সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন শিখবেন? এই মার্কেটিং করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আগে না জানলেও এটি এখনকার সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যারিয়ার চয়েসগুলোর মধ্যে একটি। বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের মধ্যে এটি নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। আর আগ্রহ থাকবেনা কেন? ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো কয়েক বছর আগেও ছিল কেবলমাত্র অবসর সময় কাটানোর মাধ্যম, সেই প্ল্যাটফর্মগুলোতেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে এখন বেশ ভাল অঙ্কের টাকা উপার্জন করা সম্ভব। আর তাই ইদানিং অনেকেই এখন এই মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে নিজের বিজনেসের প্রোমোশন করতে চান। আবার অনেকেই একজন সাকসেসফুল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হতে চান। কিন্তু তাদের একটি বড় অংশ সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং কি, এটি কোথা থেকে কিভাবে শুরু করবেন সেটি ভালোমতো বোঝার আগেই কাজ করা শুরু করেন এবং কাজের সঠিক পদ্ধতি না জানার ফলে বেশিদূর আগাতে পারেননা। 

তাহলে কি করবেন? অবশ্যই শুরুতে এ ধরণের মার্কেটিং সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেবেন। আপনাদের জন্য আজকের লেখায় আমি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সুবিধা এবং কিভাবে এই মার্কেটিং করবেন সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো। আশা করি বিগিনারদের জন্য এই লেখাটি হেল্পফুল হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি সেটি জানতে হলে আপনাদেরকে শুরুতেই জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং হলো অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইট ইত্যাদির সাহায্যে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদের কাছে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের প্রচার করা। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ডিজিটাল মার্কেটিং এরই একটি অংশ। 

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আরো জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে সাকসেসফুল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন?

আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কে মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এবং পিন্টারেস্ট ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। যারা বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ করে থাকেন, তারা বেশিরভাগই ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামকে বেছে নেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে মূলত যারা কোনো প্রোডাক্টের পটেনশিয়াল কাস্টমার হতে পারেন তাদেরকে টার্গেট করে মার্কেটিং করা হয়, যেন সে প্রোডাক্টগুলোর তথ্য এবং ছবি তাদের নজরে আসে এবং তারা সেটি পারচেজ করেন। বিভিন্ন সুবিধা থাকার জন্য এবং তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ার জন্য বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মার্কেটিংয়ের পরিধি কিন্তু শুধুমাত্র নিজের বিজনেস প্রমোট করেই থেমে নেই। বরং অনেকেই রয়েছেন যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত। তারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন শিখবেন?

চলুন এবার আপনাদের জানাই ঠিক কোন কারণে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে পারেন।

০১।নিজের বিজনেস প্রোমোট করতে 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখার অন্যতম কারণ হলো এখন যত দিন যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। শুধু যে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বাড়ছে তাই নয়, এখন মানুষ তাদের পড়াশোন,  চাকুরি,ব্যবসা, কেনাকাটা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে সহায়তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে থাকে। 

অর্থাৎ এখন বেশিরভাগ মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকেন৷ একারণে যদি নিজের বিজনেস প্রোমোট করতে চান, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে এটির হেল্প নেয়া হতে পারে আপনাদের জন্য বেস্ট অপশন। কেননা এই মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে কিংবা অল্প কিছু টাকা খরচের মাধ্যমে নিজের বিজনেসকে অথবা নিজের ব্র‍্যান্ডকে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন। 

০২। ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সাকসেসফুল হতে 

শুধুমাত্র নিজের বিজনেস প্রমোশন করার জন্যই নয়, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখেন, তাহলে সেটি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সাফল্য আনতে অনেক সাহায্য  করবে। কারণ এখন কমবেশি সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করে নিজের বিজনেস প্রোমোট করতে চাইলেও অনেকেই কিন্তু এই মার্কেটিংয়ের প্রসেস জানেননা। তাই তারা এ কাজটি করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকেন। তাই যদি এই মার্কেটিংয়ে স্কিল থেকে থাকে, তাহলে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও আয় করতে পারবেন। 

০৩। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার পদে চাকরি করতে

বিজনেস অথবা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ছাড়াও যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে থাকেন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার অথবা সোশ্যাল মিডিয়া এক্সিকিউটিভ পদে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। কারণ এখন ছোট-বড় বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সব কাজ করার জন্য এই ফিল্ডে এক্সপার্ট মানুষদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই, এক্ষেত্রে যারা এই মার্কেটিংয়ে দক্ষ, তাদের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সুবিধা 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানার পর আপনারা যদি ফেসবুক, টুইটার অথবা ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে দেখবেন ছোট ছোট বিজনেস থেকে বড় বড় বিখ্যাত ব্র‍্যান্ড – প্রতিটিরই নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ রয়েছে, যে পেইজগুলোর মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের কাছে নিজেদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের মার্কেটিং করে। কেন করে জানেন? কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের এমন কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলো বেশি পরিমাণে সেল জেনারেট করতে এবং সবার কাছে নিজের ব্র‍্যান্ডের পরিচিতি বাড়িয়ে তুলতে হেল্প করে। সেগুলো হলো – 

০১। গোটা বিশ্বের মাঝে পরিচিতি বাড়ানো

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই মার্কেটিং সঠিকভাবে করতে পারলে শুধুমাত্র নিজের দেশের মধ্যেই নয়, বরং গোটা বিশ্বের মাঝে নিজের বিজনেসের পরিচিতি বাড়িয়ে তোলা যায়। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করলে আপনাকে জিওগ্রাফিক বাউন্ডারি নিয়ে মোটেও ভাবতে হবে। 

০২। নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের টার্গেট করতে পারা

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের আরেকটি প্রধান সুবিধা হলো এখানে নির্দিষ্ট মানুষকে টার্গেট করে মার্কেটিং করা যায়। যেমন ধরুন আপনি ফেসবুকে আপনার শাড়ির বিজনেস প্রমোট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান। এক্ষেত্রে আপনি টার্গেট অডিয়েন্স হিসেবে রাখতে চান ঢাকায় বসবাসকারী সেসব মানুষ যাদের শাড়ির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। আপনি মার্কেটিং করার সময় সেই মানুষগুলোকেই টার্গেট করে মার্কেটিং করতে পারবেন, যাতে করে আপনার পোস্ট কিংবা ছবি তাদের নজরে আসে এবং তারা সেই সেগুলো দেখে আপনার কাছ থেকে শাড়ি পারচেজ করে। যদি আপনি সাধারণভাবে মার্কেটিং করতে চান, তাহলে কখনই এই অডিয়েন্স টার্গেটিংয়ের সুবিধা পাবেন না। 

০৩। অল্প খরচ 

মিডিয়া মার্কেটিং এ বিনামূল্যে অথবা কিছু টাকা খরচ করে- দুই ভাবে মার্কেটিং করার সুযোগ রয়েছে। তবে তুলনামূলক কম সময়ে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সবাই অল্প কিছু টাকা খরচ করে এই মার্কেটিং করে থাকেন। কারণ এক্ষেত্রে অল্প কিছু টাকা খরচ করার মাধ্যমে অনেক বেশি মানুষের কাছে নিজের বিজনেস ও ব্র‍্যান্ডকে প্রোমোট করা যায়, যাতে করে অল্প সময়ে সেল বাড়ানোর পাশাপাশি পরিচিতি বাড়ানোও সহজ হয়ে যায়৷ যেমন উদাহরণ হিসেবে আমি যদি ফেসবুক মার্কেটিং এর কথা বলি, ফেসবুকে অল্প কিছু ডলার খরচ করার মাধ্যমে টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে নিজের বিজনেস এর প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখানো যায়, যেটিকে বুস্টিং বলা হয়। এই বুস্টিং এর ফলে বহু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় এবং অনেক সময় দেখা যায় একবার বুস্ট করলে সেখান থেকেই অনেক সেল পাওয়া সম্ভব হয়। 

সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এই মার্কেটিংয়ের সুবিধা কত বেশি। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করবেন? 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চাইলে প্রথমে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হয়। একেকটি প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিংয়ের উপায় একেকরকম। যেগুলো হলো – 

১। ফেসবুক(Facebook) মার্কেটিং 

ফেসবুক মার্কেটিং কে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অন্যতম উপায় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এর কারণ হলো বর্তমানে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচাইতে বেশি। ফেসবুকে মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কোন পেজ কিংবা পোস্ট বুস্ট করতে হয়। আপনারা হয়তো এই বুস্ট করা কথাটি অনেকবার শুনেছেন। বুস্ট করার অর্থ হচ্ছে বিজ্ঞাপন দেওয়া। অর্থাৎ ফেসবুকে পোস্ট বুস্ট বলতে কোন নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষের কাছে কোনো প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেয়াকে বোঝানো হয়। 

বুস্ট করার মাধ্যমে ফেসবুকে মার্কেটিং করার জন্য একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের টাকা পে করা ও অন্যান্য কাজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি অ্যাড ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়। প্রথমেই টার্গেট করে নিতে হয় কাদেরকে ফোকাস করে বুস্ট করা হবে। এরপর যে পোস্টটির বিজ্ঞাপন দেবেন সেটির ছবি ও মানুষকে আকৃষ্ট করবে এমন ক্যাপশন লিখতে হয়। তারপর নির্দিষ্ট সময় বিজ্ঞাপনটি রান করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পে করার পর বুস্টিং চালু হয়। এভাবেই মূলত মার্কেটিংয়ের কাজটি করা হয়। 

ফেসবুক মার্কেটিং এর আরেকটি উপায় হিসেবে বর্তমানে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়। ইনফ্লুয়েন্সের হলেন সেসব মানুষ যারা ফেসবুকে পেইজ রয়েছে সেই পেইজে বড় সংখ্যক ফলোয়ার থাকে। তারা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ এর প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস তাদের ফলোয়ারদের সামনে প্রমোট করে থাকেন। এতে করেও বিজনেসে সেল বাড়ানো যায়। 

০২। ইনস্টাগ্রাম (Instagram)মার্কেটিং 

ফেসবুক মার্কেটিং আর ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিংয়ের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং একটু আলাদা। ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিনামূল্যে নিজের অ্যাকাউন্ট গ্রো করানো যায়। কারণ পোস্টে যত বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেই পোস্ট তত বেশি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের নজরে আসে। এছাড়াও ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট বুস্টিং করা যায়। আবার এখন ইনফ্লুয়েন্সাররাও তাদের প্রোফাইলের মাধ্যমে মার্কেটিংয়ের কাজ করে থাকেন। 

 ০৩। টুইটার(Twitter) মার্কেটিং 

বাংলাদেশে অতটা জনপ্রিয় না হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হিসেবে টুইটার মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয়। টুইটারের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে অল্প কিছু শব্দের মাধ্যমে পোস্ট করতে হয়, যেগুলোতে টুইট বলে। টুইটার মার্কেটিং করতে চাইলে টুইট, ছবি কিংবা ভিডিওর মাধ্যমে করতে পারেন। যদি আপনি যেসব মানুষকে টার্গেট করে মার্কেটিং করতে চান, তারা টুইটার ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে টুইটার মার্কেটিং করতে পারেন। 

০৪। পিন্টারেস্ট (Pinterest) মার্কেটিং 

অনেকেই মনে করে থাকে, পিন্টারেস্ট শুধুমাত্র ব্লগারদের জন্য ভালো একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে বর্তমানে নিজের ব্যবসা কিংবা নিজের ব্র্যান্ড এর পরিচিতি বাড়ানোর জন্যও পিন্টারেস্ট একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। যেহেতু পিন্টারেস্ট এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি, তাই চাইলে এখানে মার্কেটিং করতে পারেন। 

পিন্টারেস্ট এর একেকটি পোস্টকে পিন বলা হয়ে থাকে। মার্কেটিং এর মূল কাজটি কিন্তু পিনের মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। পিন্টারেস্ট মার্কেটিংয়ে সাকসেস পাওয়ার ট্রিক হচ্ছে নিজের বিজনেসের প্রোডাক্টের অ্যাট্রাকটিভ ছবির সাথে সহজবোধ্য কন্টেন্ট লিখে পিন আকারে পাবলিশ করা, পিন শেয়ার করা এবং নিয়মিত যেন পিন পাবলিশ করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। এভাবে নিয়মিত মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মে সাকসেস পাওয়া যায়। 

এটুকুই ছিল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। যদি এই পোষ্টটি পড়ার পর আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখতে চান, তাহলে অনলাইনে কোন কোর্স করতে পারেন অথবা যেসব ইনস্টিটিউট সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শেখায় সেখানে ভর্তি হতে পারেন। আবার যদি বিনামূল্যে শিখতে চান তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কিত যে ব্লগ গুলো রয়েছে সেগুলো পড়তে পারেন এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন। তবে যেভাবেই শিখুন না কেন ভালোভাবে শেখার চেষ্টা করুন, যেন কাজ করা শুরু করলে সাকসেসফুল হতে পারেন!

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজ থেকে! 

 

Leave a Comment