ফ্রিল্যান্সিং সাইট কি? ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজের সুবিধা কি কি? ২০২২ সালের সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে জেনে নিন আজই!

ফ্রিল্যান্সিং সাইট – আমি জানি, এ দুটো শব্দ শোনার পর পরই আপনাদের মাথায় নির্দিষ্ট কিছু সাইটের নাম ঘুরতে থাকে, তাই না? কিন্তু আপনারা কি জানেন সবার জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট কোনগুলো? নিশ্চয়ই অনেকে জানেননা। তবে তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই৷ কারণ আজকের আর্টিকেলে আমি তুলে ধরবো ২০২২ সালের সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো নিয়ে কিছু তথ্য – যেগুলো জানলে ফ্রিল্যান্সাররা কোন সাইটে কাজ করে ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দেবেন তা ডিসাইড করতে সহজ হয়। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলতে কী বোঝায়?

বর্তমান বিশ্বে তথ্য- প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মানুষের কাজের পরিধি। অনলাইনে নিজের বিভিন্ন রকম দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে এখন মানুষ ঘরে বসেই ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। অনলাইনে আয় করার মাধ্যম গুলো নিয়ে বলতে গেলে সবার শুরুতেই আছে ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নাম। 

এখন ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলতে কী বোঝায়? ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলো অনলাইনে থাকা কিছু ওয়েবসাইট যেগুলোর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদেরকে ফ্রিল্যান্স বেসিসে বিভিন্ন সার্ভিস যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ক সার্ভিস প্রদান করা হয়। এই সাইটগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রত্যেকটি সাইটেই ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিতে চাইলে ফ্রিল্যান্সারদের সেই সাইটের নিয়মগুলো মেনে চলতে হয়৷ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো হলো আপওয়ার্ক, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলো এমন কিছু ওয়েবসাইট যেগুলো ব্যবহার করে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে সেসব সাইটে নিজের সঠিক তথ্যাবলি দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এরপর কিছু ক্ষেত্রে নিজের ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স করে অ্যাকাউন্টকে ভেরিফাইড বা সুরক্ষিত করার কাজটি করতে হয়। তারপর পেমেন্ট নেয়ার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্যাবলি দিতে হয়। 

তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা আবশ্যক। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা আয় না হলে আপনি পেমেন্ট নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারবেননা। আর যারা বাংলাদেশে রয়েছেন, তাদের পেমেন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পেওনিয়ার নামের একটি পেমেন্ট মিডিয়াম কানেক্ট করে নিতে হয় যেটির মাধ্যমে পেমেন্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে আসে। অর্থাৎ ব্যাংক ট্রান্সফার করতে চাইলে পেওনিয়ারে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে ও সেই অ্যাকাউন্ট ফাইভারে কানেক্ট করতে হবে। শুধুমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্টই নয়, এখন চাইলে বিকাশের রেমিট্যান্স নামের ফিচারটি ব্যবহার করে সেটির মাধ্যমে বিকাশেও ফ্রিল্যান্সিংয়ের পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার সুবিধা 

ফ্রিল্যান্সিং সাইট সম্পর্কে তো জানালাম, এবার আসা যাক ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার সুবিধাগুলো নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার মূল সুবিধা হচ্ছে এগুলোর ফ্লেক্সিবিলিটি। এগুলোতে কাজ করলে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। অর্থাৎ কোনো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার পর নির্ধারিত ডেডলাইনের মধ্যে আপনি নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজটি সম্পন্ন করে ক্লায়েন্টকে সেন্ড করতে পারবেন। 

অর্থাৎ আমি যা বলতে চাইছি সেটি হলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস দিলে আপনাকে প্রতিদিন অফিসে নির্দিষ্ট সময় টানা বসে কাজ করার কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনি চাইলে নিজের বাসায়, কোনো লাইব্রেরিতে, কিংবা কোনো ক্যাফেতে বসেও ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইট

ফ্লেক্সিবিলিটি এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস দেয়ার আরেকটি সুবিধার কথা আমি বলব, যেটি দিয়ে কেউ সেভাবে কথা বলে না। ফ্রিল্যান্সিং সাইট কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সারের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে বহুগুণে সাহায্য করে। কারণ আপনি যখন একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করবেন, তখন কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেওয়ার আগে আপনার সাথে কথা বলতে চাইবে, সেটি হতে পারে ফোন কলের মাধ্যমে, হতে পারে মেসেজের মাধ্যমে অথবা হতে পারে ভিডিও কলের মাধ্যমে। যখন একজন ফ্রিল্যান্সার নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলবেন, তখন তিনি বুঝতে পারবেন ঠিক কিভাবে ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে তাদেরকে কনভিন্স করে ফেলা যায়। এভাবে যত দিন যাবে তিনি ততই কমিউনিকেশন স্কিলে এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন। 

যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে একজন বিগিনার হয়ে থাকেন এবং আপনি চান নিজের স্কিল কে কাজে লাগিয়ে প্র‍্যাকটিসের মাধ্যমে এক্সপেরিয়েন্স বাড়াতে, তাহলে বিভিন্ন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট হতে পারে আপনার প্রথম চয়েস। যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কাজ করবেন, তখন একেকজন ক্লায়েন্টের একেকরকম ডিমান্ড বুঝে আপনাকে তাদের সার্ভিস দিতে হবে। ক্লায়েন্টদের ডিমান্ড বুঝে সেভাবে কাজ করা যেমন চ্যালেঞ্জিং, এর পাশাপাশি এতে কিন্তু নিজের স্কিল ঝালাই করে নেয়ার সুযোগও পাওয়া যায়। এ কারণেই যারা বিগিনার তাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আমি ফ্রিল্যান্সিং সাইট বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। 

ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করার আরেকটি সুবিধা হলো এসব সাইট থেকে পেমেন্ট নেওয়ার প্রক্রিয়া টি সম্পূর্ণ অথেন্টিক। এ কারণে আপনাকে কাজ করার পর কখনো পেমেন্ট পাবো কিনা সেই ভয়ে দিন কাটাতে হবে না। এক্ষেত্রে পেমেন্ট উত্তোলন করার জন্য যে ন্যূনতম অংকের অ্যামাউন্ট ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্টে জমা হতে হবে, সেটুকু হয়ে গেলেই আপনি নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে পেমেন্ট উইথড্র দিতে পারবেন। 

আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন যদি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইট ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কতটুকু লাভজনক হতে পারে। 

ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে চাইলে পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন? Ultimate Freelancing Guideline 2022

কোন ৫টি ফ্রিল্যান্সিং সাইট ২০২২ সালে সেরা?

সত্যি বলতে বর্তমানে অনলাইনে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট বিদ্যমান আছে। কিন্তু সবগুলো সাইট কাজ করার জন্য উপযুক্ত নয়। এই বিষয়টি বুঝতে বিগিনারদের অনেক সময় লাগে। তাই এখন আমি জানাবো এমন কিছু সাইট সম্পর্কে, যেগুলোতে কাজ করলে নিজের স্কিল বাড়ার পাশাপাশি প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করতেও সক্ষম হওয়া যাবে। 

০১।ফাইভার (Fiverr) 

ফাইভার এমন একটি সাইট যেটির পরিচিতি শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, বরং বিশ্বের অনেক দেশের ফ্রিল্যান্সাররাই এই সাইটটিতে কাজ করে থাকেন। ফাইভার মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি সেক্টরে যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন, তাদের কাছে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়। 

ফাইভারে কাজ করতে হলে গিগ ক্রিয়েশনের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার কোন স্কিলে পারদর্শী সেটি সবাইকে জানাতে হয়। গিগ হলো ইমেজ, ভিডিও এবং টেক্সট দিয়ে তৈরি কন্টেন্ট যেটি ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দেয়া সার্ভিস সম্পর্কে সবাইকে জানাতে ক্রিয়েট করেন। এই গিগের সাথে আকর্ষণীয়ভাবে ডেসক্রিপশনও লেখা হয়, যেটিতে গিগটি বর্ণনা করা থাকে৷ যেমন ধরুন, আপনি যদি ফাইভারে গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড সার্ভিস দেন, তাহলে আপনার ক্রিয়েট করা গিগটি হতে হবে গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড। ফাইভারে এই গিগ দেখেই ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজের অফার আসে। তাছাড়া চাইলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিডিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। 

ফাইভারে আওয়ারলি বা ঘন্টাভিত্তিক কাজ করে আয় করা সম্ভব নয়। এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটি নির্দিষ্ট পেমেন্টভিত্তিক সাইট৷ ফাইভারে কোনো কাজের জন্য ন্যূনতম ৫ ডলার পাওয়া যায়। আর যারা এক্সপার্ট তারা প্রতিমাসে হাজার ডলারেরও বেশি আয় করে থাকেন। ফাইভার থেকে পেওনিয়ার, ব্যাংক ট্রান্সফার ইত্যাদি মাধ্যমে টাকা নিতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হলে পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন?

০২। আপওয়ার্ক (Upwork)

যদি গোটা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সারদের সবচাইতে প্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে কথা বলতে চাই তাহলে আপওয়ার্কের নাম বলতেই হয়। আপওয়ার্ক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সারের যে স্কিলই থাকুক না কেন, তিনি সার্ভিস অফার করার জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন। এর কারণ হলো আপওয়ার্কের পরিচিতি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের তুলনায় অনেক বেশি। আপওয়ার্কে গ্রাফিক ডিজাইনার, ডিজিটাল মার্কেটার, এসইও এক্সপার্ট, ওয়েব ডেভেলপারসহ বিভিন্ন স্কিলে এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করেন। 

আপওয়ার্কের মূল ফিচার হলো এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটএ চাইলে নির্দিষ্ট পেমেন্টে কাজ করতে পারবেন, আবার চাইলে ঘণ্টাভিত্তিক পেমেন্টেও কাজ করতে পারবেন। একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার আপওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই সাইট থেকে ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাশি পেপালেও পেমেন্ট নেয়া যায়। 

০৩। ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)

বর্তমানে যতগুলো জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সার ডট কম সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বব্যাপী এই সাইটের জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো এখানে প্রচুর পরিমাণ কাজ পাওয়া যায় এবং কাজের বিনিময়ে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণ অর্থ আয়ের সুযোগ থাকে। এই সাইটে নির্দিষ্ট বা ঘন্টাভেদে পেমেন্ট দুইভাবেই কাজ করতে পারেন। আবার অনেক সময় ক্লায়েন্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। সেই প্রজেক্টগুলোতে জেতার মাধ্যমেও ফ্রিল্যান্সারদের টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। 

ফ্রিল্যান্সার ডট কমে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ পাওয়ার জন্য বিডিং কর‍তে হয় এবং প্রতি সপ্তাহে সাধারণ ফ্রিল্যান্সাররা দশবার বিডিং করতে পারেন। তবে প্রিমিয়াম মেম্বাররা সপ্তাহে নিজেদের ইচ্ছামত বিডিং করার ক্ষমতা রাখেন। 

তবে এক্ষেত্রে একটি কথা বলে রাখা ভালো। সেটি হচ্ছে যারা নতুন তারা প্রথমাবস্থায় এই সাইটে কাজ খুঁজে পেতে কিছুটা স্ট্রাগল করতে পারেন। কেননা ফ্রিল্যান্সার ডটকমে যেমন কাজের সংখ্যা বেশি, তেমনি ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যাও অনেক৷ তাই একটু প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে৷ ফ্রিল্যান্সার ডট কম থেকে আয়কৃত অর্থ ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল কিংবা পেওনিয়ার দিয়ে নিতে পারবেন। 

০৪। পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে পিপল পার আওয়ার এমন একটি ওয়েবসাইট যেটিতে একজন ফ্রিল্যান্সার বিডিং এবং সার্ভিস সেল দুইভাবেই আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিডিং ক্লায়েন্টদের সাথে করতে হয় এবং সার্ভিস সেল করতে চাইলে নিজের স্কিল হাইলাইট করে ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে হয় যাতে করে সেটি ক্লায়েন্টের নজরে আসে। 

ইউনাইটেড কিংডমভিত্তিক এই সাইট থেকে নির্দিষ্ট পেমেন্ট এবং ঘন্টাভেদে পেমেন্ট – দুইভাবেই পেমেন্ট নেয়া যায়। পেমেন্ট নেয়ার জন্য অন্যান্য সাইটের মতোই পেওনিয়ার বা পেপালের সাহায্য নিতে হয়। তাছাড়া ব্যাংক ট্রান্সফার তো আছেই। এই সাইটে দীর্ঘদিন টিকে থাকার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে যথেষ্ট দক্ষ হতে হয়, কারণ পিপল পার আওয়ার এর পেমেন্ট রেট অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটের তুলনায় অনেক বেশি। তাই দক্ষতা না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল। 

০৫। নাইন্টি নাইন ডিজাইনস (99 Designs)

এখন আমি সাইট নিয়ে বলবো সেটি গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট। নাইনটি নাইন ডিজাইনস নামক সাইটটিতে সাধারণত বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টরা তাদের গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত ডিমান্ড জানানোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে নেন। এই সাইটে গ্রাফিক ডিজাইনার ছাড়াও ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইনাররাও কাজ করেন। এই সাইট থেকে পেমেন্ট নিতে চাইলে সাহায্য নিতে হবে পেপাল ও পেওনিয়ারের। 

এটুকুই ছিলো ২০২২ সালের সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট নিয়ে আজকের আলোচনা। আশা করি যারা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে কাজ করতে চান তাদের একটু হলেও উপকার হবে। 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে!

Leave a Comment