইপ ওয়ান ও অপরটি টাইপ টু। যাদের বয়স ২০ বছরের কম তারা সাধারণত টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, যেটি কমাতে রোগীকে ইনসুলিন নিতে হয়। আর যারা একটু বয়স্ক তারা টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে থাকেন। টাইপ টু ডায়াবেটিস ওষুধ আর জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আমাদের দেশে টাইপ টু ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। 

ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি? 

কারো ডায়াবেটিস হলে তিনি যদি সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন শুরু করতে না পারেন, তাহলে এই রোগের ফলে তার দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমনঃ ব্রেইন, হার্ট, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ আর এ কারণেই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে জানার পাশাপাশি প্রত্যেকের প্রয়োজন এই রোগের লক্ষণগুলো জেনে রাখা ,যাতে করে এই লক্ষণগুলো একটিও যদি দেখা দেয় তাহলেও  পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনারা নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনাদের ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা।  

ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগা, প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া, সব সময় শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল অনুভূত হওয়া, দেহের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া, সারাক্ষণ ক্ষুধা অনুভুত হওয়া, দেহের কাটাছেঁড়া শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগা ইত্যাদি।  এ লক্ষণগুলো দেখা যাওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং টেস্ট করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে কেউ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। 

কারো দেহে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো দেখা যাওয়ার পর তাদের মাথায় সবার আগে যে প্রশ্নটি আসে সেটি হচ্ছে  রক্তে সুগার লেভেল কত হলে সেটিকে নরমাল ডায়াবেটিস হিসেবে কাউন্ট করা হবে৷ বেশিরভাগ ডাক্তারের মতামত অনুযায়ী যদি কারো রক্তের সুগার লেভেল ৫.৭  এর নিচে থাকে তাহলে তার সুগার লেভেল স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হবে।  আর যাদের রক্তে সুগার লেভেল ৬.৫ এর বেশি থাকে তারা ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবে গণ্য হবে।  

আর যাদের রক্তে সুগার লেভেল এ দুটির মাঝামাঝি অবস্থায় থাকবে তাদের ধরে নিতে হবে যে তারা ডায়াবেটিস হওয়ার পূর্বের অবস্থানে অর্থাৎ প্রি ডায়াবেটিস স্টেজে রয়েছেন। যারা প্রি ডায়াবেটিস সেজে থাকেন তাদেরকে বিশেষ কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়, যাতে করে তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয়।  যেমন শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে বলা হয় কিংবা নিয়মিত শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেয়া হয় ইত্যাদি।

Read More

ল্যাপটপ বা মোবাইলে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করার নিয়ম : চ্যাট জিপিটির অসুবিধা সম্পর্কে জানেন তো?

১০ টি কার্যকরী ডায়াবেটিস কমানোর উপায় 

আশা করি এতক্ষণে ডায়াবেটিস কি, ডায়াবেটিস কত প্রকার এবং ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি হতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের আর কোন কনফিউশন নেই। তাই এবার আমি আপনাদেরকে জানাবো ১০ টি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে। আপনারা কখনোই ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভাবে নির্মূল করতে পারবেননা, তাই এই কার্যকরী ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিজেদের ব্লাড সুগার লেভেল কন্ট্রোল করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো সম্পর্কে। 

০১৷ মানুষের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে এক্সারসাইজ বা শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে যেকোনো রোগ বালাই থেকে যেমন দূরে থাকা যায়, তেমনি শরীর ও মন ভালো থাকে।  এ কারণে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে আমি প্রথমেই বলবো নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে। নিয়মিত এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে রক্তের সুগার লেভেল স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবেন,  যার ফলে ডায়াবেটিস কমে যাবে।  

 

এখন অনেকেই জিজ্ঞেস করবেন কিভাবে এক্সারসাইজ করবো?  আমি জানি অনেকেরই এক্সারসাইজ করার অভ্যাস নেই এবং অনেকেই ওয়েট লিফটিং, মেশিনে দৌড়ানো বা পুশ আপের মতো এক্সারসাইজগুলো করতে পারেননা।  তাদের জন্য আমি পরামর্শ হিসেবে বলব প্রতিদিন অন্তত  এক ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করুন৷  চাইলে ভোরবেলা হাঁটতে পারে আবার চাইলে সন্ধ্যার পরও হাঁটতে পারেন৷ এভাবে হাঁটার মাধ্যমে খুব সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

 

০২। যাদের নিয়মিত বাইরের জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড বা রিচফুড খাওয়ার অভ্যাস আছে, তাদেরকে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে আমি বলবো এসব খাবার খাওয়া কমিয়ে ফেলতে এবং এগুলোর পরিবর্তে প্রচুর পরিমাণে সবুজ ও রঙিন শাকসবজি খেতে। শাক সবজির মধ্যে করোলা, ব্রকলি, গাজর, ঢেঁড়স, কাঁচা পেপে, লাউ,ডাঁটা, টমেটো, লেটুস, বিভিন্ন শাক ইত্যাদি খেতে পারেন। এসব খাবারে প্রচুর ফাইবার থাকায় এগুলো ডায়াবেটিস কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। 

 

এক্ষেত্রে আরো পরামর্শ থাকবে লবণ, ফ্রোজেন খাবার ইত্যাদি খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। এগুলোর পরিবর্তে ওটস, ফল, বাদাম, ডাল ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খান। দেখবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 

 

০৩৷ যেহেতু  ডায়াবেটিস এর সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাই ডায়াবেটিস কমানোর জন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যথাসম্ভব কম খেতে হবে৷  অনেকে মনে করেন ডায়াবেটিস হলে বোধহয় একেবারেই ভাত খাওয়া যায়না।  কিন্তু আসল ব্যাপার হলো ডায়াবেটিস হলে একবেলা ভাত খাওয়া যাবে, তবে সেটি পরিমিত পরিমাণে৷  এছাড়াও যারা রুটি খান, তারা লাল আটার রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। কারন লাল আটার রুটি সাধারণ আটার রুটি চাইতে অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো একটি অপশন। 

 

০৪।  কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া কমানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে আরেকটি অধিক কার্যকরী উপায় হলো প্রতিদিনের খাবারে চিনির পরিমাণ একেবারে কমিয়ে ফেলা। কারণ যত বেশি চিনি কিংবা চিনিজাতীয় খাবার গ্রহণ করা হয় রক্তের সুগার লেভেল তত বেড়ে যায়।  একারণে মিষ্টি, শরবত, আইসক্রিম কিংবা  অন্যান্য লোভনীয় ডিজার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।  তবে এক্ষেত্রে আশার কথা হলো বর্তমানে অনেক সুগার সাবস্টিটিউট বা চিনির বিকল্প পণ্য  বাজারে পাওয়া যায়। তাই যদি খুব বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে সেসব সুগার সাবস্টিটিউট দিয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন৷ 

 

০৫।  আপনারা কি জানেন মেন্টাল স্ট্রেসের সাথে যে ডায়াবেটিস বাড়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে?  তাই যদি ডায়াবেটিস কমাতে চান যতটুকু সম্ভব স্ট্রেস ফ্রি জীবনযাপন করতে হবে। কোন বিষয় নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা করা যাবেনা।  যদি স্ট্রেসবিহীন জীবনযাপন করতে পারেন তাহলেই দেখতে পারবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

০৬। যদি আপনার ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে প্রতি বেলার খাবার সময়মত গ্রহণ করতে হবে।  কারণ সঠিক সময় খাদ্য গ্রহণ না করা হলে রোগীদের ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।  তাই সকাল, দুপুর, বিকাল বা রাত যখনই আপনি খাদ্য গ্রহণ করে থাকুন না কেন, সে খাদ্য গ্রহণের সময়টি যেন সঠিক হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। কখনোই খুব বেশি দেরিতে কোন বেলার খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না৷ 

০৭।  ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে এবার আমি রাতে পর্যাপ্ত ঘুম কতটুকু প্রয়োজনীয় এবং কার্যকরী সে সম্পর্কে বলবো। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে  পরদিন রক্তের সুগার লেভেল বেড়ে যায় যার ফলে তখন ডায়াবেটিস মাপতে গেলে বেশি ধরা পড়ে। অনেকেরই রাত জাগার অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিস কমাতে হলে রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করতে হবে এবং প্রতি রাতে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়তে হবে।  যদি প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

০৮।  অতিরিক্ত ওজন সুস্বাস্থ্যের পথের একটি বড় হুমকি৷ কেননা অতিরিক্ত ওজনের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই যারা অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন এবং ডায়াবেটিস কমাতে চান, তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলার জন্য। এখন আপনি কতটুকু ওজন কমাবেন সেটি জানার জন্য বিএমআই ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিতে পারেন।  

বিএমআই ক্যালকুলেটর এমন একটি ক্যালকুলেটর যেটির মাধ্যমে কোন উচ্চতার মানুষের কতটুকু ওজন হওয়া উচিত সে বিষয়ে জানা যায়। আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই বিভিন্ন বিএমআই ক্যালকুলেটর পেয়ে যাবেন, যেখানে নিজেদের উচ্চতা ও ওজন ইনপুট করার মাধ্যমে আপনার বিএমআই কত সেটি জানতে পারবেন এবং কতটুকু ওজন কমানো প্রয়োজন তাও বুঝতে পারবেন৷ 

০৯।  ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার  সমস্যা এড়াতে অনেকেই বেশি করে পানি পান করেন না। এটি  করা কখনই উচিত নয়। বরং ডায়াবেটিস কমাতে চাইলে বেশি বেশি পানি পান করার কোনো বিকল্প নেই।  বিভিন্ন রিসার্চে দেখা গেছে যেসব ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করেন তাদের ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।  তাই প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ৬ লিটার পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 

১০। ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে সর্বশেষে আমি বলবো নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করতে। কারণ যখন নিয়মিত ব্লাড সুগার লেভেল চেক করবেন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনি আসলেই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করছেন কিনা। এজন্যে প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও ডায়াবেটিস চেক করুন৷ 

এটুকুই ছিলো ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। এ উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনারা বাড়িতে বসেই নিজেদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। তবে যদি কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেননা! 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment